মানষর বানাইল রছুমত
১৫
১ জেরুজালেম টাউন থাকি কয়জন মৌলানা আর ফরিশি মজহবর কিছু মানুষ ইছার গেছে আইলা,
আইয়া তানরে জিকাইলা,
২ “আপনার উম্মত অকলে আগর জমানার মৌলানা অকলর বাতাইল রছুমত মানইন না কেনে?
তারা তো অজু না করিয়াউ খানি খাইলাইন।”
৩ ইছায় জুয়াপ দিলা,
“অউ মৌলানা অকলর রছুমত মানার লাগি আপনারা কেনে আল্লার হুকুমর বরখেলাফ কররা?
৪ আল্লায় হুকুম দিছইন,
‘মা-বাফরে ইজ্জত করিও,
আর যে মানষে তার মা-বাফর বদনাম গায়,
তারে নিচয় মারিলিতে অইবো।’
৫ অইলে আপনারা কইন,
কুনু মানষে যুদি তার মা-বাফরে কইলায়,
‘আমার যেতা ছামানা দিয়া আপনাইন্তর খেজমত করতাম আছিল,
ইতা আমি আল্লার নামে লিল্লা দিলাইছি,’
৬ তে তার মা-বাফরে আর কুন্তা করা লাগে না।
অউ লাখান আপনারার বাফ-দাদার মনগড়া নিয়ম দিয়া আল্লার কালাম বাতিল করিলিছইন।
৭ ও ভন্ড অকল!
হজরত ইশায়া নবীয়ে তুমরার বেয়াপারে ঠিকউ কইছইন,
৮ ইতা মানষে মুখ দিয়া খালি আমারে ইজ্জত করে,
অইলে তারার দিল আমা থাকি বউত দুরই।
৯ তারা হুদার খামোখা আমার এবাদত করে,
তারার তালিম অকল তো মানষর বানাইল মনগড়া রছুমত।”
মানুষ কিলা নাপাক অয়
১০ বাদে ইছায় মানষরে ডাকিয়া কইলা,
“আমার তালিম খানাইন খিয়াল করি হুনউক্কা।
১১ বাইরে থাকি যেতা জিনিস মানষর মুখর ভিতরে হামায়,
ইতায় তো তারে নাপাক বানায় না।
বরং মানষর মুখ থাকি যেতা বারয়,
অতায়উ তারে নাপাক বানায়।”
১২ তেউ তান সাগরিদ অকলে কইলা,
“হুজুর,
আপনে বুজছইন নি,
ফরিশি অকলে মনো কররা,
অউ তালিম দিয়া আপনে তারারে বেইজ্জত করছইন?”
১৩-১৪ তাইন কইলা,
“ইতার মাত ফালাও।
আমার বেহেস্তি বাফ আল্লায় যে গাছ লাগাইছইন না,
ই গাছ তান বাগান থাকি হুরিয়া ফালাইল অইবো।
তারার দায়িত্ব আছিল আন্দা মানষরে পথ দেখাইতো,
অইলে তারা নিজেউ আন্দা বনিগেছে।
কুনু আন্দায় আরক আন্দারে পথ দেখানিত গেলে,
দুইও আন্দাউ গাতো পড়ি মরবো।”
১৫ তেউ সাহাবি পিতরে কইলা,
“আপনে যেতা বাতাইরা,
অতা আমরারে বুজাই দেউক্কা।”
১৬ ইছায় কইলা,
“তুমরা অখনও বেবুজ রইছো নি?
