গাইবি মাছ পাইয়া ইমান আনা
 এক দিন ইছা গালিল আওরর পারো উবা আছলা,
অউ সময় বউত মানুষ আল্লার কালাম হুনার লাগি তান কান্দাত আইয়া ঠেলাঠেলি লাগাইলা।
 ইছায় দেখলা,
আওরর কিনারো দুখান জালুয়া নাও লাগাইল।
নাও থাকি লামিয়া জালুয়া অকলে তারার জাল ধইরা।
 ইছা গিয়া সাইমন নামর এক জালুয়ার নাওয়ো উঠিয়া তারে কইলা,
নাওখান ভাসাইয়া কিছু পানিত নিবার লাগি।
কইয়া তাইন নাওয়ো বইয়া মানষরে ওয়াজ-নছিয়ত করাত লাগলা।
 নছিয়ত বাদে তাইন জালুয়া সাইমনরে কইলা,
“নাওখান গইন পানিত নেও আর জাল ফালাও।”
 সাইমনে কইলা,
“হুজুর,
আস্তা রাইত কষ্ট করিয়াও কুনু মাছ পাইছি না,
তা-ও আপনার কথায় জাল ফালাইরাম।”
 জাল ফালানির বাদে অতো বেশি মাছ জালো হামাইলা,
মাছর ঠেলায় জাল ফারিযিবার দশা।
 অউ তারা সাইয্যর লাগি লগর নাওর জালুয়ারে ডাক দিলা।
তারা আইয়া মাছ ধরিয়া নাও ভরিলিলা,
জালো অতো মাছ হামাইছিল যেন,
মাছর ভারে দুইও নাও ডুবুডুবু অইগেল।
 ইতা দেখিয়া,
সাইমন-পিতরে ইছার পাওয়ো পড়িয়া কইলা,
“হুজুর,
আমি তো গুনাগার মানুষ,
আমার গেছ থাকি তশরিফ খান নেউক্কাগি।”
 কারন,
অতো মাছ দেখিয়া সাইমন-পিতর আর তান লগর হক্কলে তাইজ্জুব বনিগেলা।
১০ সাইমনর লগর জালুয়া জিবুদিয়ার দুইও পুয়া ইয়াকুব আর হান্নানেও ইতা দেখিয়া তাইজ্জুব অইলা।
তেউ ইছায় সাইমনরে কইলা,
“ডরাইও না,
অখন থাকি আর মাছ নায়,
তুমি আল্লার নামে মানুষ ধরবায়।”
১১ বাদে তারা নাও লইয়া কিনারাত আইলা,
আর হক্কলতা থইয়া ইছার লগে রওয়ানা অইগেলা।
নাপাক পচা-কুষ্ঠ বেমারিরে ভালা করা
১২ একবার ইছা এক গাউত গেলা।
হউ গাউর এক বেটার আস্তা গতর জুড়ি নাপাক পচা-কুষ্ঠ বেমার আছিল।
ইছারে দেখিয়াউ হে তান পাওয়ো পড়িয়া মিনত-কাজ্জি লাগাইলো,
“হুজুর,
আপনার মনে চাইলে তো আমারে অউ নাপাক বেমার থাকি ভালা করতা পারবা।”
১৩ ইছায় আত বাড়াইয়া তারে ছইয়া কইলা,
“অয়,
আমিও চাইরাম,
তুমি পাক-ছাফ অও।”
কওয়ার লগে লগেউ তার বেমার কমিগেল।
১৪ ভালা অইয়া হারলে ইছায় তারে হুকুম দিলা,
“ইতা আর কেউররে হুনাইও না,
তুমি গিয়া খালি ইমাম ছাবরে দেখাও।
মুছা নবীর শরিয়ত মাফিক পাক-ছাফ অওয়ার লাগি যেলা কুরবানি করা জরুর,
অউ কুরবানি দিলেউ মানষে জানিলিবা,
তুমি ভালা অইছো।”
১৫ অইলে ইছার খবর চাইরোবায় রটিগেল।
এরদায় তান মুখর বুলি হুনার লাগি আর বেমারি অকল ভালা অওয়ার নিয়তে,
বউত মানুষ তান গেছে আইলা।
১৬ অইলে তাইন কুনু না কুনু নিরাই জাগাত গিয়া হামেশা দোয়া করতা।
গুনা মাফ করার খেমতা হজরত ইছার আছে
১৭ একদিন ইছা তালিম দেওয়াত আছলা,
অউ মজলিছো আলিম অকল আর ফরিশি মজহবর বউত মোল্লাইন বওয়াত আছলা।
তারা জেরুজালেম টাউন,
গালিল আর এহুদিয়া জিলার নানান গাউয়াইন থাকি আইছইন।
ইছার মাজে মাবুদর কুদরতি বল আছিল,
অউ বলেউ বেমারি অকলরে শিফা করতা।
১৮ এরমাজে কয়জন মানষে একজন অবশ বেমারিরে পলোদি বইয়া লইয়া আইলা।
তারা চাইলা তারে নিয়া ঘরর ভিতরে ইছার ছামনে থইতা।
১৯ অইলে ভিড়র লাগি ঘরো হামানির পথ পাইলা না।
অউ তারা চালর উপরে উঠিয়া,
চালর ছানি খুলিয়া পলো সুদ্ধা বেমারিরে ইছার ছামনে মানষর মাজখানো লামাই দিলা।
২০ তারার ইমানর বল দেখিয়া ইছায় কইলা,
“ভাইরে,
তুমার গুনা মাফ করি দিলাম।”
২১ ইখান হুনিয়া আলিম অকলে আর ফরিশি দলর মোল্লাইন্তে মনে মনে কইলা,
“ই মানুষগু খেগু,
হে অলা শিরিকি করের?
