আগর-খুশবয় জালানির টেবুল
৩০
১ মাবুদে মুছারে কইলা, “আগর-খুশবয় জালাইবার লাগি তুমি বাবলা লাকড়িদি একখান জালানি খানা বানাইও। ২ ইগু অইবো চাইরকুনা আলা, এক আত লাম্বা, এক আত পাশ, দুই আত উবি। আস্তা খানউ হিং সুদ্ধা একখানো লাগাইল রইবো। ৩ এর উপরর ছানি, ছানির চাইরো কিনারা আর হিং, হকলতা খাটি সোনাদি লেপিবায়। চাইরো কিনারো সোনার নকশা করাইবায়। ৪ এর দুই কিনারর নকশার তলে দুগু করি সোনার কড়া লাগাইও। ই কড়ার ভিতরে বেন্দা হারাইয়া অগু বইয়া নেওয়া অইবো। ৫ ই বেন্দা গুইন বাবলা লাকড়িদি বানাইয়া সোনাদি লেপাইও। ৬ শাহাদত সন্দুকর ছানির কাছাত যে পর্দাখান আছে, অউ জালানি খানা এর ছামনে রাখিও। অউ জাগাত আমি তুমারে দিদার দিমু।৭ “পরতেক দিন বিয়ানে লেম গুইন জুইত-জাইত করার বালা, হারুনে জালানি খানার উপরে খুশবয় আলা আগর জালাইবো। ৮ হাইঞ্জা বালা লেম জালানির সময়, হে হিরবার আগর-খুশবয় জালাইবো। তুমরার ওয়ারিশর পর ওয়ারিশ ধরি মাবুদর ছামনে হর-হামেশা অউ আগর-খুশবয় জলবো। ৯ ই আগর-খুশবয় জালানির টেবুলর উপরে দুছরা কুনুজাতর খুশবয় জালাইও না। কুনু জালাইল কুরবানি, ধান-গমর ছদগা, বা শরবত-পানির ছদগা দিও না। ১০ গুনার মাফির কফরা হিসাবে, হারুনে বছরো একবার গুনার কফরার কুরবানির লউ, জালানি খানার হিংগর উপরে লাগাইতে অইবো। তেউ ইখান মাবুদর নামে মহা-পবিত্র অইবো। ওয়ারিশর পর ওয়ারিশ ধরি পরধান ইমামে বছরো একবার অউ লাখান করতে অইবো।”
জানর বদলা রুপা
১১ বাদে মাবুদে মুছারে কইলা, ১২ “তুমি যেবলা বনি ইছরাইলর মানষর পরিমান গনবায়, অউ সময় তারা হকলেউ যারযির জানর বদলা রুপা দিতে অইবো, যাতে ই গনার লাগি তারার উপরে কুনু গজব না আয়। ১৩ তারারে গনার বালা অউলা বদলা লইও, গনা অইছে দলো যেরা হামাইবা, এরা এবাদত খানার মাপে আধা তোলা রুপা দিবা। পরতেক বিশ রতিয়ে এক তোলা গনিও। ই রুপা অইবো মাবুদর। ১৪ বিশ বরছ বা এর বেশি বয়সর যেকুনু জন গনা শেষ অওয়া দলো হামাইলে, এন জানর বদলা মাবুদরে অউ রুপা দিবা। ১৫ জানর বদলা দেওয়ার সময় ধনি অকলে অউ আধা তোলার বেশি দিতা পারতা নায়, আর গরিবেও কম দিলে অইতো নায়। ১৬ তুমি বনি ইছরাইলর গেছ থাকি জানর বদলা অউ রুপা নিয়া, আমার ঘরর কামো লাগাইও। তুমরার জানর বদলা ই রুপায়, বনি ইছরাইল অকলরে মাবুদর দরবারো ইয়াদ করাই দিবো।”
অজুর পানির গামলা বানাইও
