আল্লার বিরুদ্ধে বনি ইছরাইলর নাফরমানি (৩২:১—৩৪:৩৫)
সোনার মুর্তি পুজার সাজা
৩২
১ মুছা নবী পাড় থাকি লামিয়া আইতে দেরি অর দেখিয়া, মানষে আইয়া হারুনর চাইরোবায় দলা অইয়া কইলা, “আমরারে পথ চিনাইয়া নেওয়ার লাগি, আপনে আমরারে দেবতা বানাই দেউক্কা। কারন, যে মুছায় আমরারে মিসর থাকি বার করি আনছে, তার কিতা ঘটছে আমরা তো জানি না।” ২ ইখান হুনিয়া হারুনে তারারে কইলা, “তুমরা যারযির বউ আর পুয়া-পুড়িন্তর কানো থাকি সোনার গয়না খুলিয়া আমার গেছে আনো।” ৩ তেউ হকলে তারার কানর গয়না খুলিয়া হারুনর গেছে আনিয়া দিলো। ৪ মানষে যেতা সোনা আনিয়া দিলা, হারুনে অতা নিয়া আগুইনদি গলাইয়া, হুনারর আতিয়ারদি এক বাছুরর মুর্তি বানাইলা। অগু দেখিয়া বনি ইছরাইলে কইলা, “ভাই অকল, অউ এইনউ তুমরার দেবতা, যেইন তুমরারে মিসর দেশ থাকি বার করি আনছইন।” ৫ ই হালত দেখিয়া হারুনে হউ বাছুরর ছামনে এক বলি খানা বানাইয়া জানাই দিলা, “ছামনর কাইল মাবুদর নামে খুশি-বাসি করা অইবো।” ৬ তেউ বাদর দিন খুব ছবরে উঠিয়া মানষে দেবতার ছামনে আইয়া মঙ্গল বলি আর পশু জালাইয়া বলি দিলা। বাদে তারা খাওয়া-দাওয়া করিয়া হারি, হৈ-হুল্লা করি নাচ-গান, ফুর্তি-আমোদ করাত লাগলা।৭ অউ মাবুদে মুছারে কইলা, “তুমি পাড়র লামাত যাও। তুমার অউ যেতা মানষরে মিসর দেশ থাকি বার করি আনছো, ইতা তো নাফরমান বনিগেছে। ৮ আমি তারারে যেলা চলার হুকুম দিছলাম, তারা ইতা বাদ দিয়া নিজর লাগি এক বাছুরর মুর্তি বানাইয়া, মাটিত পড়িয়া অগুরে পরনাম করের। অগুর নামে তারা পশু বলি দের আর কর, ভাই অকল, অউ এইনউ তুমরার দেবতা, যেইন তুমরারে মিসর দেশ থাকি বার করি আনছইন।”
৯ মাবুদে মুছারে কইলা, “আমি ইতা মানষরে চিনি, ইতা তো গাড়তেড়া-একগুইয়া জাত। ১০ অখন তুমি আমারে বাধা দিও না, ইতার উপরে আমার গুছা আগুইনর লাখান দাউ দাউ করি জলের, আমি ইতারে ছারখার করিলিমু। বাদে আমি তুমার মাজ থাকি এক মহা জাতি পয়দা করমু।”
১১ তেউ মুছায় তান মাবুদ আল্লারে মিনত-কাজ্জি করিয়া কইলা, “ও মাবুদ, তুমি তুমার কুদরতি আত দিয়া তুমার মহা কুদরতি বলে যেতারে মিসর থাকি বার করি আনছো, তারার উপরে তুমি কেনে অতো গুছা অইলায়? ১২ মিসরী অকলে কেনে ইখান মাতার সুযোগ পাইতা, পাড়িয়া এলাকাত আনিয়া তারারে খতম করিয়া, দুনিয়া থাকি তারার নাম মিটাইলিবার লাগি তুমি তারারে মিসর থাকি বার করিয়া আনছো? মাবুদ গো, তুমার ই বেথায়া গুছা খান তুমি থামাইলাও। মেহেরবানি করি, তুমার বন্দা অকলর উপরে ই গজব খান আনিও না। ১৩ তুমার আপন গুলাম ইব্রাহিম, ইছহাক আর ইয়াকুবর কথা ইয়াদ করো। তুমি নিজর নামে কছম খাইয়া তারারে কইছলায়, তারার ওয়ারিশ অকলরে তুমি আছমানর তেরার লাখান বাড়াইবায়, আর তুমার ওয়াদা করা অউ আস্তা দেশর মালিকানাও তারারে দিবায়, আর তারা হর-হামেশাকুর লাগি এর দখল পাইবা।” ১৪ ইখান হুনিয়া মাবুদর মেহেরবানি অইলো। তাইন তান বন্দা অকলর উপরে যে গজব ঢালিতা চাইছলা, ইতা বাদ দিলাইলা।
১৫ এরবাদে মুছায় আল্লার দেওয়া দুইওখান শাহাদত পাথর লইয়া লামাত আইলা। ই পাথরর উল্টা-ভাটিয়ল দুইও গালাত লেখা আছিল। ১৬ ই দুইও পাথর অইলো আল্লা পাকর নিজর আতর কাম, আর ই পাথরর উপরে খুদিয়া লেখা খানও তান নিজর আতর লেখা। ১৭ মুছার খাদিম ইউছায় মানষর ইতা হৈ-হুল্লা হুনিয়া মুছারে কইলা, “ছাব, আমরার কেম্পর মাজে যুদ্ধর আওয়াজ হুনা যার।” ১৮ মুছায় কইলা, “ইতা তো কুনু যুদ্ধর আরা-জিতার আওয়াজ নায়। আমি যেতা হুনিয়ার, ইতা তো গানর আওয়াজর লাখান লাগের।”
