সাতজন সাহাবির লগে জিন্দা ইছার সাক্ষাত
২১
 এরবাদে তিবিরিয়া নামর আওরর পারো হজরত ইছায় সাহাবি অকলরে হিরবার দেখা দিলা।
ঘটনা অউ লাখান অইলো।
 সাইমন-পিতর,
থুমাছ যারে জমজ কওয়া অইতো,
আর গালিল জিলার কান্না গাউর নথনেল,
জিবুদিয়ার পুয়াইন সহ আরো দুইজন সাহাবি একলগে আছলা।
 সাহাবি সাইমন-পিতরে লগর এরারে কইলা,
“আমি মাছ মারাত যাইয়ারগি।”
তারা কইলা,
“আমরাও তুমার লগে যাইমু।”
তেউ তারা নাও লইয়া মাছ মারাত বার অইলা,
অইলে ই রাইত কুনু মাছ পাইলা না।
 ফজর অখতো ইছা আইয়া আওরর পারো উবাইলা।
অইলে তাইনউ যে ইছা,
এরা ইখান বুজলা না।
 তাইন সাহাবি অকলরে কইলা,
“ও বেটাইন,
তুমরা কুনু মাছ পাইছো না নি?”
তারা কইলা,
“জি না,
পাইছি না।”
 ইছায় তারারে কইলা,
“তে নাওর ডাইন গালাবায় জাল ফালাও,
তেউ পাইবায়নে।”
তান কথামতো তারা জাল ফালাইলা আর জালো অতো মাছ হামাইলা,
ইখান টানিয়া তুলতা পারলা না।
 যে সাহাবিরে ইছায় মায়া করতা,
তাইন পিতররে কইলা,
“এইন তো মালিক।”
ই সময় সাইমন-পিতরর গতরো কাপড় আছিল না।
“এইন তো মালিক” অখান হুনিয়াউ তাইন কাপড় ফিন্দিয়া ফালদি পানিত পড়লা।
 অইলে বাকি সাহাবি অকলে মাছে ভরা জালখান টানি টানি নাও লইয়া পারো আজিলা।
কারন তারা পার থাকি বেশি দুরই নায়,
অনুমান দুইশো আত দুরই আছলা।
 তারা পারো উঠিয়া দেখলা আংরার আগুইন,
অউ আগুইনর উপরে মাছ আর রুটি।
১০ ইছায় তারারে কইলা,
“অখন যেতা মাছ মারছো,
অন থনে কয়টা আনো।”
১১ সাইমন-পিতরে নাও থাকি জালখান পারো টানিয়া তুললা।
জালর ভিতরে একশো তেপ্পান্নটা বড় মাছ আছিল,
তেবউ জাল ফাড়লো না।
১২ ইছায় তারারে কইলা,
“আও,
খাও আইয়া।”
অইলে কুনু সাহাবিয়ে জিকানির সাওস অইলো না “আপনে কে?”
কারন তারা জানতা,
তাইনউ মালিক।
১৩ বাদে তাইন আইয়া তারারে রুটি খাইতে দিলা,
অউলা বিরান মাছও দিলা।
১৪ মুর্দা থাকি জিন্দা অওয়ার বাদে,
অউ তিন নম্বর বার তাইন সাহাবি অকলরে দেখা দিলা।
হজরত পিতরর লগে ছওয়াল-জুয়াপ
১৫ তারার খাওয়া-দাওয়ার বাদে ইছায় সাইমন-পিতররে জিকাইলা,
“ও সাইমন বিন ইউহান্না,
এরা যেলা আমারে মায়া করইন,
তুমি আমারে এরথাকি বেশি মায়া করো নি?”
তাইন কইলা,
“জিঅয় মালিক,
আপনে তো জানইন,
আমি আপনারে কতো মায়া করি।”
তেউ ইছায় কইলা,
“তে আমার মেড়া-বাইচ্চার রাখালি করো।”
১৬ ইছায় হিরবার তানরে জিকাইলা,
“সাইমন বিন ইউহান্না,
তুমি আমারে মায়া করো নি?”
পিতরে কইলা,
“জিঅয় মালিক,
আপনে তো জানইন,
আমি আপনারে কতো মায়া করি।”
ইছায় কইলা,
“তে আমার মেড়ার পাল দেখা-হুনা করো।”
১৭ বাদে তাইন তিছরা বার জিকাইলা,
“ও সাইমন বিন ইউহান্না,
হাছাউ আমি তুমার মায়ার মানুষ নি?”
ইছায় তিছরা বার জিকানিয়ে পিতর মনে মনে কিছু দুখিত অইয়া কইলা,
“মালিক,
আপনে তো হকলতাউ জানইন,
আপনে জানইনউ আপনে আমার খুব মায়ার জন।”
তেউ ইছায় কইলা,
“তে আমার মেড়া পালর রাখালি করো।
১৮ আমি তুমারে হাছাউ কইরাম,
তুমার জুয়ানকির সময় তুমি নিজেউ তুমার কমর বান্দিয়া যেনো খুশি অনো যাইতায়।
অইলে বুড়াকির সময় তুমার আত বাড়াই দিবায়,
আর অইন্য জনে তুমারে বান্দিয়া,
তুমি যেনো যাইতায় চাও না,
হনো লইয়া যাইবো।”
১৯ আল্লার গৌরব জাইর অওয়ার লাগি পিতরর মউত কিলান অইবো,
অখান বুজানিত গিয়া ইছায় অউ কথা কইলা।
বাদে তাইন পিতররে কইলা,
“আও,
আমার লগে থাকো।”
২০ অউ সময় পিতরে খরেদি চাইয়া দেখলা,
ইছার হউ মায়ার সাহাবি খরে খরে আইরা।
অউ সাহাবিয়ে কয়দিন আগে খানিত বইয়া ইছার বায় জুকিয়া কইছলা,
“হুজুর,
আপনারে দুশমনর আতো যে ধরাই দিবো,
হে কে?”
২১ পিতরে এনরে দেখিয়া ইছারে কইলা,
“হুজুর,
এন কিতা অইবো?”
২২ ইছায় পিতররে কইলা,
“আমি যুদি চাই,
আমি দুছরা বার দুনিয়াত না আওয়া পর্যন্ত হে অনো রউক,
তে তুমার কিতা?
তুমি আমার লগে থাকো।”
২৩ এরলাগি উম্মত অকলর মাজে খবর রটি গেল,
অউ সাহাবি মরতা নায়।
অইলে ইছায় পিতররে ইখান কইছইন না।
বরং তাইন কইছলা,
“আমি যুদি চাই,
আমি হিরবার তশরিফ না আনা পর্যন্ত হে অনো থাকউক,
তে তুমার কিতা?”
লেখক সাহাবির সাক্ষি
২৪ অউ সাহাবিয়ে ইতা হকল বেয়াপারে সাক্ষি দিছইন আর লেখছইন।
আমরা জানি,
তান সাক্ষি হাছা।
২৫ হজরত ইছায় আরো বউত কাম করছইন।
ইতা যুদি এক এক করি লেখা অইতো,
তে অতো কিতাব অইতো,
ইতা আস্তা দুনিয়াইয়ে ধরলো না অনে॥