মানষর দুষ তুকাইও না
 “তুমরা মানষর দুষ তুকানিত রইও না,
তেউ তুমরার দুষও তুকাইল অইতো নায়।
 তুমরা যেলা মানষর দুষ তুকাও,
আল্লায়ও অউলা তুমরার দুষ তুকাইবা।
তুমরা যেলা পাল্লাদি মাপিবায়,
তুমরার লাগিও অলা মাপা অইবো।
 “তুমার ভাইর চউখর ভিতরে গুড়া আছে ইখান দেখরায়,
অইলে নিজর চউখো গাছর চেলি আছে ইখান দেখরায় না কেনে?
 তুমার চখুত চেলি হামাইছে ইখান যেবলা দেখরায় না,
তে তুমার ভাইরে কিলা কইবায়,
ভাই,
তুমার চখুত গুড়া হামাইছে,
আও,
বার করিয়া দেই?
 হায়রে ভন্ড,
পয়লা নিজর চউখ থাকি চেলি বার করো,
বাদে তুমার ভাইর চউখ থাকি গুড়া বার করাত লাগলে ভালা করি দেখতায় পারবায়।
 “হুনো,
কুত্তার ছামনে পাক-পবিত্র কুনু চিজ দিও না।
শুয়রর ছামনে মনি-মুক্তা ছিটাইও না।
আরনায় অউ চিজরে তারার পাওদি উড়িয়া,
উল্টা আইয়া তুমরারেও হামলা করতা পারইন।
দোয়া-মুনাজাতর বেয়াপারে ওয়াদা
 “আমি তুমরারে কইরাম,
চাও,
তুমরারে দেওয়া অইবো।
তালাশ করো,
তেউ পাইবায়।
দুয়ারো ঠুকা দেও,
তেউ দুয়ার খুলা অইবো।
 যারা চায়,
তারাউ তো পায়।
যে তালাশ করে হে পায়।
যে দুয়ারো ঠুকায়,
তার লাগি দুয়ার খুলা অয়।
 তুমরার মাজে ইলা কুনু মা-বাফ আছে নি,
যার পুতে রুটি চাইলে মাটি দিবো?
১০ মাছ চাইলে হাফ দিবো?
১১ তুমরা খারাপ অইয়াও যুদি তুমরার হুরুতাইনরে ভালা ভালা চিজ দিতায় জানো,
তে যারা বেহেস্তি বাফ আল্লা পাকর গেছে চাইবো,
তাইন তো নিচয় তারারে ভালা ভালা চিজ দান করবা,
ইতা তো স্বাভাবিক।
১২ হুনো,
তুমরা মানষর গেছ থাকি যেলাখান বেবহার পাইতায় চাও,
তুমরাও হকলর লগে অউ লাখান বেবহার করো।
অতাউ অইলো তৌরাত কিতাব আর নবী অকলর ছহিফার মুল তালিম।
কুন পথে চলতায়
১৩ “হুনো,
তুমরা চিপা দুয়ারেদি হামাইও,
কারন যে পথে বিনাশর বায় টানে,
ই পথ মোটা,
পথর দুয়ারও বড়,
বউত মানুষ অউ দুয়ারেদি হামাইন।
১৪ অইলে যে পথে গেলে জিন্দেগি মিলে,
ই পথর দুয়ার চিপা,
পথও হুরু-মুরু।
খুব কম মানষেউ ই দুয়ারর খুজ পাইন।
১৫ “ভন্ড নবী অকল থাকি হুশিয়ার রইও।
তারা তুমরার গেছে মেড়ার ছুরতে আয়,
অইলে ভিতরে ভিতরে তারা রাইক্কস বাঘর লাখান।
১৬ তারার জিন্দেগি দেখিয়াউ চিনতায় পারবায়।
জানো তো,
গছা-কাটার মাজে কুনু আংগুর ধরে নি বা বন-জংলার মাজে কুনু ডুমুর ফল ধরে নি?
১৭ ঠিক অউ লাখান,
ভালা গাছে তো ভালা ফলউ ধরে আর মন্দ গাছে মন্দ ফলউ ধরে।
১৮ ভালা গাছে তো মন্দ ফল ধরে না,
আর মন্দ গাছে ভালা ফল ধরে না।
১৯ যে গাছে ভালা ফল ধরে না,
ইগুরে কাটিয়া দারু জালাইল অয়।
২০ অলাউ ভন্ড নবী অকলর জিন্দেগির ফল দেখলেউ ইতারে চিনবায়।
বেহেস্তি বাদশাইত কে হামাইবো?
২১ “মনো রাখিও,
আমারে ‘হুজুর,
হুজুর!’
কইলেউ যেন বেহেস্তি বাদশাইত হামাইযিবায়,
ইখান ঠিক নায়।
বরং যে জনে আমার বেহেস্তি বাফ আল্লা পাকর মর্জি যুগাইয়া চলে,
খালি হে-উ হামাইতো পারবো।
২২ হউ দিন আইলে বউতে কইবা,
‘মুনিব,
মুনিব,
আমরা তুমার নামে গাইবি খবর কইছি না নি?
তুমার নামে জিন-ভুত ছাড়াইছি না নি?
তুমার নামে বউত কেরামতি দেখাইছি না নি?’
২৩ অইলে আমি তারারে জুয়াপ দিমু,
‘ধুর,
ইবলিছর দল!
আমি তো তুমরারে চিনিউ না,
আমার গেছ থাকি বাগো।’
ইমানর দুই নমুনা
২৪ “যে মানষে আমার অউ তালিম হুনিয়া আমল করে,
হে আখলদার মানষর লাখান মজবুত খুটির উপরে তার ঘর বানায়।
২৫ বাদে মেঘ-তুফান আর জোয়ার আইয়া অউ ঘররে ঠেলা দিলেও ফালাইতো পারে না,
কারন ইখান তো মজবুত খুটির উপরে বানাইল অইছে।
২৬ অইলে যে আমার তালিম হুনিয়াও আমল করে না,
হে বেআখলর লাখান নরম মাটির উপরে ঘর বানায়।
২৭ বাদে যেবলা মেঘ-তুফান আর জোয়ার আইয়া অউ ঘররে ঠেলা দেয়,
অউ সময় ইখান পড়িয়া চেপটা অইযায়।”
২৮ ইছার ইতা তালিম হুনিয়া মানুষ তাইজ্জুব বনিগেলা।
২৯ কারন তাইন তো তারার মৌলানা অকলর লাখান তালিম না দিয়া,
খেমতাবান মানষর লাখান তালিম দিতা।