কিয়ামতর আলামত
২৪
 হজরত ইছা বায়তুল-মুকাদ্দছ থাকি বার অইয়া যাইরাগি,
অউ সময় তান সাহাবি অকল তান গেছে আইলা,
তানরে বায়তুল-মুকাদ্দছর সুন্দর সুন্দর দলান দেখানির লাগি।
 তাইন কইলা,
“আমি তুমরারে হক কথা কইরাম,
তুমরা অউ যেতা বড় বড় দলান দেখরায়,
ইতার দুই ইট একখানো রইতো নায়,
হকলতা মাটিত মিশিযিবো।”
 বাদে তাইন যেবলা জয়তুন পাড়র উপরে বওয়াত আছলা,
অউ সময় সাহাবি অকলে আইয়া তানরে নিরালায় জিকাইলা,
“হুজুর,
আমরারে কইবা নি,
ইতা কুন সময় অইবো?
কুন আলামত দেখিয়া আমরা বুজমু,
আপনার আওয়ার সময় আর কিয়ামতরও সময় আইচ্ছে?”
 ইছায় কইলা,
“দেখিও,
কেউ যানু তুমরারে না টগে।
 বউত জনে আমার নাম ধরিয়া আইবো,
আইয়া কইবো,
আমিউ আল-মসী,
কইয়া বউতরে টগিবো।
 হুনো,
যুদ্ধর আওয়াজ আর লাড়াইর খবর তুমরা পাইবায়,
অইলে ইতায় ডরাইও না।
ইতা নিচয় ঘটবো,
ঘটলেও ইতা তো শেষ নায়।
 এক জাতিয়ে আরক জাতির লগে,
এক দেশে আরক দেশর লগে লাড়াই করবো।
বউত জাগাত ভৈছাল আর নিদান দেখা দিবো।
 অইলে ইতা তো খালি মছিবতর শুরু।
 “অউ সময় আইলে মানষে তুমরারে জুলুম করার লাগি ধরাই দিবো আর খুন করাইবো।
আমার লাগি হকল জাতিয়ে তুমরারে ঘিন্নাইবো।
১০ তেউ বউত জন পিছলিযিবো,
একে-অইন্যরে ঘিন্নাইবো আর ধরাই দিবো।
১১ বউত ভন্ড নবী আইয়া মানষরে টগিবা।
১২ নাফরমানির পরিমান বাড়িযিবো,
এরলাগি বউত মানষর মায়া-মমতা কমিযিবো।
১৩ অইলে হেশ পর্যন্ত যেরা টিকিয়া রইবা,
এরাউ রেহাই পাইবা।
১৪ হকল জাতির গেছে সাক্ষি হিসাবে বেহেস্তি বাদশাইর খুশ-খবরি তবলিগ করা অইবো,
এরবাদেউ কিয়ামত আইবো।
আখেরি জমানার হালত
১৫ “হজরত দানিয়াল নবীর মুখ থাকি যে বেজুইতা নফরতি জিনিসর কথা জানাইল অইছে,
তুমরা অউ পাক জাগাত ই জিনিস দেখবায়।
যে জনে তিলাওত করের,
হে বুজউক।
১৬ অউ সময় যেরা এহুদিয়া জিলাত থাকবা,
তারা পাড়েদি গিয়া বাগউক।
১৭ হিদিন কেউ যুদি ঘরর চালর উপরে থাকে,
হে তার ঘরর মাল-ছামানা নিবার লাগি,
লামাত লামিয়া ঘরর ভিতরে না হামাউক।
১৮ যেরা বন্দর মাজে আছে,
তারার গতরর চাদ্দর নিবার লাগি বাড়িত না আউক।
১৯ অউ সময় যেতা বেটিন্তর পেটো হুরুতা,
আর যেরা হুরুতারে বুকুর দুধ খাওয়াইরা,
তারার বড় মছিবত অইবো।
২০ তুমরা দোয়া করো,
শীতর দিনো বা জুম্মাবারে যানু তুমরার বাগিয়া যাওয়া না লাগে।
২১ অউ সময় অতো বেজুইতা কষ্ট অইবো,
যেতা দুনিয়ার পয়লা থাকি আইজ পর্যন্ত কুনুদিন অইছে না,
আর অইতোও নায়।
২২ মাবুদে যুদি ই সময়রে কমাইয়া না দিতা,
তে কেউ জিন্দা রইলো না অনে।
অইলে আল্লায় তান পছন্দ করা বন্দা অকলর লাগি ই সময় কমাইয়া দিবা।
২৩ “হি সময় কেউ যুদি তুমরারে কয়,
‘হুনছো নি,
আল-মসী বুলে অনো আইছইন’ বা ‘হনো আইছইন’ তে তুমরা একিন করিও না।
২৪ কারন আল-মসী নাম লইয়া বউত ভন্ড আইবা,
নবী হাজিয়াও বউত ভন্ড আইবা।
ইতায় বউত বড় বড় আচানক কেরামতি কাম দেখাইবা।
তারা চাইবা,
সুযোগ পাইলে আল্লার পছন্দ করা বন্দারে ধুকা দিয়া বে-পথে নিতাগি।
২৫ দেখিও,
আমি ইতা হক্কলতা তুমরারে আগেউ জানাই দিলাম।
২৬ “হুনো,
কেউ যুদি তুমরারে কয়,
‘আল-মসী বুলে মরুভুমিত আছইন,’
তে তুমরা যাইও না।
যুদি কয়,
‘তাইন ঘরর ভিতরে আছইন,’
তে একিন করিও না।
২৭ মেঘর জিলকির লগে পুবে-পইচমে হকল বায় যেলা ফর অইযায়,
