আল্লার বাইধ্যতার লাগি রহমত
২৮
 “ও বনি ইছরাইল, আমি আইজ তুমরারে যেতা হুকুম-আহকাম দিরাম, অতা আমল করার নিয়তে তুমরা যুদি নিজর মাবুদ আল্লার কালামরে খিয়াল করি মানো, তে তুমরার মাবুদ আল্লায় দুনিয়ার হক্কল জাতির উপরে তুমরারে উচা করবা।  তুমরার মাবুদ আল্লার কালাম মানিয়া চললে, তুমরা অউ রহমত পাইবায়, আর অউ রহমত অকল হামেশা তুমরার লগে লগে রইবো,
 
 “তুমরার বসত-বাড়ি আর খেত-খামারর মাজে রহম-বরকত পাইবায়।
 “তান রহমতে তুমরা বউত আওলাদ পাইবায়, জমিনো বউত ফসল ফলিবো, গরু-ছাগলে বউত বাইচ্চা দিবা।
 “তুমার উগারো আর তুমার চাউলর মটকিত বরকত পাইবায়।
 “হকল হালতে হকল কামো তুমি রহম-বরকত পাইবায়।
 
 “দুশমনির নিয়তে যেতায় তুমরার লগে লাগবা, মাবুদে ইতারে তুমরার গেছে আরাইবা। তারা এক দুয়ারেদি তুমরারে মারাত আইলে, সাত দুয়ারেদি বাগিবা।
 “তুমরার উগারর মাজে মাবুদে বরকত দিবা, তুমরা যে কামো আত দিবায়, অউ কামোউ তাইন বরকত দিবা। তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরারে যে দেশ দান কররা, হনো তুমরারে রহম-বরকত দিবা।
 “তুমরা যুদি তুমরার মাবুদ আল্লার হুকুম-আহকাম মানিয়া, তান বাতাইল পথে চলো, তে তাইন কছম খাইয়া যেলা ওয়াদা করছইন, অলা তান নিজর পবিত্র প্রজা হিসাবে তুমরারে কাইম করবা। ১০ আর আস্তা দুনিয়ার হকল জাতিয়ে দেখবা, তুমরাউ অইলায় মাবুদর খাছ মানুষ, দেখিয়া তারা হকলে তুমরারে ডরাইবা।
১১ “তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরার ময়-মুরব্বির গেছে যে দেশ দিবার লাগি কছম খাইছলা, অউ দেশো তাইন তুমরার বউত ভালাই করবা, তুমরারে বউত আওলাদ দিবা, তুমরার পশুর পালাইন্তে বউত বাইচ্চা দিবা, জমিনো বউত ফসল ফলিবো। ১২ তুমরার মাবুদ আল্লায় তান আছমানি রহমতর দুয়ার খুলিয়া দিবা, জরুর মাফিক মেঘ-পানি দিয়া তুমরার আতর হকল কামর মাজে রহম-বরকত দিবা, বউত জাতিরে তুমরা টেকা-পয়সা আওলাত দিবায়, অইলে তুমরা কুনু আওলাত নিবার দরকার অইতো নায়। ১৩ মাবুদে তুমরারে অলা বানাইবা, যাতে তুমরা হকলর মাথার উপরে রও, কেউরর পাওর তলাত না থাকো। তুমরা খালি তুমরার মাবুদ আল্লার অউ হুকুম-আহকাম অকল খুব যতন করিয়া আমল করিও, যেতা আইজ আমি তুমরারে কইয়ার, তেউ তুমরা হকলর উপরে রইবায়, তলে পড়তায় নায়। ১৪ আর আইজ আমি তুমরারে যেতা হুকুম দিয়ার, আমার অউ তালিম থাকি তুমরা ডাইনে-বাউয়ে হরিও না। কুনু দেব-দেবীর খরেদি দৌড়াইয়া ইতার পুজা করাত লাগিও না।
