হালাল হারাম খানি
১৪
 “তুমরা তো তুমরার মাবুদ আল্লার খাছ প্রজা। এরলাগি তুমরা কুনু মুর্দার লাগি কান্দা-কাটি বা আহাজারি করাত গিয়া, নিজর শরিলরে কাটা-চিরা করিও না, আর মাথার ছামনর গালার চুল কামাইও না।  মনো রাখিও, তুমরা অইলায় নিজর মাবুদ আল্লার খাছ পবিত্র জাতি। দুনিয়ার হকল জাতির মাজ থাকি, মাবুদে তান খাছ প্রজা আর তান নিজর সম্পদ হিসাবে তুমরারে আলগ করছইন।
 “তে কুনুজাত নফরতি খানি তুমরা খাইও না।  অউ লাখান পশুর গোস্ত খাইতায় পারবায়: গরু, মেড়া, ছাগল, ইতা তো হালাল।  আর অরিন, মায়া-অরিন, চিতরা-অরিন, জংলি ছাগল, লাম্বা হিংগি রাম-ছাগল, পিছনে ধলা অরিন আর পাড়িয়া মেড়া খাইও।  যেতা পশুর খুরা পুরাপুর দুই অংশ লাখান চিরা, আর যেতা পশুইন্তে খানিরে পাজাইন, ইতার গোস্ত জাইজ।  অইলে যেতা পশুর খালি খুরা চিরা, বা যেতা পশুইন্তে খালি খানিরে পাজাইন, অতা পশুর গোস্ত তুমরা খাইও না। তে তুমরা উট, খরগুশ বা শাফন-উন্দুরর গোস্ত খাইও না, ইতায় খানিরে পাজাইন অইলে ইতার খুরা চিরা নায়, এরলাগি হারাম।  আর শুয়রর গোস্তও হারাম, ইতার খুরা চিরা অইলেও ইতায় খানিরে পাজাইন না। ইতা পশু অকলর মরা লাশ ধরা-ছোয়াও নাজাইজ।
 “পানির মাজে বসত কররা যেতা জানদারর ফইর আর ডাখনা আছে, ইতা তুমরার লাগি হালাল। ১০ অইলে যেতার ফইর আর ডাখনা নাই, ইতা নাজাইজ। ইতা তুমরার লাগি হারাম।
১১ “হকল জাতর পাক-পবিত্র পাখি তুমরার লাগি হালাল। ১২ অইলে বড় চিল, হকুন, হাফ-খাউরি, ১৩ হকল জাতর চিল, ১৪ হকল জাত কাউয়া, ১৫ উটপাখি, নিম পাখি, গাংচিল, হকল নমুনার বাজ পাখি, ১৬ হকল জাত পেচা, হকল জাতর কুড়া, ১৭ ছলা-কাক, বলুয়া পাখি, পানি-খাউরি, ১৮ হকল জাতর জাটিয়া, হকল জাতর বগলা, মন-চুরা পাখি আর বাদুর তুমরার লাগি হারাম।
১৯ “আর ডাখনা আলা হকল জাতর পুক-জুক, যেতায় ঠেং দিয়া আটইন, ইতা তুমরার লাগি হারাম, ইতা তো নাপাক। ২০ অইলে ডাখনা আলা হকল জাতর পাক-পবিত্র ফরিং তুমরার লাগি হালাল।
২১ “তুমরা অইলায় তো তুমরার মাবুদর নামে একটা পাক-পবিত্র জাতি, এরলাগি অমনে অমনে মরি যাওয়া কুনু জীব-জানুয়ারর গোস্ত তুমরা খাইও না, ইতা তুমরার লাগি হারাম। অইলে তুমরার গাউত বা টাউনো বসত কররা দুছরা যেকুনু জাতির মানষরে ইতা খাবাইতায় পারবায়, ভিন জাতির গেছে বেচতায়ও পারবায়।
“আর হুনো, তুমরা বকরির বাইচ্চারে তার মাʼর দুধ দিয়া রান্দিও না।
যকাত দিবার নিয়ম-কানুন
২২ “পরতেক বছর তুমরার জমিনো যেতা ফয়-ফসল পাও, ইতার দশ বাটর এক বাট আতরা করি থইও। ২৩ আর তুমরার মাবুদে তান বায়তুল্লা শরিফ হিসাবে যে জাগারে পছন্দ করবা, হউ জাগাত অতা লইয়া আইও। তুমরার খেতর ফসল, আংগুরর শরবত, জয়তুনর তেলর দশ বাটর এক বাট আনিও। ইতা ফসলর লগে তুমরার পালা গরু-ছাগলর পয়লা বাইচ্চারে জবো করিয়া হক্কলতা মাবুদর ছামনে খাইও, অউ লাখান তুমরা হামেশা নিজর মাবুদ আল্লারে ডরাইয়া চলা হিকিও। ২৪ অইলে তুমরার মাবুদ আল্লার পছন্দ করা জাগা যুদি বাক্কা দুরই অয়, আর মাবুদর রহম-বরকতে পাওয়া অউ ছামানা লইয়া হিনো যাইতায় না পারো, ২৫ তে অউ ছামানা বেচিয়া ইতার টেকা লইয়া তুমরার মাবুদ আল্লার পছন্দ করা হউ জাগাত যাইও। ২৬ গিয়া অউ টেকাদি তুমরার খুশি মাফিক গরু-ছাগল, আংগুরর শরবত, তাড়ি, বা তুমরার পছন্দর যেকুনুতা কিনিলাইও। বাদে পরিবারর হকলরে লইয়া ইতা খানি-দানি খাইয়া হারি, আল্লা মাবুদর ছামনে খুশি-বাসি করিও। ২৭ অউ সময় তুমরার গাউ বা টাউনো বসত কররা লেবি খান্দানর মানষরে ফাউরিও না। কারন তুমরার তো জাগা-জমিন আছে, অইলে তারার ইতা কুন্তা নাই।
২৮ “পরতেক তিন বছর বাদে বাদে তুমরার খেতর ফসলর দশ বাটর এক বাট আনিয়া টাউনো দলা করিও। ২৯ তেউ লেবি খান্দানর মানষে, যেরা জাগা-জমিন বা ধন-ছামানার বাট পাইছে না এরা, আর বিদেশি মুছাফির অকলে, এতিম অকলে, ড়াড়ি বেটিন্তে ইতা পেট ভরিয়া খাইবা। আর তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরার হকল কামর মাজে রহম-বরকত দিবা।