আজাদি ইদর নিয়ম-কানুন
১৬
 “ও বনি ইছরাইল, আবীব মাসর চান্দো তুমরা মাবুদ আল্লার নামে আজাদি ইদ আদায় করিও। কারন অউ চান্দর একদিন তুমরার মাবুদ আল্লায় রাইতকুর বালা মিসর দেশ থাকি তুমরারে বার করিয়া আনছইন।  তুমরার মাবুদ আল্লায় নিজর বায়তুল্লা শরিফ হিসাবে যে জাগারে পছন্দ করবা, অউ জাগাত তুমরা তান নামে গরু-ছাগলর পাল থাকি পশু নিয়া আজাদি ইদর কুরবানি দিও।  কুরবানির পশুর গোস্ত তুমরা খামির আলা নান রুটিদি খাইও না। মিসর দেশ থাকি তাড়া-উড়া করি যেমনে খামির ছাড়া হালতে বার অইয়া আইছলায়, অখন তুমরা মিসর দেশর দুখ-মছিবতর কথা ইয়াদ করার লাগি পুরা সাত দিন তুমরা অলা খামির ছাড়া রুটি খাইও। হউ দিনরে হারা জিন্দেগিভর মনো রাখার লাগি তুমরা অলা করিও।  অউ সাতো দিন তুমরার কুনু জাগাত যানু খামির আলা কুনুজাত খানি না মিলে। পয়লা দিন হাইঞ্জা বালা যে পশু কুরবানি দিবায়, ইতার গোস্ত যানু ফজরর সময় পর্যন্ত না রয়।
 “তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরারে যে টাউন অকল দান করবা, ইতা কুনু টাউনর মাজে তুমরা আজাদি ইদর কুরবানি দিও না।  খালি বায়তুল্লা শরিফ হিসাবে তাইন যে জাগারে পছন্দ করবা, হউ জাগাত কুরবানি দিও। চান্দর যে তারিখো তুমরা মিসর দেশ থাকি বার অইয়া আইছলায়, পরতেক বছর অউ তারিখর হাইঞ্জা বালা তুমরা আজাদি ইদর পশু কুরবানি দিও।  তুমরার মাবুদ আল্লার পছন্দ করা জাগাত কুরবানির গোস্ত রান্দিয়া খাইও। বাদে বিয়ান অইলে যারযির ঘরো ফিরিয়া যাইও।  পুরা ছয় দিন তুমরা খামির ছাড়া রুটি খাইও, আর সাত নম্বর দিন তুমরা আল্লা মাবুদর নামে মিলন-মাহফিল করিও, অউ দিন কুনুজাত কাম-কাজ করিও না।
ফসল দাওয়ার ইদর নিয়ম-কানুন
 “খেতর ফসল কাটাত পয়লা কাচি লাগানির দিন থাকি তুমরা সাত হাপ্তা গনা শুরু করিও। ১০ বাদে তুমরার মাবুদ আল্লার রহম-বরকতে যত ফসল পাইছো, অতা থাকি নিজে খুশ অইয়া লিল্লা দিয়া তান নামে ফসল দাওয়ার ইদ আদায় করিও। ১১ তুমরার মাবুদ আল্লায় বায়তুল্লা শরিফ হিসাবে যে জাগারে পছন্দ করবা, তুমরা হউ জাগাত তান ছামনে তুমরার পুয়া-পুড়িন, গুলাম-বান্দি, তুমরার লগে বসত কররা লেবি খান্দানর মানুষ, ভিন-দেশি অকল, এতিম হুরুতাইন আর ড়াড়ি বেটিন, হক্কলে মিলিয়া ইদর খুশি-বাসি করিও। ১২ তুমরা মনো রাখিও, আগে তুমরা মিসর দেশো গুলাম আছলায়, তে খুব খিয়ালি অইয়া অউ নিয়ম-কানুন আদায় করিও।
ডেরা-ঘরর ইদর নিয়ম-কানুন
১৩ “তুমরার খেতর ফসল আর আংগুর মাড়ার জাগা থাকি হকলতা উগারো তুলিয়া হারলে, পুরা সাত দিন তুমরা ডেরা-ঘরর ইদ আদায় করিও। ১৪ ইদর কালো তুমরার পুয়া-পুড়িন, গুলাম-বান্দি, তুমরার লগে বসত কররা লেবি খান্দানর মানুষ, ভিন-দেশি মুছাফির, এতিম হুরুতাইন আর ড়াড়ি বেটিন হকলে মিলিয়া খুশি-বাসি করিও। ১৫ মাবুদর পছন্দ করা জাগাত গিয়া আল্লা মাবুদর নামে পুরা সাত দিন তুমরা অউ ইদ আদায় করিও। মাবুদে তো তুমরার হকল জাতর ফসলর মাজে, তুমরার হকল কাম-কাজো রহম-বরকত দিছইন, এরলাগি তুমরা হকলে খুশি-বাসি করবায়।
১৬ “তুমরার মাজর হকল বেটাইন্তে তুমরার মাবুদ আল্লার পছন্দ করা জাগাত গিয়া বছরো তিন বার, তান দিদারো আজির অইও, খামির ছাড়া রুটির ইদর কালো, ফসল দাওয়ার ইদর কালো আর ডেরা-ঘরর ইদর কালো আজির অইও। খিয়াল রাখিও, কেউ যানু খালি আতে মাবুদর ছামনে না আয়। ১৭ তুমরার মাবুদ আল্লায় যারে যে লাখান রহম-বরকত দিছইন, অউ হিসাবে নিজর তৌফিক মান পরতেক জনে মাবুদ আল্লার নামে লিল্লা দিলাউক্কা।
হাকিম-সালিশর দায়িত্ব
১৮ “তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরারে যেতা গাউ আর টাউন অকল দান কররা, ইতা হকল টাউনো হকল খান্দান থাকি হাকিম-সালিশ আর অফিসার বওয়াল করিও। এরা হক বিচার-সালিশ করবা। ১৯ তুমরা না-হক বিচার করিও না, কেউরর মুখ চাইয়া মছলমানি করিও না। ঘুষ খাইও না, ঘুষে তো আখলদারর চউখরেও আন্দা বানাইলায়, আর পরেজগারর মুখর জবানও বদলাইলায়। ২০ হকল নমুনায় যেটা সঠিক, তুমরা খালি অউ পথে চলিও। তেউ তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরারে যে দেশ দান কররা, অতা দখল করিয়া লাম্বা হায়াতি পাইবায়।”
আল্লার নিষেধ করা পুজা-এবাদত
২১ হজরত মুছায় আরো কইলা, “তুমরার মাবুদ আল্লার নামে তুমরা যে কুরবানি খানা বানাইবায়, এর কান্দা-কাছাত লাকড়িদি বানাইল আশেরা-দেবীর কুনু নিশানা খুটি থইও না। ২২ পুজার নিয়তে পাথরর কুনু খুটি গাড়িও না, কারন তুমরার মাবুদ আল্লায় ইতারে ঘিন করইন।”