খালি আল্লা ছাড়া আর কেউ গুনা মাফ করতো পারে নি?”
২২ তারার দিলর চিন্তা ইছায় বুজিলিলা,
বুজিয়া কইলা,
“আপনারা কেনে ইলা চিন্তা কররা?
২৩ আমি কুনখান কওয়া সুজা,
তুমার গুনা মাফ করি দিলাম?
বা তুমি উঠিয়া আটিয়া তুমার বিছনা লইয়া বাড়িত যাওগি?
কুনখান সুজা?
২৪ তে অখন আপনারা পরমান দেখউক্কা,
ই দুনিয়াত গুনা মাফির খেমতা আমি বিন-আদমর আছে।”
অখান কইয়াউ তাইন বেমারি বেটারে কইলা,
“ওবা,
আমি তুমারে কইরাম,
উঠো,
তুমার খেতা-বালিশ লইয়া বাড়িত যাওগি।”
২৫ কইতেউ হি বেমারি বেটা হকলর ছামনে উবাইয়া,
তার খেতা-বালিশ লইয়া আল্লার তারিফ করি করি নিজর বাড়িত গেলোগি।
২৬ ইতা দেখিয়া হকল তাইজ্জুব বনিয়া,
আল্লার তারিফ করি ডরাই ডরাই কইলা,
“আইজ ইতা কিজাত কেরামতি কাম দেখলাম।”
আল-মসীয়ে লেবিরে দাওত দিলা
২৭ বাদে ইছা বারে গেলা,
গিয়া তশিল অফিসো লেবি নামর এক খাজনা তুলরারে বওয়াত দেখলা।
দেখিয়া তারে কইলা,
“আও,
আমার উম্মত অও।”
২৮ দাওত হুনিয়াউ লেবিয়ে তান হকলতা ফালাইয়া ইছার লগে অইয়া রওয়ানা দিলাইলা।
২৯ বাদে লেবিয়ে তান নিজর বাড়িত ইছার লাগি বড় এক খাওয়া-দাওয়ার বেবস্তা করলা।
তারার লগে বউত ঘুষখুর খাজনা তুলরা আর আরো মানুষ খাওয়াত বইলা।
৩০ তেউ ফরিশি আর তারার দলর আলিম অকলে না-খুশ অইয়া ইছার সাগরিদ অকলরে কইলা,
“তুমরা খাজনা তুলরা টগবাজ আর নাফরমান অকলর বাড়িত খানা-পিনা খাও কেনে?”
৩১ ইছায় তারারে জুয়াপ দিলা,
“ভালা মানষর লাগি তো ডাক্তরর জরুর নাই,
অইলে বেমারি অকলর লাগি জরুর আছে।
৩২ তে আমিও পরেজগার অকলরে দাওত দেওয়াত আইছি না,
খালি গুনাগার অকলরে দাওত দেওয়াত আইছি,
যাতে তারা তৌবা করইন।”
পুরান তালিম থাকি হজরত ইছার তালিম ভালা
৩৩ বাদে হউ আলিম আর ফরিশি অকলে কইলা,
“এহিয়ার শিষ্য অকলে হামেশা রোজা রাখইন,
দোয়া করইন,
আর ফরিশির শিষ্য অকলেও অলা করইন,
তে আপনার শিষ্য অকলে কুনু সময়উ খানি বাদ দেইন না কেনে?”
৩৪ ইছায় জুয়াপ দিলা,
“নশা লগে থাকলে লগর বৈরাতিরে কুনু উপাস রাখা যায় নি?
৩৫ অইলে অমন এক দিন আইবো,
যেবলা নশারে তারার গেছ থাকি নেওয়া অইযিব।
হউ সময় তারা রোজা রাখবা।”
৩৬ ইছায় তারারে তালিম দিবার লাগি অউ মিছাল হুনাইলা,
কইলা,
“নয়া কোর্তার টুকরা ছিড়িয়া,
কেউ পুরান কোর্তাত তালি দেয় না।
ইলা করলে তো নয়াটাও নষ্ট অইবো,
আর নয়া কাপড়র তালি তো পুরান কাপড়র লগে মিলতোও নায়।
৩৭ পুরান চামড়ার থলিত কেউ তাজা আংগুরর রস ভরে না।
ভরলে অউ তাজা রসর ফাফে থলি ফাটিয়া রস আর থলি দুইওতা বরবাদ অয়।
৩৮ তাজা রস নয়া থলিত থইতে অয়।
৩৯ আর আংগুরর পুরান রস খাইয়া হারি কুনু মানষে নয়া রস খাইতো চায় না।
তারা কইন,
পুরানতাউ মজা।”