বারোজন সাহাবিরে পছন্দ আর তালিম (১০:১-৪২)
বারোজন সাহাবিরে তবলিগো পাঠানি
১০
 বাদে ইছায় তান বারোজন সাহাবিরে ডাকাইয়া আনলা,
আনিয়া জিন-ভুত ছাড়ানি,
আর হকল জাতর বেমারিরে ভালা করার খেমতা দিলা।
 অউ বারোজন সাহাবি অইলা,
 
সাইমন উরফে পিতর আর তান ভাই আন্দ্রিয়াছ,
জিবুদিয়ার পুয়াইন ইয়াকুব আর হান্নান,
ফিলিফ আর বর্থলময়,
 থুমাছ আর খাজনা তুলরা মথি,
আলফির পুয়া ইয়াকুব আর থদ্দেয়,
 মুক্তিযুদ্ধা সাইমন আর ইহুদা ইস্কারিয়াত।
অউ ইহুদায় বাদে বেইমানি করিয়া ইছারে দুশমনর আতো ধরাই দিছিল।
 
 অউ বারোজন সাহাবিরে ইছায় হুকুম দিলা,
কইলা,
“তুমিতাইন তবলিগো যাও,
অইলে কুনু বিধর্মীর গেছে বা শমরিয়া জাতির কুনু গাউত যাইও না,
 খালি বনি ইছরাইলর আরাইল মেড়া অকলর গেছে যাও।
 যাওয়ার পথে তবলিগ করি করি যাইও,
কইও,
বেহেস্তি বাদশাই ধারো আইচ্ছে।
 আর তুমরা বেমারি অকলরে ভালা করিও,
মরারে জিন্দা করিও,
পচা-কুষ্ঠ বেমারিরে ভালা করিও,
আর জিন-ভুত ছাড়াইও।
তুমরা যেলা বিনা টেকায় পাইছো,
অউলা বিনা টেকায়উ দিও।
 যাওয়ার সময় লগে করি টেকা-পয়সার থলি,
সোনা-রুপা বা একটা সিকিও নিও না।
১০ তুমরা পথর লাগি লাঠি,
গাইট-বুছকি,
জুতা,
বা দুইটা কোর্তাও লগে নিও না।
যে জনে কাম করে,
হে খাওয়া-ফিন্দা পাওয়ার জুকা।
১১ তুমরা যে গাউত হামাইবায়,
অউ গাউর একজন যোইগ্য মানষরে তুকাইয়া বার করিও,
ই গাউ ছাড়িয়া যাওয়ার আগ পর্যন্ত এন বাড়িতউ রইও।
১২ বাড়ির ভিতরে হামানির বালা তারারে ছালাম দিও।
১৩ ই বাড়ি যুদি ছালাম পাওয়ার জুকা অয়,
তে তুমরার দেওয়া অউ শান্তি তারা পাইবা,
আর জুকা না অইলে তুমরার শান্তি তুমরার গেছেউ ফিরিয়া আইবো।
১৪ ই জাগার কেউ যুদি তুমরারে কবুল না করে,
তুমরার কথা না হুনে,
তে ই বাড়ি বা গাউ থাকি বারনির বালা তুমরার পাওর ধুইল ঝাড়িয়া ফালাইয়া আইও।
১৫ আমি তুমরারে হাছা কথা কইরাম,
হাশরর দিন অউ গাউর দশা থাকি,
হউ লান্নতি ছাদুম আর আমুরা টাউনর দশা বউত ভালা অইবো।
সাহাবি অকলরে আগাম হুশিয়ারি
১৬ “হুনো,
রাইক্কস বাঘর ছামনে মেড়ার লাখান আমি তুমরারে পাঠাইরাম।
এরলাগি তুমরা হাফর লাখান চালাক-চতুর আর পারো পাখির লাখান সরল অও।
১৭ হুশিয়ার রইও,
মানষে তুমরারে ধরিয়া আদালতো সমজাইবা,
আর তারার মছিদো নিয়া তুমরারে ছিংলাদি মারবা।
১৮ আমার নাম লওয়ার লাগি তুমরারে রাজা-বাদশার ছামনে নেওয়া অইবো।
তুমরা এরার ছামনে আর বিধর্মী অকলর গেছে আমার বেয়াপারে সাক্ষি দিবায়।
১৯ মানষে যেবলা তুমরারে ধরাই দিবো,
অউ সময় কিতা মাততায় বা কিতা কইতায়,
ইতা লইয়া কুনু চিন্তা করিও না।
হউ সময় তুমরারে ইতা হিকাই দেওয়া অইবো।
২০ আসলে তুমরার মুখদি যেন তুমরা নিজে মাতবায়,
ইখান নায়,
তুমরার বাতুনি বাফর যে রুহ তুমরার ভিতরে আছে,
হউ রুহেউ ইতার জুয়াপ দিবা।
২১ “ভাইয়ে ভাইরে আর বাফে পুয়ারে খুন করানির লাগি ধরাই দিবো।
পুয়া-পুড়িয়েও তারার মা-বাফর বিপক্ষে গিয়া তারারে খুন করাইবো।
২২ আমার কারনে হকল মানষে তুমরারে ঘিন্নাইবো,
অইলে হেশ পর্যন্ত যে টিকিয়া রইবো,
হে-উ রেহাই পাইবো।
২৩ কুনু গাউর মানষে তুমরারে জুলুম করলে,
ই গাউ ছাড়িয়া অইন্য গাউত যাইওগি।
হুনো,
আমি হাছা কথা কইরাম,
ইছরাইল দেশর হক্কল টাউন আর গাউত তুমরার তবলিগ শেষ অওয়ার আগেউ বিন-আদম হিরবার আইবা।
২৪ “মনো রাখিও,
উস্তাদ থাকি সাগরিদ বড় নায়,
আর মুনিব থাকি তার গুলাম বড় নায়।
২৫ তে সাগরিদ তার উস্তাদর সমান,
আর গুলাম তার মুনিবর সমান অওয়াউ যথেষ্ট।
হুনরায় নি,
ঘরর মুনিবরে যেবলা ভুতর বাদশা বেল-সবুল কইরা,
তে ঘরর বাকি হকলরে তারা আরো কতোতা কইবা!
