খানে-দর্জাল থাকি হিরবার সাবধান
 ও সোনা অকল,
দুনিয়াত বউত ভন্ড নবী বার অইছইন।
এরলাগি কেউ যুদি আইয়া কয়,
আমি রুহর বলে মাতিরাম,
তে তুমরা জলদি বিশ্বাস করিও না,
বরং যাচাই করিয়া দেখো,
ই রুহ আল্লার গেছ থাকি আইছে কি না।
 আল্লাই রুহরে চিনার নিয়ম অইলো,
যে রুহে স্বীকার করে মানুষ ছুরতে ইছা আল-মসীয়ে দুনিয়াত তশরিফ আনছইন,
অউ রুহ আল্লার গেছ থাকি আইছে।
 অইলে যে রুহে অউ ইছারে স্বীকার করে না,
ই রুহ আল্লার গেছ থাকি আইছে না।
ইতা অইলো খানে-দর্জালর রুহ,
অউ দর্জালর রুহ আইবার কথা তুমরা আগে হুনছো,
আর অখনও হে অউ জগতো আছে।
 অইলে ও ছাবাল অকল,
তুমরা তো আল্লার মানুষ,
হউ ভন্ড অকলর উপরে তুমরা জিতিছো।
তুমরার দিলো যে রুহ আছইন,
এইন তো ই জগতর রুহ থাকি বউত মহান।
 আসলে অউ ভন্ড অকল তো অউ জগতর,
এরলাগি তারা খালি জগতর বুলি বুলে,
আর জগতেও তারার বুলি মানে।
 আর আমরা অইলাম আল্লার মানুষ।
আল্লারে যেরা চিনে,
তারা আমরার বুলি মানে।
অইলে যেরা আল্লার নায়,
তারা আমরার কথা হুনে না।
অউ নমুনায় আমরা ধুকাবাজ রুহ আর আল্লাই হক রুহরে চিনি।
আল্লা নিজেউ মহব্বত, তে মহব্বতে চলো
 ও সোনা অকল,
আল্লার দেওয়া দান অইলো মহব্বত,
এরলাগি আমরা যানু একে-অইন্যে মহব্বত করি।
যে বন্দার দিলো মহব্বত আছে,
তার জনম অইছে আল্লার নুর থাকি,
হে আল্লা পাকরে চিনে।
 আর যেগুর ভিতরে মহব্বত নাই,
হে তো আল্লা পাকরে চিনে না,
কারন আল্লা নিজেউ তো মহব্বত।
 আল্লা পাকর মহব্বত আমরার মাজে অউ নমুনায় জাইর অইছে,
তাইন তান খাছ মায়ার জন ইবনুল্লারে অউ দুনিয়াত বেজিছইন,
যাতে এন উছিলায় আমরা আখেরি জিন্দেগি হাছিল করতাম পারি।
১০ আর আমরা যেন আল্লা পাকরে মহব্বত করছলাম ইলা কুন্তা নায়,
বরং তাইন নিজেউ আমরারে মহব্বত করিয়া,
আমরার গুনার কফরা অইবার লাগি,
তান খাছ মায়ার জন ইবনুল্লারে জগতো পাঠাই দিলা,
অকটারেউ কয় মহব্বত।
১১ ও সোনা অকল,
আল্লা পাকে যেবলা আমরারে অলা মহব্বত করলা,
তে আমরার লাগিও জরুর অইলো একে-অইন্যরে মহব্বত করা।
১২ আল্লারে তো কেউ কুনুদিন দেখছে না।
অখন আমরা যুদি একে-অইন্যরে মহব্বত করি,
তে বুজা যাইবো,
তাইন আমরার দিলো বসত করইন,
তান মহব্বতে আমরার দিলো পুরাপুর ফল ধরছে।
১৩ আমরারে তান রুহ মুবারক দান করছইন,
এরলাগি বুজরাম,
আমরা তান মাজে বসত করি,
আর তাইনও আমরার মাজে বসত করইন।
১৪ আমরা নিজে দেখছি,
দেখিয়া হারি অউ সাক্ষি দিরাম,
জগতর তরানেআলা কান্ডারি হিসাবে,
গাইবি বাফে তান খাছ মায়ার জন ইবনুল্লারে বেজিছইন।
১৫ এরলাগি যে জনে স্বীকার করে,
হজরত ইছাউ অইলা আল্লার খাছ মায়ার জন ইবনুল্লা,
তার দিলো স্বয়ং আল্লা পাক বসত করইন,
আর হে-ও আল্লার মাজে বসত করে।
১৬ আমরার লগে আল্লার যে মহব্বত আছে,
ইখান আমরা জানি,
জানিয়া একিনও করি।
আসলে আল্লা নিজেউ মহব্বত।
মহব্বতর মাজে যে বন্দা বসত করে,
হে আল্লার মাজেউ বসত করে,
আর আল্লা পাকও তার মাজে বসত করইন।
১৭ অউ নমুনায় মহব্বত আমরার দিলর মাজে পুরাপুর ফলআলা অয়।
তেউ কিয়ামতর দিন আমরা সাওসি বনি,
কারন অউ জগতো আমরা তান রংগে রংগি গেছি।
১৮ মহব্বতর মাজে কুনু ডর-ভয় নাই,
ষোলআনা মহব্বতে বরং ডর-ভয়রে খেদাই দেয়।
ডর-ভয়র মাজে তো সাজা পাওয়ার ভাব-সাব আছে,
এরলাগি ডর-ভয় যার ভিতরে,
হে মহব্বতর ষোলআনা ফল ধরছে না।
১৯ তে আমরা আল্লা পাকরে মহব্বত করি,
কারন তাইন আমরারে পয়লা মহব্বত করছইন।
২০ আর যে মানষে কয়,
হে আল্লা পাকরে মহব্বত করে,
কইয়া তার মুমিন ভাইরে ঘিন্নায়,
হে তো মিছা মাতরা।
কারন নিজর চউখে দেখা ভাইরে যেগিয়ে মহব্বত করে না,
আ-দেখা আল্লারে কিলা মহব্বত করবো?
২১ আমরা তো তান গেছ থাকি অউ হুকুম পাইছি,
যে বন্দায় আল্লা পাকরে মহব্বত করে,
হে যানু তার ভাইরেও মহব্বত করে।