সাহাবি অকলর অধিকার
 ভাইয়াইনরে,
আমি কিতা স্বাধীন নায় নি?
আমি কুনু সাহাবি নায় নি?
আমি কুনু আমরার মালিক ইছারে দেখছি না নি?
মালিকর লাগি আমি যে তবলিগ কাম করছি,
ইতার ফল তুমরা নায় নি?
 অইন্য কেউ আমারে সাহাবি কইয়া না মানলেও তুমরা তো মানবায়,
আমার সাহাবি কামর সীল-চাপ্পড় তুমরাউ,
কারন আমার মাজদি তুমরা তান উম্মত অইছো।
 তে আমার সাহাবি পদ লইয়া যেরা সন্দয় করইন,
তারা আমার অউ জুয়াপ হুনউক্কা।
 আমি আর সাহাবি বার্নাবাছে কিতা খানা-পিনার বেতন পাইবার অধিকার নাই নি?
 মুমিন কুনু বইনরে শাদি করার অধিকার আমরার নাই নি?
অইন্য সাহাবি অকলে,
মালিক ইছার ভাইয়াইন্তে আর সাহাবি পিতরে যেলা যারযির বিবিরে লইয়া ছফরো যাইন,
আমরাও অলা পারি না নি?
 খালি আমি আর বার্নাবাছেউ নিজর আতে কামাই করিয়া খাইতাম নি?
 নিজর গাট্টির টেকা ভাংগিয়া কেউ সিপাইর চাকরি করে নি?
যে গিরস্তে ফলর বাগান করে,
হে ইতার ফল খায় না নি?
যে রাখালে পশুপাল রাখে,
হে ইতার দুধ খায় না নি?
 আমি তো খালি মানুষ আখলে মাতিয়ার না,
মুছা নবীর শরিয়তেও অলা কইছে।
 শরিয়তো আছে,
“ধান মাড়া দেওয়ার সময় গরুর মুখো হুফি লাগাইও না।”
তে আল্লায় খালি গরুর কথাউ চিন্তা করইন নি?
১০ তাইন আসলে আমরার কথাউ কইছইন,
ইখান হাছা নায় নি?
নিচ্চয়,
ইতা আমরার লাগিউ লেখা অইছিল,
কারন যেইন খেত করইন আর যেইন ধান মাড়া দেইন,
ফসলর বাট পাওয়ার আশায়উ তারার ইতা করা উচিত।
১১ তে আমরা যেলা তুমরার মাজে রুহানিক বিচি রুইছি,
অউলা যুদি তুমরার গেছ থাকি দুনিয়াবি খানি-পানি যুগাই,
তে বেশি কুন্তা নিরাম নি?
১২ আর অউ বেয়াপারে যুদি তুমরার উপরে অইন্য মানষর দাবি খাটে,
তে আমরা আরো বেশি দাবি খাটাইতাম পারি না নি?
অইলে আমরা ইলা দাবি না খাটাইয়া সইয্য করিয়ার,
যাতে আল-মসীর বেয়াপারে খুশ-খবরি তবলিগ কামো আমরা কেউরর পথর কাটা না অই।
১৩ তুমরা জানো না নি,
পবিত্র বায়তুল-মুকাদ্দছো যেরা কাম করইন,
তারা অখান থাকিউ খানা-পিনা পাইন,
আর কুরবানি খানাত যেরা কাম করইন,
তারা অউ কুরবানির মাল থাকি বাট পাইন।
১৪ ঠিক অলাখান মালিক ইছার হুকুম আছে,
যারা খুশ-খবরি তবলিগ করইন,
তারা যানু অউ কামর উছিলায় খাওয়া-ফিন্দা পাইন।
১৫ অইলে আমি তো এর কুন্তাউ নিছি না।
আর অখন তুমরারেও ইতা লেখিয়ার না,
আমার লাগি অতার বেবস্তা করতায় করি।
অখন আমার অউ বড়াইরে যুদি কেউ বেকামা বানাইলায়,
তে আমার মরি যাওয়াউ ভালা।
১৬ আমি যে খুশ-খবরি তবলিগ করিয়ার,
এতে আমার বড়াই দেখানির কুন্তা নায়,
ইতা আমার লাগি ফরজ।
তবলিগ না করলে আমার উপরে লান্নত পড়উক!
১৭ অইলে আমি যুদি খুশি মনে তবলিগ করি,
তে তো আমার পুরুস্কার আছে,
আর যুদি নিজর খুশিয়ে না-ও করি,
তে মালিকর দেওয়া জিম্মাদার হিসাবে তো করিয়ার।
১৮ অখন আমার ই কামর পুরুস্কার কিতা?
ই পুরুস্কার অইলো,
খুশ-খবরি তবলিগ করিয়া হারি পাওনা বেতন নেই না,
বিনা পয়সায় তবলিগ করাউ আমার বেতন।
১৯ আমি যুদিও কুনু বেটার গুলাম নায়,
তেবউ বইত মানষর জান বাচানির লাগি নিজরে হকলর গুলাম বানাইয়া রাখছি।
২০ ইহুদি অকলর মন জয় করার লাগি ইহুদি সমাজো আমি ইহুদির লাখান অইছি।
আমি তো মুছা নবীর শরিয়তর অধীনে নায়,
অইলে যারা তান শরিয়ত মানে,
তারারে জয় করার লাগি আমি তারার লাখান অইছি।
২১ আর যারা শরিয়তর বাইরা,
তারারে জয় করার লাগি আমি শরিয়তর বাইরা মানষর লাখান অইছি।
আসলে আমি আল্লার দেওয়া শরিয়তর বারে নায়,
আল-মসীর শরিয়তর অধীনে আছি।
২২ যেরা কমজুর,
তারার গেছে আমি কমজুরর লাখান অইছি,
তারারেও জয় করার লাগি।
বেয়াপার অইলো,
যেকুনু মন্তে কিছু মানষর জান বাচানির লাগি আমি হকল সমাজর মন যুগাই চলিয়ার।
২৩ খালি খুশ-খবরির লাগিউ আমি ইতা করিয়ার,
যাতে এর রহমতর ভাগি অই।
২৪ তুমরা জানো না নি,
দৌড়র খেলাত উঠিয়া হকলেউ দৌড়ায়,
অইলে পুরুস্কার খালি একজনেউ পায়।
অখন তুমরাও অউলা দৌড়াও যাতে পুরুস্কার পাও।
২৫ দৌড়র খেলাত দৌড়াইয়া হারি মানষে অলা এক মালা পায়,
যে মালা বাদে নষ্ট অইযায়,
আর অউ মালা পাওয়ার লাগি এরা বউত কঠিন নিয়ম-কানুনও মানে।
অইলে আমরা তো আসল অক্ষয় মালা পাওয়ার লাগি ইতা কররাম।
২৬ এরলাগি উদ্দেশ্য ছাড়া আমি দৌড়াইরাম না।
যেতা বেটাইন্তে বাতাসর লগে কিলাকিলি করইন,
আমি তো ইতার লাখান নায়।
২৭ বরং আমি নিজর শরিলরে কষ্ট দিয়া গুলামর লাখান রাখছি,
যাতে অইন্যর গেছে খুশ-খবরি তবলিগ করিয়া হারি,
পুরুস্কার থাকি নিজে বাদ না পড়ি।