১৭ তুমরা বুজো না নি,
বাইরে থাকি যেতা জিনিস মানষর মুখো হামায়,
ইতা তো খালি পেটো হামায়,
আর পেট থাকি হিরবার বার অই যায়।
১৮ অইলে মানষর মুখ থাকি যেতা বারয়,
ইতা দিলো থাকি আয়,
আর অতায়উ মানষরে নাপাক বানায়।
১৯ মানষর দিল থাকিউ তো হকল নমুনার কু-চিন্তা বারয়,
যেমন খুন,
জিনা,
চুরি,
মিছা সাক্ষি,
আর ইংসা-নিন্দা বারয়।
২০ অতায়উ মানষরে নাপাক বানায়,
অইলে অজু ছাড়া খানি খাইলে কেউ নাপাক অয় না।”
বিধর্মী বেটির ইমানর বল
২১ বাদে হজরত ইছা নিজর দেশ ছাড়িয়া সোর আর সিদন দেশো গেলাগি।
২২ হনো গিয়া হারলে কেনানী জাতির এক বিধর্মী বেটি তান গেছে আইয়া জুরে জুরে কইলো,
“ও হুজুর,
দাউদর আওলাদ,
আমারে রহম করইন।
আমার পুড়িগুরে জিনে ধরায় তাই বড় কষ্ট করের।”
২৩ অইলে ইছায় কুন্তা মাতিলা না।
তেউ তান সাহাবি অকলে তানরে মিনত করি কইলা,
“হুজুর,
অউ বেটিগুরে বিদায় দিলাউক্কা,
তাই আমরার খরে অইয়া চিল্লার।”
২৪ ইছায় কইলা,
“আমারে তো পাঠাইল অইছে,
খালি বনি ইছরাইলর আরাইল মেড়া অকলর লাগি।”
২৫ অইলে অউ বেটি তান কান্দাত আইয়া কদমবুছি করিয়া কইলো,
“হুজুর,
আমারে অউ আছান খান করউক্কা।”
২৬ তাইন কইলা,
“নিজর হুরুতার রিজেক কুত্তার ছামনে দেওয়া ঠিক নায়।”
২৭ বেটিয়ে কইলো,
“জিঅয় হুজুর,
আপনার কথাউ ঠিক,
অইলে মুনিবর খানি থাকি যেতা গুড়া-গাড়া গালাবায় পড়ে,
ইতা তো কুকরে খায়।”
২৮ তেউ তাইন বেটিরে কইলা,
“আসলে গো মাই,
তুমার ইমান বড় মজবুত।
আইচ্ছা,
তুমি যেলা চাইরায়,
অলাউ অউক।”
অখান কওয়ার লগে লগেউ পুড়ি ভালা অইগেল।
চাইর আজার মানষর গাইবি খানি
২৯ বাদে ইছা হনথনে গালিল আওরর পারেদি আটিয়া গেলা,
গিয়া এক পাড়র উপরে উঠিয়া বইলা।
৩০ বইয়া হারলে মানষে লুলা-লেংড়া,
আতুর,
আন্দা,
বোবা,
অলাখান আরো বউত জাতর বেমারিরে দলে দলে তান গেছে লইয়া আইলো।
আনিয়া তান পাওর কান্দাত থইলো,
তাইন এরা হকলরে ভালা করলা।
৩১ মানষে যেবলা দেখলা,
লুলা-লেংড়া ভালা অইযিরা,
বোবা অকলে মাতিরা,
আতুর মানষে আটিরা,
আন্দায় চউখে দেখরা,
দেখিয়া তারা হকল তাইজ্জুব অইগেলা,
আর বনি ইছরাইলর মাবুদ আল্লার শুকরিয়া আদায় করলা।
৩২ এরবাদে ইছায় তান সাহাবি অকলরে কান্দাত আনিয়া কইলা,
“ইতা মানষর লাগি আমার বড় দরদ লাগের,
আইজ তিন দিন ধরি তারা আমার খরে খরে ঘুরিরা,
অইলে তারার লগে খানির কুন্তা নাই।
তে অউ হালতে এরারে বিদায় দিতাম চাই না,
আরনায় ইতা পথোউ বেউশ অইযিবা।”
৩৩ সাহাবি অকলে কইলা,
“হুজুর,
ই নিরাই মরুভুমির মাজে অতো মানষরে খাওয়ানির লাগি রুটি আমরা কুয়াই পাইমু?”
৩৪ তাইন কইলা,
“তুমরার গেছে কয়খান আছে?”
এরা কইলা,
“সাতখান রুটি আর বিরান করা কয়টা হুরু মাছ আছে।”
৩৫ তেউ ইছায় মানষরে মাটিত বওয়ার লাগি কইলা।
৩৬ কইয়া তাইন অউ সাতোখান রুটি আর বিরান মাছ আতো লইয়া,
আল্লার শুকরিয়া আদায় করিয়া অখনাইন টুকরাইলা,
বাদে সাহাবি অকলরেদি বাটাইলা।
৩৭ হক্কল মানষে পেট ভরি খাইলা।
খাইয়া যেতা রইছিল,
সাহাবি অকলে অতা দলা করার বাদে সাত টুকরি ভরিগেল।
৩৮ অনুমান চাইর আজার বেটা মানষে অউ খানা খাইলা,
এরার লগে বেটিন আর হুরুতাইনও আছলা।
৩৯ বাদে তাইন এরারে বিদায় দিয়া নাওয়ো উঠিয়া মগদন এলাকাত গেলাগি।