হজরত ইছা মউতর বাদে জিন্দা অইলা আর বউতে দেখলা (২০:১-২১:২৫)
হজরত ইছা মুর্দা থাকি জিন্দা অইলা
২০
 হাপ্তার পয়লা দিন ফজর অখতো আন্দাইর রইতেউ মগদিলিনী মরিয়ম হজরত ইছার কয়বরর কান্দাত গেলা।
গিয়া দেখলা,
কয়বরর মুখ থাকি পাথরটা হরাইল অইগেছে।
 দেখিয়া তাইন সাইমন-পিতর আর যে সাহাবিরে ইছায় খুব মায়া করতা,
এরার গেছে দৌড়াইয়া গিয়া কইলা,
“হুনছইন নি,
হুজুরর লাশ মানষে কয়বর থাকি তুলিয়া নিছইনগি।
নিয়া কই রাখছইন আমরা জানি না।”
 খবর পাইয়া পিতর আর অউ সাহাবি কয়বরর বায় রওয়ানা অইলা।
 দুইওজনে একলগে দৌড়াইরা।
পিতররে খরে ফালাইয়া হউ সাহাবি আগে কয়বরর কান্দাত গেলা।
 গিয়া উন্দা অইয়া দেখলা,
কয়বরর ভিতরে কাফন পড়ি রইছে,
অইলে তাইন কয়বরর ভিতরে হামাইলা না।
 পিতরও তান খরে খরে আইলা,
আইয়া কয়বরর ভিতরে হামাইয়া দেখলা,
খালি কাফন খান পড়ি রইছে।
 যে কাফনর টুকরা দিয়া তান মাথা বান্দা অইছিল,
ইখান অইন্য টুকরার লগে নায়,
আলগা পড়ি রইছে।
 যে সাহাবি পয়লা কয়বরর কান্দাত গেছলা,
বাদে তাইনও ভিতরে হামাইলা,
হামাইয়া হকলতা দেখিয়া একিন করলা।
 ইছার তো মুর্দা থাকি জিন্দা অওয়া জরুর,
পাক কিতাবর অউ তালিমর মানি আগে তো এরা কেউ বুজছইন না।
১০ এরবাদে সাহাবি অকল যারযির বাড়িত গেলাগি,
১১ অইলে মরিয়মে কয়বরর কান্দাত উবাইয়া কান্দন লাগাইলা।
তাইন কান্দি কান্দি উন্দা অইয়া কয়বরর ভিতরেদি চাইয়া দেখলা,
১২ ইছার লাশ যেনো হুতাইয়া রাখা অইছিল,
হনো ধলা কাপড় ফিন্নো দুইজন ফিরিস্তা বই রইছইন,
একজন হিতানেদি,
আরক জন পাও গালাবায়।
১৩ ফিরিস্তা অকলে মরিয়মরে কইলা,
“তুমি কান্দিরায় কেনে গো?”
তাইন কইলা,
“মানষে আমার মালিকর লাশ তুলিয়া নিছইনগি,
নিয়া কই থইছইন জানি না।”
১৪ অখান কইয়া তাইন খরেদি চাইতেউ দেখলা,
হজরত ইছা উবাই রইছইন।
অইলে তাইনউ যে ইছা,
মরিয়মে ইখান বুজলা না।
১৫ ইছায় মরিয়মরে কইলা,
“ওগো,
তুমি কান্দো কেনে?
কারে তুকাইরায়?”
