ইমানি বুজুর্গান আর আল-মসীর বায় চাইয়া ছামনেদি দৌড়াই (১১:১-১৩:২৫)
ইমানি বুজুর্গান
১১
১ ইমান কিতা?
আমরা যেতা পাইমু করি আশা করছি,
ইতা অখন না পাইলেও বাদে পাইমুউ পাইমু,
অউ একিনর নামউ ইমান।
অউ ইমানর বলেউ আমরা নিচ্চিত অইয়া বুজি,
অখন যেতা আমরার চউখে দেখরাম না,
ইতা আসলেও আছে।
২ অউ ইমানর বলেউ আমরার ময়-মুরব্বি অকলে আল্লার গেছ থাকি তারিফ কামাইছইন।
৩ ইমানেউ আমরা বুজরাম যেন,
আল্লায় তান কালামর বলেউ আছমান-জমিনর হক্কলতা পয়দা করছইন,
ইতা আমরার চখুর দেখা কুনু চিজ থাকি এমনে পয়দা অইছে না।
৪ ইমানর বলে হাবিলে আল্লার নামে কাবিলর চাইতে ভালা কুরবানি আদায় করলা।
এরলাগি আল্লায় হাবিলর বেয়াপারে বাতাইলা,
এইন একজন কামিল মানুষ।
তে বউত জমানা আগে হাবিলর মউত অইলেও,
ইমানর বেয়াপারে তাইন অখনও আমরার লগে মাতিরা।
৫ ইমানর বলর লাগিউ ইদ্রিছ নবীর মউত অইলো না,
আল্লায় তানরে জিন্দা হালতে বেহেস্তো তুলিয়া নিলাগি,
দুনিয়াত তানরে তুকাইয়া মিললো না।
ইদ্রিছরে বেহেস্তো তুলিয়া নেওয়ার আগে আল্লায় জানাইছলা,
ইদ্রিছ আমার খুশি মাফিক চলছইন।
৬ অইলে ইমান ছাড়া তো কেউ আল্লারে খুশি করতো পারে না।
যেকুনু মানুষ আল্লার ধারো যাইতে চাইলে,
হে একিন করা লাগবো যেন,
আল্লা আছইন,
আর যেরা তান তালাশ করে,
তাইন এরারে পুরুস্কার দেইন।
৭ ইমানর বলে নুহ নবীর জমানাত যেতা ঘটনা দেখা গেছিল না,
আল্লার হুশিয়ারি পাইয়া তাইন অতা একিন করলা,
একিন করিয়া নিজর পরিবাররে বাচানির লাগি একখান জাজ বানাইলা।
তান অউ ইমানি কামর মাজদি জগতর নাফরমানির পরমান দেখাইলা,
আর আল্লার দরবারো পরেজগার হিসাবে গইন্য অইগেলা,
খালি ইমানর বলেউ ইলা অওয়া যায়।
৮ ইমানর বলে ইব্রাহিম নবীয়ে আল্লার হুকুম পাইয়াউ নিজর ভিটা-মাটি ছাড়িয়া রওয়ানা দিলা।
আল্লায় তানরে যে দেশ দিতা করি ওয়াদা করছইন,
হি দেশখান কুন জাগাত,
ইখান না জানিয়াও তাইন রওয়ানা অইগেলা।
৯ ইমানর বলে তাইন আল্লার ওয়াদা করা হউ কেনান দেশর ভিতরেও মুছাফিরর লাখান দিন কাটাইলা।
তান লগে আরো যেরা হি ওয়াদার ভাগি আছলা,
হউ ইছহাক আর ইয়াকুবর লাখান তাইনও তাম্বুয়ে তাম্বুয়ে রইয়া জিন্দেগি কাটাইলা।
১০ আসলে যে টাউন হর-হামেশা কাইম রইবো,
হউ বেহেস্তি টাউনর লাগি তাইন বার চাওয়াত আছলা,
ই টাউনর নকশা-নমুনা সহ হক্কল কারিগরি স্বয়ং আল্লার কাম।