নাফরমানির লাগি লান্নত
১৫ “অইলে তুমরা যুদি তুমরার মাবুদ আল্লার হুকুম না মানো, তান যেতা হুকুম-আহকাম আর নিয়ম-কানুন আইজ আমি জানাইছি, তুমরা খুব খিয়ালি অইয়া ইতা না মানলে, তুমরার উপরে অউ লান্নত অকল পড়বো, ইতা হামেশা তুমরার লগে লগে রইবো:
 
১৬ “তুমরার বসত-বাড়ি, খেত-খামার হকল জাগাত লান্নত পড়বো।
১৭ “তুমরার উগারো আর চাউলর মটকিত লান্নত পড়বো।
১৮ “তুমরার হুরুতা কম জন্মিবা, জমিনো ফয়-ফসল কমিযিবো, গরু-ছাগলে বাইচ্চা কম দিবা, অউ নমুনায় তুমরার উপরে লান্নত পড়বো।
১৯ “ঘরো বা বাইরা হকল খানো তুমরা পরতি দিন লান্নত পাইবায়।
 
২০ “নাফরমানি কাম করিয়া মাবুদর গেছ থাকি হরি যাওয়ায়, তুমরার হকল কাম-কাজর মাজে তাইন লান্নত দিবা। বালা-মছিবতো পড়িয়া, আল্লাই গজবর জাতায়, তুমরা এক্কেরে বিনাশ অওয়ার আগ পর্যন্ত, আস্তে আস্তে খালি ক্ষয় অইবায়। ২১ তুমরা যে দেশর দখলদারি পাইরায়, মাবুদে হনো তুমরার উপরে বেমার ছাড়িবা, বেমারে তুমরা মরতে মরতে হউ দেশো থাকি বিনাশ অইবায়। ২২ মাবুদে তুমরার শরিলো নষ্ট অওয়া বেমার, বাক্কা তাপ আর জ্বলা-পুড়া, অতা বেমারদি তুমরার উপরে গজব দিবা। আর মরকি, হুকনা গরম বাতাস, ফসলর হুনা-কানি হুকাই যাওয়ার বেমার আর পাতা মরা, অতা গজব অকল তুমরার জমিনো দিবা। তুমরা মরিয়া ফুড়ানির আগ পর্যন্ত ই গজব তুমরার খরে খরে রইবো। ২৩ তুমরার মাথার উপরর আছমান অইবো পিতলর লাখান শক্ত, আর পাওর তলর জমিন অইবো লুয়ার লাখান কঠিন। ২৪ মাবুদে মেঘর বদলা তুমরার দেশো আছমান থাকি ধুইল ছাড়িবা, তুমরা বিনাশ অওয়ার আগ পর্যন্ত ইতা হামেশা পড়াত রইবো।
২৫ “মাবুদে তুমরার দুশমন অকলর মুকাবিলাত তুমরারে আরাইবা, এরারে এক পথেদি মারাত গেলে সাত পথেদি বাগিবায়। তুমরার দশা দেখিয়া জগতর হকল জাতিয়ে ডরাইয়া কাপিবা। ২৬ তুমরার লাশ অইবো পশু-পাখিন্তর খুরাক। ইতারে খেদানির লাগি কেউ রইতো নায়। ২৭ মাবুদে হউ মিসরী অকলর লাখান তুমরার গতরো গজবি বিষ-ফুরি, টিউমার, ফুট-খাউজলি বেমার দিবা, ইতা থাকি কেউ তুমরারে শিফা করার খেমতা নাই। ২৮ তাইন তুমরারে পাগল, আন্দা আর বেদিশা বানাইবা। ২৯ আন্দায় যেলা আন্দারির মাজে আতাই আতাই আটে, তুমরা দিনর বালা অলা আটিবায়, তুমরার কুনু কামউ কামিয়াব অইতো নায়। তুমরার উপরে হামেশা জুলুম আর লুট-তরাজ চলবো, ইতা থাকি বাচানির লাগি কেউ আইতো নায়।
