পয়লা ফসল আর দশ বাটর এক বাট দিবার নিয়ম
২৬
১ “ও বনি ইছরাইল হুনো, তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরারে যে দেশর মালিকানা দিরা, তুমরা যেবলা হউ দেশর দখল পাইয়া হনো বসতি করবায়, ২ অউ সময় তুমরার মাবুদ আল্লার দেওয়া জমিনর হকল জাতর ফসল থাকি, পয়লা পাওয়া ফসলর একটা অংশ এক টুকরিত ভরিয়া আলগাইয়া থইও। আর তুমরার মাবুদ আল্লায় বায়তুল্লা শরিফ হিসাবে যে জাগারে পছন্দ করবা, অউ ফসল লইয়া হনো যাইও। ৩ গিয়া হনো আজির ইমাম ছাবরে কইও, আমরার মাবুদ আল্লায় আমরার ময়-মুরব্বির গেছে কছম খাইয়া যে দেশখান দিবার ওয়াদা করছলা, আমরা অখন অনো আইছি, আইয়া তান ছামনে আজির অইছি। ৪ তেউ ইমাম ছাবে তুমরার আত থাকি ফলর টুকরি নিয়া আল্লা মাবুদর কুরবানি খানার ছামনে থইবা। ৫ বাদে তুমরা পরতেকে তুমরার মাবুদ আল্লার ছামনে উবাইয়া কইও, আমরার খান্দানর মুল মুরব্বি হজরত ইয়াকুব আছলা একজন ইরামী মুছাফির, তাইন থুড়া কয়জন মানষরে লগে লইয়া মিসর দেশো গেছলাগি। গিয়া মিসর দেশো মুছাফির হালতে বসত করার কালো তান উছিলায় তারা এক মহান জাতি, আর বউত বড় বলআলা জাতি বনলা। ৬ বাদে মিসরর মানষে আমরার লগে বজ্জাতি করলা, আমরারে দুখ-কষ্ট দিয়া, আমরারেদি কঠিন গুলামি করাইলো। ৭ আমরা দুখ পাইয়া আমরার ময়-মুরব্বির মাবুদ আল্লার দরবারো কান্দিলাম। তেউ মাবুদে আমরার ফরিয়াদ হুনিয়া, আমরার দুখ-কষ্ট, কঠিন গুলামি, আর আমরার উপরর জুলুমর বায় নজর দিলা। ৮ আর তান বলআলা-মজবুত আত বাড়াইয়া, খুব ডর-খফ দেখাইয়া, কুদরতি লিলা-খেলা দিয়া আর আচানক গজব ঢালিয়া মিসর দেশ থাকি আমরারে বার করি আনলা। ৯ তাইনউ আমরারে অউ দেশো আনছইন, দুধ আর মউর ভান্ডার আলা আরামর অউ দেশ আমরারে দান করছইন। ১০ এরলাগি ও আমরার মাবুদ, তুমার দেওয়া জমিনর ফসলর পয়লা বাট লইয়া আমি তুমার ছামনে আজির অইছি। অখান কইয়া, তুমরার মাবুদ আল্লার ছামনে অউ টুকরি থইও, থইয়া তানরে সইজদা করিও। ১১ তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরারে আর তুমরার পরিবাররে যতো নমুনার ভালাই করছইন, অতা মনো করিয়া তুমরা নিজে, লেবি খান্দানর হকলে, আর তুমরার লগে রওরা বিদেশি মুছাফির অকলে খুশি-বাসি করিও।১২ “পরতি তিন বছর বাদে বাদে তুমরা ফয়-ফসলর দশ বাটর এক বাট লেবি খান্দানর মানষরে, বিদেশি মুছাফির অকলরে, এতিম আর ড়াড়ি বেটিন্তর মাজে বিলাই দিও। তেউ এরা পেট ভরি খাইয়া তুমরার দেশর মাজে আরামে রইবা। এরলাগি ইকটার নাম অইলো দশমাংশর বছর।a ১৩ বাদে তুমরা পরতেকে তুমরার মাবুদ আল্লারে কইও, মাবুদ, আমি তুমার হুকুম মাফিক আমার রুজির পবিত্র বাটরে, আমার ঘর থাকি নিয়া লেবি খান্দানরে, মুছাফির অকলরে, এতিম আর ড়াড়ি বেটিন্তরে বিলাই দিছি। আমি তুমার কুনু হুকুমর খেলাফ করছি না, বা ফাউরিছি না। ১৪ মুর্দার লাগি কান্দা-কাটি আর আহাজারি করার সময় আমি অউ পবিত্র অংশর কুনুতা খাইছি না, বা নাপাক হালতে ইতা বাড়ির বারে নিছি না, আর ইতার কুনু অংশ মুর্দার নামে দান-খয়রাতও করছি না। আমি আমার মাবুদ আল্লার হুকুম মাফিক চলছি, তুমার হুকুম মাফিক হকল কাম করছি। ১৫ অখন, ও মাবুদ, তুমার পবিত্র বসত খানা থাকি, তুমার আরশে-আজিম থাকি তলেদি চাইয়া দেখো, আর তুমার খাছ প্রজা বনি ইছরাইলরে রহম-বরকত দেও। আমরার ময়-মুরব্বির লগে কছম করা ওয়াদা মাফিক, তুমি আমরারে দুধ আর মউর ভান্ডার আলা অউ যে দেশখান দান করছো, এর মাটিত তুমি রহম-বরকত নাজিল করো।
আল্লাই আপোস-চুক্তি
১৬ “তুমরার মাবুদ আল্লায় আইজ তুমরারে অউ হুকুম দিরা, তুমরা তান বাতাইল নিয়ম-কানুন আর হুকুম-আহকাম মানিয়া চলিও। তুমরা দিলে-জানে আশিক বনিয়া ইতা আমল করিও। ১৭ তুমরা তো আইজ স্বীকার করছো, অউ আল্লাউ অইলা তুমরার মাবুদ, তুমরা তান পথে চলবায়, তান হুকুম-আহকাম, তান শরিয়ত আর নিয়ম-কানুন মানবায়, তান কথা হুনবায়। ১৮ এরলাগি মাবুদেও আইজ স্বীকার করছইন, তান ওয়াদা মাফিক তুমরা অখন তান প্রজা, তুমরাউ তান খাছ সম্পদ, তুমরা তান হকল হুকুম-আহকাম আমল করবায়। ১৯ তাইন আরো কইরা, তান পয়দা করা তামাম জাতির উপরে তুমরারে বড় করবা। তুমরার ইজ্জত, সুনাম আর তারিফ, হকল জাতির উপরে রইবো। তান ওয়াদা মাফিক তুমরা অইবায় তুমরার মাবুদ আল্লার নামে এক পবিত্র প্রজা।”