আল্লাই পাক রুহ পাওয়ার ফল
 তে অউ তালিম থাকি আমরা বুজি,
ইছা আল-মসীর যেরা আপন জন বনি গেছইন,
অখন তারারে আর দুষি সাইবস্তো করা অইতো নায়।
 গুনা আর মউতর আত থাকি আমারে খালাছ করা অইছে,
জিন্দেগি দেওরা রুহে ইছা আল-মসীর উছিলায় খালাছ করছইন।
 রক্ত-মাংসর শরিলর বদ খাইশর লাগি শরিয়তে আমরারে বাচাইতো পারছে না,
আর শরিয়তে যেতা করতো পারছে না,
আল্লায় তো নিজেউ ইতা করছইন।
তাইন তান নিজর খাছ মায়ার জন ইবনুল্লারে আমরার লাখান গুনাগার মানষর ছুরতে পাঠাইলা,
গুনার খেমতারে বিনাশ করার লাগি।
আর অউ মায়ার জনর জান কুরবানির মাজদি গুনার বিচার করিয়া তার খেমতারে বাতিল করি দিলা।
 তাইন আমরার পক্ষ লইয়া ইতা করলা,
আমরা যেরা রক্ত-মাংসর শরিলর খাইশে না চলিয়া রুহর বশে চলি,
অউ আমরার লাগি শরিয়তর দাবি-দাওয়া আদায় করলা।
 শরিলর বদ খাইশর আওতায় যেতা মানুষ চলইন,
তারার মনও বদ খাইশর বায় খিয়ালি থাকে,
আর যেরা পাক রুহর আওতায়,
তারার মন তো পাক রুহর খুশি মাফিক চলতে খিয়ালি রয়।
 শরিলর বদ খাইশ যে কামর খিয়ালি,
ইতার ফল অইলো মরন,
অইলে পাক রুহর খিয়ালে চলার ফল অইলো জিন্দেগি আর শান্তি।
 যে জনর মন শরিলর বদ খাইশর বায় খিয়ালি,
ই মন তো আল্লার দুশমন,
হে আল্লাই শরিয়ত মানতে রাজি নায়,
মানতো পারেও না।
 এরলাগিউ যেতা মানুষ শরিলর বদ খাইশর আওতায় চলইন,
তারা আল্লারে খুশি করতা পারইন না।
 অইলে তুমরার দিলো যেবলা আল্লার রুহ বসত করইন,
তে তুমরা তো শরিলর বদ খাইশর আওতায় নায়,
বরং পাক রুহর আওতায়।
আসল কথা অইলো,
আল-মসীর রুহ যার মাজে নাই,
হে আল-মসীর নায়।
১০ আর হাছাউ যুদি আল-মসী তুমরার মাজে থাকইন,
তে গুনার ফল হিসাবে তুমরার শরিল মরার পথি অইলেও,
পাক রুহর ফল হিসাবে তুমরা তো জিন্দা।
আল্লায় তো তুমরারে বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য করছইন।
১১ আর হউ ইছারে যেইন মুর্দা থাকি জিন্দা করছইন,
অউ আল্লার রুহ যেবলা তুমরার দিলো বসত করইন,
তে তান অউ রুহর বলে মউতর আওতায় থাকা তুমরার শরিলরেও জিন্দেগি দান করবা।
১২ এরলাগি ও ভাই অকল,
শরিলর বদ খাইশর গেছে আমরা আর ঠেকাত নায়,
অউ বদ খাইশর অধীনে চলারও জরুর নায়।
১৩ অখন শরিলর বদ খাইশর আওতায় চললে তো তুমরা চিরকালর লাগি মরবায়,
অইলে পাক রুহর বলে শরিলর হকল নাফরমানিরে বিনাশ করিল্লে চিরকাল জিন্দা রইবায়।
১৪ কারন আল্লার রুহর বলে যেরা চলে,
তারাউ আল্লার আওলাদ।
১৫ তুমরা তো গুলামির রুহ পাইছো না,
তে আর ডরাইতায় কেনে?
