জালিম শৌলর দিল বদলানি
১-২ ই সময়ও শৌলে আল-মসীর উম্মত অকলরে কাতল করতা করি ডর দেখানিত রইছইন।
আর দামেস্ক শহরর ইহুদির মছিদাইন্তো দেওয়ার লাগি তাইন পরধান ইমামর গেছ থাকি চিঠি চাইলা,
যতো বেটাইন-বেটিন ইছার পথে চলইন,
তারারে বান্দিয়া জেরুজালেমো আনতা অউ খেমতা পাওয়ার লাগি চিঠি চাইলা।
 পথো যাইতে যাইতে যেবলা দামেস্ক টাউনর কান্দাত আইলা,
তেউ আখতাউ আছমান থাকি তান চাইরো গালাবায় ফর অইয়া চমকাইয়া উঠলো।
 অউ তাইন মাটিত পড়ি গেলা আর গাইবি আওয়াজ হুনলা,
কে যানু তানরে কর,
“শৌল,
শৌল,
কেনে আমারে জুলুম কররায়?”
 শৌলে জিকাইলা,
“মালিক,
আপনে কে?”
তাইন কইলা,
“আমি ইছা,
যেনরে তুমি জুলুম কররায়।
 তুমি অখন উঠিয়া শহরো যাও,
তুমি কিতা করতায় তুমারে জানাইল অইবো।”
 অইলে যেরা শৌলর লগে যাওয়াত আছলা তারা চমকি গেলা,
তারা ই আওয়াজ ঠিকউ হুনছিলা,
অইলে কেউররে দেখলা না।
 বাদে শৌল মাটি থাকি উঠলা,
আর চউখ মেলিয়া হারলে কুন্তাউ দেখলা না;
তান লগর মানষে তানরে আতো ধরিয়া দামেস্কো লইয়া গেলা।
 শৌলে তিন দিন ধরি চউখে কুন্তাউ দেখলা না আর কুনুজাত খানা-পিনাও খাইলা না।
১০ দামেস্ক শহরো অননিয় নামে একজন মুমিন আছলা,
১১ মাবুদে তানরে দরশন দিয়া কইলা,
“অননিয়!”
তাইন জুয়াপ দিলা,
“মালিক,
অউনু আমি।”
মাবুদে তানরে কইলা,
“সুজা নামর যে সড়ক আছে,
তুমি হউ সড়কে যাও,
গিয়া হনর এহুদার বাড়িত তার্ষ শহরর শৌল নামর একজন মানষর তালাশ করো।
১২ হনো হে দোয়া করের,
আর হে দরশন পাইছে,
অননিয় নামর একজন মানুষ আইয়া তার শরিল আতাইয়া দিবো,
তেউ হে হিরবার চউখে দেখব।”
১৩ অননিয়য় কইলা,
“মালিক,
আমি বউত মানষর গেছে ই মানুষগুর খাইছলত হুনছি,
হে জেরুজালেমো তুমার পাক বন্দা অকলর উপরে বউত জুলুম করছে।
১৪ আর অউ জাগাতও যতো মানষে তুমার পথে চলে,
এরারে বান্দিয়া নেওয়ার খেমতা হে বড় ইমাম অকলর গেছ থাকি পাইছে।”
১৫ অইলে মালিকে তানরে কইলা,
“তুমি যাও,
কারন অ-ইহুদি অকল,
তারার রাজা অকল,
আর বনি ইছরাইলর গেছে আমার নাম তবলিগর লাগি আমি তারে পছন্দ করছি।
১৬ আমি তারে দেখাইমু,
আমার নামর লাগি তারে কতো জালা-যন্ত্রনা সইয্য করা লাগবো।”
১৭ তেউ অননিয় বার অইয়া হউ বাড়িত গিয়া হামাইলা,
আর শৌলর গতরো আত দিয়া কইলা,
“ভাই শৌল,
অনো আওয়ার পথো যেইন তুমারে দরশন দিছইন তাইন হজরত ইছা,
তাইন আমারে পাঠাইছইন,
যাতে তুমি হিরবার চউখে দেখতায় পাও আর পাক রুহে কামিল অও।”
১৮ আর লগে লগেউ তান চউখ থাকি মাছর-ফইরর লাখান কিতা পড়ি গেল,
তাইন দেখতা পারলা আর উঠিয়া পানিত গিয়া তৌবার গোছল করলা;
১৯ খাওয়া-দাওয়ার বাদে শরিলো হিরবার বল পাইলা।
আর তাইন কিছুদিন দামেস্কর উম্মত অকলর লগে রইলা।
২০ শৌলে আর দেরি করলা না,
তাইন জাগায় জাগায় মছিদাইন্তো গিয়া তবলিগ করাত লাগলা,
হজরত ইছাউ আল্লার হউ খাছ মায়ার জন,
ইবনুল্লা।
২১ যেরা তান বয়ান হুনতো তারা হকলেউ তাইজ্জুব অইয়া মাতা-মাতি করতো,
“এইন হউ মানুষ নায় নি যেইন জেরুজালেমো ইছার উম্মত অকলরে জুলুম করতা?
আর অনোও তো অতার লাগিউ আইছইন,
যেরা ইছার পথে চলে তারারে বান্দিয়া বড় ইমাম অকলর গেছে লইয়া যাইতা?”
