আত হুকনা বেমারির শিফা
 হজরত ইছা হিরবার মছিদো গিয়া হামাইলা,
হনো অলা এক বেটা আছিল,
তার এক আত বেমারে হুকাই গেছে।
 তাইন জুম্মাবারে অউ বেটারে ভালা করইন কি না দেখার লাগি ফরিশি মজহবর কয়জন মানষে তানবায় খুব খিয়াল রাখলা,
তারা চাইলা তান কুনু খুত বার করিয়া ফান্দো ফালাইতা।
 ইছায় অউ হুকনা আতআলা বেটারে কইলা,
“ওবা,
হকলর ছামনে আইয়া উবাওছাইন।”
 বেটা আইয়া হারলে তাইন হকল মানষরে জিকাইলা,
“ছাব অকল,
জুম্মাবারে কিতা করা জরুর,
নেক কাম,
না বদ কাম?
জানর হেফাজত করা,
না জানে মারা?”
ইখান হুনিয়া তারা মুখ বন্দ করি বইরইলা।
 তারার মনর ই পাষান হালত দেখিয়া,
ইছার দিলো খুব দুখ হামাইলো।
তাইন তারার বায় চাইয়া গুছা করি হউ বেমারি বেটারে কইলা,
“তুমার আতখান বাড়াও।”
হে তার আত বাড়াইতেউ আগর লাখান পুরা ভালা অইগেল।
 ইখান দেখিয়াউ ফরিশি অকল লগে লগে বার অইগেলা,
গিয়া রাজা হেরোদর মানষর লগে মিলিয়া ইছারে কাতল করার পরামিশ করলা।
৭-৮ বাদে ইছায় তান সাগরিদ অকলরে লইয়া আওরর পারো গেলাগি,
হনোও বউত মানুষ তান খরে খরে গেলা।
তান নানান মোজেজা আর কেরামতির খবর পাইয়া,
এহুদিয়া জিলা,
গালিল,
জেরুজালেম,
ইদোম,
জর্দান গাংগর হপার,
সোর আর সিদন এলাকা থাকি অউ মানুষ অকল আইছলা।
 মানষর ভিড় দেখিয়া তাইন সাগরিদ অকলরে কইলা,
“তুমরা আমার লাগি একখান নাও জুইত করো,
আরনায় মানষে ঠেলা-ধাক্কা খাইয়া আমার উপরে আইয়া পড়িযিবা।”
১০ তাইন বউত বেমারিরে শিফা করায় বেমারি মানষে তানে ছইতা করি ঠেলিয়া ধাক্কাইয়া আইয়া তান উপরে পড়িযিতা।
১১ আর জিন-ভুত অকলে তানে দেখলেউ তান ছামনে মাটিত পড়িয়া সইজদা করিয়া চিল্লাইয়া কইতো,
“আপনেউ আল্লার খাছ মায়ার জন ইবনুল্লা।”
১২ অইলে ইছায় তারারে খুব কড়াকড়ি হুকুম দিতা,
“খবরদার!
