মুমিন অকলর বায় দায়-দায়িত্ব
 ও তিমথি,
হুনো,
কুনু মুরব্বি মানষর দুষ দেখানিত গিয়া কড়া ভাষায় মাতিও না।
তারার লগে নিজর বাফর লাখান বেবহার করিও।
আর জুয়ান অকলরে নিজর ভাই মনো করিয়া হেদায়ত করিও।
 মুরব্বি বেটিনরে নিজর মা আর পুড়িন্তরে বইন মনো করিয়া,
মনর ভাব পাক-পবিত্র রাখিয়া তারারে হেদায়ত করিও।
 যেতা ড়াড়ি বেটিন্তর কেউ নাই,
তারারে খুব যতন করি দেখা-হুনা করিও।
 অইলে কুনু ড়াড়ি বেটিন্তর যুদি পুয়া-পুড়িন বা নাতি-নাতনি থাকইন,
তে আল্লার ডরে এরাউ যানু পয়লা যারযির পরিবারর দেখা-হুনা করে।
অউ নমুনায় তারার ময়-মুরব্বির মায়া-মমতার রিন শোধ করতা পারবা,
আর ইতা কামে তো আল্লা খুশি অইন।
 যে ড়াড়ি বেটিন্তর কেউ নাই,
তারা খালি আল্লার উপরে ভরসা রাখিয়া,
দিনে-রাইতে তান দরবারো মুনাজাত আর কান্দা-কাটি করাত রইন।
 অইলে যেতা ড়াড়ি বেটিন্তে যেমনে মনে চায় এমনে চলইন,
ইতা তো জিন্দা হালতেউ মরা।
 অউ বেয়াপারে হুকুম দেও,
যাতে কেউ তারারে দুষি কওয়ার সুযোগ না পায়।
 যে জনে আপন জনরে,
খাছ করি নিজর পরিবারর মানষর দেখা-হুনা করে না,
হে আসলে ইছায়ী ইমানরেউ অস্বীকার করলো।
ইগু তো বিধর্মী থাকিও বাদ।
 এরলাগি ড়াড়ি বেটিন্তর নামর লিষ্ট করার বালা আগে দেখতে অইবো,
ই বেটির বয়স ষাইট বছর অইছে নি,
আর জামাইর বায় তাইন পুরাপুর হক-হালালি আছলা নি।
১০ এছাড়া নেক কামর লাগি তান সুনাম থাকতে অইবো,
অউ নেক কাম অইলো,
পুয়া-পুড়িন মানুষ বানানি,
মেহমানদারি করা,
আল্লার বন্দা অকলর পাও ধোয়ানি,
দুখ-মছিবতি মানষরে সাইয্য করা,
আর হকল নমুনার নেক কামো শরিক অওয়া।
১১ কুনু জুয়ান ড়াড়ি বেটির নাম ই লিষ্টো তুলিও না।
কারন তারার যৌবনর লাগি শরিলর গরমে যেবলা উতাল-পাতাল করইন,
অউ সময় আল-মসীর বায় তারার ডর-ভয় কমি যায়,
তেউ তারা হিরবার বিয়া বইতা চাইন।
১২ এরলাগি তারা আল্লার লগর আগর ওয়াদা ভংগ করইন,
নিজর উপরে গজব ডাকিয়া আনইন।
১৩ আর তারা বাড়িয়ে বাড়িয়ে আড্ডা মারিয়া কুড়িয়া বনিযাইন।
খালি কুড়িয়া নায়,
যেতা মাত-কথা তারার লাগি জাইজ নায়,
অতা বাজে মাত-কথাও মাতইন আর পরর গিবত গাওয়াত রইন।
১৪ এরলাগি আমি অউ নছিয়ত করিয়ার,
জুয়ান ড়াড়ি বেটিন্তে বিয়া-শাদি করাউ ভালা,
তারা হুরুতার মা অউক,
নিজর সংসারর দেখা-হুনা করউক,
আর দুশমনরে কুনু লাখান বদনাম গাওয়ার সুযোগ না দেউক।
১৫ কয়জন ড়াড়ি বেটিন এর মাজেউ তো বে-পথি বনিয়া শয়তানর পথে চলা-ফিরা কররা।
১৬ কুনু ইছায়ী ইমানদার বেটি মানষর ঘরো যুদি ড়াড়ি বেটিন থাকইন,
তে অউ বেটিয়ে যানু এরার দেখা-হুনা করইন।
এরারে দেখা-হুনার ভার জমাতর উপরে না দেওয়া ভালা।
তেউ যেতা ড়াড়ি বেটিন একদম লাছার,
জমাতে তারার দেখা-হুনা করতে সুবিধা অইবো।
১৭ জমাতর যে পরধান মুরব্বি অকলে জমাতরে ভালামন্তে চালাইন,
খাছ করি যেরা আল্লার কালাম তবলিগ আর তালিম দেওয়ার লাগি মেনত করইন,
তারা ডাবুল ইজ্জত পাওয়া জরুর।
১৮ আল্লার কালামো তো আছে,
“ধান মাড়া দেওয়ার সময় গরুর মুখো হুফি লাগাইও না।”
আরক আয়াতো আছে,
“কামলায় তার বেতন পাওয়ার যোইগ্য।”
১৯ মনো রাখিও,
দুই বা তিন জন সাক্ষির কথা ছাড়া,
জমাতর মুরব্বির বিরুদ্ধে কুনু নালিশ সমজিও না।
২০ অইলে যে মুরব্বি অকলে গুনা করাতউ থাকইন,
জমাতর মানষর গেছে তারার দুষ জাইর করিও,
যাতে অইন্য হকলে ডরাইন।
২১ হুনো,
আল্লা পাক,
মালিক ইছা আল-মসী,
আর আল্লার মায়ার ফিরিস্তা অকলরে সাক্ষি রাখিয়া তুমারে অউ হুকুম দিরাম,
তুমি নিরোপক্ষ রইয়া ইতা কাম করিও,
কেউররে পর বা আপন মনো করিও না।
২২ চট করি কেউররে খেলাফতি দিয়া,
কুনু পদো বওয়াল করিও না।
অইন্য মানষে যেবলা গুনার কাম করে,
তুমি তারার লগে শরিক অইও না,
নিজরে নিখুত রাখিও।
২৩ আর কয়দিন বাদে বাদেউ তুমার বেমার অয়,
এরলাগি তুমি খালি পানি খাইও না,
থুড়া থুড়া আংগুরর শরবতও খাইও,
তেউ অজম অইবো।
২৪ খিয়াল রাখিও,
কুনু কুনু মানষর গুনা অলা পরিস্কার দেখা যায়,
এরলাগি তার বিচার আগেউ অইযায়।
আর কুনু কুনু মানষর গুনা বাদে ধরা পড়ে।
২৫ অলাখান নেক কাম পরিস্কার দেখা যায়,
আর কুনু নেক কাম পরিস্কার দেখা না গেলেও,
ইতা লুকাইল রয় না।