নানান বেয়াপারে নছিয়ত
১৭
 হজরত ইছায় তান সাগরিদ অকলরে কইলা,
“গুনার পথে নেওয়ার লাগি উছকানি আইবোউ আইবো।
অইলে লান্নত হউ জনর উপরে,
যেগিয়ে গুনা করার লাগি উছকানি দেয়।
 অউ বেবুজ অকলর একজনরেও যেগিয়ে গুনার পথে টানিয়া নেয়,
অগুর লাগি আরো ভালা অইলো অনে,
অগুর গলাত পাথর বান্দিয়া দরিয়াত ফালাই দেওয়া।
 তুমরাও যারযির বেয়াপারে হুশিয়ার রইও।
তুমার কুনু ভাইয়ে তুমার গেছে দুষ করলে তারে বুজাইও।
হে দিল বদলাইয়া মাফ চাইলে তারে মাফি দিও।
 হে দিনর মাজে সাতবার দুষ করিয়া,
সাতবার আইয়া তুমার গেছে মাফ চাইলে,
তারে মাফ করি দিও।”
 সাহাবি অকলে হজরত ইছার গেছে আবদার করলা,
“হুজুর,
আমরার ইমানি বল বাড়াই দেউক্কা।”
 তাইন কইলা,
“তুমরার দিলো যুদি এগু ডেংগার বিচির পরিমান ইমান থাকে,
আর তুমরা অউ হেওরা গাছরে কও,
জড় সুদ্ধা হুরিয়া গিয়া দরিয়াত গাড়িযাও,
তে হে তুমরার কথা হুনবো।
 “তুমরার মাজে ইলা কুনু গিরস্ত আছে নি,
যার কামলায় আল বাইয়া বা গরু রাখিয়া বন্দো থাকি বাড়িত আইতেউ,
হে তার কামলারে কয়,
তুমি জলদি আইয়া খানা খাও?
 না,
কেউ ইলা কয় না।
বরং অউলা কয়,
ওবা,
তুই আমার খানা জুইত কর।
আমি যতো সময় খানা খাই,
তুই অনো উবাইয়া ভালামন্তে আমারে বাতাস দে।
বাদে তুই খাইছ।
 আর হউ গুলামে তান হুকুম মানছে করি তাইন তারে কুনু ধইন্যবাদ দেইন নি?
নিচয় না।
১০ অউ লাখান তুমরাও হকল হুকুম-আহকাম আদায় করলেও কইও,
মালিক,
আমরা তো তুমার নালায়েক গুলাম।
আমরা যেতা কাম করা জরুর আছিল,
খালি অতাউ কুনু রকমে আদায় করছি।”
দশজন পচা-কুষ্ঠ বেমারিরে শিফা করা
১১ হজরত ইছা জেরুজালেম টাউনো যাওয়ার বালা শমরিয়া আর গালিল জিলার মাজেদি আটিয়া যাইরা।
১২ অউ সময় এক গাউত হামানির পথর মুখো দশজন পচা-কুষ্ঠ বেমারিয়ে তানরে দেখাত আইলা।
তারা দুরই উবাইয়া জুরে জুরে কইলা,
১৩ “ও হুজুর ইছা,
আমরারে রহম করউক্কা।”
১৪ তারারে দেখিয়া তাইন কইলা,
“যাও,
ইমাম ছাব অকলরে গিয়া তুমরার হালত দেখাও।”
পথেদি যাইতে যাইতে তারা হকলর বেমার কমিগেল।
১৫ তারার মাজে একজনে যেবলা দেখলো,
হে ভালা অইগেছে,
দেখিয়াউ জুরে জুরে আল্লার তারিফ করি করি হে ফিরিয়া আইলো।
১৬ আইয়া ইছার পাওত পড়িয়া তানরে শুকরিয়া জানাইলো।
হে অইলো শমরিয়া জাতির মানুষ।
১৭ তেউ ইছায় কইলা,
“দশো জনরেউ কুনু ভালা করা অইছে না নি?
তে বাকি নয়জন কুয়াই?
