আল্লার আট নম্বর গজব, পংগপাল
১০
 মাবুদে মুছারে কইলা, “তুমি ফেরাউনর গেছে যাও; আমি তো তার আর তার উজির-নাজিরর দিলরে পাষান করিলিছি, যাতে তারার ছামনে আমি আমার কুদরতি লিলা-খেলা দেখাইতাম পারি।  আমি মিসরী অকলর উপরে যেতা যেতা কঠিন গজব দিছি, তারার মাজে কুদরতি যেতা লিলা-খেলা জাইর করছি, তুমি ইতা তুমার আওলাদ আর নাতি-পুতির গেছে গফ করতায় পারো, আর আমিউ যেন মাবুদ ইটা বুজতায় পারো।”
 তেউ মুছা আর হারুনে ফেরাউনর গেছে গিয়া কইলা, “আল্লা, যেইন ইবরানি অকলর মাবুদ, তাইন নিজে কইরা, তুমি আমার ছামনে মাথা নোয়াইতে আর কতদিন হরাইল রইতায়? হুনো, তুমি আমার বন্দা অকলরে আমার এবাদত করার লাগি ছাড়ি দেও।  তারারে ছাড়তে রাজি না অইলে দেখিও, আমি কাইল তুমার সীমানাত পংগপাল অকল ছাড়িমু।  ইতায় আইয়া তুমার আস্তা জমিনরে অউলা বেরিলিবা, কুনু মানষে মাটি দেখতো পারতো নায়। হিল-তুফান থাকি যততা বাচিগেছে, খেতর মাজে যতো গাছ-গাছালি রইছে, ইতা হক্কলতা তারা খাইলিবা।  তুমার নিজর ঘর-বাড়ি, তুমার উজির-নাজিরর ঘরাইন, আর হক্কল মিসরী অকলর ঘরাইন ভরিয়া ঝাম অইযিবা। তুমার ময়-মুরব্বি আর তারার বাফ-দাদা অকলেও দুনিয়াইত তারার জনম থাকি আইজ পর্যন্ত কুনুদিন অউলা দেখছইন না।” অখান কইয়াউ তাইন মুখ ফিরাইয়া ফেরাউনর গেছ থাকি বারে গেলাগি।
 ফেরাউনর উজির-নাজিরে তারে কইলা, “ই বেটায় আর কতদিন আমরারে ছাতাইতো? অতার মাবুদ আল্লার এবাদতর লাগি অতারে ছাড়ি দেউক্কা। আপনে অখনও কুন্তা বুজরা না নি, আস্তা মিসর দেশনু ছারখার অইযার?”  অউ ফেরাউনে মুছা আর হারুনরে হিরবার আনাইলো, আনাইয়া কইলো, “তুমরা যাওগি, গিয়া তুমরার মাবুদ আল্লার এবাদত করো। অইলে কে কে যাইতায় চাইরায়?”  মুছায় কইলা, “আমরা তো মাবুদর নামে হজো যাইরাম। তে আমরার হুরুতাইন, মুরব্বি, পুয়া-পুড়িন আর গরু-ছাগল লইয়া যাইমু।” ১০ ফেরাউনে কইলো, “আইচ্ছা, আমি যুদি হাছাউ তুমরারে হুরুতা-মুরুতা দিয়া ছাড়ি দেই, তে তুমরার অউ মাবুদও যানু তুমরার লগে অইয়া যায়গি। খবরদার! তুমরার মতলব তো ভালা নায়। ১১ না, ইলা তো অইতো নায়, তুমরার হক্কলতা নিতে দিতাম নায়। তুমরা যেবলা যাইতায়উ চাইরায়, তে খালি বেটাইন যাওগি।” অখান কইয়া হারি ফেরাউনে তার ছামনে থাকি মুছা আর হারুনরে খেদাই দিলো।
১২ তেউ মাবুদে মুছারে কইলা, “তুমি মিসর দেশর উপরে পংগপালর লাগি আত তুলো, পংগপালে আইয়া মিসরর জমিনর হকল গাছ-গাছালি খাইলিবো। হিল-তুফান থাকি যততা বাচিছে, ইতা হক্কলতা খাইলিবো।”
