সুদিনর কালো আল্লারে ফাউরিও না
 “অখন আমি তুমরারে যে হুকুম দিরাম, তুমরা খুব খিয়ালি অইয়া ইতা আমল করিও, তেউ তুমরা বাচিয়া রইবায়, তুমরার আওলাদ বাড়িবো, আর তুমরার ময়-মুরব্বির গেছে মাবুদে কছম খাইয়া যে দেশ দিবার ওয়াদা করছইন, হউ দেশো হামাইয়া দখল করতায় পারবায়।  আর তুমরা মনো রাখিও, তুমরার মাবুদ আল্লায় অউ চাল্লিশ বছরে মরুভুমির মাজদি তুমরারে কিলা লইয়া আইছলা, তুমরার বড়াই-বেটাগিরি ভাংগিবার লাগি, আর তুমরা তান হুকুম-আহকাম মানবায় কি না অখান পরিক্ষা করার নিয়তে, তুমরার দিলর খবর জানার লাগি তাইন তুমরারে নতো করছইন।  তুমরার ময়-মুরব্বিরে খানি-খুরাকি না দিয়া উপাস রাখলা, বাদে যে খানি তারা চিনতা না, মান্না নামর অউ খানি খাওয়াইয়া তাইন তুমরার বড়াই-বেটাগিরি ভাংগিছইন। তাইন তুমরারে হিকাইতা চাইলা, খালি রুটি খাইলেউ মানুষ বাচে না, বরং আল্লার পরতেক কালামেউ মানষর জান বাচে।  অউ চাল্লিশ বছরর মাজে তুমরার গতরর কাপড়-চুপড় নষ্ট অইছে না, দিন-রাইত আটিলেও তুমরার পাও ফুলছে না।  অখন তুমরার দিলো গাথিয়া রাখিও, বাফে যেলা নিজর পুয়ারে শাসন করে, তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরারেও অলা শাসন করইন।
 “তুমরা নিজর মাবুদ আল্লার হুকুম-আহকাম আমল করিও, তান পথে চলিও, আর তানরে ডরাইও।  তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরারে যে আরামর দেশো নিরা, ই জাগাত পাড়-পর্বত, পাড়িয়া গাং, পানির ঝরনা আছে, আর মাটির তলেও পানি আছে।  হিনো গম, বার্লি, আংগুর, ডুমুর গাছ, আনুয়ার ফল, জয়তুনর তেল আর মউ আছে।  হি দেশো বউত খানি-পানি পাইবায়, কুন্তার অভাব তুমরার অইতো নায়। হিনোর পাথরর মাজে লুয়া আছে, হনর পাড় খুদিলে তুমরা তামা-পিতল পাইবায়। ১০ হউ দেশো পেট ভরিয়া খানা-পিনা খাইয়া হারলে তুমরার মাবুদ আল্লার দেওয়া অউ আরামর দেশর লাগি তান শুকরিয়া আদায় করিও।
১১ “তা-ও তুমরা হুশিয়ার রইও, তুমরার মাবুদ আল্লারে কুনু সময় ফাউরিও না, আর আমি অখন তুমরারে যেতা হুকুম-আহকাম, নিয়ম-কানুন, আর শরিয়ত জানাইরাম, ইতা আমল করতে কুনু গাফলতি করিও না। ১২ হনো গিয়া পেট ভরি খানা-পিনা খাইয়া, সুন্দর করি ঘর-বাড়ি বানাইয়া, ১৩ তুমরার গরু-ছাগলর পাল বড় করিয়া, সোনা-রুপা জমাইয়া, হকল মন্তে ধন-ছামানা বাড়িয়া হারলে হুশিয়ার রইও। ১৪ তুমরার দিলরে বড়াই-বেটাগিরি করতে দিও না। আর হউ আল্লা মাবুদরে ফাউরিও না, যেইন তুমরারে মিসর দেশ থাকি, হউ গুলামি থাকি বার করিয়া আনছইন। ১৫ তাইন তো তুমরারে বেজুইতা বিপদ-আপদে ভরা বিরাট মরুভুমি থাকি, কঠিন বিষাক্ত হাফ, বিষাক্ত কাকড়া-বিছায় ভরা পথেদি তুমরারে পার করি আনছইন। শক্ত পাথরর ভিতর থাকি তুমরার লাগি পানি বার করছইন। ১৬ তাইন হউ মরুভুমির মাজে তুমরারে মান্না খাবাইছইন, যেতার নাম তুমরার ময়-মুরব্বি অকলে হুনছইনও না। তুমরার ভিতরর বড়াই-বেটাগিরি ভাংগিবার লাগি, আর তুমরারে পরিক্ষা করার নিয়তেউ ইতা করছইন, যাতে হেশে তুমরার ভালাই অয়। ১৭ তুমরা মনে মনে কইও না, আমার নিজর বল-শক্তিয়ে নিজর কামাই দিয়া ধনি অইছি। ১৮ অইলে তুমরার নিজর মাবুদ আল্লায় তুমরার ময়-মুরব্বির গেছে কছম খাইয়া যেতা ওয়াদা করছলা, অতা অখন পুরাপুর করার লাগি তুমরারে ই ধন-ছামানা দিছইন, এরলাগি তানরে মনো রাখিও।
১৯ “তুমরা যুদি কুনু দিন তুমরার মাবুদ আল্লারে ফাউরিলাও, আর দেব-দেবীর পুজা করাত লাগো, অতার খেজমত বা ভজনা করো, তে আমি অখন তুমরারে হুশিয়ারি দিয়ার, তুমরা নিচ্চিত বিনাশ অইযিবায়। ২০ তুমরার মাবুদ আল্লার হুকুম-আহকাম না মানলে, তুমরার ছামনে হউ যেতা জাতি অকলরে তাইন বিনাশ করছইন, তুমরারেও অলা বিনাশ করবা।”