হজরত ইছার ত্যাগর নমুনা
২
১ আল-মসীর উপরে ইমান আনলে যেবলা ভরসা মিলে,
তান মহব্বতে যেবলা শান্তি মিলে,
তুমরার লগে যেবলা পাক রুহর ভালা সম্পর্ক আছে,
আর তুমরার দিলো যেবলা মায়া-মমতা আছে,
২ তে তুমরা আমার ভিতরর খুশিখান পুরাইলাও।
তুমরা হকল এক মনে চলো,
দিলে-জানে এক অও,
আর একে-অইন্যরে মহব্বত করো।
৩ নিজর লাভর আশা বা বেটাগিরি দেখানির লাগি কুন্তা করিও না,
বরং নতো অইয়া নিজর চাইতে অইন্যরে বেশি দাম দেও।
৪ খালি নিজর স্বার্থর চিন্তা করিও না,
পরর কথাও চিন্তা করিও।
৫ হজরত ইছা আল-মসীর মন যেলাখান আছিল,
তুমরার মনও অলাখান বানাইলাও।
৬ তাইন আসলে আল্লাই ছুরতে রইলেও,
আল্লাই সিংহাসন ধরিয়া রাখার লাগি লালছি আছলা না।
৭ বরং গুলাম বনিয়া মানুষ হিসাবে জনম লইয়া নিজরে হুরু বানাইলা।
৮ তাইন মানুষ ছুরতে রইয়া মউত পর্যন্ত,
দুখ-কষ্টর সলিবর উপরর মউত পর্যন্ত বাইধ্য রইয়া নিজরে নতো করলা।
৯ এরলাগিউ আল্লায় তানরে আরশে-আজিমো উঠাইলা আর অলা ইজ্জতি এক নাম দিলা,
যে নাম হকল থাকি সেরা।
১০ যাতে অউ নামর গুনে আছমান-জমিন আর পাতালর তামাম জানদার ইছার ছামনে নতো অইন,
১১ আর গাইবি বাফ আল্লা পাকর গৌরবর লাগি স্বীকার করইন,
ইছা আল-মসীউ মালিক।
মুমিন অকল নুরর লাখান
১২ ও আমার মায়ার ভাই অকল,
তুমরা তো হামেশাউ আমার হুকুম মানিয়া আইরায়।
তে আমি ছামনে থাকলে যেলা মানো,
অখন আমার আফরখেও অলা তুমরার দিলর ডর-খফে নেক আমল করো।
অউ আমলর মাজদি দেখাও,
তুমরা গুনা থাকি নাজাত পাইলিছো।
১৩ বুজরায় নি,
আল্লায় তুমরার দিলর মাজে অলা এক ভাব দান করছইন,
ইতা আমল করলে তাইন খুশি অইন,
অউ আমল করার নিয়ত আর তাক্কতও তাইন তুমরারে দিছইন।
১৪ তুমরা কুনুজাত তর্কা-তর্কি বা কাইজ্জা-ফসাদ না করিয়া হকল কাম করো।
১৫-১৬ যাতে ষোলআনা পরেজগার আর নিখুত বনো,
আর ই জমানার খবিছ নাফরমান সমাজর মাজেও তুমরা আল্লার আওলাদ হিসাবে রও।
অতা মানষর ছামনে আল্লার পাক কালাম তবলিগ করিয়া,
অউ দুনিয়াতউ তুমরা আছমানর চান-সুরুজর লাখান চকচকা বনিযাও।
তেউ আল-মসী যেবলা দুছরা বার তশরিফ আনবা,
হউ দিন আমি বুক ফুলাইয়া কইতাম পারমু,
আমার অউ মেনত আর আটনি-খাটনি বেকামা গেছে না।
১৭ হুনো,
যে ইমানর কুরবানির মাজদি তুমরা আল্লার এবাদত কররায়,
এর উপরে যুদি আমার নিজর লউরে কুরবানি হিসাবে ঢালি দেওয়া অয়,
তা-ও আমি খুশ আছি,
তুমরারে লইয়া খুশি কররাম।
১৮ ঠিক তুমরাও অলা খুশি অও,
আমার লগে খুশি করো।
দুইজন উস্তাদরে পাঠানি
১৯ আমি আশা করি,
হজরত ইছার মর্জি অইলে আমি তিমথিরে খুব জলদি করি তুমরার গেছে পাঠাইমু,
তেউ তুমরার হালত জানিয়া আমি শান্তি অইমু।
২০ তিমথির লাখান ইলা আর কেউ আমার গেছে নাই,
যেইন তুমরার লাগি চিন্তা করইন।
২১ বাকি হকলেউ ইছা আল-মসীর বেয়াপারে চিন্তা না করিয়া,
তারা যারযির ধান্দায় আছইন।
২২ অইলে তিমথির বেয়াপার তো তুমরা জানো,
পুতে যেলা নিজর বাফর লগে কাম করে,
তাইনও অলা আল-মসীর খুশ-খবরি তবলিগর লাগি আমার লগে মেনত করছইন।
২৩ এরলাগিউ আমি আশা করিয়ার,
আমার দশা কিতা অইবো,
অখান জানার বাদেউ আমি তানরে পাঠাইতাম।
২৪ অইলে আমি মালিকর উপরে ভরসা করি কইয়ার,
আমি নিজেও খুব জলদি করি আইতাম পারমু।
২৫ আর আমি মনো করিয়ার,
উছাইদরে তুমরার গেছে পাঠানি খান খুব জরুর।
আমার খেজমত করার লাগি তুমরা তানরে আমার গেছে পাঠাইছলায়।
আমরা একলগে তবলিগ করি,
ইছা আল-মসীর লাগি জিহাদ করি।
এইন আমার ইমানদার ভাই।
২৬ তাইনও তুমরার লগে দেখা করতা চাইরা,
তুমরা তান বেমারর খবর হুনায়,
তাইন পেরেশানিত পড়িগেছইন,
এরলাগি আমি তানরে পাঠাইয়ার।
২৭ আসলে তাইন খুব বেমার আছলা,
বেমারে তান না-বাচার হালত অইগেছিল।
অইলে আল্লায় তানরে রহম করছইন।
খালি তানরে নায়,
তাইন বাচি যাওয়ায় আল্লায় আমারেও বউত বড় রহম করছইন,
যাতে আমি এক কষ্টর উপরে আর কুনু কষ্ট না পাই।
২৮ এরলাগি আমি খুব খিয়ালি অইয়া তানরে পাঠাইয়ার,
যাতে তানরে পাইয়া তুমরাও খুশি অও,
আর আমার মনর চিন্তাও হরি যায়।
২৯ তে আল্লার বন্দা হিসাবে পুরাপুর খুশি অইয়া তানরে কবুল করিও,
আর এরার লাখান মানষরে ইজ্জত করিও।
৩০ আল-মসীর তবলিগ করাত গিয়া তাইন মরার পথি অইগেছলা।
আমার ছামনে না থাকায় তুমরা যে কাম করতায় পারছো না,
অউ কামর লাগি তাইন নিজর জান দিতেও রাজি আছলা।