২৬ “অইলে তুমরা তারারে ডরাইও না,
কারন ইলা গোপন কুন্তাউ নাই যেতা জাইর অইতো নায়।
ইলা লুকাইলও কুন্তা নাই যেতা কেউ হুনতো নায় বা জানতো নায়।
২৭ আমি আন্দারির মাজে যেতা তুমরারে কইছি,
তুমরা ইতা ফরর মাজে কইও।
যেতা কানে কানে হুনছো,
ইতা ছাটর উপরে থাকি জুরে জুরে এলান করিও।
২৮ যারা মানষর কায়ারে বিনাশ করতো পারে,
অইলে রুহরে কুন্তা করতো পারে না,
তারারে ডরাইও না।
যেইন কায়া আর রুহ দুইওতারে দোজখো জালাইতা পারইন,
খালি তানরেউ ডরাইও।
২৯ হুনো,
দুইটা চড়া পাখি খালি দুই টেকায় বিকে না নি?
অইলে তুমরার বাতুনি বাফ আল্লার হুকুম না অইলে অতা এগু চড়া পাখিও মাটিত পড়ে না।
৩০ জানো তো,
তুমরার মাথার চুল গেছাইনও গনা আছে।
৩১ এরদায় তুমরা ডরাইও না।
তুমরার দাম তো বউত চড়া থাকিও বেশি।
৩২ “সমাজর ছামনে যে জনে আমারে কবুল করে,
আমিও আমার বেহেস্তি বাফ আল্লা পাকর ছামনে তারে কবুল করমু।
৩৩ অইলে যে মানষে সমাজর ছামনে আমারে অস্বীকার করবো,
আমিও তারে আমার বেহেস্তি বাফ আল্লার ছামনে অস্বীকার করমু।
৩৪ “তুমরা মনো কররায় নি,
আমি দুনিয়াত শান্তি দিতাম আইছি?
না,
মোটেউ নায়,
আমি তো দুনিয়াত এক মতোভেদ লাগানিত আইছি।
৩৫ আমি বাফে-পুয়ায়,
মায়-পুড়িয়ে,
আর হড়িয়ে-বউয়ে বিবাদ লাগানিত আইছি।
৩৬ মানষর নিজর পরিবারর জনেউ তার লগে দুশমনি করবো।
৩৭ “যে মানষে আমা থাকি তার মা-বাফরে বেশি মায়া করে,
হে আমার উম্মত অইতো পারতো নায়।
আর যে জনে আমা থাকি তার পুয়ারে বা তার পুড়িরে বেশি মায়া করে,
হে-ও আমার উম্মতর জুকা নায়।
৩৮ যে জনে নিজর দুখ-কষ্টর সলিব বইয়া লইয়া আমার খরে না আয়,
হে-ও আমার জুকা নায়।
৩৯ যে জনে তার নিজর জান বাচাইতো চায়,
হে তার আসল জিন্দেগি খুয়াইবো।
অইলে যে জনে আমার লাগি তার জান কুরবানি দিলায়,
হে আসল জিন্দেগি পাইবো।
৪০ “যে জনে তুমরারে কবুল করে,
হে আমারেউ কবুল করে,
আর যে আমারে কবুল করে,
হে আসলে হউ আল্লারেউ কবুল করে,
যেইন আমারে পাঠাইছইন।
৪১ কেউ যুদি কুনু নবীরে নবী কইয়া কবুল করে,
তে অউ নবীয়ে যে পুরুস্কার পাইবা,
হে-ও অউ পুরুস্কার পাইবো।
কুনু আল্লারাইয়া মানষরে কেউ যুদি আল্লারাইয়া কইয়া কবুল করে,
তে অউ আল্লারাইয়া মানষে যে পুরুস্কার পাইবা,
হে-ও অউ পুরুস্কার পাইবো।
৪২ আর আমার উম্মত জানিয়া কেউ যুদি তুমরার মাজর এক নগইন্য জনরেও এক গেলাস পানি খাওয়ায়,
তে হে কুনুমন্তেউ এর পুরুস্কার থাকি বাদ পড়তো নায়।”