ড়াড়ি বেটির দান-খয়রাত
২১
 হজরত ইছায় চাইয়া দেখলা,
ধনি অকলে বায়তুল-মুকাদ্দছর লিল্লার ডেগর মাজে দান-খয়রাত দিরা।
 এরমাজে দেখলা,
খুব গরিব এক ড়াড়ি বেটিয়েও আইয়া ডেগর মাজে দুইটা পয়সা দান করলো।
 দেখিয়া তান সাহাবি অকলরে কইলা,
“আমি তুমরারে হাছা কথা কইরাম,
অউ গরিব ড়াড়ি বেটিয়ে হকল থাকি বেশি দান করছে।
 কারন বাকি হকলে খরচ করার বাদে যেতা দেড়িয়া রইছে,
অন থাকি থুড়া অংশ ডেগর মাজে দান করছে।
অইলে ই বেটিয়ে নিজর অভাব-অনটন থাকলেও,
তাইর কামাইল হক্কলতাউ দান করিলিছে।”
কিয়ামতর আগর আলামত
 কয়জন সাহাবিয়ে বায়তুল-মুকাদ্দছ কাবা শরিফর বেয়াপারে মাতিলা,
কইলা,
“দেখরা নি,
অতো সুন্দর সুন্দর পাথরদি আর দান-খয়রাতদি ঘরখানরে হাজাইল অইছে।”
 ইছায় তারারে কইলা,
“তুমরা অউ যততা দেখরায়,
অলা এক দিন আইবো,
যেবলা ইতা এক পাথরর উপরে আরক পাথর রইতো নায়।
হকলতা মাটির লগে মিশিযিবো।”
 সাহাবি অকলে তানরে জিকাইলা,
“হুজুর,
ইতা কুন জমানাত অইবো?
কুন আলামত দেখলে বুজা যাইবো,
হি সময় অইগেছে?”
 তাইন কইলা,
“হুশিয়ার রইও,
কেউ যানু তুমরারে বে-পথে না নেয়।
বউত জনে আমার নাম ধরি আইয়া কইবো,
সময় অইগেছে,
আমিউ আল-মসী।
অইলে তুমরা ইতার খরে যাইও না।
 তুমরা যেবলা যুদ্ধ আর গন্ডগোলর খবর হুনবায়,
ডরাইও না।
কারন পয়লা ইতা অইবোউ অইবো,
অইলে ইতা তো শেষ নায়।”
১০ বাদে তাইন কইলা,
“জাতিয়ে জাতির বিপক্ষে,
রাজায় রাজার বিপক্ষে যুদ্ধ করবো।
১১ বড় বড় ভৈছাল অইবো,
জাগায় জাগায় নিদান আর বেজুইতা বেমার-আজারে মানুষ মরবা।
আছমানোও খুব ডর-খফর নিশানা আর আজব আজব কুদরতি লিলা জাইর অইবো।
১২ “অইলে ইতা ঘটার আগে মানষে তুমরারে খেদাইবো,
ধরবো।
বিচারর লাগি মজলিছর ছামনে আজির করবো,
জেলো হারাইবো।
আমার নামর লাগি তুমরারে রাজা-বাদশা আর হাকিম অকলর ছামনে নেওয়া অইবো।
১৩ তেউ আমার নামে তবলিগ করার লাগি তুমরা সুযোগ পাইবায়।
১৪ অইলে তুমরা মনো রাখিও,
কিতা জুয়াপ দিতায়,
ইতা আগে চিন্তা করার কুনু জরুর নায়।
১৫ কারন আমি তুমরারে অউলা জবান আর হেকমত যুগাইয়া দিমু,
তুমরার বিপক্ষ অকলে ইতা ফিরাইতো পারতো নায়,
এর জুয়াপ দিবারও তাক্কত অইতো নায়।
১৬ তুমরার মা-বাফ,
ভাই-বিরাদর,
খেশ-কুটুম আর দুস্ত অকলেও তুমরারে ধরাইয়া দিবা।
তারা তুমরার কুনু কুনু জনরে জানে মারাইলিবা।
১৭ আর আমার নামর লাগি তুমরারে হক্কলে ঘিন্নাইবো।
১৮ অইলেও কুনুমন্তেউ তুমরার মাথার একছা চুলরও খেতি অইতো নায়।
১৯ তুমরা ইমানে মজবুত রইলে,
নিজর হাছারর জিন্দেগি হাছিল করবায়।
২০ “তুমরা দেখবায়,
সিপাই অকলে আইয়া চাইরোবায় থনে জেরুজালেমরে ঘেরাও করিলিরা,
তেউ বুজিলিও,
জেরুজালেমর বিনাশ আইচ্ছে।
২১ হি সময় যারা এহুদিয়া জিলাত থাকবা,
তারা পাড়েদি গিয়া বাগউক।
যারা অউ জেরুজালেমো থাকবা,
তারা টাউনর বারে যাউক।
যারা গাউ-গেরামো থাকবা,
তারা যানু কুনুমন্তেউ টাউনো না আইন।
২২ কারন ই অখত অইলো আল্লাই গজবর অখত,
আল্লার কালামর আয়াত অকল পুরা অইবার অখত।
২৩ ইস!