২২ অইলে শৌল দিন দিন আরো হিম্মত আলা অইলা,
আর দামেস্কর ইহুদি অকলরে লা-জুয়াপ বানাইতা লাগলা,
তাইন পরমান দেখাইলা,
অউ ইছাউ হি আল-মসী।
২৩ এর বউত বাদে ইহুদি অকলে তানরে মারার লাগি সলা-পরামিশ করলা,
২৪ আর শৌলে ই খবর পাইলা।
তারা তানরে মারার লাগি শহরো হামানি বারনির হক্কল দুয়ারো দিনে-রাইতে চকিদার বওয়াইলা।
২৫ একদিন রাইত উম্মত অকলে শৌলরে এক টুকরির ভিতরে হারাইয়া,
বাউন্ডরি ওয়ালর খিড়কিবায় পার করি বারে লামাইয়া দিলা।
হজরত শৌল জেরুজালেমো আইলা
২৬ বাদে তাইন জেরুজালেমো আইয়া উম্মত অকলর লগে শরিক অইতা চাইলা;
অইলে হক্কলে তানরে ডরাইলো,
তাইন যেন হাছাউ ইমান আনছইন তারা বিশ্বাস করলা না।
২৭ তেউ বার্নাবাছে তানরে আতো ধরিয়া সাহাবি অকলর গেছে লইয়া গেলা,
আর দামেস্ক যাওয়ার পথো কিলা তাইন আল-মসীর দিদার পাইলা,
আর কিলা মালিকে তান লগে বাতচিত করলা,
দামেস্কো কিলা তাইন সাওস করি ইছার নামে তবলিগ করছইন হকলতা এরারে জানাইলা।
২৮ বাদে শৌল জেরুজালেমো এরার লগে লগে রইতা,
তাইন জেরুজালেমর হকল জাগাত ঘুরিয়া ফিরিয়া সাওস করি ইছার নামে তবলিগ করতা।
২৯ তাইন ইউনানি ভাষায় মাতরা ইহুদি অকলর লগে দীনি বাতচিত আর তর্ক করতা;
ইহুদি অকলে তানরে জানে মারিলতা চাইলা।
৩০ মুমিন অকলে ই খবর হুনিয়া তানরে কৈছরিয়া শহরো লইয়া গেলা,
হন থাকি তানরে তার্ষ শহরো পাঠাই দিলা।
৩১ হি সময় এহুদিয়া,
গালিল আর শমরিয়া এলাকার জমাত অকল শান্তির মাজে তৈয়ার অইলো,
ই জমাত অকল মাবুদর ডরে আর পাক রুহর ইশারায় চলি চলি বউত পরিমানে বাড়লো।
হজরত পিতরর ছফর আর কেরামতি
৩২ পিতরে হক্কল জাগাত ঘুরতে ঘুরতে লুদ্দা গাউর মুমিন অকলর গেছে আইয়া আজিলা।
৩৩ হউ গাউত ঐনিয় নামে একজন মানুষ আছিল;
হে অর্ধং বেমারে আট বরছ ধরি বিছনাত পড়নো আছিল।
৩৪ পিতরে তারে দেখিয়া কইলা,
“ঐনিয়,
ইছা আল-মসী তুমারে ভালা করলা,
উঠো,
তুমার বিছনা তুলিলাও।”
আর লগে লগেউ ঐনিয় উঠিয়া উবাই গেলো।
৩৫ তেউ লুদ্দা গাউ আর শারোন এলাকার হকল মানষে ঐনিয়র হালত দেখিয়া আল্লার বায় ফিরলা।
৩৬ জাফা শহরো টাবিথা নামে একজন মুমিন বেটি আছলা,
ইউনানি ভাষায় টাবিথা নামর অর্থ দর্কা,
মানি হরিনী,
তাইন হকল সময় ভালা কাম করতা আর গরিবরে সাইয্য করতা।
৩৭ তাইন বেমার পড়িয়া মারা গেলা,
আর মানষে তানরে গোছল দেওয়াইয়া উপরর কুঠাত নিয়া থইলা।
৩৮ জাফা শহর লুদ্দার কাছাত আছিল গতিকে,
উম্মত অকলে যেবলা হুনলা,
পিতর লুদ্দাত আছইন,
অউ তারা দুইজন মানষরে তান গেছে পাঠাইয়া মিনত করলা,
“আপনে জলদি করি আমরার গেছে আউক্কা।”
৩৯ তেউ পিতর তারার লগে রওয়ানা দিলা,
তাইন হনো যাওয়ার বাদে তারা তানরে উপরর কুঠাত লইয়া গেল,
হকল ড়াড়ি বেটিন্তে পিতরর চাইরোবায় উবাইয়া কান্দন শুরু করলা আর দর্কা জিতা থাকতে যেতা কাপড়-চুপড় বানাইছলা,
অতা পিতররে দেখাইলা।
৪০ পিতরে তারা হক্কলরে কুঠা থাকি বার করি দিয়া জানু পাড়িয়া দোয়া করলা;
বাদে মরা বেটির লাশর বায় ফিরিয়া কইলা,
“টাবিথা,
উঠো।”
লগে লগে দর্কায় চউখ খুললা,
আর পিতররে দেখিয়া উঠিয়া বইলা।
৪১ পিতরে তান আতো ধরিয়া উবা করলা,
বাদে হি ড়াড়ি বেটিন আর মুমিন অকলরে ডাকিয়া দেখাইলা,
দর্কা জিতা অইছইন।
৪২ ই খবর জাফা শহরর হকল জাগাত উড়িগেল আর বউত মানষে আল-মসীর উপরে ইমান আনলা।
৪৩ পিতর বউত দিন জাফা শহরো সাইমন নামর এক চামারর বাড়িত রইলা।