১৯ বাদে মুছায় কেম্পর কাছাত আইয়া মানষর নাচা-নাচি আর বাছুরর মুর্তি দেখলা। দেখিয়াউ তাইন গুছায় আগুইন অইয়া, আতর পাথর দুইওখান ইটামারি ফালাই দিলা। তেউ পাথর দুইওখান পাড়র তলে পড়িয়া চুরমার অইগেল। ২০ আর মুছায় তারার বানাইল বাছুরর মুর্তি নিয়া আগুনিত ফালাইয়া জালাইলিলা। বাদে অগুরে পিষিয়া গুড়া বানাইয়া পানিত মিশাইয়া, বনি ইছরাইল অকলরে খাওয়াই দিলা।
২১ তাইন হারুনরে কইলা, “ইতা মানষে তুমার কুন খেতি করছিল, তুমি কেনে তারারেদি শিরিকি কাম করাইলায়?” ২২ হারুনে জুয়াপ দিলা, “মালিক, আপনে গুছা করইন না যানু, আপনে তো জানইনউ, ইতা মানুষ খালি খারাপ কামর আশিক। ২৩ তারা আইয়া আমারে কইলা, আমরারে পথ চিনাইয়া লইয়া যাওয়ার লাগি দেবতা বানাই দেউক্কা, কারন যে মুছায় আমরারে মিসর থাকি বার করি আনছইন, এন কিতা অইছে, আমরা তো জানিয়ার না। ২৪ ইখান হুনিয়া আমি তারারে কইলাম, তুমরার গেছে যেতা সোনা-দানা আছে, অতা খুলিয়া আমার গেছে আনো। তারা আনিয়া আমার আতো দিলা, আর আমি অখনাইন ইটামারি আগুনিত ফালাইলাম, তেউ অউ বাছুর অগু বার অইয়া আইলো।”
২৫ মুছায় দেখলা, ই মানুষ গুইন বেপরোয়া অইগেছইন। তাইন বুজলা, হারুনে তারারে বেপরোয়া অওয়ার সুযোগ দিছইন। এরলাগি দুশমন অকলে আসিবার সুযোগ পাইছইন। ২৬ অউ মুছায় কেম্পর গেইটর গেছে উবাইয়া কইলা, “তুমরা যতো জন মাবুদর পক্ষে আছো, হকল আমার কাছাত আও।” তেউ লেবি গুষ্টির হকল মানুষ তান গেছে আইলো। ২৭ আইয়া হারলে মুছায় তারারে কইলা, “মাবুদ, যেইন বনি ইছরাইলর আল্লা, তাইন নিজে হুকুম করছইন, তুমরা হকলে যারযির কমরো তলোয়ার বান্দো, আর কেম্পর ভিতরে যারে ছামনে পাও কাতল করো। আস্তা কেম্পর ভিতরে ভাই-বন্ধু, আরি-ফরি যারে পাও মারো।” ২৮ তেউ লেবি গুষ্টির মানষে মুছার হুকুম মাফিক কাম করলা। হি দিন অনুমান তিন আজার মানুষ মারা গেলা। ২৯ বাদে মুছায় কইলা, “তুমরা আইজ মাবুদর নামে যারযির পুয়া আর ভাই-বিরাদরর উপরে আত তুলতে খরেদি গেছো না, মাবুদর কামর লাগি তুমরা আলাদা অইছো, এরলাগি মাবুদে তুমরারে রহমত দিছইন।”
৩০ বাদর দিন মুছায় মানষরে কইলা, “তুমরা তো বেজুইতা গুনা করছো। তে আমি অখন হিরবার তুর পাড়ো মাবুদর দরবারো যাইরাম, পারলে তুমরার গুনা মাফির কফরার কুনু পথ বার করমু।” ৩১ মুছায় মাবুদর দরবারো গিয়া আরজ করলা, “ও মাবুদ, ই মানুষ গুইন্তে বেজুইতা গুনা করিলিছে। তারা নিজর লাগি সোনার মুর্তি বানাইছে। ৩২ তে তুমি মেহেরবানি করিয়া তারার গুনারে অখন মাফ করি দিলাও, আর যুদি মাফ না করো, তাইলে তুমার লেখা খাতা থাকি আমার নামখানও কাটিলাও।” ৩৩ মাবুদে জুয়াপ দিলা, “হুনো, আমার বিরুদ্ধে যেরা গুনা করছে, আমি খালি তারার নামরেউ আমার খাতা থাকি ফুছিলিমু। ৩৪ তে তুমি অখন যাওগি, আর আমি যে দেশর কথা কইছি, তুমি তারারে লইয়া হউ দেশো রওয়ানা দিলাও। আমার ফিরিস্তায় তুমরারে পথ দেখাইয়া নিবা। বাদে যেবলা সাজা দেওয়ার সময় আইবো, অউ সময় আমি তারার গুনার সাজা দিমু।”
৩৫ হারুনর আতে বানাইল হউ বাছুরর মুর্তির লাগি মানষে যেতা করছিলা, অতার লাগি মাবুদে তারার উপরে গজব নাজিল করলা।