১৮ আল্লার তারিফ করার লাগি অউ বিদেশি বেটা ছাড়া আর কেউ ফিরিয়া আইলো না নি?”
১৯ বাদে ইছায় তারে কইলা,
“ভাই,
তুমার ইমানর বলেউ তুমি ভালা অইছো।
অখন ছহি-ছালামতে যাও।”
কিয়ামতর আলামত
২০ ফরিশি মজহবর কয়জন আইয়া হজরত ইছারে জিকাইলা,
আল্লায় কুন সময় তান বাদশাই চালু করবা।
তাইন কইলা,
“আল্লার বাদশাই তো কেউররে জানাই-হুনাই আয় না।
২১ কেউ কওয়ার সাইধ্য নাই,
আল্লার বাদশাই অনো বা হনো দেখছি।
হুনউক্কা,
আল্লার বাদশাই তো অখনউ আপনারার মাজে চালু আছে।”
২২ বাদে তান সাগরিদ অকলরে কইলা,
“অমন এক সময় আইবো,
যেবলা তুমরা আমি বিন-আদমর একখান দিন দেখতায় চাইবায়,
অইলে পারতায় নায়।
২৩ মানষে তুমরারে কইবা,
অনো দেখো,
হনো দেখো।
অইলে তুমরা তারার কথায় দৌড়িও না,
কুনুখানো যাইও না।
২৪ হুনো,
মেঘর জিলকির লগে আছমানর এক মাথা থাকি আরক মাথা যেবলা ফর অয়,
অউ সময় তো হকলে দেখে।
তে আমি বিন-আদম যেবলা আইমু হউ সময়ও অলা হকলে দেখবো।
২৫ অইলেও পয়লা ই জমানার মানষর আতো আমি বউত কষ্ট পাইতাম অইবো,
তারা আমারে দুর-দুর করবা।
২৬ “যেলা নুহ নবীর আমলো অইছিল,
আমি বিন-আদমর জমানাতও অলা অইবো।
২৭ নুহ নবী জাজো উঠার আগ পর্যন্ত মানষে খানা-পিনা,
বিয়া-শাদি আর ঘর-সংসার করতা,
নুহ নবীর বইন্যা আইয়া ইতারে নিপাত করলো।
২৮ অউলা লুত নবীর আমলোও মানষে খানা-পিনা,
খরিদ-বিকি,
খেত-গিরস্তি আর বাড়ি-ঘর বানানিত বেস্তো আছলা।
২৯ অইলে লুত নবী যেদিন ছাদুম টাউন ছাড়িয়া বিদায় অইগেলা,
হউ দিনউ আছমান থাকি আগুইন আর গন্ধকর গজব লামিয়া ইতা হক্কলটিরে নিপাত করলো।
৩০ ঠিক অউলা,
আমি বিন-আদম যেদিন জাইরা অইমু,
হউদিনও অলা আখতা আইবো।
৩১ “হিদিন কেউ যুদি ঘরর চালর উপরে থাকে,
তে তার ঘরর মাল-ছামানা নিবার লাগি,
লামাত লামিয়া ঘরর ভিতরে না হামাউক।
অউ লাখান কেউ যুদি বন্দো থাকে,
হে-ও আর বাড়িত না আউক।
৩২ লুত নবীর বিবির ঘটনা ইয়াদ করো।
৩৩ মনো রাখিও,
যে জনে জান বাচাইতো চায়,
হে নিজর জিন্দেগি খুয়াইবো,
অইলে যে জনে জান সপিয়া দেয়,
হে জিন্দেগি পাইবো।
৩৪ হি রাইত একই বিছনাত দুইজন হুতিলেও,
একজনরে নেওয়া অইবো,
দুছরা জন বাদ পড়িযিবো।
৩৫-৩৬ দুই বেটিয়ে একলগে বারা-বানাত থাকলেও,
এরার একজনরে নেওয়া অইবো,
আরক জন বাদ পড়িযিবো।”
৩৭ সাহাবি অকলে কইলা,
“হুজুর,
ইতা কুয়াই অইবো?”
তাইন জুয়াপ দিলা,
“মরা লাশ যেখানো,
হকুনও হনো দলা অয়।”