৩০ “শাদি করার লাগি যে কইনার লগে তুমার আখত অইবো, আরক বেটায় আইয়া অউ কইনার ইজ্জত লুটিবো। তুমি ঘর বানাইবায়, অইলে ঘরো বসত করতায় পারতায় নায়। আংগুরর বাগান করিয়া, ফল খাওয়া কপালো জুটতো নায়। ৩১ তুমরার চখুর ছামনে তুমরার গরু জবো করা অইবো, অইলে এক টুকরা গোস্তও তুমরার পেটো যাইতো নায়। তুমরার গাধারে তুমরার আত থাকি কাড়িয়া নেওয়া অইবো, ইতা আর ফিরত পাইতায় নায়। তুমরার মেড়া-ছাগল তুমরার দুশমনর আতো যাইবো, অতা বিপদ থাকি বাচানির লাগি কেউ আগুয়াই আইতো নায়। ৩২ তুমরার পুয়া-পুড়িন দুছরা জাতির আতো আটক অইবা, তারার আশায় বার চাইতে চাইতে তুমরার চখুর জুতি নষ্ট অইবো, অইলে কুন্তা করার সুযোগ অইতো নায়। ৩৩ তুমরার অচিনা ভিন জাতিয়ে তুমরার খেতর ফয়-ফসল, আর তুমরার মেনতর হকল মজুরি লুটিয়া নিবোগি, তুমরা হারা জিন্দেগি খালি জুলুম-মছিবত পাইবায় আর চুরমার অইবায়। ৩৪ তুমরার চউখে ই লাখান আরো যেতা দেখবায়, দেখিয়া মাথা খারাপ অইবো। ৩৫ মাবুদে তুমরার উরাতো আর আটুত শুরু করিয়া, পাওর তলা থাকি মাথার তালু পর্যন্ত আস্তা গতরো বিষ-ফুরি দিবা, ইতার কুনু শিফা নাই।
৩৬ “তুমরার উপরে বাদশাই করার লাগি তুমরা যারে গদিত বওয়াইবায়, মাবুদে হউ বাদশা আর তুমরারে বন্দি করাইয়া অমন এক জাতির আতো ফালাইবা, যেতার নামউ তুমরা হুনছো না, তুমরার ময়-মুরব্বিয়েও হুনছইন না। হনো গিয়া তুমরা পাথর আর লাকড়িদি বানাইল মুর্তির পুজা করবায়। ৩৭ মাবুদে তুমরারে যেতা জাতির মাজে খেদাই দিবা, হতায় তুমরারে দেখিয়া চমকিযিবা, তুমরার দশা চিড় আর টাট্টা-মশকরার বিষয় অইবো।
৩৮ “তুমরা খেত করবায় বউত, অইলে ফসল পাইবায় থুড়া, কারন পংগপালে খাইলিবা। ৩৯ তুমরা আংগুরর বাগান করিয়া জায়-যতন করবায়, অইলে কিড়া আর পুকে বাগান খাইলিবো, এরলাগি তুমরা আংগুরও পাইতায় নায়, এর শরবতও খাইতায় পারতায় নায়। ৪০ তুমরার হারা দেশ জয়তুন গাছে ভরা রইলেও, জয়তুন ফল জরিয়া পড়িযিবো, এরলাগি তুমরার শরিলো তেল মাখা অইতো নায়। ৪১ তুমরার যতো আওলাদ অইবা, ইতা তুমরার গেছে রইতা নায়, ইতারে বন্দি করি নেওয়া অইবো। ৪২ গজবি মউয়া-পুকর পাল আইয়া তুমরার গাছ-গাছালি আর ফসল খাইলিবা।
৪৩ “তুমরার মাজে বসত কররা ভিন জাতির মানুষ অকল আস্তে আস্তে উপরেদি উঠবা, আর তুমরা তলেদি লামবায়। ৪৪ তারা তুমরারে টেকা-পয়সা আওলাত দিবা, তুমরা তারারে আওলাত দিবার সাইধ্য অইতো নায়। তারা রইবা তুমরার মাথার উপরে, তুমরা রইবায় তারার পাওর তলাত।