তুমরা খালি হউ আল্লার রুহ পাইছো,
যেইন তুমরারে আওলাদ অওয়ার এখতিয়ার দিছইন।
এরলাগিউ আল্লা পাকরে আমরা রুহানি আব্বা,
পবিত্র বাবা কইয়া ডাকি।
১৬ আমরার দিলর মাজর আল্লাই পাক রুহেও অলা সাক্ষি দিয়া কইরা,
আমরা আল্লার আওলাদ।
১৭ আমরা যেবলা আওলাদ,
তে আমরা মৌরসি বাট পাইমু।
আল-মসীয়ে আল্লার গেছ থাকি মৌরসি বাট পাইবা,
আর তান লগে আমরাও পাইমু।
খালি আমরা তান লগে দুখ-কষ্ট সইয্য করলে,
তান লগে গৌরব-মহিমারও ভাগ পাইমু।
আমরা কুন লাখান বাট পাইমু
১৮ ভাইয়াইনরে,
আমরা বাদে যে মহিমা পাইমু,
ইতার তুলনায় অখনকুর ই দুখ-কষ্ট কুন্তাউ নায়,
ইতা তো আমি জানি।
১৯ হউ সময় আইলে দেখা যাইবো কে কে তান আসল আওলাদ,
এরারে দেখার লাগিউ আল্লার পয়দা করা হকলতায় জানে-পরানে বার চাইরা।
২০ কারন তান পয়দা করা হকলতাউ অখন অসার অইগেছে।
ইতা কুনু নিজে নিজে অসার অইগেছে নি?
না,
বরং আল্লায়উ তারারে হউ পথে ছাড়ি দিছইন।
অইলে এরলগে তাইন অউ আশাও দিছইন,
২১ একদিন ইতা হকলতা বিনাশর আত থাকি খালাছ অইয়া,
আল্লার আওলাদ অকলর স্বাধীনতা আর গৌরবর ভাগি অইতো পারবো।
২২ অখন পর্যন্ত দেখিয়ার,
হুরুতা পয়দার কালো মাʼয় যেলা বুক ফাটাইয়া চিল্লাইন,
তান পয়দা করা হকলতায়উ অলা আহাজারি করি চিল্লাইরা।
২৩ খালি ইখান নায়,
আমরাও হউ যে মহিমা বাদে পাইমু,
এর পয়লা কিস্তি হিসাবে আল্লাই পাক রুহরে অখন পাইছি,
পাইয়া বাকি কিস্তির লাগি আমরাও অলা চিল্লাইয়ার।
আর হউ কিস্তি পাওয়ার দিনর লাগি বার চাইয়ার,
যে দিন আমরারে আল্লার আওলাদ হিসাবে জাইর করা অইবো,
মানি যে দিন আমরার শরিলরে বিনাশর আত থাকি খালাছ করা অইবো।
২৪ আমরা খালাছ অওয়ার অউ আশা পাইছি,
ইমান আনার কালো।
তে যেতা জিনিস মানষে দেখিলায়,
ইতা দেখার লাগি হে আর আশা করে না,
যেতা দেখা অইগেছে,
ইতারে দেখার আশা আর কেনে করতো?
