৭ ইব্রাহিম একশো পচত্তইর বরছ বাচিলা, আল্লায় তানে অতদিনর হায়াতি দিছলা। ৮ তাইন মুরব্বি অইয়া পুরাপুর বুড়া বয়সো ইন্তেকাল করলা, আর তান বাফ-দাদার গেছে গিয়া আজিলা। ৯ হেশে তান পুয়া ইছমাইল আর ইছহাকে মম্রি টাউনর পুবেদি, হিট্টী সোহরর পুয়া ইফ্রোনর জমির মকপেলা-গুহাত, তানরে দাফন করলা। ১০ ই জমিখান তাইন হিট্টী অকলর গেছ থনে লইছলা। অনোউ তান বিবি ছায়রারে আর তানে দাফন করা অইছে। ১১ ইব্রাহিমর মউতর বাদে আল্লায় তান পুয়া ইছহাকরে বরকত নাজিল করলা। তাইন বের-লহয়-রোয়ীর গেছে রইতা।

১২ অউ অইলো ইছমাইলর খান্দানর বয়ান। বিবি ছায়রার বান্দি মিসরী হাজেরার পেটো ইব্রাহিমর পুয়া ইছমাইলর জনম অইছিল। ১৩ অউ অইলো ইছমাইলর আওলাদর নাম আর গুষ্টির বয়ান। তান বড় পুয়ার নাম নাবাউত, বাদে কায়দার, অদবেল, মিবসম, ১৪ মিশমা, দূমা, মাছা, ১৫ হদদ, তেমা, যিটুর, নাফীশ আর কেদমা। ১৬ ইছমাইলর অউ বারোজন পুয়া আছলা বারো গুষ্টির সর্দার। তারার নামর লাখান হি গাউ আর তাম্বু বিছাইল জাগারও অউ নাম অইছিল। ১৭ ইছমাইলর হায়াত একশো সাড়তিশ বরছ আছিল, হেশে তাইন মারা গেলা আর তান বাফ-দাদার গেছে গেলাগি। ১৮ হবিলা থনে আশিরিয়ার বায় মিসরর ছামনর শুর পর্যন্ত তান আওলাদ অকল রইতা। ইছমাইলে তান হকল ভাইয়াইন্তর গালাবায় রওয়ার জাগা পাইলা।

১৯ অউ অইলো ইব্রাহিমর পুয়া ইছহাকর খান্দান-নামা। ইব্রাহিমর ঘরো ইছহাকর জনম অইলো। ২০ ইছহাকে চাল্লিশ বরছ বয়সো তান মামুর ঘরর বইন রেবেকারে আনাইয়া বিয়া করলা। রেবেকা অইলা পদ্দন-ইরাম দেশর ইরামী বথুয়েলর পুড়ি, ইরামী লাবনর বইন। ২১ তান বউ নিআওলাদি আছলা গতিকে, ইছহাকে মাবুদর গেছে দোয়া করলা। মাবুদে তান দোয়া কবুল করলা, আর রেবেকার পেটো হুরুতা আইলো। ২২ বাদে পেটর ভিতরে হুরুতায় লড়া-চড়া করাত লাগলা। অউ তাইন কইলা, “আমার পেটো ইলা লাগের কেনে?” কারন জানার লাগি তাইন মাবুদর গেছে দোয়া করলা। ২৩ মাবুদে তানরে কইলা, “তুমার পেটো দুইটা জাতি আছে, পেটো থনেউ তারা দুই বংশ অইয়া পয়দা অইবা। এক বংশ থনে আরক বংশ শক্তিআলা অইবো, আর বড়গুয়ে হুরুগুর খেজমত করব।” ২৪ হুরুতা পয়দার বালা দেখইন, হাছাউ তান পেটো জোড়র পুয়া। ২৫ পয়লা যার জনম অইলো হে লাল রংগর আর তার শরিলো পশমি কাপড়র লাখান রুমায় ভরা। তার নাম রাখলা ঈষ [মানি, রুমাআলা]। ২৬ বাদে ঈষʼর পাওর মুরাত ধরি তার ভাইর জনম অইলো, এর নাম রাখলা ইয়াকুব [মানি, পাওত ধররা]। ইছহাকর ষাইট বরছ বয়সো এরা জোড়ে পয়দা অইলা।

২৭ অউ পুয়াইন বড় অওয়ার বাদে ঈষ খুব ভালা শিকারি আর মরুভুমিত ফাখাওরা অইলা, অইলে ইয়াকুব আছলা নিরাই-জিরাই, তাইন তাম্বুত থাকতা। ২৮ শিকারর গোস্ত মজা লাগত করি ইছহাকে ঈষʼরে মায়া করতা, আর রেবেকায় ইয়াকুবরে মায়া করতা।

২৯ একদিন ইয়াকুবে ডাইল রান্দিছইন, অউ সময় তান বড় ভাই ঈষ মরুভুমি থাকি পেটর ভুকে খুব কাতর অইয়া আইলা, আইয়া হুরু ভাই ইয়াকুবরে কইলা, ৩০ “ভাইরে, আমার খুব ভুক লাগছে। তে অউ রংগিল, রংগিল অতা আমারে পেট ভরি খাইতে দে।” অউ কথার লাগি তান চিড় লাগল ইদোম [মানি, রংগিল]। ৩১ ইয়াকুবে কইলা, “তাইলে বড় ভাই অওয়ার মালিকানা, তুমি আইজ আমার গেছে বেচিলাও।” ৩২ ঈষে কইলা, “দেখো, আমার জান বার অইযার, আর বড় ভাইর মালিকানাদি আর কিতা করতাম?” ৩৩ ইয়াকুবে কইলা, “আগে তুমি আমার গেছে কছম করো।” অউ ঈষে কছম করিয়া বড় ভাই অওয়ার মালিকানা ইয়াকুবর গেছে বেচিলাইলা। ৩৪ বাদে ইয়াকুবে ঈষʼরে ডাইল আর রুটি খাইতে দিলা। খাওয়া-দাওয়া করিয়া তাইন উঠিয়া গেলাগি। অউ লাখান ঈষে বড় পুয়া অওয়ার কুনু দামউ রাখলা না।