৪৫ “অউ তামাম লান্নত তুমরার উপরে পড়বো। তুমরার মাবুদ আল্লার খুশি মাফিক না চলায়, তান হুকুম-আহকাম আর নিয়ম-কানুন না মানায় অউ লান্নত অকল তুমরার লগে লাগাইল রইবো। ইতায় তুমরারে জাতিয়া ধরিয়া বিনাশ করিলাইবো। ৪৬ অউ লান্নত অকল তুমরা আর তুমরার আওলাদর উপরে, যুগ যুগ ধরি কুদরতি হুশিয়ারি হিসাবে রইবো। ৪৭ তুমরা নিজর সুদিনর কালো মনর খুশিয়ে আশিক বনিয়া নিজর মাবুদ আল্লার গুলামি করছো না, ৪৮ এরলাগি মাবুদে তুমরার খরেদি দুশমন লাগাইবা, তুমরা পেটর ভুকে, পানির পিয়াছে, অভাব-অনটনে হকির বনিয়া তারার গুলামি করবায়। মাবুদে তুমরার কান্দো লুয়ার জুয়াল ফিন্দাইবা, অউ জুয়ালির তলে তুমরার বিনাশ অইবো।
৪৯ “মাবুদে বউত দুরই থাকি, জগতর হেশ সীমানা থাকি, অলা এক জাতিরে চিলর নমুনায় উড়াইয়া আনবা, যেতার মুখর বুলি তুমরা বুজতায় নায়। ৫০ ইতার গঠন অইবো বদছুরত, ইতায় কুনু বুড়া-বুড়িরে ইজ্জত দিতা নায়, আর হুরুতারেও মায়া করতা নায়। ৫১ তারা তুমরার পশুর বাইচ্চা আর খেতর ফসল খাইলিবা, হেশ-মেশ তুমরা বিনাশ অইবায়। তারা কুনুজাত ফসল, নয়া কুনু আংগুরর শরবত, তেল, গরু-ছাগলর বাইচ্চা, কুন্তাউ তুমরার লাগি থইতা নায়, হেশ-মেশ তুমরা বিনাশ অইযিবায়। ৫২ তারা তুমরার টাউন অকল বেরিয়া রাখবা, আর তুমরা যেতার উপরে ভরসা কররায়, তুমরার হউ উচা উচা মজবুত বাউন্ডরির ওয়াল অকল হেশ-মেশ ভাংগিয়া পড়িযিবো। তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরারে যে দেশর দখলদারি দিরা, হউ দেশর হক্কল গাউ আর টাউন তারা বেরিলিবা।
৫৩ “আর দুশমনে বেরিয়া রাখার কালো তুমরা অতো বড় মছিবতো পড়বায়, এরলাগি তুমরার নিজর পুয়া-পুড়িরে খাইলিবায়, তুমরার মাবুদ আল্লার দেওয়া আওলাদর গোস্ত নিজে খাইবায়। ৫৪ হউ সময় তুমরার মাজে যেরা ভালা মানুষ, যেরা সুখে আর আরাম-আয়েশে আছে, তারার মন-মিজাজও অলাখান অইযিবো, তারা আপন ভাইরে, নিজর বউরে আর বাকি পুয়া-পুড়িরে কুনু দয়া-মায়া করতো নায়। ৫৫ হে তার যে আওলাদর গোস্ত খাইবো, ইতার একখান টুকরাও তারারে দিতো নায়। কারন দুশমনে যেবলা তুমরার টাউন অকল বেরিয়া রাখবা, অউ সময় তুমরার পেটর ভুক মিটানির লাগি নিজর হুরুতার গোস্ত ছাড়া আর কুনুতাও মিলতো নায়। ৫৬ তুমরার মাজর খুব নরম দিলর যে বেটি মানুষ আছে, যে বেটিয়ে সুখিলা জিন্দেগির দায় কুনুদিন মাটিত পাও ফালাইছে না, হউ বেটিয়েও তাইর জানর টুকরা জামাই বা আওলাদর বায় কুনু দয়া-মায়া করতো নায়। ৫৭ দুশমনে তুমরারে বেরিয়া রাখায় পেটর ভুকর জালায় আওলাদর জনম দেয়ার লগে লগে, অউ মাʼয় নিজর আওলাদর গোস্ত, আর পেটো থাকি বার অইল পুয়াতি-ফুল পর্যন্ত নিজে নিজে লুকাইয়া খাইলিবো।
