ছাদুম টাউনর উপরে আল্লার গজব
১৯
 বাদে হাইঞ্জা বালা হউ দুইজন ফিরিস্তা ছাদুম টাউনো গেলা। ই সময় লুত টাউনর মুল গেইটর গেছে বওয়াত আছলা, এরারে দেখিয়া তাইন উবাইলা আর মাটিত সইজদা করিয়া কইলা,  “ও আমার মালিক অকল, আমি মিনতি করি কইয়ার, দয়া করি আপনারার অউ গুলামর ঘরো তশরিফ আনিলাউক্কা আর আত-পাও ধইয়া রাইতখান কাটাউক্কা। বিয়ানে হিরবার রওয়ানা অইবানে।” এরা কইলা, “না, আমরা অউ টাউনর ময়দানো রাইত কাটাইমু।”  তাইন যেবলা খুব মিনত-কাজ্জি কররা অউ সময় এরা তান বাড়িত হামাইলা। বাদে লুতে রুটি বানাইয়া এরার লাগি খানা-দানা জুইত করলা, আর তারা খাইলা।  এরার হুতিবার আগেউ ছাদুম টাউনর হক্কল জুয়ান-বুড়া বেটাইন্তে আইয়া হি বাড়িরে বেরিলাইলা,  আর লুতরে ডাকিয়া কইলা, “আইজ রাইত যে দুইজন মানুষ তোর ইনো আইছে, তারা কই? অতারে বার করিয়া আমরার গেছে আন। আমরা অতার লগে মউজ করতাম।”  অউ সময় লুতে দরজার বারে গিয়া তান খরর দরজা বন্দ করিয়া তারারে কইলা,  “ভাইয়াইনরে, আমি মিনত করিয়ার, তুমরা ইলা বদ-কাম করিও না।  দেখো, আমার দুইটা সতী পুড়ি আছে। আমি বার করিয়া তুমরার গেছে লইয়া আইয়ার, তারা কুনু বেটাইন্তর গেছে রইছইন না, তুমরার যেতা মনে চায় করো; তা-ও, ই মানষর লগে তুমরা কুন্তা করিও না, এরা আমার ঘরো আশ্রয় লইছইন।”  অইলে তারা কইলো, “যা, যা, পথ থাকি হর!” তারা আরো কইলো, “অই বেটা, তুই একলা বৈতল অইয়া আইছছ আর খালি আমরার উপরে নেতাগিরি কররে। অখন এরার চাইতে তোর লগে আরো বেশি খবিছি করমু।” কইয়াউ তারা লুতরে ঠেলিয়া হরাইয়া দরজা ভাংগতো চাইলো। ১০ অউ সময় হউ দুইজনে আত বাড়াইয়া, লুতরে ঘরর ভিতরে টানিয়া নিয়া দরজা বন্দ করি দিলা। ১১ আর দরজার বারে উবাইল হুরু-বড় হকল আখতাউ আন্দা অইগেল, আর দরজা তুকাইতে তুকাইতে হেরান অইগেল।
১২ বাদে হউ দুইওজনে লুতরে জিকাইলা, “ইনো তুমার আর কে কে আছে? তুমার পুয়া-পুড়ি আর দামান্দরে লইয়া ইন থনে হরিয়া যাওগি। ১৩ কারন আমরা ই জাগারে ছারখার করিলাইয়ার। ইনর মানষর বিরুদ্ধে মাবুদর গেছে অউলা বেজুইতা নালিশ অইছে যেন, ইকটা বিনাশ করার লাগি তাইন আমরারে পাঠাইছইন।” ১৪ অউ লুতে বারে গিয়া তান দামান্দ অকলরে কইলা, “আও, তুমরা ই জাগা ছাড়িয়া বারও কারন মাবুদে ই টাউনরে বিনাশ করার লাগি তিয়ার অইরইছইন।” অইলে তারা মনে করলো, তাইন ইতা তামশা কররা।
১৫ পতাবালা হউ ফিরিস্তায় লুতরে তাগদা দিয়া কইলা, “উঠো, জলদি করি তুমার বউ আর ই দুইও পুড়িরে লইয়া অন থনে যাওগি। নাইলে অউ গজবর মাজে পড়িয়া বিনাশ অইযিবায়।” ১৬ লুতে যাই-যাইরাম অউলা কররা। অইলে মাবুদর মায়া তান উপরে আছিল করি হউ দুইওজনে, তাইন আর তান বউ আর তান দুইও পুড়িন্তর আতো ধরি টানিয়া টাউনর বারে লইয়া আইলা। ১৭ হকলরে বার করিয়া আনার বাদে তারা কইলা, “বাচতে চাইলে বাগো, খরেদি চাইওনা, বাগিয়া পাড়ো যাও, ই থল জাগার কুনুখানো উবাইওনা আরনায় তুমরাও মরবায়।” ১৮ অউ লুতে কইলা, “ও আমার মালিক অকল, ইলা করইন না