১৭ মাবুদে মুছারে কইলা, ১৮ “অজু করার লাগি তুমি পিতলর একটা গামলা, আর গামলা থওয়ার লাগি পিতলর একখান ছকি-খাট বানাইও। মিলন-তাম্বু আর কুরবানি খানার মাজখানো পানি ভরিয়া অগু থইও। ১৯ ই পানিদি হারুন আর তার পুয়াইন্তে অজু করবা। ২০ তারা যাতে না মরইন, এরলাগি পরতেকবার মিলন-তাম্বুত হামাইবার বালা অউ পানিদি অজু করতে অইবো। ইমাম হিসাবে মাবুদর নামে আগুনিত দেওয়া যেকুনু কুরবানি আদায় করার সময়ও অজু করতে অইবো। ২১ তারা জানে বাচিয়া রওয়ার লাগি অউ অজু করবা। ই হুকুম তারার লাগি হর-হামেশা চালু রইবো, ওয়ারিশর পর ওয়ারিশ ধরি বওয়াল রইবো।”
খেলাফতি সমজিবার তেল
২২ মাবুদে মুছারে কইলা, ২৩ “তুমার নিজর গেছে খুশবয়দার ভালা ভালা মশলা অকল দলা করো। তুমি পাচশো তোলা মুরা-আতর, আড়াইশ তোলা খুশবয় আলা ডাইল-চিনি, আর আড়াইশ তোলা বছ, ২৪ সাধারন ডাইলচিনি পাচশো তোলা, আর জয়তুনর তেল চাইর সের দলা করিও। ই মাপ অইলো এবাদত খানার মাপে। ২৫ অউ মশলা অকল দিয়া আগর-খুশবয় মশলা বানানির কারিগরর নিয়মে তুমি খেলাফতি সমজিবার তেল বানাইও, ই তেল তো পবিত্র। ২৬ অউ তেল দিয়া তুমি মিলন-তাম্বু, শাহাদত সন্দুক, ২৭ টেবুল, টেবুলর উপরর হকল ছামানা, চেরাগ দানির হকলতা, আর আগর-খুশবয় জালানির টেবুল, ২৮ কুরবানি খানা আর এর মাজর হকল ছামানা, অজুর গামলা আর এর তলর ছকি-খাট হকলতারে ফুছিয়া পাক-পবিত্র করিও। ২৯ তেউ ই হকলতা মহা-পবিত্র ছামানা অইবো। ইতা ছামানা কেউ ছইলে, হে-ও মহা-পবিত্র অইযিবো।
৩০ “তুমি হারুনরে আর তার পুয়াইনরে আমার ইমামতির কামর লাগি খেলাফতির তেল দিয়া পাক-পবিত্র করিও। ৩১ আর বনি ইছরাইলরে জানাই দিও, ওয়ারিশর পর ওয়ারিশ ধরি ইটাউ অইবো আমার খেলাফতি সমজিবার পবিত্র তেল। ৩২ ই তেল মানষর গতরো দেওয়া যাইতো নায়। ই নিয়মে তারা যাতে আর কুনু তেল না বানায়। ই তেল তো পবিত্র। তুমরা ইটারে পাক-পবিত্র মনো করিয়া ইজ্জত করতে অইবো। ৩৩ কেউ যুদি ই লাখান তেল তৈয়ার করে, বা ইমাম ছাব ছাড়া আর কেউ ই তেল গতরো মাখে, তে তারে নিজর জাতি থাকি ফুছিলিবায়।”
আগর-খুশবয় বানানির নিয়ম
৩৪ মাবুদে মুছারে কইলা, “তুমি নিজর গেছে কিছু খুশবয় আলা মশলা: গুগগুলু, নখী, কুন্দুরু আর খাটি লোবান দলা করিও। দলা করিয়া অতা হমান হমান করি মিশাইও। ৩৫ আর যেরা আগর-খুশবয় বানাইন, তারারেদি অউ কাম করাইও। ইতার লগে নুন মিশাইও, ইতা অইবো নির্ভেজাল খাটি পাক-পবিত্র আগর। ৩৬ অউ আগরর থুড়া গুড়া নিয়া মিলন-তাম্বুর শাহাদত সন্দুকর ছামনে থইও। হনো আমি তুমারে দিদার দিমু। তুমরা ই আগররে মহা-পবিত্র ছামানা মনো করিও। ৩৭ অউ মশলা দিয়া ই নিয়মে কেউ যাতে তার নিজর লাগি কুনু আগর-খুশবয় না বানায়। ইতা তো মাবুদর নামে পাক-পবিত্র চিজ, ইখান খিয়াল রাখিও। ৩৮ খুশবয়দার চিজ মনো করিয়া কেউ যুদি ইতা তৈয়ার করিলায়, তে তারে ই জাতি থাকি ফুছিলিবায়।”