আমি বিন-আদম আইলেও অলা অইবো।
২৮ হুনো,
লাশ যেনো থাকে,
হকুন এমনেউ হনো দলা অয়।
২৯ “অউ মছিবতর সময় শেষ অওয়ার বাদেউ,
‘সুরুজ আন্দাইর অইযিবো,
চান্দে আর ফর দিতো নায়।
তেরা অকল আছমান থাকি পড়িযিবো,
আছমানর কুনু শক্তিআলা চিজউ ঠিক-ঠাক রইতো নায়।’
৩০ অউ সময় আছমানর মাজে আমি বিন-আদমর নিশানা দেখা যাইবো।
দুনিয়ার হকল মানষে আহাজারি করবা।
তারা দেখবা,
আল্লার কুদরতি শক্তি আর নুরর মহিমায়,
‘মেঘর খুটিত অইয়া বিন-আদম দুনিয়াত আইরা।’
৩১ অউ সময় জুরে জুরে শিংগার আওয়াজ অইবো,
এর লগে লগেউ দুনিয়ার এক মাথা থাকি আরক মাথাত তাইন ফিরিস্তা অকলরে পাঠাইবা,
এরা আল্লার পছন্দ করা বন্দা অকলরে চাইরোবায় থনে দলা করবা।
৩২ “অউ ডুমুর গাছর বায় চাইয়া তালিম লও।
গাছর ডালপালা নরম অইয়া যেবলা নয়া কুড়ি বারয়,
অউ সময় তুমরা বুজিলাও গরমর দিন আইচ্ছে।
৩৩ তে অউ লাখান তুমরা যেবলা দেখবায় ইতা হকলতা ঘটের,
দেখিয়া বুজিলিও,
বিন-আদমও ধারো আইচ্ছইন।
খালি ধারো নায়,
তাইন আইয়া দুয়ারো ঠুকাইরা।
৩৪ আমি তুমরারে হাছা কথা কইরাম,
ইতা না ঘটা পর্যন্ত ই জমানার মানুষ ফুড়াইতা নায়।
৩৫ আছমান-জমিন হকলতা বিনাশ অইযিবো,
অইলে আমার কালাম হামেশা জারি রইবো।
৩৬ “হউ দিন আর হি সময়র বেয়াপারে খালি আমার গাইবি বাফ আল্লা ছাড়া আর কেউ জানইন না।
আছমানি ফিরিস্তা বা ইবনুল্লায়ও জানইন না।
৩৭ নুহ নবীর আমলো যে হালত অইছিল,
আমি বিন-আদম দুছরা বার আওয়ার সময় ঠিক অলাখানউ অইবো।
৩৮ বইন্যা শুরু অওয়ার আগে নুহ নবী জাজো উঠার আগ পর্যন্ত মানষে খাওয়া-দাওয়া করছে,
একে-অইন্যরে বিয়া-শাদি করছে।
৩৯ নুহ নবীর বইন্যার পানিয়ে ইতারে ভাসাইয়া নেওয়ার আগ পর্যন্ত তারা কুন্তাউ টের পাইলা না।
আমি বিন-আদম আইবার সময়ও ঠিক অলাখান অইবো।
৪০ অউ সময় দুইজন মানুষ একলগে বন্দো থাকলে,
একজনরে নেওয়া অইবো আর দুছরা জনরে বাদ দেওয়া অইবো।
৪১ দুই বেটিয়ে একলগে বারা-বানাত থাকলেও,
এরার একজনরে নেওয়া অইবো,
আরক জন বাদ পড়িযিবো।
৪২ এরলাগি কইরাম,
তুমরা হুশিয়ার রইও,
তুমরার মালিক কুন দিন আইবা,
ইতা তো তুমরা জান না।
৪৩ অইলে ইখান মনো রাখিও,
চুর কুন সময় আইবো,
ইখান যুদি গিরস্তে জানতো,
তে তো হে হজাগ রইলো অনে আর চুররে ঘরো হামাইতে দিলো না অনে।
৪৪ এরলাগি তুমরাও হামেশা তিয়ার রইও,
যে সময়র কথা তুমরা চিন্তাও করতায় নায়,
হউ সময় বিন-আদম আইবা।
৪৫ “ইলা হক-হালালি আর আখলদার চাকর কে আছে,
যার আতো তার মুনিবে দায়িত্ব দিলা হে অখতর কালো অইন্য চাকর অকলরে খানি বাটিয়া দিবো।
৪৬ কপালি তো হউ চাকর,
যারে তার মুনিবে আইয়া হক-হালাল পাইবা।
৪৭ আমি তুমরারে হাছা কথা কইরাম,
মুনিবে অউ চাকরর আতোউ তান নিজর হকল ধন-ছামানার ভার দিবা।
৪৮ অইলে ধরো,
হউ চাকরে মনে মনে কইলো,
আমার মুনিব আইতে তো বউত দেরি আছে,
৪৯ আর অউ ফাকে হে হক্কল চাকর-বাকররে মাইর-ধইর করলো,
আর মদখুরর লগে খানা-দানা করিয়া মদ খাইলো।
৫০ বাদে যে দিন আর যে অখতর কথা হে চিন্তাউ করতো নায়,
হউ দিন আর হউ অখতো তার মুনিব আইয়া আজির অইবা।
৫১ তাইন আইয়া তারে কাটিয়া টুকরাইয়া ভন্ড অকলর লগে মিশাইবা।
হিনো মানষে কান্দা-কাটি করবা,
আর জালা-যন্ত্রনায় দাত কিড়িমিড়ি দিবা।”