হজরত ইছার দশ কেরামতি (৮:১-৯:৩৮)
পচা-কুষ্ঠ বেমারিরে ভালা করা
৮
১ হজরত ইছা পাড় থাকি লামিয়া আইলে বউত মানুষ তান খরে খরে আইলা।
২ অউ সময় এক পচা-কুষ্ঠ বেমারিয়ে তান কান্দাত আইয়া পাওত পড়িয়া কইলো,
“হুজুর,
আপনার মর্জি অইলে আমারে অউ নাপাক বেমার থাকি ভালা করতা পারইন।”
৩ তেউ তাইন আত বাড়াইয়া তারে ছইয়া কইলা,
“অয় আমি চাইরাম,
তুমি পাক-ছাফ অও।”
কওয়ার লগে লগেউ তার বেমার শিফা অইগেল।
৪ ইছায় তারে কইলা,
“হুনো,
ইতা কেউররে হুনাইও না,
খালি ইমাম ছাবর গেছে গিয়া দেখাও।
মুছা নবীর শরিয়ত মাফিক পাক-ছাফ অওয়ার লাগি যেলা কুরবানি করা জরুর,
অউ কুরবানি দিলেউ সমাজে জানিলিবা তুমি ভালা অইগেছো।”
রোমান ছুবেদারর গুলামরে ভালা করা
৫ এরবাদে ইছা গিয়া কফরনাউম টাউনো হামাইলা।
হিনো রোমান সিপাইর এক ছুবেদারে তান গেছে আইয়া মিনত-কাজ্জি লাগাইলা,
৬ “হুজুর,
আমার গুলামর অবশ বেমার অইয়া বিছনাত পড়ি রইছে,
হে খুব কষ্ট করের।”
৭ ইছায় এনরে কইলা,
“আইচ্ছা,
আমি যাইমুনে,
গিয়া তারে ভালা করমু।”
৮ তেউ ছুবেদারে কইলা,
“হুজুর,
আপনার মতো জনে আমার বাড়িত তশরিফ নিতা,
আমি তো এর লাখ নায়।
আপনে খালি মুখ-খানদি কইলেউ হে ভালা অইযিবো।
৯ আপনে তো বুজরা,
আমিও আমার কামান্ডারর হুকুমে চলি,
অউলা আমার সিপাই অকলও আমার হুকুমে চলইন।
আমি এরা একজনরে আও কইলে আয়,
যাও কইলে যায়।
আমার গুলামরে যুদি কই,
অখান করো,
হে ইখান করে,
তে আপনেও অলা মুখদি হুকুম দিলেউ হে ভালা অইযিবো।”
১০ ইখান হুনিয়া ইছা এক্কেরে তাইজ্জুব অইগেলা,
তান খরে অইয়া যতো মানুষ আওয়াত আছিল,
এরারে কইলা,
“আমি তুমরারে হাছাউ কইরাম,
ই ছুবেদার তো বিধর্মী রোমান মানুষ,
অইলে আমার বনি ইছরাইলর মাজেও অতো বড় মজবুত ইমানদার আমি আর দেখছি না।
১১ হুনো,
পুব আর পইচমর দেশ থাকি বউত জন আইবা,
তারা হজরত ইব্রাহিম,
ইছহাক আর ইয়াকুব নবীর লগে বেহেস্তি বাদশাইত খানিত বইবা।
১২ অইলে বেহেস্তি বাদশাইত যারা থাকার কথা,
তারারে বারে আন্দাইর গাতো ফালাই দেওয়া অইবো।
হিনো তারা কান্দা-কাটি করবা আর জালা-যন্ত্রনায় দাত কিড়িমিড়ি খাইবা।”
১৩ বাদে ইছায় অউ ছুবেদাররে কইলা,
“তুমি যাওগি।
তুমি যেলা একিন করছো,
অলাউ অউক।”
হাছাউ,
লগে লগেউ হউ গুলাম ভালা অইগেল।
হজরত পিতরর হড়ির শিফা
১৪ এরবাদে হজরত ইছা হজরত পিতরর বাড়িত গেলা,
গিয়া দেখলা,
পিতরর হড়ির খুব তাপ উঠছে,
তাইন বিছনাত পড়নো।
১৫ তানে দেখিয়া ইছায় তান আতো ছইলা,
আর লগে লগে তাপ ছাড়ি দিলো।
