৪ তেউ যেরা চাইরোবায় ছিতরি গেছিল,

তারা হক্কল জাগাত ঘুরি ঘুরি ইঞ্জিলর খুশ-খবরি তবলিগ করলা।

৫ আর ফিলিফ শমরিয়ার এক শহরো গিয়া আল-মসীর বেয়াপারে তবলিগ করলা।

৬ মানষে ফিলিফর বয়ান হুনিয়া আর তান কেরামতি কাম অকল দেখিয়া,

ধিয়ান ধরি এক দিলে তান নছিয়ত হুনলা।

৭ কারন বউতর গেছ থাকি ভুত অকল জুরে জুরে চিল্লাইয়া ছাড়িয়া গেল,

আর বউত অর্ধং বেমারি আর লেংড়া অকল ভালা অইলা।

৮ ইতা দেখিয়া হি শহরর মানুষ খুব খুশি অইলা।

৯ অইলে হিকানো সাইমন নামর একজন মানষে বউত দিন ধরি যাদু-টুনার কাম করতো,

শমরিয়ার মানষরে ধান্দা লাগাইয়া হে নিজরে একজন কামিল পীর কইয়া দাবি করতো।

১০ আর হুরু-বড় হকলে তার কথার দাম দিতো,

মানষে কইতো,

আল্লার যে কুদরতরে খাছ কুদরত কইন,

ই বেটা অইলো হউ খাছ কুদরতি বেটা।

১১ মানষেও তার কথামতো চলতো কারন বউত দিন ধরি হে তার যাদু-টুনা দেখাইয়া তারারে তাইজ্জুব বানাইছিল।

১২ অইলে ফিলিফে যেবলা আল্লার বাদশাই আর ইছা আল-মসীর বেয়াপারে খুশ-খবরি তবলিগ করলা,

আর মানষে তান তবলিগে ইমান আনলা,

ই সময় বেটাইন-বেটিন্তে আইয়া তৌবার গোছল করলা।

১৩ হউ সাইমনও ইমান আনিয়া তৌবার গোছল করিয়া ফিলিফর খরে খরে রইলা,

বউত কেরামতি আর বড় বড় কুদরতি কাম হাছিল অর দেখিয়া তাইজ্জুব অইগেলা।

১৪ জেরুজালেমর সাহাবি অকলে যেবলা হুনলা,

শমরিয়ার মানুষ অকলে আল্লার কালামর উপরে ইমান আনছইন,

তেউ তারা পিতর আর হান্নানরে এরার গেছে পাঠাইলা।

১৫ পিতর আর হান্নান আইয়া তারার লাগি দোয়া করলা,

যাতে তারা পাক রুহ পাইন।

১৬ কারন অখনও তারার উপরে পাক রুহ নাজিল অইছে না,

তারা খালি হজরত ইছার নামে তৌবার গোছল করছইন।

১৭ পিতর আর হান্নানে তারার উপরে আত রাখলা,

তেউ তারা পাক রুহ পাইলা।

১৮ আর সাইমনে যেবলা দেখলা,

সাহাবি অকলর আত রাখার কারনে পাক রুহ মিলের,

অউ তাইন টেকা আনিয়া এরার গেছে দিয়া কইলা,

১৯ “আমারেও অউ খেমতা দেউক্কা,

যাতে আমি কেউরর উপরে আত রাখলে হে-ও অউ পাক রুহ পায়।”

২০ পিতরে তারে কইলা,

“তুমার রুপা তুমার লগেউ বিনাশ অউক,

তুমি মনো করছো আল্লার দান টেকাদি খরিদ করা যায়।

২১ আমরার ই কামো তুমার কুনু ভাগ নাই,

কারন আল্লার নজরো তুমার দিল সরল নায়।

২২ এরলাগি ই নাজাইজ কাম থাকি তুমার দিল ফিরাও।

আর আল্লার গেছে মিনত-কাজ্জি করো,

কিবা তুমার দিলর ই নাজাইজ খিয়াল তাইন মাফ করিলিতা পারইন।

২৩ আমি দেখরাম,

তুমার দিল লিপসায় ভরা আর তুমি গুনার মাজে বন্দি অইরইছো।”

