দাদির মুছলা বাদ দিয়া আল্লার রুহে এবাদত করো
৩
১ ও আমার ভাই অকল,
হেশ-মেশ কইরাম,
মালিকর নামে খুশি করো।
এক বেয়াপার লইয়া বারে বারে লেখতে আমার কুনু কষ্ট অর না,
তুমরারে বাচানির লাগিউ আমি ইতা কররাম।
২ হুনো,
হউ কুকরর পাল থাকি,
মানি নাফরমান দলর দাদির মুছলা থাকি হুশিয়ার রইও।
ইতায় তো তারার শরিলর কাটা-চিরার উপরেউ ভরসা করে।
৩ আসলে আমরাউ অইলাম খাটি মছলমানি করাইল মানুষ,
আমরা তো ইছা আল-মসীর নামে গৌরব করি,
আল্লার রুহর বলে তান এবাদত করি,
শরিলি কুনু এবাদতর উপরে ভরসা করি না।
৪ আসলে কেউ যুদি মনো করে,
নিজর শরিলি এবাদতর উপরে ভরসা করার যুক্তি আছে,
তে হে বুজিলাউক,
তার চাইতে আমার আরো বেশি যুক্তি আছে।
আমিও ইতার উপরে ভরসা করতাম পারলাম অনে।
৫ জন্মর আট দিনর দিনউ আমার মছলমানি কাম করাইল অইছিল।
আমি একজন খাটি ইবরানি,
আমার জনম অইছে তো বনি ইছরাইলর বিন-ইয়ামিন গুষ্টিত।
হজরত মুছা নবীর শরিয়তর বেয়াপারে আমি তো ফরিশি জমাতর।
৬ শরিয়ত মানার বেয়াপারে কুনু মানষে আমার খুত বার করতো পারছে না।
ধর্মর বেয়াপারে আমি খুব কড়া,
আল-মসীর জমাতর উপরেও আমি জুলুম করতাম।
৭ অইলে অউ আমল করায় আমার যতো ফায়দা অইছিল,
অখন আল-মসীর লাগি আমি ইতারে খেতি মনো করি।
৮ আসলে আমি যার লাগি ই খেতি স্বীকার করিয়ার,
এইনউ আমার মালিক ইছা আল-মসী।
তানরে জানার মাজেউ হকল থাকি বড় ফায়দা,
তান তুলনায় বাদ-বাকি হক্কলতারেউ আমি খেতি মনো করি।
আমি যাতে আল-মসীরে পাই,
আর আমারে যাতে আল-মসীর লগে একখানো মিলাইল দেখা যায়,
অউ নিয়তেউ আমি ইতা হক্কলতারে ময়লার লাখান হরাইয়া ফালাইছি।
৯ তে শরিয়ত মানায় আমি যে পরেজগার বনিগেছি,
ইখান নায়,
আল-মসীর উপরে ইমান আনায়উ আল্লায় আমারে পরেজগার হিসাবে কবুল করছইন।
ই পরেজগারি খালি আল্লা থাকিউ মিলে,
ইটা তো ইমানর উপরে নির্ভর করে।
আল-মসীর লগে মিলার বাদেউ আমার অউ হালত অইছে।
১০ তে আমি আল-মসীরে চিনতাম চাই,
যে কুদরতি বলে তানরে মরা থাকি জিন্দা করা অইছিল,
অউ বলরেও চিনতাম চাই।
আমি তান দুখ-মছিবতর ভাগি অইতাম চাই,
তাইন যেলা নিজর জান কুরবানি দিছলা,
আমিও অউ মউতো শরিক অইতাম চাই।
১১ আর যেকুনু লাখান মরন থাকি জিন্দা অওয়াতও শরিক রই।
আখেরাতর পথে চলো
১২ তে আমি যেতা পাইতাম চাইরাম,
ইতা যে অখনউ পাইলিছি,
বা পুরাপুর কামিয়াব অইগেছি ইলা কুন্তা নায়।
হজরত ইছা আল-মসীয়ে যে নিয়তে আমারে বন্দি করছইন,
অউ নিয়ত পুরা করার লাগিউ আমি দৌড়াইরাম।
১৩ ভাই অকল,
আমি মনো কররাম না,
আমি ইতার লাগাল পাইলিছি।
অইলে খরর হকলতা ফালাইয়া আমি দিলে-জানে ছামনেদি দৌড়াইয়ার।
১৪ দৌড়াই দৌড়াই চেষ্টা করিয়ার,
ইছা আল-মসীর জরিয়ায় আল্লা পাকর যে বেহেস্তি দাওত আছে,
পুরুস্কার হিসাবে অউ দাওতো হামাইতাম পারি।
১৫ এরলাগি কইরাম,
আমরা যারা হজরত ইছার পথে বউত আগুয়াই গেছি,
আমরার নিয়তও অলাখান অওয়া জরুর।
আর তুমরার যুদি অইন্য কুনু নিয়ত থাকে,
তে আল্লায়উ পথ বাতাই দিবানে।
১৬ যাই অউক,
আমরা যতখান আগুয়াইছি,
অউ লাখান জিন্দেগিও কাটানি উচিত।
১৭ ভাই অকল,
তুমরা কিলান জিন্দেগি কাটাইতায়,
ইতা তো আমি হিকাইছি।
তুমরা আমার লাখান চলো,
আর অউ লাখান যারা চলে,
তারারে দেখিয়া হিকো।
১৮ আমি তো বউত বার তুমরারে কইছি,
আর চখুর পানি ফালাইয়া অখনও কইরাম,
ইলাও বউত জন আছে,
যেরা আল-মসীর দুখ-কষ্টর সলিবর দুশমনর লাখান চলের।
১৯ তারার কপালো আছে বিনাশ।
তারার পেটউ তারার আল্লা।
নাফরমানি কাম লইয়া তারা বড়াই করে,
খালি দুনিয়ার ধান্দায় পাগল।
২০ অইলে আমরার আসল বাড়ি তো বেহেস্তো।
আমরার তরাওরা মালিক,
হজরত ইছা আল-মসীয়ে হন থাকি তশরিফ আনবা।
আমরা তান লাগি দিলে-জানে বার চাইরাম।
২১ তাইন আইয়া আমরার অউ কমজুর কায়া বদলাইয়া,
তান কায়ার লাখান খেমতাআলা নুরর কায়া দিবা।
যে কুদরতি বলে তাইন হক্কলতা করতা পারইন,
হউ বলেউ তাইন ইতা করবা।