রাজার হুকুম মানিয়া চলো
১৩
১ পরতেক মানষে দেশর রাজারে মানিয়া চলউক,
কারন আল্লার মর্জি ছাড়া কেউ রাজত্ব পায় না,
রাজা অকলরে তো আল্লায়উ গদিত বওয়াইন।
২ এরলাগি যে মানষে দেশর রাজার দুশমনি করে,
হে আসলে আল্লাই হুকুমর দুশমনি করে।
ইলা কাম যেতায় করইন,
তারা তো নিজর উপরে গজব ডাকিয়া আনইন।
৩ আর ভালা কাম কররা জনে তো রাজারে ডরানির কুন্তা নাই,
অইলে কু-কাম কররা জনর লাগি কঠিন বিপদ।
তে তুমরা কিতা নির্ভয়ে রইতায় চাও নি?
তাইলে ভালা পথে আটো,
তেউ রাজায় তুমরার তারিফ করবা।
৪ রাজায় তো তুমরার ভালাইর লাগিউ আল্লার খাদিম হিসাবে কাম করইন।
অইলে তুমরা যেরা কু-কাম করো,
তুমরার লাগি বিপদ আছে।
তাইন খামোখা কেউররে মারইন না,
অইলে কু-কাম কররারে আল্লার খাদিম হিসাবে ঠিকউ সাজা দেইন।
৫ তে খালি সাজার ডরে নায়,
বরং যারযির বিবেকর বিচারেও রাজার হুকুম মানা জরুর।
৬ অতার লাগিউ তো তুমরা খাজনা দেও,
কারন খাজনা তুলিয়া খরচ করার মাজদি তারা আল্লার খেজমত কররা।
৭ অখন যার যেলা পাওনা,
তারে অলা দেও।
যেনরে খাজনা দিবার কথা,
এনরে খাজনা দেও;
যেনরে মাশুল দিবার কথা,
এনরে মাশুল দেও;
যেনরে ইজ্জত করার কথা,
এনে ইজ্জত করো;
যেনরে তাজিম করার কথা,
এনে তাজিম করো।
একে-অইন্যে মায়া করো
৮ খালি মায়ার রিন ছাড়া দুছরা কুনু বেয়াপারে কেউরর গেছে রিনি অইও না।
জানো নি,
যে মানষে অইন্য জনরে মায়া করে,
হে তো শরিয়তর হুকুম-আহকাম ষোলআনা আদায় করছে।
৯ যেলা শরিয়তর হুকুম আছে,
“জিনা করিও না,
খুন করিও না,
চুরি করিও না,
লোভ-লালছ করিও না,”
বা ই লাখান আরো যতো হুকুম আছে,
ই হকল হুকুমরে একখানো করি কওয়া অইছে,
“তুমার আরি-ফরিরে নিজর লাখান মায়া করো।”
১০ আর মায়া থাকলে কেউ আরি-ফরির খেতি করতো পারে না,
এরলাগি মায়া করলে পুরাপুর শরিয়তউ মানা অইযায়।
১১ তে ভাই অকল,
অখনকুর জমানার হালত তো তুমরা জানোউ,
এরলাগি বুজি-হুনি চলো।
তুমরা ঘুম থাকি হজাগ অওয়ার সময় অইগেছে,
কারন আমরা যে সময় ইমান আনছিলাম,
হউ হালত থাকিও আমরার নাজাত অখন আরো ধারো আইচ্ছে।
১২ রাইত পুয়াইয়া হারি বিয়ান অইযার;
অখন জলদি আও,
আমরা আন্দারির বদ কাম ছাড়িয়া নুরর লেবাছ লাগাই,
আল্লাই আতিয়ার ফিন্দিলাই।
১৩ হৈ-হুল্লা করি মদ খাইয়া টাল অওয়া,
জিনা-বদমাইশি বা মনগড়া চলা,
ইংসা আর কাইজ্জা-ফসাদ বাদ দিয়া,
আও,
আমরা দিনর ফরে চলরা মানষর লাখান চলি।
১৪ ফিন্নর লেবাছর লাখান তুমরা মালিক ইছা আল-মসীরে পুরাপুর ফিন্দিলাও।
শরিলর বদ খাইশ মিটানির চিন্তা এক্কেরে বাদ দেও।