বিয়া-শাদির বেয়াপারে
২৪
১ হজরত মুছায় আরো কইরা, “বিয়ার বাদে যুদি কুনু জামাইয়ে তার বউর মাজে খুত পায়, পাইয়া তাইর উপরে নারাজ অয়, আর তালাক নামা লেখিয়া তাইর আতো দিয়া বিদায় করি দেয়। ২ আর অউ বউয়ে গিয়া যুদি দুছরা জামাইর গেছে বিয়া বয়, ৩ বাদে হউ দুছরা জামাইয়েও তাইরে নাপছন্দ করিয়া যুদি অলা তালাক দিলায়, বা হউ জামাই মরিযায়, ৪ তে তাইর হউ পয়লা জামাইয়ে তাইরে আর বিয়া করতো পারতো নায়, তাই তো এনলাগি নাপাক অইগেছে। ইলাখান বিয়া-শাদিরে মাবুদে ঘিন করইন। তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরারে যে দেশর মালিকানা দিরা, তুমরা ইলা গুনা করিয়া ই দেশরে নাপাক বানাইও না।৫ “নয়া বিয়া করা কুনু বেটারে যুদ্ধত পাঠাইও না, জুর-জবরদস্তি করিয়া তারে কুনু কামর ভার দিও না। হে পুরা এক বছর কাম-কাজ না করিয়া, তার বউর লগে খুশি-বাসি করার সুযোগ দিও।
সমাজো চলার হুকুম-আহকাম
৬ “আওলাতি মালর বন্দক হিসাবে তুমরা কেউরর ঘাইল-ছিয়া, বা খালি ছিয়া বন্দক রাখিও না। ইলা করলে তার জান বাচানির খানি-খুরাকির পথ বন্দ অইযিবো।
৭ “কুনু মানষে যুদি বনি ইছরাইলর আরক ভাইরে চুরি করিয়া নিয়া গুলাম বানাইলায়, বা দুছরা জাগাত বেচিয়া হারি ধরা খায়, তে তারে কাতল করবায়। অউ নমুনায় তুমরার সমাজ থাকি ইলা নাফরমানিরে ফুছিয়া ফালাইবায়।
৮ “কেউরর গতরো পচা-কুষ্ঠ বেমার দেখা দিলে, লেবি খান্দানর ইমাম অকলর পরামিশ মাফিক চলিও। আমি তারারে যেতা হুকুম দিছি, তুমরা খুব খিয়ালি অইয়া ইতা মানিও। ৯ মিসর দেশ থাকি বার অইয়া আইবার পথো, তুমরার মাবুদ আল্লায় আমার বইন মরিয়মর যে দশা ঘটাইছলা, ইতা তুমরা মনো রাখিও।
১০ “তুমার আরি-ফরিরে কুন্তা আওলাত দিলে, তার গেছ থাকি কুনু মাল বন্দক নিবার নিয়তে, তুমি তার ঘরো হামাইও না। ১১ তুমি ঘরর বারে উবাইও, আর যারে আওলাত দিছো, হে তার ঘর থাকি বন্দকি মাল আনিয়া তুমারে দিবো। ১২ আওলাত নেওরা জন গরিব-দুখি অইলে, তার দেওয়া বন্দকি খেতা-কমলি নিয়া তুমি রাইত ঘুমাইও না। ১৩ হাইঞ্জা বালা তুমি তার মাল ফিরাই দিও, অতা উড়িয়া হে রাইত ঘুমাইয়া তুমারে দোয়া দিবো। তেউ তুমার ভালাই অইবো, আর বন্দকি ছামানা ফিরত দেওয়া তো, তুমরার মাবুদ আল্লার নজরো নেকির কাম।
১৪ “তুমরার বনি ইছরাইল সমাজর কুনু ভাইa বা তুমরার দেশো রওরা ভিন জাতির কুনু মানষর গেছে পাওনা থাকলে, আর হে গরিব-দুখি, রুজি কামলা জন অইলে, তার উপরে জুলুম করিও না। ১৫ সুরুজ ডুবার আগে তুমরা তার পাওনা মজুরি দিলাইও, হে তো গরিব মানুষ, অউ মজুরি দিয়াউ তার জিন্দেগি চলে। আরনায় মজুরির লাগি হে মাবুদর দরবারো ফরিয়াদ করলে, তুমরা গুনার ভাগি অইবায়।
১৬ “পুয়া-পুড়ির অপরাধর লাগি তারার মা-বাফরে, বা মা-বাফর অপরাধে পুয়া-পুড়িরে কাতল করা যাইতো নায়। পরতেক জনে নিজর অপরাধর সাজা নিজে পাইবো।
১৭ “কুনু বিদেশি মুছাফির বা এতিমর উপরে না-হক বিচার অইতে দিও না। কুনু ড়াড়ি বেটির ফিন্দিবার কাপড় বন্দক রাখিও না। ১৮ মনো রাখিও, মিসর দেশো তুমরা গুলাম আছলায়, তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরারে হন থাকি আজাদ করি আনছইন। এরলাগি আমি তুমরারে ইতা কাম করার হুকুম দিরাম।
১৯ “তুমরার জমিনর ধান কাটার বাদে, ধানর কুনু মুইট ফাউরিয়া গেলেগি, ইটা আনার লাগি আর ফিরত যাইও না। বিদেশি মুছাফির, এতিম আর ড়াড়ি বেটিন্তর লাগি ইটা দিলাইও, তেউ তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরার হকল কাম-কাজো রহম-বরকত দিবা। ২০ জয়তুন গাছর ফল পাড়িবার কালো একই ডালর ফল দুইবার পাড়িও না। একবার পাড়ার বাদে যেতা রয়, ইতা বিদেশি মুছাফির, এতিম আর ড়াড়ি বেটিন্তর লাগি থইও। ২১ তুমরার আংগুর বাগানর এক লত থাকি দুই বার আংগুর পাড়িও না, একবার পাড়ার বাদে যেতা রয়, ইতা বিদেশি মুছাফির, এতিম আর ড়াড়ি বেটিন্তর লাগি থই দিও। ২২ ফাউরিও না, তুমরা তো আগে মিসর দেশো গুলাম আছলায়। এরলাগি আমি তুমরারে ইতা করার হুকুম দিরাম।”