হজরত ইছারে ইবলিছে পরিক্ষা করলো
৪
১ পাক গোছল করার বাদে,
আল্লার পাক রুহর ইশারায় ইছারে মরুভুমিত নেওয়া অইলো,
যাতে অউ সময় ইবলিছে তানে পরিক্ষা করার সুযোগ পায়।
২ মরুভুমির মাজে তাইন একলাগারে চাল্লিশ দিন চাল্লিশ রাইত রোজা আছলা,
কুনুজাত খানি খাইছইন না।
এরবাদে তান খুব পেটো ভুক লাগলো।
৩ অউ সময় ইবলিছে আইয়া তানরে কইলো,
“তুমি যুদি ইবনুল্লা,
আল্লার খাছ মায়ার জন অও,
তে অতা পাথররে কওনা রুটি অইযিতো।”
৪ ইছায় জুয়াপ দিলা,
“আল্লার কালামো লেখা আছে,
খালি রুটি খাইলেউ মানুষ বাচে না,
বরং আল্লার পরতেক কালামেউ মানুষ বাচে।”
৫ তেউ হে ইছারে লইয়া পবিত্র টাউন জেরুজালেমো গেল,
গিয়া বায়তুল-মুকাদ্দছ কাবা ঘরর মিনারার উপরে তানে উবা করাইয়া কইলো,
৬ “তুমি যুদি আল্লার খাছ মায়ার জন অও,
তে দেখিছাইন,
অন থাকি ফাল দিয়া লামাত পড়ো,
কিতাবো তো লেখা আছে,
আল্লায় তান ফিরিস্তা অকলরে হুকুম দিবা;
আর তারা নিজর আতদি তুমারে ধরিলিবা,
যাতে তুমার পাওয়ো কুনু পাথরর চুট না লাগে।”
৭ ইছায় তারে কইলা,
“কিতাবো অউ কথাও লেখা আছে,
তুমি তুমার মাবুদ আল্লারে পরিক্ষা করাত লাগিও না।”
৮ বাদে ইবলিছে তানরে খুব উচা এক পাড়র উপরে লইয়া গেল,
নিয়া এক পলকে দুনিয়ার তামাম মুল্লুক আর অতার হকল জাক-জমক দেখাইলো আর কইলো,
৯ “তুমি যুদি আমারে সইজদা করিলাও,
তে ই হক্কলতা আমি তুমারে দিলাইমু।”
১০ ইছায় জুয়াপ দিলা,
“ধুর শয়তান,
বাগ।
আল্লার কালামো আছে,
তুমি খালি তুমার মাবুদ আল্লারেউ ডরাইও,
খালি তান এবাদত করিও।”
১১ অখান হুনিয়া ইবলিছ তান গেছ থাকি হরিয়া গেলগি,
আর আল্লার ফিরিস্তা অকল আইয়া তান খেজমত করলা।
হজরত ইছা আল-মসীর তবলিগ
১২ বাদে ইছায় খবর পাইলা,
এহিয়া নবীরে আটক করিয়া জেলো হারাইল অইছে,
অখান হুনিয়া তাইন গালিল জিলাত গেলাগি।
১৩ হনো গিয়া নাছারত গাউ ছাড়িয়া সবুলন-নপ্তালি এলাকার আওরর পারর কফরনাউম টাউনো গিয়া রইলা।
১৪ ইতা হকলতা অইলো,
যাতে ইশায়া নবীর মাজদি আল্লায় যেতা বাতাইছলা,
অতা অখন ফলিযায়।
ইশায়া নবীয়ে কইছলা,
১৫ বিধর্মী মানষর বসত খানা গালিল জিলার
আওরর পারর সবুলন-নপ্তালি এলাকার মানুষ,
আর জর্দান গাংগর দুছরা পারর মানষর গেছে
আল্লার নুর জাইর অইবো।
১৬ যেতা মানুষ বে-পথি বনিয়া আন্দারির মাজে জিন্দেগি কাটাইরা,
তারা আল্লার নুরর মহা রুশনি দেখবা।
আর যেরা গইন আন্দারির মাজে বসত করে,
তারার গেছেও আল্লার নুর জাইর অইবো।
১৭ অউ সময় থাকি ইছায় তবলিগ করলা,
কইলা,
“তৌবা করো,
কারন দুনিয়ার মাজে বেহেস্তি বাদশাই চালু অইতে আর বেশি দেরি অইতো নায়।”
হজরত ইছার পয়লা সাগরিদ অকল
১৮ হজরত ইছা গালিল আওরর পারেদি আটিয়া যাইরা,
অউ সময় দেখলা,
সাইমন উরফে পিতর আর এন ভাই আন্দ্রিয়াছে আওরো জাল বাইরা,
এরা তো জালুয়া আছলা।
১৯ ইছায় এরারে কইলা,
“আমার লগে আও,
আমি তুমরারে মানুষ ধরার জালুয়া বানাইমু।”
২০ লগে লগে এরা জাল ফালাইয়া ইছার লগে রওয়ানা অইগেলা।
২১ অন থনে থুড়া আগে গিয়া দেখলা,
ইয়াকুব আর হান্নান তারা দুইও ভাইয়ে বাফর লগে নাওয়ো বইয়া জাল জুইত-জাইত কররা।
এরার বাফর নাম জিবুদিয়া।
ইছায় এরারে দেখিয়া ডাক দিলা,
২২ ডাক হুনিয়া এরাও তারার বাফরে নাওয়ো থইয়া ইছার লগে আইলা।
হজরত ইছায় বউত বেমারিরে শিফা করলা
২৩ বাদে ইছা গালিল জিলার হকল জাগাত ঘুরি ঘুরি,
হনর নানান মছিদো গিয়া নছিয়ত করলা,
আর বেহেস্তি বাদশাইর খুশ-খবরি তবলিগ করলা।
এরলগে বউত নমুনার বেমারিরে ভালা করলা।
২৪ আস্তা সিরিয়া দেশর মাজে তান খবর রটি গেল।
এতে নানান নমুনার বেমার-আজার আর জালা-যন্ত্রনায় যেতা মানষে কষ্ট পাইছিল,
যেরারে জিন-ভুতে ধরছিল,
মিরগি আর অর্ধং বেমারি যতো মানুষ আছিল,
মানষে অতারে ইছার গেছে লইয়া আইলা।
তাইন এরা হকলরে ভালা করলা।
২৫ গালিল,
দিকাপলি,
জেরুজালেম,
এহুদিয়া আর জর্দানর অইন্য পার থাকি বউত মানুষ ইছার খরে খরে রওয়ানা অইলা।