খুনি অকলর আশ্রয় টাউন
১৯
 মুছা নবীয়ে তারারে আরো কইলা, “তুমরার মাবুদ আল্লায় যেতা দেশর দখলদারি দিরা, হনর বাসিন্দা অকলরে তাইন বিনাশ করিয়া হারলে, তুমরা যেবলা তারার বাড়ি-ঘর আর টাউনো হামাইয়া বসত করবায়, ২-৩ হউ সময় তুমরার মাবুদ আল্লার দেওয়া অউ জমিনরে তিন বাটে বাটিও, আর একটা একটা করি মোট তিনটা টাউনরে পছন্দ করিয়া আলগ করিও, আর অতা টাউনো যাইবার লাগি রাস্তা জুইত-জাইত রাখিও। তেউ তুমরার মাজর কেউ যুদি অনিচ্ছায় কেউররে খুন করিলায়, তে অউ নমুনার খুনি বাগিয়া গিয়া হউ টাউনো বনবাসি অইয়া আশ্রয় লইবো।
 “মনর মাজে কুনুজাত ইংসা-দুশমনি ছাড়া ইচ্ছা না করিয়া আখতা যুদি একজনে আরক জনরে খুন করিলায়, তে জান বাচানির লাগি অউ খুনি বাগিয়া গিয়া তার কান্দা-কাছার বনবাসি টাউনো আশ্রয় লইবো।  মনো করো, একজন মানুষ দুছরা জনর লগ অইয়া জংগলো লাকড়ি কাটাত গেল, গিয়া কুড়ালদি গাছ কাটিবার বালা আখতাউ কুড়ালর আছাড়ি থাকি কুড়াল ছুটিয়া, দুছরা জনর গতরো লাগিয়া হে মরিগেল, অউ হালতে খুনি গিয়া তার কান্দা-কাছার আশ্রয় টাউনো জান বাচানির সুযোগ পাইবো।  আরনায় খুন অওয়া জনর আপন মানষে গুছা করিয়া বদলা লইবার নিয়তে অউ মানষরে ধরতো চাইবো, আর জান বাচানির আশ্রয় টাউন ধারো না রইলে তারে ধরিয়া মারিলতো পারে। আসলে তো হি বেটায় ইচ্ছা করিয়া খুন করছে না, হে সাজা পাইবার কথা নায়।  এরলাগি আমি তুমরারে হুকুম দিরাম, তুমরার লাগি তিনটা আশ্রয় টাউন আলগ করি রাখিও।
 “তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরার বাফ-দাদার লগে কছম মাফিক জাগা বাড়াইয়া যেবলা তুমরারে আস্তা দেশর মালিকানা দিবা,  অউ সময় তুমরা আরো তিনখান আশ্রয় টাউন আলগ করি রাখবায়। খালি আইজ আমি তুমরারে যেতা হুকুম দিছি তুমরা যুদি খুব খিয়ালি অইয়া ইতা মানিয়া চলো আর যুদি হর-হামেশা আল্লারে মহব্বত করো আর তান পথে চলো, তে তাইন নিচ্চয় তুমরারে আস্তা দেশর মালিকানা দিবাউ। ১০ অউ আশ্রয় টাউন রাখার কারন অইলো, তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরারে যে দেশর মালিকানা দিরা, হউ জমিনো যানু কুনু নি-অপরাধির লউ না পড়ে, আর তুমরা কুনুজাত খুনর দায়ী না অও।
১১ “অইলে কেউ যুদি রাগ-গুছা, ইংসা করিয়া আরক জনরে খুন করার নিয়তে উত পাতিয়া রয়, বাদে হামলা করিয়া খুন করিলায়, আর অউ খুনি গিয়া কুনু আশ্রয় টাউনো হামাই যায়, ১২ তে তার গাউ বা টাউনর মুরব্বি-সালিশ অকলে, মানুষ পাঠাইয়া তারে ধরাই আনিয়া, অগুরে কাতল করার লাগি খুন অওয়া জনর আপন মানষর আতো সপি দিবা। ১৩ অউ খুনিরে তুমরা কুনু দয়া-মায়া করিও না। তুমরা বনি ইছরাইলর মাজ থাকি নি-অপরাধিরে খুনর দায়-ভার ফুছিয়া ফালাইও, তেউ তুমরার ভালাই অইবো।
জমিনর সীমানা খুটি
১৪ “তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরারে যে দেশর দখলদারি দিরা, হউ দেশর জমিনর পুরান আমলো গাড়া আরিপরির কুনু সীমানা খুটি উন্নইশ-বিশ করিও না।
বিচারর সাক্ষি পরমানর নিয়ম-কানুন
১৫ “কেউরর বেয়াপারে কুনুজাত গুনা বা অপরাধর নালিশ আইলে, তে খালি একজনর সাক্ষি হুনিয়া রায় দিও না, দুই বা তিন জনর সাক্ষি পরমান লইয়া বিচার-সালিশর রায় দিও।
১৬ “কুনু মানষে যুদি আরক জনর খেতি করার নিয়তে কুনু নালিশ দেয়, ১৭ তে অউ বাদি আর বিবাদি দুইও পক্ষ হউ আমলর হাকিম আর ইমাম ছাব অকলর গেছে গিয়া মাবুদর ছামনে আজির অইবা। ১৮ বাদে সালিশ অকলে খুব খিয়াল করিয়া ইতার তালাশ করবা, তাল্লাশি কালো যুদি ধরা পড়ে হে তার আপন জাতির ভাইর বেয়াপারে মিছা নালিশ দিছে, ১৯ তে অউ নালিশ দিয়া হে হউ জনর যেতা খেতি করতো চাইছিল, তুমরা অগুর অউলা খেতি করিও। অউ নমুনায় তুমরা নিজর সমাজ থাকি নাফরমানিরে ফুছিয়া ফালাইও। ২০ ইতা হুনিয়া বাকি হকল বনি ইছরাইলে ডরাইবা, তেউ ইলা কাম আর কেউ করতো নায়। ২১ ইলা অপরাধিরে তুমরা কুনু লাখান দয়া-মায়া করিও না, জানর বদলা জান, চউখর বদলা চউখ, দাতর বদলা দাত, আতর বদলা আত, পাওর বদলা পাও আদায় করিও।