অবশ বেমারিরে শিফা করা
৯
১ বাদে হজরত ইছা নাওয়ো করি আওর পাড়ি দিয়া নিজর টাউনো আইলা।
২ আইয়া হারলে কয়জন মানষে একজন অবশ বেমারিরে পলোদি বইয়া লইয়া তান গেছে আইলো।
তারার ইমানর বল দেখিয়া ইছায় অউ বেমারিরে কইলা,
“মনো বল রাখোরে পুত,
তুমার গুনা মাফ করা অইছে।”
৩ ইখান হুনিয়া কয়জন মৌলানায় মনে মনে কইলা,
“ই বেটায় তো শিরিকি করের।”
৪ ইছায় তারার দিলর ভাব বুজিয়া কইলা,
“আপনারা কেনে ইলা কু-চিন্তা কররা?
৫ আমার লাগি কুনখান কওয়া সুজা,
তুমার গুনা মাফ করি দিলাইলাম,
না উঠো,
তুমার বিছনা লইয়া বাড়িত যাওগি?
৬ তে অখন আপনারা পরমান দেখউক্কা,
ই দুনিয়াত গুনা মাফির খেমতা আমি বিন-আদমর আছে।”
অখান কইয়াউ তাইন বেমারি বেটারে কইলা,
“ওবা উঠো,
তুমার খেতা-বালিশ লইয়া বাড়িত যাওগি।”
৭ কইতেউ হি বেমারি বেটা উঠিয়া তার বাড়িত গেলোগি।
৮ ইতা দেখিয়া মানুষ তাইজ্জুব অইগেলা,
আল্লায় মানষরে অতো খেমতা দিছইন করি তারা আল্লার তারিফ করলা।
হজরত মথিরে তরিকার দাওত
৯ ইছায় পথেদি আটিয়া যাইরা,
অউ সময় দেখলা,
মথি নামর একজন মানুষ খাজনা তুলার অফিসো বইরইছইন।
দেখিয়া তানরে কইলা,
“আও,
আমার উম্মত অও।”
তেউ মথি উঠিয়া ইছার খরে খরে গেলা।
১০ এরবাদে ইছায় তান সাগরিদ অকলরে লইয়া মথির বাড়িত গিয়া খাওয়াত বইলা।
তান লগে বউত খাজনা তুলরা আর নাফরমান অকলও খানিত আছলা।
১১ ইতা দেখিয়া ফরিশি মজহবর মানষে ইছার সাগরিদ অকলরে কইলা,
“তুমরার মুরশিদে ঘুষখুর খাজনা তুলরা আর খবিছ অকলর লগে খাওয়া-দাওয়া করইন কেনে?”
১২ ইখান হুনিয়া ইছায় কইলা,
“ভালা মানষর লাগি কবিরাজ লাগে না,
অইলে বেমারির লাগি তো লাগে।
১৩ আল্লার কালামো বাতাইল অইছে,
‘আমি কুনু পশু কুরবানি নায়,
খালি দয়া দেখতাম চাই।’
তে অউ আয়াতর মানি কিতা,
অখান তালাশ করউক্কা।
মনো রাখবা,
আমি কুনু পরেজগাররে দাওত দেওয়াত আইছি না,
খালি গুনাগার অকলরেউ দাওত দিতাম আইছি।”
পুরান তালিম থাকি হজরত ইছার তালিম ভালা
১৪ এরবাদে এহিয়া নবীর উম্মত অকলে আইয়া ইছারে জিকাইলা,
“হুজুর,
আমরা আর ফরিশি মজহবর মানষে হামেশা রোজা রাখি,
অইলে আপনার উম্মত অকলে রোজা রাখইন না কেনে?”
১৫ তাইন জুয়াপ দিলা,
“নশা লগে থাকলে লগর বৈরাতিরে কুনু দুখ দেওয়া যায় নি?
