মানষে খালি কেরামতি দেখতা চাইন
১৬
১ বাদে ইছারে পরিক্ষা করার লাগি ফরিশি আর সিদ্দেকিয়া মজহবর কিছু মানুষ আইলা,
আইয়া আছমানি কুনু নিশানা দেখতা চাইলা।
২ ইছায় কইলা,
“বিয়ালি বালা আছমানর লাল রং দেখিয়া আপনারা কইন,
কাইলকুর দিন তো ভালা অইবো।
৩ আর বিয়ানি বালা আছমানো কালনি দেখিয়া কইন,
আইজ মেঘ-তুফান অইবো।
তে আছমানর হালত আপনারা ঠিকউ বুজইন,
অইলে জমানার হালত আপনারা বুজইন না।
৪ অউ জমানার বেইমান আর নাফরমান অকলে খালি কেরামতি দেখতা চাইন,
অইলে ইউনুছ নবীর নিশানা ছাড়া দুছরা কুনু নিশানা তারারে দেখাইল অইতো নায়।”
অখান কইয়া তাইন এরারে থইয়া হরি গেলা।
৫ বাদে আওর পাড়ি দিয়া যাওয়ার কালো সাহাবি অকলে লগে করি রুটি নিতা ফাউরিলিলা।
৬ ইছায় তারারে কইলা,
“তুমরা সাবধান অও,
ফরিশি আর সিদ্দেকিয়া দলর খামির থাকি হুশিয়ার রইও।”
৭ ইখান হুনিয়া সাহাবি অকলে কানা-কানি করি কইলা,
“আমরা রুটি আনছি না করি মনোলয় তাইন অখান কইরা।”
৮ ইছায় তারার ভাব বুজিলিলা,
বুজিয়া কইলা,
“হায়রে কমজুর ইমানদার অকল,
তুমরার গেছে রুটি নাই,
ইখান কইরায় কেনে?
৯ তুমরা অখনও কুন্তা বুজো না নি,
কুন্তা মনো অর না নি?
আমি যেবলা পাচখান রুটিদি পাচ আজার মানষরে খাওয়াইছলাম,
খানির বাদে তুমরা কত টুকরি গুড়া-গাড়া দলা করছলায়?
১০ আর হউ যে সাতখান রুটিদি চাইর আজার মানষে খাইছলা,
খাইয়া হারলে কত টুকরি দলা করছলায়?
১১ তে অখন তুমরা বুজো না কেনে,
আমি অউ রুটির বেয়াপারে কইয়ার না?
হুনো,
ফরিশি আর সিদ্দেকিয়া অকলর খামির থাকি হুশিয়ার অও।”
১২ তেউ সাহাবি অকলে বুজলা,
তাইন আসলে খাইবার খামির থাকি হুশিয়ারর কথা কইরা না,
বরং ফরিশি আর সিদ্দেকিয়া অকলর তালিম থাকি হুশিয়ার অইতে কইছইন।
হজরত ইছা আসলে কে?
১৩ বাদে তান সাহাবি অকলরে লইয়া কৈছরিয়া-ফিলিপি টাউনর কান্দা-কাছাত গেলা।
পথো সাহাবি অকলরে জিকাইলা,
“কওছাইন,
মানষে কিতা মনো করইন,
আমি বিন-আদম কে?”
১৪ এরা জুয়াপ দিলা,
“কুনু কুনু মানষে কইন,
আপনে এহিয়া নবী।
কুনু জনে কইন ইলিয়াছ নবী।
কেউ কেউ কয় ইয়ারমিয়া নবী,
বা অইন্য কুনু নবী।”
১৫ অউ তাইন কইলা,
“অইলে তুমরা কিতা মনো করো,
আমি কে?”
