মহব্বতউ অইলো হকল থাকি বড় ধন
১৩
 আমি যুদি জগতর মানুষ বা আছমানি ফিরিস্তার গাইবি ভাষায় মাতি,
আর আমার ভিতরে কুনু মহব্বত না থাকে,
তে তো আমি জুরে জুরে বাজাইল পিতলর ঘন্টি বা ঝন ঝন করা করতালর লাখান অইগেছি।
 আমার যুদি পীরাকি মাতিবার খেমতা থাকে,
হকল বাতুনি বেয়াপার বুজি,
হকল নমুনার আখল-বুদ্ধিয়ে কামিল অই,
আর আমার ইমানি বলদি উচা পাড়োরেও এক জাগা থাকি আরক জাগাত হরাইলিতাম পারি,
অইলে আমার দিলো কুনু মহব্বত না থাকে,
তে আল্লার নজরো আমি কুন্তাউ নায়।
 আমার হকল ধন-ছামানা যুদি গরিব-দুখিরে বিলাই দেই,
এমনকি আমার শরিলরেও যুদি জালানির লাগি দান করিলাই,
আর আমার ভিতরে যুদি মহব্বত না থাকে,
তে কুনু ফায়দা নাই।
 মহব্বত হকল সময় ছবর করে,
দয়া-মায়া করে,
ইংসা করে না,
বড়াই করে না,
অহংকার করে না,
 বাদ বেবহার করে না,
নিজর স্বার্থর চেষ্টা করে না,
রাগ-গুছা করে না,
কেউ কুনু খেতি করলে মনো রাখে না,
 নাফরমানিত খুশি অয় না,
বরং হকিকতিয়ে খুশি করে।
 মহব্বতে হক্কলতা সইয্য করে,
হকলতা বিশ্বাস করে,
হকল বেয়াপারে মনর মাজে আশা যুগায় আর হকল বেয়াপারে ছবর করিয়া ধৈর্য ধরে।
 হুনো,
হকল পীরাকি মাত একদিন ফুড়াইযিবো,
নানান ভাষাও শেষ অইযিবো আর আখলদারর আখলও ফুড়াইযিবো,
অইলে মহব্বত কুনু সময় ফুড়ায় না।
 তে অখন আমরা তো কুনুতাউ ষোলআনা জানি না,
পীরাকি মাতও ষোলআনা কইতাম পারি না।
১০ অইলে আমরা জানি,
ষোলআনা অওয়ার সময় যেবলা আইবো,
অউ সময় ভাংগা-চুরা হকলতা ফুড়াইযিবো।
১১ আমি যেবলা হুরু আছলাম,
অউ সময় হুরুতার লাখান মাতিতাম,
হুরুতার লাখান চিন্তা-ভাবনা করতাম,
আর হুরুতার লাখান বিচার-বিবেচনা করতাম।
অইলে অখন তো বড় অইগেছি,
এরলাগি হুরুতার লাখান আচার-বেবহার বাদ দিলাইছি।
১২ অখন তো আমরা জাপসা আয়নার মাজে হকলতা পরিস্কার দেখরাম না,
বাদে হউ ষোলআনা অওয়ার সময় আইলে আমরা হকলতা ছামনা-ছামনি দেখমু।
অখন আমি হক্কলতা পুরাপুর জানি না,
হউ সময় আইলে আমি হকলতা পুরাপুর জানমু,
আল্লায় আমারে যেলা পুরাপুর চিনইন,
অলা আমিও হকলতা জানমু।
১৩ বুজরায় নি,
ইমান,
আশা,
আর মহব্বত,
অউ তিনো ধন হর-হামেশা রইবো,
ইতার মাজে মহব্বতউ হকল থাকি বড়।