রাজার হুকুম মানিয়া চলো
১৩
 পরতেক মানষে দেশর রাজারে মানিয়া চলউক,
কারন আল্লার মর্জি ছাড়া কেউ রাজত্ব পায় না,
রাজা অকলরে তো আল্লায়উ গদিত বওয়াইন।
 এরলাগি যে মানষে দেশর রাজার দুশমনি করে,
হে আসলে আল্লাই হুকুমর দুশমনি করে।
ইলা কাম যেতায় করইন,
তারা তো নিজর উপরে গজব ডাকিয়া আনইন।
 আর ভালা কাম কররা জনে তো রাজারে ডরানির কুন্তা নাই,
অইলে কু-কাম কররা জনর লাগি কঠিন বিপদ।
তে তুমরা কিতা নির্ভয়ে রইতায় চাও নি?
তাইলে ভালা পথে আটো,
তেউ রাজায় তুমরার তারিফ করবা।
 রাজায় তো তুমরার ভালাইর লাগিউ আল্লার খাদিম হিসাবে কাম করইন।
অইলে তুমরা যেরা কু-কাম করো,
তুমরার লাগি বিপদ আছে।
তাইন খামোখা কেউররে মারইন না,
অইলে কু-কাম কররারে আল্লার খাদিম হিসাবে ঠিকউ সাজা দেইন।
 তে খালি সাজার ডরে নায়,
বরং যারযির বিবেকর বিচারেও রাজার হুকুম মানা জরুর।
 অতার লাগিউ তো তুমরা খাজনা দেও,
কারন খাজনা তুলিয়া খরচ করার মাজদি তারা আল্লার খেজমত কররা।
 অখন যার যেলা পাওনা,
তারে অলা দেও।
যেনরে খাজনা দিবার কথা,
এনরে খাজনা দেও;
যেনরে মাশুল দিবার কথা,
এনরে মাশুল দেও;
যেনরে ইজ্জত করার কথা,
এনে ইজ্জত করো;
যেনরে তাজিম করার কথা,
এনে তাজিম করো।
একে-অইন্যে মায়া করো
 খালি মায়ার রিন ছাড়া দুছরা কুনু বেয়াপারে কেউরর গেছে রিনি অইও না।
জানো নি,
যে মানষে অইন্য জনরে মায়া করে,
হে তো শরিয়তর হুকুম-আহকাম ষোলআনা আদায় করছে।
 যেলা শরিয়তর হুকুম আছে,
“জিনা করিও না,
খুন করিও না,
চুরি করিও না,
লোভ-লালছ করিও না,”
বা ই লাখান আরো যতো হুকুম আছে,
ই হকল হুকুমরে একখানো করি কওয়া অইছে,
“তুমার আরি-ফরিরে নিজর লাখান মায়া করো।”
১০ আর মায়া থাকলে কেউ আরি-ফরির খেতি করতো পারে না,
এরলাগি মায়া করলে পুরাপুর শরিয়তউ মানা অইযায়।
১১ তে ভাই অকল,
অখনকুর জমানার হালত তো তুমরা জানোউ,
এরলাগি বুজি-হুনি চলো।
তুমরা ঘুম থাকি হজাগ অওয়ার সময় অইগেছে,
কারন আমরা যে সময় ইমান আনছিলাম,
হউ হালত থাকিও আমরার নাজাত অখন আরো ধারো আইচ্ছে।
১২ রাইত পুয়াইয়া হারি বিয়ান অইযার;
অখন জলদি আও,
আমরা আন্দারির বদ কাম ছাড়িয়া নুরর লেবাছ লাগাই,
আল্লাই আতিয়ার ফিন্দিলাই।
১৩ হৈ-হুল্লা করি মদ খাইয়া টাল অওয়া,
জিনা-বদমাইশি বা মনগড়া চলা,
ইংসা আর কাইজ্জা-ফসাদ বাদ দিয়া,
আও,
আমরা দিনর ফরে চলরা মানষর লাখান চলি।
১৪ ফিন্নর লেবাছর লাখান তুমরা মালিক ইছা আল-মসীরে পুরাপুর ফিন্দিলাও।
শরিলর বদ খাইশ মিটানির চিন্তা এক্কেরে বাদ দেও।