হজরত ইছারে সন্দয় আর বিরুধিতা করা (১১:১-১২:৫০)
হজরত ইছার দরবারো এহিয়া নবীর সাগরিদ অকল
১১
 হজরত ইছায় তান বারোজন সাহাবিরে অউ তালিম দিয়া হারলে,
তাইন গাউয়ে গাউয়ে গিয়া তবলিগ আর তালিম দেওয়ার লাগি রওয়ানা অইগেলা।
 এহিয়া নবীয়ে জেলো থাকি যেবলা আল-মসীর কামর কথা হুনলা,
অউ সময় তান কয়জন সাগরিদরে পাঠাইলা খবর জানার লাগি।
এরা গিয়া ইছারে জিকাইলা,
 “হুজুরে কইছইন,
যেইন আইবার কথা আছিল,
আপনেউ হেইন নি?
না আমরা আর কেউরর লাগি বার চাইতাম?”
 ইছায় কইলা,
“হুনো,
অনো আইয়া তুমরার নিজর চউখে যেতা দেখছো আর হুনছো,
অতা গিয়া এহিয়ারে কও।
 তানরে কইও,
আন্দা মানষে চউখে দেখরা,
লেংড়ায়ও আটিরা,
পচা-কুষ্ঠ বেমারি ভালা অইরা,
খালুয়া অকলে হুনরা,
মরা মানুষ জিতা অইরা,
আর গরিব অকলর গেছে আল্লাই খুশ-খবরি তবলিগ করা অর।
 হুনো,
হে-উ নেক-কপালি,
যার দিলো আমার বেয়াপারে কুনু বাধা আয় না।”
এহিয়া নবী আসলে কে
 এহিয়া নবীর সাগরিদ অকল যাইরাগি,
অউ সময় এহিয়ার বেয়াপারে ইছায় মানষরে কইলা,
“কিতাবা,
মরুভুমিত কিতা দেখাত গেছলায়?
বাতাস আইলে যেতা নল-খাগড়ায় লড়ে,
অতা দেখাত গেছলায় নি?
 না,
কিতা দেখাত গেছলায়?
সুন্দর কাপড় ফিন্নো কুনু মানষরে নি?
আসলে,
যেরা দামি দামি কাপড় ফিন্দইন,
তারা তো রাজবাড়িত থাকইন।
 তে তুমরা কিতা দেখাত গেছলায়?
কুনু নবীরে দেখাত নি?
হুনো,
আমি কইরাম,
এহিয়া তো খালি নবী নায়,
নবী থাকিও বড়।
১০ এইন তো হউ জন,
যেন বেয়াপারে আছমানি কিতাবো লেখা আছে,
 
হুনো,
তুমার আগে পাঠাইয়ার আমি,
আমার পেগাম্বর,
এইন গিয়া ঠিক-ঠাক করবা তুমার চলার পথ।
 
১১ তে আমি তুমরারে হাছা কথা কইরাম,
এহিয়া থাকি বড় আস্তা দুনিয়াতউ কুনু আদম আছলা না।
অইলে বেহেস্তি বাদশাইর মাজে হকল থাকি হুরু জনও,
এহিয়া থাকি মহান।
১২ এহিয়া নবীর আমল থাকি অখন পর্যন্ত বেহেস্তি বাদশাই খুব মজবুত অইয়া আগুয়ার,
আর যেরা ইমানে মজবুত,
তারা দিলে-জানে আইয়া এর ভিতরে হামাইরা।
১৩ হুনো,
এহিয়া নবীর আমল পর্যন্ত হজরত মুছার তৌরাত কিতাব আর সব নবীর ছহিফার মাজে,
আল্লার বাদশাই আওয়ার কথা জানাইল অইছে।
১৪ অখন যুদি আপনারা আমার মাত একিন করইন,
তে হুনউক্কা,
যে ইলিয়াছ নবীয়ে হিরবার আইবার কথা আছিল,
অউ এহিয়াউ অইলা হউ ইলিয়াছ।
১৫ যার কান আছে,
হে হুনউক।
১৬ “ই জমানার মানষরে আমি কিতার লগে তুলনা করতাম?