২৫ অইলে না দেখা জিনিসরে দেখার লাগি আমরা ধৈর্য ধরিয়া বার চাই।
২৬ ইতা ছাড়া আমরার কমজুরির সময় তো পাক রুহে আমরারে সাইয্য করইন।
দোয়া করার কালো আমরা কিতা চাইতাম,
ইতা তো আমরা জানি না।
অইলে মুখদি যেতা কওয়ার সাইধ্য নাই,
দিলর কান্দনর লগে পাক রুহে নিজেউ আমরার পক্ষ অইয়া,
ইতার লাগি মিনতি করইন।
২৭ কারন যেইন মানষর দিলর তালাশ করইন,
তাইন তো পাক রুহর কথাও বুজইন।
পাক রুহে আল্লার মর্জি মাফিক তান পাক বন্দা অকলর লাগি মিনতি করইন।
২৮ আমরা জানি,
আল্লারে যেরা মহব্বত করইন,
মানি আল্লায় তান নিজর মর্জি মাফিক যেরারে দাওত দিছইন,
তারার ভালাইর লাগি হকলতায় একলগে কাম করের।
২৯ আল্লায় যেরারে আগ থাকিউ তান নিজর লাগি পছন্দ করি রাখছিলা,
তারারে তান খাছ মায়ার জন ইছার লাখান অওয়ার লাগিউ পছন্দ করছিলা,
যাতে অউ ইছা ইবনুল্লাউ,
এরা হকলর বড় ভাই অইন।
৩০ তাইন আগে যেরারে পছন্দ করছিলা,
তারারেউ দাওত দিলা।
আর যেরারে দাওত দিলা,
তারারে বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য করলা,
আর যেরারে বে-কছুর গইন্য করলা,
তারারে তান নিজর গৌরব-মহিমাও দান করলা।
আল্লার মহব্বতর বল-শক্তি
৩১ অখন ইতা বেয়াপারে আমরা কিতা কইতাম?
স্বয়ং আল্লা পাক যেবলা আমরার পক্ষে,
তে আমরার বিপক্ষে খেগু লাগতো?
৩২ আমরা হকলরে বাচানির লাগি,
আল্লায় যেবলা তান খাছ মায়ার জন ইবনুল্লারে বিলাই দিতেও নারাজ অইলা না,
তানরে মউতর আতো সপি দিলা,
তে অউ মায়ার জনর লগে হকলতাউ আমরারে দান করতা নায় নি?
৩৩ আর আল্লায় তান নিজর লাগি যেরারে পছন্দ করছইন,
এরার বিরুদ্ধে নালিশ দিবার সাইধ্য কার?
আল্লায় নিজেউ তারারে বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য করছইন।
৩৪ তে তারারে খেগুয়ে দুষিতো?
যেরার লাগি হউ ইছা আল-মসীর মউত অইছে,
মউতর বাদে জিন্দা করিও তুলা অইছে,
তাইন অখন আল্লা পাকর ডাইন গালার তখতো বইয়া,
আমরার লাগি মিনত-কাজ্জি করাত আছইন।
৩৫ এরলাগি ইলা কুনু জিনিস আছে নি,
যেতায় আমরারে আল-মসীর মহব্বত থাকি আলগ করতো?
জুলুম-নির্যাতন,
জালা-যন্ত্রনা,
মনর কষ্ট,
খাওয়া-ফিন্দার অভাব,
বিপদ-আপদ বা দুশমনর তলোয়ার?
৩৬ পবিত্র জবুর শরিফো আছে,
 
তুমার নামর লাগি
আমরারে হর-হামেশা খুন করা অর।
মানষর চখুত আমরা অইলাম বলির পাঠা।
 
৩৭ না,
ইলা কুন্তাউ নাই।
কারন যে ইছায় আমরারে অতো মহব্বত করছইন,
তান বলে আমরা ইতা হকলতাতউ পুরাপুর জয়ী অইয়ার।
৩৮ তে আমি ইখান ভালামন্তেউ জানি,
জিন্দেগি বা মউত,
ফিরিস্তা বা ইবলিছর কুনু চেলা,
অখন বা ভবিষ্যতর কুনুতায়উ,
কুনু লাখান শক্তিয়েউ,
৩৯ আছমানর বা পাতালর বা পয়দা অওয়া কুনু জিনিসেউ আমরারে আল্লার মহব্বত থাকি আলগ করতো পারতো নায়।
তান অউ মহব্বত তো আমরার মালিক ইছা আল-মসীর উছিলায় পাইছি।