১১ ইমানর বলে ইব্রাহিমর নিআওলাদি বিবি ছায়রায় আওলাদ জনম দেওয়ার খেমতা পাইলা,
তারার হুরুতা পয়দার বয়স পার অইগেলেও ইব্রাহিমে একিন করছলা,
যেইন ই ওয়াদা করছইন,
এইন তো হক,
এইন নিজর ওয়াদা পুরাইবাউ পুরাইবা।
১২ এরলাগি বয়সর ভারে মরার পথি অউ এক ইব্রাহিম থাকি অতো মানুষ জনম লইলা,
যেরা আছমানর তেরা আর দরিয়ার চরর বালুর লাখান,
গনিয়া ফুড়াইল যায় না।
১৩ মজবুত ইমানে জিন্দেগি কাটাইয়া এরা হকলর মউত অইছে,
এরা কেউ হি ওয়াদার ফল ভোগ করতা পারছইন না,
খালি দুরই থাকি ইতা দেখিয়া হারি খুশি অইছইন।
ই দুনিয়াত তারা মুছাফিরিত আইছইন,
ইখান তারার নিজর বসত খানা নায়,
ইতা তো তারা মানছইন।
১৪ আর যেরা ইখান মানছইন,
তারা হকলেউ সুন্দর করি বুজাইছইন যেন,
তারা নিজর আপন দেশর তালাশ কররা।
১৫ যে জমিন থাকি তারা বার অইয়া আইছলা,
হি জমিনর কথা খিয়াল করলে তো তারা হিরবার হনো হামানির সুযোগ পাইলা অনে।
১৬ অইলে তারা তো আরো ভালা এক দেশ,
মানি বেহেস্তর তালাশ করছলা।
এরলাগিউ আল্লা পাকে নিজরে তারার আল্লা কইয়া পরিচয় দিতে কুনু শরম পাইন না,
তাইনউ তারার লাগিয়া আরামর এক টাউন তিয়ার করছইন।
১৭ ইব্রাহিম নবী পরিক্ষাত পড়িয়া হারি ইমানর বলেউ তান পুয়া ইছহাকরে কুরবানি দিছলা।
যে ইব্রাহিমর লগে আল্লায় নিজে ওয়াদা করছইন,
হউ জনে তান খাছ মায়ার পুতরে কুরবানি দিলাইতা চাইছইন।
১৮ যে পুতর বেয়াপারে আল্লায় বাতাইছলা,
“তুমার পুয়া ইছহাকর খান্দানরেউ তুমার খান্দান কইয়া গনা অইবো।”
১৯ ইব্রাহিমর দিলর অউ একিনে তাইন কুরবানি দিতে রাজি অইছলা যেন,
আল্লায় তো মুর্দারেও জিন্দা করতা পারইন।
আর হাছাউ মউতর তল থাকি ইছহাকরে ফিরত পাইলা।
২০ ইমানর বলে ইছহাকে তান পুয়াইন ইয়াকুব আর ঈষʼর ভবিষ্যত জিন্দেগির লাগি দোয়া দিছলা।
২১ ইমানর বলে ইয়াকুবে মউতর অখতো ইউছুফর দুইও পুয়ারে দোয়া দিলা,
তাইন নিজর লাঠির উপরে ভরদি আল্লার এবাদতি করলা।
২২ ইমানর বলে ইউছুফে মউতর অখতো কইছলা,
তান নিজর জাতি বনি ইছরাইল মিসর দেশ থাকি বার অইয়া যাইবা,
তারা যাওয়ার কালো তান আড্ডি-গুড্ডিরে বইয়া নেওয়ার হুকুম দিলা।
২৩ ইমানর বলেউ মুছার মা-বাফে মুছার জন্মর বাদে তিন মাস পর্যন্ত লুকাইয়া থইলা,
তারা দেখছলা,
পুয়াগু খুব সুন্দর,
বাদশার হুকুমেও তারা ডরাইলা না।
২৪ ইমানর বলেউ মুছায়,
