পবিত্র তৌরাত শরিফ পয়লা ছিপারা
পয়দা নামা
ছিলটি ভাষায় তরজমা
পরিচিতি
আল্লা পাকর নাজিল করা আছমানি কিতাব অকলর মাজর হকল পয়লা কিতাব অইলো, হজরত মুছা (আঃ) অর উপরে নাজিল অওয়া তৌরাত শরিফ বা তৌরাত কিতাব। ই কিতাব ইবরানি ভাষায় নাজিল অইছে। ইবরানি ভাষায় ‘তোরাহ্’ মানি ‘বিধির বিধান’। অউ তৌরাত কিতাব নাজিল অইছে অনুমান ৩৫০০ বছর আগে। আছমানি কিতাব অকলর মাজে ইকটা অইলো হকল থাকি পুরান কিতাব, আর ইঞ্জিল শরিফ পর্যন্ত বাদ-বাকি হকল আছমানি কিতাবে অউ তৌরাত কিতাব থাকিউ তালিম দেয়।
এরমাজে পাচখান ছিপারা আছে, পয়লা ছিপারা অইলো ‘পয়দা নামা’। অউ ছিপারার পয়লা আয়াতো আছে “পয়লাউ আল্লা,” আর হেশ আয়াতো আছে হজরত ইউছুফ (আঃ) অর মউত। আর হাছাউ আমরা দুনিয়া পয়দা থনে হজরত ইউছুফ (আঃ) পর্যন্ত বউত নবীর বয়ানি ই ছিপারাত পাই। পয়দা নামার মুল বিষয় অইলো, আদম জাতিয়ে ইবলিছ-শয়তানর ভুল পরামিশ হুনিয়া হারি নাফরমান বনিগেলা। বাদে আল্লা পাকে অউ নাফরমানি থাকি মুক্তি পাওয়ার লাগি এক পথ দেখাইলা, যাতে আদম জাতি হিরবার তান দিদার-দরশন পাইতা পারইন।
অউ পথরে দুই নমুনায় দেখাইল অইছে। পয়লা, আল্লায় নানান নবীর লগে তান দিদার পাওয়ার ওয়াদা-চুক্তি করলা, আর হউ নবীর উম্মতেও এর নিয়ামত-ফজিলত পাইলা। আর দুছরা নমুনা অইলো, আল্লা পাকে ওয়াদা করলা, তান পাঠাইল হউ নবী অকলর ছিলছিলা থাকি অলা এক পবিত্র জন ই দুনিয়াত আইবা, আইলে এন উছিলায় দুনিয়ার হকল জাতিয়ে আল্লাই দয়া আর রহম-বরকত পাইবা, মানষে দুনিয়া আর আখেরাতো নাজাত পাইবা। যেমন, আদম-হাওয়ার ছামনে তাইন শয়তানরে কইলা, “বেটি মানষর বংশে তুমার কল্লা গুড়া করব” (৩ রুকু ১৫ আয়াত দেখউক্কা)। মানি, হউ পবিত্র জনে শয়তানর হকল খেমতা আর বল-শক্তিরে বিনাশ করবা, এইন জনম লইবা এক বেটি মানষর ঘরো, বাদে আরক কিতাবো আল্লায় জানাইছইন এন জনম অইবো আবিয়াতি এক সতী নারীর ঘরো। আর হজরত ইব্রাহিম (আঃ) রে কইলা, “তুমার বংশর উছিলায় দুনিয়ার হকল জাতিয়ে বরকত হাছিল করবা” (২২:১৮ আয়াত)। বাদে তাইন হজরত ইব্রাহিমরে জানাইছইন, হউ পবিত্র আওলাদ আইবা তান হুরু পুয়া হজরত ইছহাক (আঃ) অর পুয়া ইয়াকুব নবীর খান্দানো।
আল্লায় হজরত ইয়াকুব (আঃ) রে নয়া নাম দিছলা হজরত ইছরাইল, এরলাগি ইয়াকুবর বংশধররে কওয়া অয় ‘বনি ইছরাইল’, মানি হজরত ইছরাইলর আওলাদ অকল। পয়দা নামা ছিপারার হেশ অংশত আছে, হজরত ইউছুফ (আঃ) কিলা মিসর দেশো গুলাম বনলা আর বাদে মিসর দেশর রাজা বনিয়া নিদানর আত থাকি জান বাচানির লাগি, তান নিজর বাবা আর ভাইয়াইনরেও অউ মিসরো আনছইন। অউ নমুনায় বনি ইছরাইল মিসরো বসত করা শুরু অইলো।
তৌরাত শরিফর বাকি চাইর ছিপারাত আছে, বনি ইছরাইল জাতি কিলা মিসরর বাদশা ফেরাউনর গুলাম বনি গেলা আর বাদে হজরত মুছা (আঃ) অর জরিয়ায় আল্লা পাকে তারারে মিসর থাকি আজাদ করিয়া তান নিজর খাছ প্রজা বানাইছলা। যাতে আল্লার হউ ওয়াদা-চুক্তির সঠিক সময় আইয়া আজিলে, বনি ইছরাইলর মাজ থাকি হউ ওয়াদা করা পবিত্র জনর জনম অইতো, আর তাইন দুনিয়ারে রহম-বরকত দিয়া আল্লা পাকর লগে হকলতার মিলন ঘটাইবা।
হজরত ইছা আল-মসীর জন্মর অনুমান ১৪০০ বছর আগে তৌরাত শরিফ লেখা অয়।
এরমাজে আছে,
হজরত আদম (আঃ) —দুনিয়ার পয়দা ১—৫ রুকু
হজরত নুহ (আঃ) —পানির গজব ৬—১০ রুকু
হজরত ইব্রাহিম (আঃ) —আল্লার ওয়াদা ১১—২৩ রুকু
হজরত ইছহাক (আঃ) —হিরবার আল্লার ওয়াদা ২৪—২৬ রুকু
হজরত ইয়াকুব (আঃ) —বনি ইছরাইলর শুরু ২৭—৩৬ রুকু
হজরত ইউছুফ (আঃ) —বনি ইছরাইল মিসর দেশো আইলা ৩৭—৫০ রুকু