১৩ মুছায় মিসরর উপরে তান লাঠি মেলিয়া ধরলা, আর মাবুদে হারা দিন হারা রাইত দেশর মাজে পুবালি হাওয়া ছাড়লা, অউ পুবালি হাওয়ায় বিয়ানে পংগপাল লইয়া আজিলো। ১৪ হারা মিসর দেশর উপরে পংগপালে ঝাম অইগেলা। মিসরর হকল জাগাত পংগপালে গিছগিছ করলা, খুব বেজাতি পংগপাল আইলা, অউলা পংগপাল এর আগেও কুনু দিন অইছইন না আর বাদেও কুনু দিন অইতা নায়। ১৫ তারা আস্তা জমিনর উপর গুরিলিলা, দেশ আন্দাইর অইগেল, আর জমিনর যতো খেত, গাছ-গাছালি হিল-তুফান থাকি বাচি গেছিল, ইতা হক্কলতা খাইলিলা। আস্তা মিসরর কুনু গাছ-গাছালি বা খেতর ফসল কুন্তাউ রইলো না। ১৬ ফেরাউনে জলদি করি মুছা আর হারুনরে আনাইয়া কইলো, “আমি তো তুমরা আর তুমরার মাবুদ আল্লার গেছে গুনাগার অইগেছি। ১৭ তে মিনত করিয়ার, খালি একখান বার আমার গুনা মাফ করি দেও। আমার গেছ থাকি ই কাʼল অকলরে হরাই নেওয়ার লাগি, তুমরার মাবুদ আল্লারে মিনত করো।”
১৮ অউ মুছায় ফেরাউনর গেছ থাকি হরিয়া গিয়া মাবুদর গেছে মিনত করলা; ১৯ আর মাবুদে খুব জুরে পচ্চিমা হাওয়া ছাড়লা, ইতায় পংগপাল অকলরে খেদাইয়া ছাফ করিয়া নীল দরিয়াত ফালাইলো, মিসরর কুনু জাগাত এগু পুকও রইলো না। ২০ অইলে মাবুদে ফেরাউনর দিল পাষান করিল্লা, হে বনি ইছরাইলরে ছাড়লো না।
আল্লার নয় নম্বর গজব, আন্দাইর
২১ বাদে মাবুদে মুছারে কইলা, “তুমি আছমান মুখা তুমার আত বাড়াও; তেউ হারা দেশো অতো ঘনো আন্দাইর অইবো, ই আন্দাইর আত দিয়া ছোয়া যাইব।” ২২ মুছায় আছমান মুখা আত বাড়াইলে তিন দিন পর্যন্ত হারা মিসর দেশ খুব ঘনো আন্দাইর অইলো। ২৩ তিন দিন কেউ কেউরর মুখও দেখতো পারলো না, কেউ জাগা থাকি লড়তো পারলো না। অইলে বনি ইছরাইলর হকল ঘরো কুনু রোশনির অভাব আছিল না। ২৪ ফেরাউনে মুছারে আনাইয়া কইলো, “যাও, তুমরা গিয়া তুমরার মাবুদর এবাদত করো, তুমারর হুরুতাইনরেও নেওগি, খালি তুমরার গরু-ছাগলর পাল থাকউক।”
২৫ মুছায় কইলা, “আমরার মাবুদ আল্লার নামে দিবার লাগি, পশু কুরবানি আর জালাইল কুরবানির পশুইন আমরার লগে নিতে অইবো। ২৬ আমরার লগে অইয়া আমরার পশুইনও যাইবা, পশুর একখান খুরাও থইয়া যাইতাম নায়। আমরার মাবুদ আল্লার এবাদতর লাগি অন থাকি কুরবানি করা লাগবো, আর কিতা কিতা কুরবানি করতাম, ইতা আমরা হনো না গেলে কইতাম পারতাম নায়।”
২৭ অইলে মাবুদে ফেরাউনর দিল পাষান করিল্লা, হে এরারে ছাড়তে রাজি অইলো না। ২৮ ফেরাউনে কইলো, “আমার ছামনে থাকি বাগো। খবরদার! আমার মুখর ছামনে আর কুনু দিন আইও না। আমার ছামনে যেদিন আইবায়, হিদিন জান খুয়াইবায়।” ২৯ মুছায় কইলা, “ভালারে ভালা! আমি শখ করিয়া কুনু দিনউ আপনার মুখ দেখাত আইতাম নায়।”