১৬ সাহাবি সাইমন-পিতরে জুয়াপ দিলা,
“আপনে তো আল্লার ওয়াদা করা হউ আল-মসী ইবনুল্লা,
জিন্দা আল্লার খাছ মায়ার জন।”
১৭ ইছায় কইলা,
“ও সাইমন বিন ইউনুছ,
তুমি বড় নেক-কপালি,
কারন,
দুনিয়ার কুনু মানষে তুমারে ইতা জানাইছে না,
অইলে আমার বেহেস্তি বাফ আল্লায়উ জানাই দিছইন।
১৮ তে আমি তুমারে কইরাম,
তুমি তো পাথর,
এরলাগি তুমার নাম দিছলাম পিতর,
আর অউ পাথরর উপরেউ আমার তরিকার তামাম জমাত গড়িয়া তুলমু।
দোজখি কুনু শক্তিয়েউ এর লগে পারতো নায়।
১৯ তুমার আতো আমি বেহেস্তি বাদশাইর চাবি দিমু,
অউ দুনিয়াত তুমি যেতারে নাজাইজ কইবায়,
ইতা আল্লার দরবারো নাজাইজ অইযিবো,
আর তুমি যেতারে জাইজ কইবায়,
আল্লার দরবারোও ইতা জাইজ অইযিবো।”
২০ বাদে ইছায় তারারে দড়াইয়া কইলা,
“আমিউ যেন হউ আল-মসী,
ইতা কেউররে হুনাইও না।”
পয়লা বার নিজর মউতর আগাম খবর
২১ অউ সময় থাকি ইছায় তান সাহাবি অকলরে জানানি ধরলা,
তাইন জেরুজালেমো যাইতে অইবো।
হনর মুরব্বি অকলে,
বড় ইমাম অকলে আর মৌলানা অকলে তানরে বউত দুখ-মছিবতো ফালাইবা।
বাদে তানরে কাতল করা অইবো,
অইলে মউতর তিন দিনর দিন হিরবার জিন্দা অইয়া উঠবা।
২২ ইখান হুনিয়া সাহাবি পিতরে তানরে থুড়া হরাইয়া নিয়া কইলা,
“হুজুর,
অসম্ভব,
আপনার উপরে কুনুমন্তেউ ইতা অইতে পারে না।”
২৩ ইছায় পিতরর বায় ফিরিয়া কইলা,
“ধুর ইবলিছ,
আমার গেছ থাকি বাগ।
তুই আমার পথর জইঞ্জাল।
তুই আল্লাই মুনশারে বাদ দিয়া,
মানষর লাখান চিন্তা কররে।”
২৪ বাদে তাইন এরারে কইলা,
“কেউ যুদি আমার তরিকাত আইতো চায়,
তে হে তার নিজর খুশিয়ে চলা বাদ দেউক,
তার আপন দুখ-কষ্টর সলিব বইয়া লইয়া আমার খরে আউক।
২৫ যে মানষে তার নিজর জান বাচাইতো চায়,
হে তার আসল জিন্দেগি খুয়াইবো।
অইলে যে জনে আমার লাগি তার জান কুরবানি দেয়,
হে আসল জিন্দেগি পাইবো।
২৬ কুনু মানষে আস্তা দুনিয়া পাইয়াও যুদি তার আসল জিন্দেগি খুয়াইলায়,
তে তার কুনু ফায়দা অইলো নি?
হেশে আসল জিন্দেগি পাওয়ার লাগি হে কুন ধন বিলাইবো?
২৭ আমি বিন-আদমে যেবলা আমার ফিরিস্তা অকলরে লগে লইয়া আমার গাইবি বাফর কুদরতি মহিমায় জগতো হিরবার আইমু,
অউ সময় পরতেক মানষরে তার আমল মাফিক ফল দিমু।
২৮ হুনো,
আমি তুমরারে হাছা কথা কইরাম,
অনো ইলাখান কয়জন আজির আছইন,
আমি বিন-আদম বাদশা হালতে না আওয়া পর্যন্ত,
কুনুমন্তেউ এরার মউত অইতো নায়।”