তান বুজদার অওয়ার বাদে ফেরাউনর পুড়ির ঘরর নাতি কইয়া পরিচয় দিতে রাজি অইলা না।
২৫ তাইন গুনার মাজে রইয়া থুড়া কয়দিন সুখ কামানির চাইতে,
আল্লার বন্দা অকলর লগে মিলিয়া জুলুম-মছিবতর মাজে রওয়াউ পছন্দ করলা।
২৬ তাইন মিসরর হক্কল জাক-জমকর চাইতে,
আল-মসীর নামে দুর্নাম হাছিলরেউ বেশি মুল্যবান মনো করলা,
কারন তান নজর আছিল বেহেস্তি পুরুস্কারর বায়।
২৭ ইমানর বলে তাইন মিসর থাকি বার অই গেলা,
বাদশার গুছারেও ডরাইলা না।
নিরাকার আল্লারে দেখিলাইছইন,
অউলা মনো করিয়াউ তাইন ছবর করি রইলা।
২৮ ইমানর বলেউ তাইন আজাদি ইদ আর লউ ছিটাইয়া দেওয়ার নিয়ম মানলা,
যাতে আজরাইল ফিরিস্তায় বনি ইছরাইলর পয়লা পুয়াইন্তরে না ছইন।
২৯ ইমানর বলেউ মানষে নীল দরিয়ার মাজেদি হুকনা মাটির পথর লাখান আটিয়া গেলা,
অইলে মিসরী অকলে ইলা যাওয়াত লাগিয়া বুড়িয়া মরলা।
৩০ ইমানর বলেউ বনি ইছরাইলে যিরিহো টাউনর বাউন্ডরির ওয়াল সাতদিন চক্কর দেওয়ার বাদে এমনেউ পড়িগেল।
৩১ ইমানর বলেউ অউ টাউনর রাহবা নামর বদমাইশ বেটিয়ে বনি ইছরাইলর গুইয়া অকলরে মেহমানদারি করায়,
হিনর নাফরমান অকলর লগে ই বেটি বিনাশ অইলা না।
৩২ আর কত জনর বয়ান কইতাম?
জিদাউন,
বারাক,
শিমশুন,
ইফতা,
দাউদ,
শামুয়েল আর নবী অকলর ইমানি বলর বয়ান করাত লাগলে সময়ে কুলাইতো নায়।
৩৩ ইমানর বলে এরা বউত দেশ দখল করছইন,
হক ইনছাফ কাইম করছইন,
আল্লাই ওয়াদার ফায়দা হাছিল করছইন,
সিংহর মুখ বন্দ করছইন,
৩৪ আগুনির কুন্ডলির তেজ কমাইলিছইন,
তলোয়ারর ছামন থাকি রেহাই পাইছইন,
কমজুর থাকিও বল হাছিল করছইন,
জিহাদর মাজে বল-খেমতা দেখাইছইন,
ভিন-দেশি অকলর ফৌজরে খেদাইয়া দিছইন।
৩৫ বেটিন্তে তারা যারযির মুর্দা অকলরে হিরবার জিন্দা হালতে পাইলা।
আরো বউতে জানর মায়া ছাড়িয়া জুলুম-নির্যাতন সইয্য করিয়া মরলা,
যাতে কিয়ামতর বাদে বেহেস্তি সুখ পাইন।
৩৬ বউতে টাট্টা-মশকরা আর মাইর-ধইর সইয্য করছইন,
বউতে ডান্ডা-বেড়ি সহ জেল খাটিছইন।
৩৭ মানষে তারারে পাত্বরদি ইটাইছইন,
করাতদি চিরিয়া দুই টুকরা করছইন,
তলোয়ারদি কাতল করছইন।
তারা জুলুম-মছিবত,
জালা-যন্ত্রনা পাইছইন,
অভাবর ঠেলায় পশুর চামড়া ফিন্দিয়া শরম লুকাইছইন।
৩৮ ই দুনিয়া তারার জুকা আছিল না,
তারা পাড়-জংগল,
মরুভুমি,
আর গাত-গাড়ার মাজে রইয়া দুনিয়ার জিন্দেগি কাটাইছইন।