২৪ তেউ সাইমনে কইলা,

“আপনারা আল্লার গেছে আমার লাগি দোয়া করউক্কা,

যাতে আপনারা যেতা যেতা কইছইন ইতা যানু আমার উপরে না আয়।”

২৫ বাদে পিতর আর হান্নানে মালিকর কালাম তবলিগ করিয়া জেরুজালেমো ফিরত যাওয়ার পথো,

শমরিয়ার বউত গাউত খুশ-খবরি তবলিগ করি করি গেলা।

২৬ একদিন আল্লার এক ফিরিস্তায় হজরত ফিলিফরে কইলা,

“উঠো,

দউকনর যে পথ জেরুজালেম থাকি গাজা টাউনর বায় গেছে হউ পথে রওয়ানা দেও।”

ই পথ আছিল মরুভুমিত।

২৭ তেউ ফিলিফ উঠিয়া হবায় রওয়ানা দিলা,

যাইতে যাইতে পথো ইথিওপিয়া দেশর কান্দাকি রানীর একজন বড় রাজ খাজাঞ্চির লগে তান মুলাকাত অইলো,

হি খাজাঞ্চি আছলা না-মর্দ,

আর রানীর হক্কল ধন-রত্নর জিম্মাদার।

আল্লার এবাদত-বন্দেগি করার লাগি এইন জেরুজালেমো আইছলা।

২৮ বাদে বাড়িত যাওয়ার বালা পথো তান নিজর ঘোড়ার গাড়িত বইয়া ইশায়া নবীর কিতাব তিলাওত করাত আছলা।

২৯ অউ সময় পাক রুহে ফিলিফরে কইলা,

“অউ গাড়ির কান্দাত যাও,

আর এন লগে লগ ধরো।”

৩০ তেউ ফিলিফে দৌড়িয়া অউ গাড়ির কান্দাত গিয়া হুনলা,

এইন ইশায়া নবীর কিতাব তিলাওত কররা;

ফিলিফে তানরে জিকাইলা,

“আপনে যেতা তিলাওত কররা ইতার মানি বুজরা নি?”

৩১ হেইন কইলা,

“কেউ বুজাইয়া না দিলে আমি কেমনে বুজমু?”

অউ তাইন ফিলিফরে গাড়িত উঠিয়া তান কান্দাত বওয়ার লাগি মিনত করলা।

৩২ হেইন কিতাবর যে আয়াত তিলাওত করাত আছলা,

ইতা অইলো,

৩৪ হউ খাজাঞ্চিয়ে ফিলিফরে কইলা,

“কউক্কা ছাইন,

নবীয়ে কার বেয়াপারে ইতা কইছইন?

নিজর বেয়াপারে না আর কেউরর?”

৩৫ ফিলিফে জবান খুলিয়া পাক কালামর অউ আয়াত থাকি লইয়া ইছার খুশ-খবরি পর্যন্ত তান গেছে তবলিগ করলা।

৩৬-৩৭ পথো যাইতে যাইতে তারা পানিআলা এক জাগাত আইয়া পৌছলা,

তেউ হি খাজাঞ্চিয়ে কইলা,

“অউ দেখউক্কা অনো পানি আছে,

তে আমি তৌবার গোছল করতে কুনু বাধা আছে নি?”

৩৮ কইয়া তাইন ঘোড়ার গাড়ি উবা করার হুকুম দিলা,

ফিলিফ আর হউ না-মর্দ খাজাঞ্চি দুইও জন পানিত লামলা,

আর ফিলিফে তানরে তৌবার গোছল করাইলা।

৩৯ তারা যেবলা পানি থাকি উঠিয়া আইলা,

অউ সময় মাবুদর রুহে আখতাউ ফিলিফরে আওড়ে নিলাগি।

হি না-মর্দে আর ফিলিফরে দেখলা না,

তেউ তাইন ফুর্তি করি করি তান নিজর পথে গেলাগি।

৪০ অইলে ফিলিফরে আসদুদ টাউনো দেখা মিললো;

তাইন গাউয়ে গাউয়ে খুশ-খবরি তবলিগ করি করি হেশে কৈছরিয়া টাউনো গেলা।