৫৮ “অউ কিতাবর মাজে শরিয়তর যতো হুকুম-আহকাম লেখা আছে, ইতা যুদি তুমরা খুব খিয়াল করিয়া আমল না করো, তুমরার মাবুদ আল্লার মহিমা আর ডর-খফ আলা নামর ইজ্জত না করো, ৫৯ তে মাবুদে তুমরা আর তুমরার আওলাদ অকলরে বেজুইতা বেমার দিবা, অউ বেমারে তুমরা লাম্বা সময় ভোগান্তি করবায়। ৬০ মিসরো থাকতে বেজুইতা যতো বেমার-আজার দেখিয়া তুমরা কাপিতায়, হউ বেমার-আজার অখন তুমরার উপরে দিবা, ইতায় তুমরার পিছ ছাড়তো নায়। ৬১ আর অউ তৌরাত কিতাবো যেতা বেমারর নাম লেখা নাই, অলা কঠিন গজবি আরো বউত বেমার-আজার মাবুদে তুমরার উপরে ছাড়িবা, তুমরা বিনাশ অওয়ার আগ পর্যন্ত ইতা চালু রইবো। ৬২ তুমরা নিজর মাবুদ আল্লার হুকুম না মানায়, তুমরার মানষর পরিমান অখন আছমানর তেরার লাখান বউত বেশি অইলেও, ইতা মরিয়া খুব থুড়া বাচিয়া রইবা। ৬৩ মাবুদে খুশি অইয়া তুমরারে যেলা আয়-উন্নতি দিয়া বাড়াইছলা, তুমরার মানষর পরিমান বড় করছলা, হউ লাখান খুশি করিয়া অখন হিরবার তুমরারে বিনাশ করিয়া নিপাত করবা। তুমরা অখন যে দেশর দখলদারি পাইরায়, হউ দেশ থাকি তুমরারে কাড়িয়া নেওয়া অইবো।
৬৪ “বাদে জগতর এক কিনারা থাকি আরক কিনারা পর্যন্ত, হকল জাতির মাজে তুমরারে ছিতরাই দিবা। হনো রইয়া তুমরা আর তুমরার ময়-মুরব্বির অচিনা দেব-দেবীর সেবা করবায়, লাকড়ি আর পাথরর মুর্তিরে পুজা দিবায়। ৬৫ হউ জাতি অকলর লগে রইয়া তুমরার শান্তি মিলতো নায়, তুমরার আরামর লাগি কুনু জাগা রইতো নায়। হনো মাবুদে তুমরার মনর মাজে হায়-হুতাশ বাড়াইবা, তুমরার চখুর হকল আশা-ভরসা, আর দিলর শখরে তাইন নিরাশ, নিস্তেজ করবা। ৬৬ কিতা ঘটিবো বা না ঘটিবো অতা চিন্তায় তুমরার দিন গুজরিবো, দিন-রাইত হামেশা খালি জানর ডর-ভয়ে অশান্তিত রইবায়, বাচিয়া রওয়ার কুনু নিচ্চয়তা পাইতায় নায়। ৬৭ তুমরা মনর ডরে, জানর মাইরে, চউখে কুনু কুল-কিনার না দেখিয়া খালি হায় হায় করবায়। বিয়ান অইলে কইবায় জলদি রাইত অউক, আর রাইত অইলে কইবায় জলদি দিন অউক। ৬৮ হউ যে মিসর দেশর বেয়াপারে আমি কইছলাম, তুমরা হিনো আর যাওয়া অইতো নায়। অইলে হউ গজবর সময় মাবুদে তুমরারে জাজো করি হিরবার মিসর দেশো নেওয়াইবা, নিয়া হারলে তুমরা গুলামি করার লাগি হনো বিকি খাইতায় চাইবায়, অইলে কেউ তুমরারে কিনতো নায়।”