দেখবানে,
ইলা সময় আইবো,
যেবলা নশারে তারার গেছ থাকি হরাইল অইযিবো,
হউ সময় তারা রোজা রাখবা।
১৬ “আনা-ধোয়া নয়া কাপড়র টুকরাদি কেউ পুরান কোর্তাত তালি দেয় না।
ইলা করলে ধইয়া হারলে পুরান কাপড় থাকি নয়া তালি খুছ অইয়া ছিড়িযায়,
আর ছিড়াখান আরো বড় অয়।
১৭ পুরান চামড়ার থলিত কেউ নয়া আংগুরর রস ভরে না।
ভরলে অউ তাজা রসর ফাফে থলি ফাটিয়া রস আর থলি দুইওতা বরবাদ অয়।
এরলাগি মানষে তাজা রস নয়া থলিত থইন।
তেউ দুইওতা বাচে।”
এক মরা পুড়ি আর বেমারি বেটি
১৮ হজরত ইছায় যেবলা অতা বেয়াপারে তালিম দিরা,
অউ সময় এক নেতা আইয়া তান পাওয়ো পড়িয়া কইলা,
“হুজুর,
আমার পুড়িগু অউ মাত্র মারা গেছে।
তে আপনে আইয়া মেহেরবানি করি তাইরে আতাই দিলেউ পুড়িগু জিন্দা অইযিবো।”
১৯ তেউ ইছায় তান সাগরিদ অকলরে লইয়া এন লগে রওয়ানা দিলা।
২০ যাওয়ার পথে এক বেটিয়ে খরেদি আইয়া ইছার চাদ্দরর কুনাত ছইলো।
বারো বছর ধরি ই বেটির বেটিয়ারা বেমারর লউ যাইতো।
২১ বেটির একিন আছিল,
তাই যুদি খালি তান চাদ্দরর কুনাত ছইলিতো পারে,
তে বেমার ভালা অইযিবো।
২২ ইছায় টের পাইয়া খরেদি চাইয়া অউ বেটিরে কইলা,
“ডরাইও না গো মাই,
তুমার ইমানর বলেউ তুমি ভালা অইলায়।”
অখান কওয়ার লগে লগে বেটি ভালা অইগেল।
২৩ এরবাদে ইছা হউ নেতার বাড়িত গেলা।
গিয়া দেখলা,
আস্তা বাড়ির মানষে হৈ-হুল্লা কররা,
আর তারার সমাজর রেওয়াজ মাফিক মরা বাড়িত বাশি-বাজনা বাজাইরা।
২৪ তাইন কইলা,
“তুমরা হকল ঘর থাকি বারে যাও।
পুড়িগু মরছে না,
তাই তো ঘুমার।”
ইখান হুনিয়া মানষে তানরে লইয়া আসা-আসি লাগাইলা।
২৫ মানষরে বার করিয়া হারলে,
তাইন গিয়া ঘরর ভিতরে হামাইয়া পুড়ির আতো ধরলা,
ধরতেউ তাই উঠিয়া বইগেল।
২৬ আর ই ঘটনার কথা অউ এলাকার হকল বায় রটি গেলো।
আন্দা আর বোবারে ভালা করা
২৭ ইছা অউ নেতার বাড়ি থাকি বিদায় অইয়া হারলে দুইজন আন্দা বেটা তান খরে খরে গেলো।
তারা জুরে জুরে কইলো,
“ও দাউদর আওলাদ,
আমরারে রহম করউক্কা।”
২৮ বাদে তাইন আইয়া ঘরো হামাইলে,
হউ দুইও আন্দাও তান গেছে আইলো।
তাইন জিকাইলা,
“তুমরা একিন কররায় নি,
আমি তুমরারে ভালা করতাম পারমু?”
তারা কইলো,
“জিঅয় হুজুর,
আপনেউ পারবা।”
২৯ তেউ তাইন এরার চউখ আতাই দিয়া কইলা,
“তুমরা যেলা একিন করছো,
অলাউ অউক।”
৩০ অখান কইতেউ তারার চউখ ভালা অইগেল।
বাদে ইছায় তারারে খুব দড়াইয়া কইলা,
“হুনো,
ইতা কেউররে হুনাইও না।”
৩১ অইলে তারা বার অইয়া গিয়া আশ-পাশ হকল জাগাত তান ই খবর রটাই দিলো।
৩২ হউ দুইও আন্দা যেবলা ভালা অইয়া যাইরাগি,
অউ সময় মানষে ভুতে ধরা এক বোবা বেটারে ইছার গেছে লইয়া আইলো।
৩৩ তাইন ই বেটার ভুত ছাড়ানির বাদে তার জবান খুলিগেল,
হে মাত-কথা মাতিলো।
ইতা দেখিয়া হকলে তাইজ্জুব অইয়া কইলা,
“আস্তা ইছরাইল দেশর মাজে ইলা কাম তো কুনুদিন দেখছি না।”
৩৪ অইলে ফরিশি অকলে কইলা,
“ইগিয়ে তো ভুতর বাদশার সাইয্যয় ভুত ছাড়ায়।”
জমিনো ফসল বউত, কামলা কম
৩৫ হজরত ইছায় গাউয়ে গাউয়ে আর টাউনে টাউনে গিয়া তারার মছিদো হামাইয়া তালিম দিলা।
তাইন বেহেস্তি বাদশাইর খুশ-খবরি তবলিগ করলা,
আর হকল নমুনার বেমারিরে ভালা করলা।
৩৬ অউ সময় মানষর ভিড় দেখিয়া তান খুব দুখ লাগলো,
ইতা মানুষ তো আ-রাখালি মেড়ার লাখান বে-ফানা লাগি ঘুরিরা।
৩৭ তেউ ইছায় সাগরিদ অকলরে কইলা,
“জমিনো তো ফসল বউত আছে,
অইলে কামলা খুব কম।
৩৮ এরলাগি জমিনর মালিকর গেছে দোয়া করো,
তান ফসল তুলার লাগি তাইন কামলা পাঠাইবা।”