যেন; ১৯ দেখউক্কা, আপনার ই গুলামরে আপনে মেহেরবানি করছইন, আর আমার জান বাচাইবার লাগি আপনে আমারে মহা দয়া দেখাইছইন। অইলে আমি বাগিয়া পাড়ো যাইতাম পারতাম নায়। হয়ত ই বিপদ আইয়া আমারে জাতা মারি ধরলে, আমিও মরমু। ২০ দেখউক্কা, বাগিয়া যাইতে তো অউ হুরু গাউটা কাছাত আছে। জান বাচাইবার লাগি আমারে অনো পাঠাই দেউক্কা। গাউটা হুরু-মুরু আছে।” ২১ তাইন কইলা, “ঠিক আছে, আমি তুমার ই আরজি মানলাম। তুমি যে গাউর কথা কইলায়, ইটা আমি ধ্বংস করতাম নায়। ২২ জলদি করি হিনো যাও। তুমি হনো না পৌছানি পর্যন্ত আমি কুন্তা করতাম পারিয়ার না।” লুতর কথার লাগি হউ গাউর নাম অইলো সোয়ার [মানি, হুরু]। ২৩ লুতে যেবলা সোয়ারো গিয়া পৌছলা ই সময় সুরুজ উঠিগেছে।
২৪ এরবাদেউ মাবুদে আছমান থাকি ছাদুম আর আমুরার উপরে আগুইন আর গন্ধকর গজব ছাড়িলা। ২৫ তাইন হি টাউন অকল, হকল থল জাগা, হক্কল মানুষ আর হি মাটির উপরর হক্কলতা ধ্বংস করিলাইলা। ২৬ এরমাজে লুতর বউয়ে খরেদি ফিরিয়া চাওয়ায়, তাইন একটা নুনর চাক্কা অইগেলা।
২৭ বাদর দিন ইব্রাহিমে বিয়ানে উঠিয়া হউ জাগাত গেলা যেনো আগর দিন তাইন মাবুদর গেছে উবাইছলা। ২৮ তাইন তলে ছাদুম, আমুরা আর হকল থল জাগার বায় চাইয়া দেখলা, ইট-ভাটা থাকি যেলা ধুমা বারয়, অউ লাখান হউ এলাকা থাকি ধুমা উড়ের।
২৯ আর লুতে যেখানো বসত করতা, হউ থল জাগার টাউন অকল ধ্বংস করার সময়, আল্লায় ইব্রাহিমর কথা মনো করিয়া লুতরে হিনর গজবর মাজ থাকি হরাইয়া আনলা।
মোয়াব আর বিন-অম্মি জাতির খবিছি পয়দা
৩০ সোয়ার গাউত রইতে ডরাইলা করি, লুতে তান দুইও পুড়িরে লইয়া হিন থাকি বার অইয়া পাড়ো আইয়া, এক গাতর ভিতরে রইলা। ৩১ একদিন তান বড় পুড়িয়ে হুরু বইনরে কইলো, “বাবা তো মুরব্বি অইগেছইন। আর জগতর সমাজর নিয়ম মত আমরারে বিয়া করার লাগি ইনো কুনু বেটাইনও নায়। ৩২ তে আয়, আমরা বাবারে শরাব খাওয়াইয়া তান কাছাত রই। তেউ বাবারেদি আমরার বংশ বাচাইতাম পারমু।” ৩৩ অউ তারা দুইওজনে রাইতর বালা তানরে শরাব খাওয়াইয়া টাল বানাইলো। বাদে বড় বইন বাফর গেছে হুতিতো গেল, অইলে কুন সময় হুতিলো আর কুন সময় উঠিলো, বাফে কুন্তাউ টের পাইলা না। ৩৪ বাদর দিন বড়গুয়ে হুরুগুরে কইলো, “দেখ, কাইল রাইত আমি বাবার গেছে হুতিছলাম। আয়, আইজ রাইতও তানে অউলা শরাব খাওয়াইয়া টাল বানাই, বাদে তুইও গিয়া তান গেছে হুতিছ। তে বাবারেদি আমরার বংশ বাচাইতাম পারমু।” ৩৫ অউ লাখান তারা হউ রাইতও তারার বাফরে শরাব খাওয়াইয়া টাল বানাইলো, আর হুরু পুড়ি তাইর বাফর গেছে হুতিল। তাই কুন সময় হুতিল আর কুন সময় উঠিল, ইতা তাইন কুন্তাউ টের পাইলা না। ৩৬ অউ নমুনায় লুতর দুইও পুড়ির পেটো বাফরেদি হুরুতা আইল। ৩৭ বাদে বড় পুড়ির ঘরো পুয়া অইলে, এর নাম রাখলো মোয়াব [মানি, বাবার গেছ থনে]। অউ মোয়াবউ অখনকুর মোয়াবী অকলর মুল বাফ। ৩৮ আর হুরু পুড়িরও এক পুয়া অইলো, এর নাম রাখলো বিন-অম্মি [মানি, আমার মুল্লুকর পুয়া]। হে অখনকুর বনি-আম্মানর মুল বাফ।