তারা তো অমন হুরুতার লাখান,
যেতায় বাজারো বইয়া একে-অইন্যরে ডাকিয়া কইন,
১৭ ‘হই,
আমরা তুমরার লাগি বাশি বাজাইলাম,
তুমরা তো নাচলায় না,
আহাজারির গান গাইলাম,
তুমরা তো কানলায় না।’
১৮ ঠিক অলাখান,
এহিয়া নবীয়ে আইয়া সমাজর লগে খাওয়া-দাওয়া না করায়,
মানষে কইরা তানে ভুতে ধরছে।
১৯ অইলে আমি বিন-আদম আইয়া খাওয়া-দাওয়া করায় তুমরা কইরায়,
‘দেখউক্কা,
ই বেটা তো পেটুয়া,
মদখুর,
হে ঘুষখুর খাজনা তুলরা আর নাফরমান অকলর লগে দুস্তি করে।’
তে আখল খাটাইয়া যেরা চলে,
তারার চাল-চলন থাকিউ পরমান মিলে,
আখলউ অইলো খাটি-নিখুত চিজ।”
লান্নতি গাউ আর টাউন
২০ হজরত ইছায় যেতা গাউয়াইন্তো আর টাউনো বেশির ভাগ কেরামতি দেখাইছলা,
ইতার মানষে তৌবা করছইন না।
এরলাগি তাইন ই গাউ আর টাউনর উপরে বেজার অইয়া কইলা,
২১ “হায়রে বায়ত-ছয়দা আর খুরাছিন গাউ,
তুমরা তো লান্নতি।
তুমরার মাজে যেতা কুদরতি কাম দেখাইল অইছে,
ইতা যুদি সোর আর সিদন এলাকাত দেখাইল অইতো,
তে বউত আগেউ তারা কাতর অইয়া তৌবা করলো অনে।
২২ অইলে আমি তুমরারে কইরাম,
কিয়ামতর দিন সোর আর সিদন এলাকার দশা থাকিও,
তুমরার দশা বউত কঠিন অইবো।
২৩ ও কফরনাউম টাউন,
হুনো,
তুমি বুলে উচা অইয়া আছমানো গিয়া লাগতায়?
না,
পারতায় নায়!
তুমারে পাতালো লামানি অইবো।
তুমার মাজে যেতা কুদরতি মোজেজা দেখাইল অইছে,
ইতা যুদি ছাদুম টাউনো দেখাইল অইতো,
তে ই টাউন অখনও টিকিয়া রইলো অনে।
২৪ অইলে আমি তুমরারে কইরাম,
হাশরর দিন ছাদুম টাউনর হালতও তুমরার থাকি বউত ভালা অইবো।”
হজরত ইছার দোয়া আর আরামর দাওত
২৫ এরবাদে ইছায় কইলা,
“ও আমার গাইবি বাফ আল্লা,
তুমি তো আছমান-জমিনর মালিক।
আমি তুমার শুকরিয়া জানাইরাম,
কারন তুমি আখলদার আর বুদ্ধিমান অকলর গেছে ইতা জাইর না করিয়া,
বেবুজ-হুরুতার লাখান মানষর গেছে জাইর করছো।
২৬ বাবা,
আসলে ইতা হকলতাউ তুমার মর্জি।
২৭ “আমার গাইবি বাবায় হকলতাউ আমার আতো সপি দিছইন।
বাফ ছাড়া দুছরা কেউ অউ পুতরে চিনে না,
আর পুত ছাড়া দুছরা কেউ অউ বাফরে চিনে না।
পুতে বাফরে যার গেছে জাইর করার খিয়াল অয়,
খালি হে-উ বাফর পরিচয় পায়।
২৮ “ভার-বোঝা বইতে বইতে তুমরা যেরা হেরান অইগেছো,
তুমরা হকল আমার গেছে আও,
আমি তুমরারে আরাম দিমু।
২৯-৩০ আমার জুয়াল তুমরার কান্দো তুলো আর আমার গেছ থাকি তালিম লও,
তেউ তুমরার আরাম অইবো।
আমার জুয়াল বইয়া নেওয়া সুজা,
আমার দেওয়া ভার খুব পাতলা।
আমার মিজাজ খুব নরম আর ঠান্ডা।”