ই সময় যেতা বেটিন্তর পেটো হুরুতা থাকবা,
যেরা হুরুতারে বুকুর দুধ খাওয়াইবা,
এরার বউত কষ্ট অইবো!
দেশর উপরে বেজুইতা দুর্গতি,
আর ইহুদি অকলর উপরে গজব নাজিল অইবো।
২৪ তলোয়ারর তলে তারা জান খুয়াইবা,
বন্দি অইয়া হক্কল জাতির মাজে যাইবা।
অউ বিধর্মী জাতির খেমতার সময় পুরা অওয়ার আগ পর্যন্ত,
ই জেরুজালেম তারার পাওর তলে রইবো।
২৫ “চান-সুরুজ আর আছমানর তেরার মাজে নানান আলামত দেখা যাইবো।
দুনিয়ার হকল দেশর মানষর কষ্ট অইবো।
দরিয়ায় উতাল-পাতাল করবো।
ঢেউর আওয়াজে মানুষ বেদিশা লাগবা।
২৬ দুনিয়াত কুন দশা ঘটিবো অতা চিন্তা করিয়া ডরর চুটে মানুষ বেউশ অইযিবো,
আছমানি চান-সুরুজ,
তেরা হক্কলতা আউলা জাউলা অইযিবো।
২৭ অউ সময় দেখবায়,
আমি বিন-আদমে আল্লার কুদরতি শক্তি আর নুরর মহিমায় মেঘর খুটিত অইয়া দুনিয়াত তশরিফ আনিয়ার।
২৮ ইতা হাল-হকিকত দেখলে তুমরা মজবুত অইও,
মাথা উচা করিও,
বুজিলিও তুমরার নাজাত ধারো আইচ্ছে।”
২৯ ইছায় তারারে অউ মিছাল হুনাইলা,
কইলা,
“তুমরা ডুমুর গাছ আর অইন্য গাছাইন্তর বায় দেখো,
৩০ ইতার নয়া কুড়ি-পাতা বারনি দেখলেউ তুমরা বুজিলাও,
গরমর দিন আইচ্ছে।
৩১ অউলা তুমরা যেবলা দেখবায়,
ইতা হাল-হকিকত ঘটের,
তে বুজিলিও আল্লার বাদশাই নজদিক আইচ্ছে।
৩২ আমি তুমরারে হাছাউ কইরাম,
ইতা হক্কলতা না ঘটার আগে,
ই জমানার মানুষ ক্ষয় অইতা নায়।
৩৩ আছমান-জমিন ক্ষয় অইযিবো,
অইলে আমার কালাম কুনুদিনও ক্ষয় অইতো নায়।
৩৪ “তুমরা নিজে হুশিয়ার রইও,
যাতে মজার মজার খানি,
মদ খাইয়া টাল অওয়া আর রুজি-রুজগারর নেশায় আউলা-জাউলা না অও,
আরনায় হউ দিন আইয়া আখতাউ তুমরারে ফান্দো হারাইতো পারে।
৩৫ দুনিয়ার তামাম মানষর উপরেউ হি দিন আজির অইবো।
৩৬ অইলে তুমরা হামেশা হজাগ রইও,
আর দোয়া করিও,
যাতে অউ যেতা জাইর অইবো অতা পার অইয়া হারি আমার ছামনে উবানির বল পাও।”
৩৭ ইছায় পরতেক দিন বায়তুল-মুকাদ্দছো আইয়া নছিয়ত করতা।
বাদে রাইত অইলে তাইন বার অইয়া জয়তুন পাড়ো যাইতাগি।
৩৮ হকল মানষে তান বয়ান হুনার নিয়তে বিয়ান-ছবরে বায়তুল-মুকাদ্দছো আইতা।