তবলিগ কাম অইলো আল্লাই খেজমত
৩
১ ভাই অকল,
রুহানিক জনর লগে যেলাখান মাতা উচিত,
আমি তুমরার লগে ইলা মাততাম পারছি না।
বরং দুনিয়াবি মানষর লগে যেলা মাতা উচিত,
তুমরার লগে অলাউ মাতিছি।
তুমরা তো ইছায়ী তরিকাত এক্কেরে হুরুতাইন্তর লাখান,
এরলাগিউ অউলা মাতিলাম।
২ পয়লা আমি তুমরারে শক্ত খানি না দিয়া খালি দুধ খাবাইছলাম,
হি সময় শক্ত খানি খাওয়ার জুকা আছলায় না,
আর অতো দিন বাদেও তুমরা ই বেয়াপারে হুরুতা রইছো।
৩ কারন তুমরা অখনও দুনিয়াবি রক্ত-মাংসে চলরায়।
তুমরার মাজে অখনও ইংসা,
কাইজ্জা-ফসাদ লাগাইলউ আছে।
তে তুমরা রক্ত-মাংসর বশে রইছো না নি?
৪ তুমরার মাজে কেউ যেবলা কয়,
হে পাউলুছর দলর,
কেউ কয় আপল্লছর দলর,
তে তুমরা দুনিয়াবি মানষর লাখান নায় নি?
৫ আপল্লছ কে?
আর পাউলুছউ বা কে?
আমরা তো সামাইন্য খেজমতকারি,
আমরার মাজদি তুমরা ইমানর পথে আইছো।
আল্লায়উ আমরারে যারযির ই দায়িত্ব দিছইন।
৬ আমি বিচ লাগাইছি,
আপল্লছে পানি দিছইন,
আর আল্লায় ইতারে বড় করছইন।
৭ এরলাগি যেইন বিচ লাগাইন আর যেইন পানি দেইন,
এরা আসলে কুন্তাউ নায়,
অইলে যেইন ইতারে বড় করি তুলইন,
তাইনউ হক্কলতা।
৮ বিচ লাগাওরা আর পানি দেওরার একই উদ্দেশ্য।
এরা পরতেকে যারযির মেনত মাফিক কামর ফল পাইবা।
৯ অইলে আমরা দুইও জনেউ আল্লার কাম করিয়ার।
তুমরা আল্লারউ খেত,
তান বানাইল বিল্ডিং।
১০ আল্লার গেছ থাকি যে খাছ রহমত আমি পাইছি,
অউ রহমতর বলেউ আমি আখলদার রাজ-মেস্তরির লাখান ইয়ান খুটি গাড়ছি।
আর অউ খুটির উপরে অইন্য জনে বিল্ডিং বানাইরা।
অইলে কে কিলা বানাইরা,
ই বেয়াপারে তারা হুশিয়ার অউক।
১১ যে ইয়ান খুটি আগেউ গাড়া অইগেছে,
মালিক ইছা আল-মসীউ অইলা হউ খুটি,
ইকটা বাদ দিয়া আর কুনু নয়া খুটি কেউ গাড়তো পারতো নায়।
১২ অখন ই খুটির উপরে সোনা,
রুপা,
দামি পাথর,
লাকড়ি আর ছন দিয়া কেউ যুদি ঘর বানায়,
১৩ তে কে কিলা বানাইছইন,
ইতা ভালা করি দেখা যাইবো।
রোজ হাশরর দিন ইতা জাইর অইবো,
হউ দিন অগ্নি-পরিক্ষার মাজদি ইতা খুলা-মেলা অইবো।
১৪ যেইন যেতা বানাইছইন,
ইতা যুদি টিকিয়া রয়,
তে এইন পুরুস্কার পাইবা।
১৫ অইলে ইতা জলি গেলে পুরুস্কার থাকি বাদ পড়বো,
তা-ও তার নিজর জান বাচিবো।
তারে দেখলে বুজা যাইবো,
হে আগুইনর মাজদি পাড়ি দিয়া আইছে।
১৬ তুমরা জানো না নি,
তুমরা অইলায় আল্লার কাবা ঘর,
তুমরার মাজে তান পাক রুহ বসত করইন?
১৭ কেউ যুদি আল্লার কাবা ঘর বিনাশ করে,
তে আল্লায়ও তারে বিনাশ করবা।
কারন তান থাকার ঘর অইলো পবিত্র,
আর তুমরাউ অইলায় হউ ঘর।
১৮ তুমরা কেউ নিজরে ফাকি দিও না।
তুমরার মাজর কেউ যুদি দুনিয়ার আখল-ইলিমে নিজরে আখলদার মনো করে,
তে হে বেআখল বনউক যাতে আসল আখলদার অইতো পারে।
১৯ কারন ই জগতর আখল-বুদ্ধি,
আল্লার নজরো খালি বেআখলি।
আছমানি কিতাবো আছে,
“আল্লায় আখলদার অকলরে তারার চালাকিত ধরইন।”
২০ আরক আয়াতো আছে,
“আখলদার অকলর হকল চিন্তাউ বেকামা,
ইতা তো মাবুদে জানইন।”
২১ এরলাগি আমার কথা অইলো,
হক্কলতাউ তো তুমরার,
তে তুমরা কুনু মানষরে লইয়া বড়াই করিও না।
২২ পাউলুছ,
আপল্লছ,
পিতর,
ই দুনিয়া,
জিন্দেগি,
মউত,
বর্তমান,
ভবিষ্যত,
হক্কলতাউ তুমরার।
২৩ তুমরা অইলায় আল-মসীর,
আর আল-মসী অইলা আল্লার।