ইছায়ী মুমিন অকলর চাল-চলন (১২:১-১৬:২৭)
আল্লার নামে জিন্দা কুরবানি
১২
 এরলাগি ও ভাই অকল,
আল্লায় তুমরারে অলা মেহেরবানি করায়,
আমি তুমরারে খাছ মিনতি করিয়ার,
তুমরা যারযির শরিলরে আল্লার আতো সপি দেও,
ইলা জিন্দা পবিত্র কুরবানি আল্লার দরবারো কবুল অয়,
অকটাউ অইবো তুমরার ছহি-শুদ্ধ এবাদত।
 আর অউ খারাপ জমানার তালো পড়িও না,
বরং নিজর দিলর ভাব বদলাইয়া নয়া মানুষ অও।
তেউ তুমরা আল্লার মর্জি বুজবায়।
তান মর্জি তো ভালা আর পুরাপুর নিখুত,
অলা করলে তাইন খুশি অইন।
 তালিম দিবার লাগি আল্লায় আমারে যে খাছ নিয়ামত দিছইন,
অউ নিয়ামতর বলে আমি তুমরা পরতেক জনরে কইরাম,
নিজরে যতখান বড় মনো করা উচিত,
এর চাইতে বেশি মনো করিও না।
আল্লায় যারে যতখান ইমানি বল দিছইন,
হে যানু নিজরে এর থাকি বেশি কুন্তা মনো না করে।
 খিয়াল রাখিও,
আমরা হকলর শরিলো বউত অংগ আছে,
হকল অংগয় তো এক লাখান কাম করে না।
 ঠিক অউ লাখান,
মুমিন হিসাবে আমরা বউত জন অইলেও,
আল-মসীর লগে শরিক অইয়া খালি এক শরিল অইছি।
একই শরিলর অংগ গতিকে আমরার একে-অইন্যে মিল আছে।
 আল্লার রহমতে আমরা নানান জনে নানান লাখান নিয়ামত পাইছি,
অউ নিয়ামত যুদি গাইবি ওহী জানানির বেয়াপারে অয়,
তে আমরার ইমান মাফিক অলি-আউলিয়ার লাখান ওহী কইতে থাকি।
 কেউ যুদি খেজমত করার নিয়ামত পায়,
তে খেজমত করউক।
আর তালিম দিবার নিয়ামত যে পাইছে,
হে তালিম দেউক।
 উত্‍সাহ দিবার নিয়ামত যে পাইছে,
হে মানষরে উত্‍সাহ দেউক।
দান করার নিয়ামত যে পাইছে,
হে খালিছ নিয়তে দান করউক।
মুরব্বিয়ানা করার নিয়ামত যে পাইছে,
হে দিলে-জানে হকলতা চালাউক।
মানষরে সাইয্য করার নিয়ামত যে পাইছে,
হে খুশি মনে সাইয্য করউক।
মুমিনি চাল-চলন
 মায়া-মহব্বতর মাজে কুনু খাদ মিশাইও না।
খারাপিরে ঘিন্নাও,
ভালাইর আশিক অও।
১০ একে-অইন্যরে আপন ভাইর লাখান দিলে-জানে মায়া করো,
নিজ থাকি অইন্যরে বেশি দাম দেও।
১১ খেজমত কামো দুর্বল অইও না,
রুহরে গরম রাখো,
মালিকর গুলামি করাত রও।
১২ ছামনর পুরুস্কারর আশায় হামেশা খুশি-বাসি করো,
দুখ-মছিবতো ছবর করো,
হর-হামেশা মুনাজাত করাত রও।
১৩ আল্লার পাক বন্দা অকলর অভাবো সাইয্য করো।
মেহমানদারি করতে খিয়ালি অও।
১৪ তুমরার উপরে যেরা জুলুম করে,
তারার লাগি নেক দোয়া করিও,
বদদোয়া দিও না।
১৫ যেরা খুশি-বাসি করের,
তারার লগে খুশি করো,
যেরা কান্দের তারার লগে অইয়া কান্দো।
১৬ তুমরা একে-অইন্যে ভাই ভাই অইয়া রও।
বড়লোকি ভাব না দেখাইয়া,
সাধারন মানষর লগে মিলি-মিশি চলো।
নিজর পন্ডিতি দেখাইও না।
১৭ খারাপির বদলা হিসাবে কেউরর খারাপি করিও না,
হকল মানষে যেতারে ভালা মনো করইন,
তুমরা চিন্তা-ভাবনা করিয়া অতাউ করো।
১৮ তুমরার তরফ থাকি যতখান সম্ভব হকল মানষর লগে শান্তিয়ে বসত করো।
১৯ ও মায়ার ভাই অকল,
তুমরা কেউরর বদলা লইও না,
ইতা আল্লার আতো ছাড়ি দেও,
বদলা দেওয়া তান কাম।
আল্লার কালামো আছে,
“নাফরমানির সাজা দিবার এখতিয়ার খালি আমারউ আছে,
যার যেলা পাওনা আমি তারে অলা বদলা দিমু,
ইখান আমি মাবুদে কইরাম।”
২০ বরং কিতাবে কয়,
“তুমার দুশমনর পেটো ভুক লাগলে,
তারে খানি দেও।
পিয়াছে ধরলে তারে পানি দেও।
অলা করলে তো তুমি তার মাথার উপরে জালাইল আংরার টুকরি থইলায়।”
২১ খারাপির গেছে কুনুমন্তেউ আরিও না,
বরং ভালারে দিয়া খারাপিরে আরাও।