তুমরা আমার পরিচয় জাইর করিও না।”
বারোজন সাহাবি পছন্দ করা
১৩ বাদে হজরত ইছা পাড়র উপরে গেলাগি,
গিয়া তান পছন্দ করা কিছু সাগরিদরে তান কান্দাত ডাকাইয়া নিলা।
১৪-১৫ এরা আইয়া হারলে এরার মাজ থনে বারোজনরে তাইন আলগ করলা,
এরা যানু তান লগে লগে রইন,
আর জিন-ভুত ছাড়ানির খেমতা দিয়া এরারে তবলিগ কামো বেজিতা পারইন।
অউ বারোজন অইলা তান সাহাবি।
১৬ তাইন সাইমনর নয়া নাম রাখলা পিতর।
১৭ জিবুদিয়ার দুই পুয়া ইয়াকুব আর হান্নান,
তাইন এরার নয়া নাম দিলা বোনেরগশ,
মানি মেঘর ডাকর পুয়া।
১৮ আন্দ্রিয়াছ,
ফিলিফ,
বর্থলময়,
মথি,
থুমাছ,
আলফির পুয়া ইয়াকুব,
থদ্দেয়,
মুক্তিযুদ্ধা সাইমন,
১৯ আর ইহুদা ইস্কারিয়াত,
অউ ইহুদায় বাদে বেইমানি করিয়া ইছারে দুশমনর আতো ধরাইয়া দিছিল।
হজরত ইছা আর জিনর বাদশা
২০ হজরত ইছা এক বাড়িত গেলা।
অনো আইয়াও অতো বেশি মানষে ভিড় বান্দিলা,
ভিড়র লাগি ইছায় আর সাহাবি অকলেও খানা খাইতা পারলা না।
২১ তান ভাই-বিরাদরে ই খবর হুনিয়া তানরে অন থাকি বার করি নেওয়াত আইলা,
এরা কইলা,
“তার তো মাথা খারাপ অইগেছে।”
২২ জেরুজালেম থাকি কয়জন মৌলানা আইছলা,
তারা কইলা,
“জিনর বাদশা বেল-সবুলে তারে আছর করছে।
অউ বেল-সবুলর বলে হে জিন-ভুত ছাড়ায়।”
২৩ ইখান হুনিয়া ইছায় অউ মৌলানা অকলরে ধারো আনাইয়া কিচ্ছা দিয়া কইলা,
“শয়তানে কিলা শয়তানরে খেদায়?
২৪ কুনু দেশর ভিতরে দলাদলি লাগি গেলে ই দেশ তো আর টিকে না।
২৫ অউলা কুনু পরিবারর মাজেও যেবলা দলাদলি লাগি যায়,
অউ পরিবারও আর টিকে না।
২৬ তে শয়তানেও যুদি নিজর মাজে দলাদলি লাগাই দেয়,
হে-ও তো টিকতো নায়,
বিনাশ অইযিব।
২৭ আসল হাছা কথা অইলো,
কুনু ডাকাইত ডাকাতিত আইয়া পয়লা অউ বাড়ির বলআলা মুল গিরস্তরে না বান্দিলে,
হে লুট-তরাজ করতো পারতো নায়।
অইলে তারে বান্দিয়া হারলে লুট-তরাজ করতো পারব।
২৮ হুনউক্কা,
আমি হাছা কথা কইরাম,
মানষর তামাম নমুনার গুনা আর কুফুরির মাফি আছে,
২৯ অইলে পাক রুহর বেয়াপারে কুফুরি করলে,
কুনুমন্তেউ ই গুনার মাফি মিলতো নায়।
ই গুনা রোজ হাশর পর্যন্ত জারি রইব।”
৩০ ইছার উপরে জিনে আছর করছে,
মৌলানা অকলে অউ কথা কওয়ায় তাইন তারারে অউলা জুয়াপ দিলা।
হজরত ইছার আপন মানুষ কে?
৩১ অউ সময় হজরত ইছার মা আর ভাইয়াইন আইয়া বারে থনে তান গেছে খবর পাঠাইলা।
৩২ অইলে চাইরো গালাবায় মানষর ভিড় লাগাইল আছিল,
মানষে তানরে কইলা,
“হুজুর,
আপনার আম্মা আর ভাইয়াইন আইয়া বারে আপনার তালাশ কররা।”
৩৩ তাইন কইলা,
“আমার মা আর ভাইয়াইন কে?”
৩৪ কইয়া তাইন চাইরো গালার মানষর বায় চাইয়া কইলা,
“হুনো,
এরাউ তো আমার মা আর ভাইয়াইন।
৩৫ যেরা আল্লার মর্জি যুগাইয়া চলইন,
তারাউ তো আমার মা,
আর ভাই-বইন।”