চাইর আজার মানষর গাইবি খানি
৮
১ বাদে আরকবার বউত মানুষ আইয়া তান গেছে দলা অইলা।
এরার গেছে কুনু খানি-খুরাকি না থাকায়,
ইছায় তান সাহাবি অকলরে ধারো নিয়া কইলা,
২ “ইতা মানষর লাগি আমার বড় দরদ লাগের,
আইজ তিন দিন ধরি তারা আমার লগে লগে আছইন,
অইলে অখন তারার খানির কুন্তা নাই।
৩ অউ হালতে এরারে বিদায় করি বাড়িত পাঠাই দিলে,
ইতা পথোউ বেউশ অইযিবা,
এরা কেউ কেউ তো বউত দুরই থাকি আইছে।”
৪ সাহাবি অকলে কইলা,
“হুজুর,
ই নিরাই-মরুভুমির মাজে কে কুয়াই থাকি অতো রুটি যুগাইয়া এরারে খাওয়াইবো?”
৫ তাইন কইলা,
“তুমরার গেছে রুটি কয়খান আছে?”
এরা কইলা,
“ছাব,
সাতখান আছে।”
৬ তাইন মানষরে কইলা,
“আপনারা খানির লাগি মাটিত বইযাইন।”
কইয়া রুটি সাতোখান নিয়া আল্লা পাকর শুকরিয়া আদায় করি অখনাইন ছিড়িলা,
আর সাহাবি অকলরে দিয়া বাটিয়া দেওয়াইলা।
৭ সাহাবি অকলর গেছে হুরু হুরু কয়টা বিরান মাছও আছিল,
তাইন অউ মাছর লাগি শুকরিয়া আদায় করলা,
আর এরারে কইলা মানষরে বাটিয়া দিতা।
৮ হকল মানষে পেট ভরি খাইলা।
খানির বাদে যেতা রইছিল,
সাহাবি অকলে অতা দলা করিয়া হারলে সাত টুকরি ভরিগেল।
৯ ই দলর মাজে খালি বেটা মানুষউ অনুমান চাইর আজার জনে খাইলা।
বাদে তাইন এরারে বিদায় দিয়া,
১০ সাহাবি অকলরে লইয়া নাওত করি দালমানুথা জিলাত গেলাগি।
১১ অনো আইয়া হারলে ফরিশি অকলে তান লগে তর্কা-তর্কি লাগাইলা,
আর তানরে যাচাই করার লাগি তারা আছমানি কুনু মোজেজা দেখতা চাইলা।
১২ ইখান হুনিয়া ইছায় লাম্বা করি শাস ফালাইয়া কইলা,
“ই জমানার মানষে খালি মোজেজা তুকাইন কেনে?
আমি হক কথা কইয়ার,
এরারে কুনুজাত মোজেজা দেখাইল অইতো নায়।”
১৩ কইয়া তাইন এরার গেছ থাকি হরিগেলা,
আর নাওত উঠিয়া হিরবার আওরর হপারো গেলাগি।
১৪ সাহাবি অকলে লগে করি রুটি নিতে ফাউরিলিলা।
নাওর মাজে এরার লগে খালি একখান রুটি আছিল।
১৫ অউ সময় ইছায় কইলা,
“তুমিতাইন হুশিয়ার অও,
রাজা হেরোদ আর ফরিশি মজহবর খামির থাকি হুশিয়ার রইও।”
১৬ ইখান হুনিয়া সাহাবি অকলে কানা-কানি করি কইলা,
“আমরা লগে করি রুটি না আনায় তাইন মনোলয় অখান কইরা।”
১৭ অইলে সাহাবি অকলে কিতা মাতিরা,
ইছায় ইখান বুজিয়া তাইন এরারে কইলা,
“তুমিতাইন কেনে কইরায়,
রুটি আনছো না করি আমি ইখান কইছি?
তুমরা কিতা অখনও কুন্তা জানো না নি,
কুন্তাউ বুজো না নি?
তুমরার দিল পাষান অইগেছে নি?
১৮ তুমরার চউখ থাকতেও দেখরায় না নি?
কান থাকতেও হুনরায় না নি?
তুমরার মনো পড়ের না নি,
১৯ যেবলা আমি পাচ আজার মানষর লাগি খালি পাচখান রুটি ছিড়িছলাম,
অউ মানষে খাইয়া হারলে তুমরা কত টুকরি গুড়া-গাড়া দলা করছলায়?”
এরা কইলা,
“হুজুর,
বারো টুকরি।”
২০ তাইন হিরবার কইলা,
“আইচ্ছা,
আমি যেবলা চাইর আজার মানষর লাগি সাতখান রুটি ছিড়িছলাম,
মানষে খাইয়া হারলে তুমরা কয় টুকরি দলা করছলায়?”
এরা কইলা,
“সাত টুকরি।”
২১ অউ তাইন কইলা,
“এরবাদেও তুমরা বুজলায় না নি?”