ইছারে বাগানর মালি মনো করিয়া তাইন কইলা,
“দেখউক্কা,
আপনে যুদি তান লাশ নিয়া থাকইন,
তে কুয়াই নিছইন,
কউক্কা।
আমি তান লাশ নিমু।”
১৬ ইছায় কইলা,
“মরিয়ম।”
তেউ মরিয়ম ফিরিয়া উবাইয়া ইবরানি ভাষায় তানরে কইলা,
“রাব্বুনি” মানি উস্তাদ।
১৭ ইছায় তানরে কইলা,
“আমারে ধরিয়া রাখিও না,
আমি তো অখনও গাইবি বাফর গেছে উপরে গেছি না।
তুমি বরং আমার ভাইয়াইনরে গিয়া কও,
যেইন আমার আর তুমরার গাইবি বাফ,
আমার আর তুমরার আল্লা,
আমি উপরে তান গেছেউ যাইরাম।”
১৮ তেউ মগদিলিনী মরিয়মে সাহাবি অকলরে গিয়া কইলা,
ইছার লগে তান দেখা অইছে আর ইছায়উ তানরে ইতা হকলতা কইছইন।
সাহাবি অকলে জিন্দা ইছারে দেখলা
১৯ হউ দিন,
মানি হাপ্তার পয়লা দিন হাইঞ্জা বালা সাহাবি অকল একখানো দলা অইলা।
অইলে ইহুদি নেতা অকলর ডরে ঘরর দুয়ার-খিড়কি হকলতা বন্দ আছিল।
এরমাজে আখতাউ হজরত ইছা আইয়া এরার মাজখানো উবাইয়া কইলা,
“আছছালামু আলাইকুম।”
২০ অখান কইয়া হারি তাইন নিজর দুইও আত আর পাত্তি-আড়র জখমর দাগ এরারে দেখাইলা।
হুজুররে দেখিয়া সাহাবি অকল খুব খুশি অইলা।
২১ বাদে ইছায় হিরবার এরারে কইলা,
“আছছালামু আলাইকুম।
হুনো,
আমার গাইবি বাফে যেলা আমারে পাঠাইছইন,
আমিও অউলা তুমরারে পাঠাইরাম।”
২২ অখান কইয়া তাইন সাহাবি অকলর উপরে ফু দিয়া কইলা,
“আল্লার পাক রুহরে কবুল করো।
২৩ হুনো,
তুমরা যুদি কেউরে মাফ করি দেও,
তে তার গুনা মাফ করা অইবো,
আর যুদি মাফ না করো,
তে তার গুনার মাফি মিলতো নায়।”
সাহাবি থুমাছর সন্দয়
২৪ হজরত ইছা যেবলা সাহাবি অকলর ছামনে আইলা,
অউ সময় বারো জন সাহাবির মাজর থুমাছ নামর একজন সাহাবি ইনো আছলা না।
অউ থুমাছরে জমজ কইয়া ডাকা অইতো।
২৫ এরলাগি বাকি সাহাবি অকলে থুমাছরে কইলা,
“আমরা তো হুজুররে দেখছি।”
থুমাছে কইলা,
“হুনউক্কা,
আমি আমার নিজর চউখে যুদি তান দুইও আতর পেরেগর দাগ না দেখি,
অউ জখমো আংগুল না লাগাই,
আর তান পাত্তি-আড়র জখমো আত না দেই,
তে কুনুমন্তেউ আমি ইতা একিন করতাম নায়।”
২৬ এর এক হাপ্তা বাদে হিরবার সাহাবি অকল অউ ঘরো দলা অইলা,
এরার লগে থুমাছও আছলা।
অউ সময় ঘরর হকল দুয়ার-খিড়কি বন্দ থাকলেও আখতাউ ইছা আইয়া তারার মাজখানো উবাইয়া কইলা,
“আছছালামু আলাইকুম।”
২৭ বাদে তাইন থুমাছরে কইলা,
“তুমার আংগুল লাগাইয়া আমার দুইও আত দেখো,
আর তুমার আত বাড়াইয়া আমার পাত্তি-আড়র জখমো হারাও,
একিন করো,
সন্দয় করিও না।”
২৮ তেউ থুমাছে কইলা,
“মালিক আমার,
আল্লা আমার।”
২৯ ইছায় তানরে কইলা,
“থুমাছ,
আমারে দেখছো করি তুমি ইমান আনলায় নি?
হুনো,
ধইন্য তারা,
যেরা না দেখিয়াও আমার উপরে ইমান আনে।”
অউ কিতাবর মুল নছিয়ত
৩০ হজরত ইছায় সাহাবি অকলর ছামনে আরো বউত কেরামতি নিশানা দেখাইছইন,
ইতা হকলতা তো অউ কিতাবো লেখা অইছে না।
৩১ খালি অউ ঘটনা অকল লেখা অইছে,
যাতে অতা তিলাওত করিয়া তুমরা ইমান আনো,
হজরত ইছাউ আল্লা পাকর ওয়াদা করা হউ আল-মসী,
তাইনউ ইবনুল্লা,
আল্লার খাছ মায়ার জন,
আর ইমান আনিয়া যাতে তান উছিলায় তুমরা আখেরি জিন্দেগি হাছিল করো।