বেটিয়ে উঠিয়া ইছার মেহমানদারিত লাগলা।
১৬ অউ দিন হাইঞ্জা বালা মানষে জিনর আছর আলা বউত জনরে ইছার গেছে লইয়া আইলা।
ইছায় তান মুখর কথায়উ এরার জিন ছাড়াইলা,
আর হক্কল বেমারিরে ভালা করলা।
১৭ ইতা ঘটলো,
যাতে ইশায়া নবীর মাজদি বউত আগে যেতা বাতাইল অইছিল,
অতা অখন পুরা অয়।
হনো বাতাইল অইছিল,
আমরার হকল কমজুরি তান কান্দো নিলা,
আমরার বেমার-আজার হরাইলা।
খাটি উম্মত অওয়ার তাগিদ
১৮ ইছার চাইরো গালাবায় ভিড় লাগি গেছে দেখিয়া,
তান সাগরিদ অকলরে হুকুম দিলা আওরর হপারো যাইতাগি।
১৯ অউ সময় একজন মৌলানা আইয়া ইছারে কইলা,
“হুজুর,
আপনে যেনো যাইবা,
আমিও হনো যাইমু।”
২০ ইছায় এনরে কইলা,
“হুনউক্কা,
হিয়ালর গাত আছে,
পাখিরও বাদা আছে,
অইলে আমি বিন-আদমর মাথা থওয়ার ঠাই নাই।”
২১ আরক জন সাগরিদে আইয়া কইলা,
“হুজুর,
আমারে বাড়িত যাইতে দেউক্কা,
আমি পয়লা গিয়া আমার বাবার দাফন-কাফন করিয়া আই।”
২২ তাইন কইলা,
“মরা অকলেউ তারার মরারে মাটি দেউক,
তুমি আমার লগে চলো।”
আওরর তুফান বন্দ করা
২৩ ইছা আওরর হপারো যাইতা করি,
তান সাগরিদ অকলরে লইয়া এক নাওয়ো উঠলা।
২৪ ইছা নাওর মাজে ঘুমাইরা,
অউ সময় আখতাউ আওরর মাজে বড় এক তুফান আইলো,
তুফানে নাও খান বুড়িযিবার দশা অইগেল।
২৫ ই দশা দেখিয়া সাগরিদ অকলে ইছারে হজাগ করি কইলা,
“হুজুর,
আমরারে বাচাউক্কা,
আমরানু মরি যাইরাম।”
২৬ ইছায় জুয়াপ দিলা,
“ও কমজুর ইমানদার অকল,
তুমরা ডরাইরায় কেনে?”
অখান কইয়া তাইন উঠিয়া তুফান আর আওররে ধমক দিলা,
তেউ হক্কলতা থির অইগেল।
২৭ ই কেরামতি দেখিয়া তারা তাইজ্জুব অইয়া কইলা,
“এইন আসলে কে?
তুফান আর আওরেও দেখি তান হুকুম মানে!”
ভুতে ধরা দুইজন মানুষ
২৮ এরবাদে ইছা আওর পাড়ি দিয়া জেরাসিনি অকলর দেশো আইলা।
অউ সময় ভুতে ধরা দুইজন মানুষ কবরস্থান থাকি বার অইয়া তান গেছে আইলো।
তারা অলা জনুন পাগল আছলা যেন,
তারারে ডরাইয়া কেউ অউ পথেদি যাইতো পারতো না।
২৯ তারা চিল্লাইয়া ইছারে কইলো,
“ও আল্লার খাছ মায়ার জন ইবনুল্লা,
আমরার লগে আপনার কিতা দরকার?
সময় অওয়ার আগেউ আপনে আমরারে ছাতানিত আইচ্ছইন নি?”
৩০ অউ সময় তারার গেছ থাকি থুড়া দুরই বড় এক শুয়রর পালে খাওয়াত আছলা।
৩১ ভুত অকলে ইছারে মিনত করি কইলো,
“আপনে আমরারে খেদাইতে চাইলে,
অউ শুয়রর পালর মাজে পাঠাই দেউক্কা।”
৩২ ইছায় তারারে ইজাজত দিয়া হারলে তারা গিয়া অউ শুয়রর পালর মাজে হামাইগেল।
আর শুয়রর পালে আওরর খাড়া চরেদি খুব জুরে দৌড়াইয়া গিয়া পানির মাজে বুড়িয়া মরলা।