৬ ইতা ঘটনা অইলো আমরার তালিমর লাগি এক ইতিহাস,

যাতে অতা দেখিয়া আমরা হুশিয়ার অই আর তারার লাখান কু-পথর আশিক না অই।

৭ তারার মাজে কেউ কেউ যেলা মুর্তিপুজা করছিল,

তুমরা ইলা করিও না।

তৌরাত শরিফো আছে,

“হকল মানুষ খানিত বইলা,

বাদে তারা খাওয়া-দাওয়া করিয়া হারি,

হৈ-হুল্লা করি নাচ-গান,

ফুর্তি-আমোদ করাত লাগলা।”

৮ আরকবার তারার মাজর বউত জনে জিনা করায়,

একই দিনে তেইশ আজার মানুষ মারা গেছলা।

তে আমরা যানু অলাখান জিনা থাকি বাচিয়া রই।

৯ তারার মাজর বউতে মালিক-মউলারে পরিক্ষা করাত লাগিয়া হাফর কামড় খাইয়া মরছইন।

আমরা যানু তানরে ইলা পরিক্ষা না করি।

১০ তারার মাজর বউতে না-খুশ অইয়া বকা-জকা করায়,

আল্লার গজবর ফিরিস্তায় তারারে বিনাশ করছইন।

এরলাগি তুমরা ইলা করিও না।

১১ তারার উপরে ইতা ঘটিছিল নিশানা হিসাবে,

যাতে অতা দেখিয়া আমরা হুশিয়ার অই।

আমরা যেরা অউ আখেরি জমানার মানুষ,

অউ লেখা পড়িয়া আমরা যানু সাবধানে রই।

১২ এরলাগি কুনু মানষে যুদি মনো করে,

হে মজবুত আছে,

তে হে হুশিয়ার রউক যাতে তার ইমান না আলে।

১৩ মানষর জিন্দেগিত যেলাখান পরিক্ষা আয়,

অতার বাইরা নয়া কুনু পরিক্ষা তো তুমরার উপরে অর না।

আল্লা পাক তো হক-হালাল,

তাইন তুমরারে সইয্যর অতিরিক্ত কুনু পরিক্ষাত ফালাইতা নায়,

বরং পরিক্ষা থাকি বাচিবার পথও বাতাই দিবা,

যাতে তুমরা ইতা সইয্য করতায় পারো।

১৪ ও মায়ার দুস্ত অকল,

এরলাগি আমি তুমরারে কইরাম,

দেব-দেবীর পুজা থাকি জান বাচাও।

১৫ তুমরারে আখলদার জানিয়াউ আমি কইরাম,

আমি যেতা কইরাম তুমরা ইতা যাচাই-বাচাই করিয়া দেখো।

১৬ আল-মসীর মেজবানির সময়,

শুকরিয়া আদায় করিয়া পিয়ালা থাকি আমরা যে শরবত খাই,

ইতার মাজদি আমরা আল-মসীর লউর লগে শরিক অই না নি?

আর যে রুটি ছিড়িয়া খাই,

ই খানির মাজদি তান শরিলর লগে শরিক অই না নি?

১৭ আমরা হকলে যেবলা এক রুটি বাটিয়া খাই,

তে বুজা যায়,

আমরা বউত জন অইলেও আমরা খালি এক শরিল।

১৮ হুনো,

বনি ইছরাইলর হালত চিন্তা করো,

তারার যেতা মানষে কুরবানির গোস্ত খাইন,

তারা হউ কুরবানি খানার হকল কামোও শরিক অইযাইন না নি?

১৯ আর আমি কুনু কইরাম নি,

দেবতার নামর পসাদরে হিসাবো ধরা যায়,

বা অউ দেবতারে হিসাবো ধরা যায়?

২০ না,

মোটেউ না।

তা-ও বিধর্মী অকলে যতো নমুনার বলি দেইন,

ইতা দেও-দানব,

ভুত-পেরতর নামেউ দেইন,

আল্লার নামে নায়।

তে আমি চাই না,

অউ ভুত-পেরতর লগে তুমরার কুনু খাতির-দুস্তি রউক।

২১ হুনো,

মালিক ইছার মেজবানি আর ভুত-পেরতর মেজবানি,

ই দুইও কামো শরিক অওয়া তুমরার লাগি ঠিক নায়।

মালিকর পিয়ালা আর ভুতর পিয়ালা,

দুইওতা থাকি একলগে খাওয়া ঠিক নায়।

২২ তে আমরা কিতা করিয়ার,

আমরা মালিক ইছার দিলো আগুইন লাগাইতাম নি?

তান লগে লাড়াই করিয়া জিততাম পারমু নি?

২৩ মনো অর নি,

আমি তো আগে কইছি,

কুনু কুনু জনে কইন,

“আমার লাগি কুন্তাউ হারাম নায়,

হক্কলতাউ জাইজ।”

অইলে হক্কলতা যেন মানষর লাগি উপকারি,

ইলা চিন্তা তো ঠিক নায়।

যুদিও এরা কইন,

হক্কলতাউ হালাল,

অইলে হকলতায় তো মানষর ইমান বাড়ায় না।

২৪ তে কুনু জনেউ নিজর স্বার্থ লইয়া পাগল অইও না,

বরং অইন্যর ভালাই করার চেষ্টা করো।

২৫ বাজার-আটো যেকুনু গোস্ত বিকি অইলে ইতা খাইও,

নিজর বিবেকরে শান্তি রাখার লাগি কুনু সন্দয় করিও না।

২৬ পবিত্র জবুর শরিফে তো কয়,

“ই জগত আর জগতর হক্কলতাউ মাবুদর।”

২৭ এরলাগি আমরার তরিকার বাইরর কুনু মানষে যুদি তুমরারে দাওত দেইন,

আর তুমরা যাইতায় চাও,

তে বিবেকরে ঠান্ডা রাখার লাগি কুনু সন্দয় না করিয়া যেতা ছামনে দেইন অতাউ খাইও।

২৮ অইলে কেউ যুদি তুমরারে জানাই দেয়,

ই খানি কুনু দেবতার নামর পসাদ,

তে যে জনে ইখান কইছে,

তার ভালাইর লাগি আর বিবেকর আরামর লাগি ইতা খাইও না।

২৯ আমি তো তুমরার বিবেকর কথা কইরাম না,

হউ দুছরা মানষর বিবেকর কথা কইরাম।

কারন অইন্য মানষর বিবেক-বিচারে,

আমার ইচ্ছা-অনিচ্ছার স্বাধীনতাত কেনে নাক গলাইতো?

৩০ আমি যুদি আল্লার শুকরিয়া আদায় করিয়া খানা-পিনা খাই,

তে যে খানির লাগি শুকরিয়া আদায় করলাম,

অউ খানির লাগি আর বদনাম অইতো কেনে?

৩১ এরলাগি তুমরা খানা-পিনা করো বা যেতাউ করো না কেনে,

হকলতাউ আল্লার গৌরবর নিয়তে করিও।

৩২ বনি ইছরাইল বা ভিন জাতি,

বা আল্লার জমাতর কুনু মানষর পথর কাটা বনিও না।

৩৩ আমি যেলা হকল নমুনার মানষরে হকল বেয়াপারে খুশ রাখার চেষ্টা করি,

তুমরাও অউলা করিও।

আমি তো নিজর স্বার্থর চিন্তা করি না,

সব মানষর ভালাইর চেষ্টা করি,

যাতে তারা নাজাত হাছিল করইন।