আন্দার চউখ ভালা করা
২২ বাদে ইছায় তান সাহাবি অকলরে লইয়া বায়ত-ছয়দা গাউত আইলা,
আইয়া হারলে মানষে এক আন্দা বেটারে তান গেছে আনিয়া কইলো বেটাগুরে আতাই দিবার লাগি।
২৩ ইছায় অউ বেটার আতো ধরি গাউর বারে লইয়া গেলা।
গিয়া তান মুখর ছেফ বেটার চখুত লাগাইয়া তার গতরো আত দিয়া কইলা,
“ওবা,
তুমি কুন্তা দেখরায় নি?”
২৪ বেটায় চউখ খুলিয়া চাইয়া কইলো,
“জিঅয় হুজুর,
আমি তো মানুষ দেখরাম,
অইলে ইতারে গাছর লাখান লাগের,
এরা আটা-উটি করের।”
২৫ তেউ ইছায় আরকবার তার চখুর উপরে আতাই দিলে,
হে ভালা করি চাইলো আর হক্কলতা পরিস্কার দেখল।
২৬ ইছায় তারে তার বাড়িত পাঠাই দিয়া কইলা,
“হুনো,
বায়ত-ছয়দা গাউত আর যাইও না।”
হজরত ইছাউ আল্লার ওয়াদা করা আল-মসী
২৭ বাদে তাইন আর সাহাবি অকল কৈছরিয়া-ফিলিপি টাউনর কান্দা-কাছার গাউয়াইন্তো গেলা।
পথো তান সাহাবি অকলরে জিকাইলা,
“কওছাইন,
মানষে আমার বেয়াপারে কিতা মনো করইন,
আমি কে?”
২৮ এরা জুয়াপ দিলা,
“কেউ কয়,
আপনে হজরত এহিয়া।
কেউ কয় ইলিয়াছ নবী।
কেউ কেউ কইন,
আপনে অইন্য কুনু নবী।”
২৯ অউ তাইন কইলা,
“অইলে তুমরা কিতা মনো করো,
আমি কে?”
সাহাবি পিতরে জুয়াপ দিলা,
“আপনেউ আল্লার ওয়াদা করা হউ আল-মসী।”
৩০ তাইন এরারে হুশিয়ার করি কইলা,
“তুমরা আমার বেয়াপারে কেউররে হুনাইও না।”
পয়লা বার নিজর মউতর আগাম খবর
৩১ বাদে তান সাহাবি অকলরে অউ বয়ান হুনাইলা,
“আমি বিন-আদমে বউত দুখ-মছিবত পুয়ানি লাগব।
মুরব্বি অকলে,
বড় ইমাম অকলে,
আর মৌলানা অকলেও আমারে মানতা নায়।
আমারে কাতল করা অইবো,
অইলে মউতর তিন দিন বাদে হিরবার জিন্দা অইয়া উঠা লাগব।”
৩২ তাইন খুব খুলা-মেলা করি ইতা কইলা।
এরদায় পিতরে তানরে আলগা হরাইয়া নিয়া কইলা,
“হুজুর,
সাবধান,
ইলা মাত মাতইন না যানু।”
৩৩ ইছায় সাহাবি অকলর বায় মুখ ফিরাইয়া পিতররে ধামকি দিয়া কইলা,
“ধুর ইবলিছ,
আমার গেছ থাকি বাগ!
তুই আল্লাই মুনশারে বাদ দিয়া,
মানষর লাখান চিন্তা কররে।”
৩৪ বাদে তান সাহাবি আর আম মানষরেও তান ধারো নিয়া কইলা,
“হুনো,
আমার তরিকায় কেউ জিন্দেগি কাটাইতে চাইলে,
হে তার নিজর খুশিয়ে চলা বাদ দেউক।
তার আপন দুখ-কষ্টর সলিব বইয়া লইয়া আমার খরে আউক।
৩৫ যে জনে তার নিজর স্বাধীনে চলতো চায়,
হে তার হাছারর জিন্দেগি খুয়াইলিব।
অইলে যে জনে আমার লাগি আর আল্লার দেওয়া খুশ-খবরির লাগি তার জান বিলায়,
হে তার হাছারর জিন্দেগি বাচাইবো।
৩৬ কেউ যুদি আস্তা দুনিয়ার মালিক বনিয়াও তার হাছারর জিন্দেগি,
মানি আখের খুয়াইলায়,
তে তার কুনু ফায়দা অইলো নি?
৩৭ হেশে হাছারর জিন্দেগি পাওয়ার লাগি হে কুন ধন বিলাইবো?
৩৮ হুনউক্কা,
ই জমানার বেইমান আর গুনাগার অকলর মাজে,
কেউ যুদি আমার লাগি বা আমার তালিমর লাগিয়া মুখ লুকায়,
তে আমি বিন-আদম যেবলা পবিত্র ফিরিস্তা অকলরে লগে লইয়া,
আমার গাইবি বাফর শান-তজল্লিয়ে জগতো হিরবার আইমু,
অউ সময় আমিও এরারে দেখলে মুখ লুকাইমু।”