হজরত ইছা রুহুল্লার নুরানি ছুরত
১৭
 এর ছয়দিন বাদে হজরত ইছায় খালি পিতর,
ইয়াকুব আর ইয়াকুবর ভাই হান্নানরে লইয়া উচা এক পাড়র উপরে উঠলা।
 উঠিয়া হারলে এরার চউখর ছামনে তান নিজর ছুরত বদলি গেল।
তান মুখ অইগেল সুরজর লাখান জলমল,
আর ফিন্নর লেবাছ অইলো ধলা চকচকা।
 সাহাবি অকলে দেখলা,
হজরত মুছা আর ইলিয়াছ নবীয়ে আইয়া তান লগে বাতচিত কররা।
 অউ সময় পিতরে কইলা,
“হুজুর,
আমরা তো অনো আছি,
খুব ভালা অইছে।
আপনে চাইলে আমি তিনখান ডেরা-ঘর বানাইলাই,
একখান আপনার,
একখান মুছা নবীর আর একখান ইলিয়াছ নবীর লাগি।”
 তাইন ইছার লগে মাতিরা,
আখতাউ ধলা ধবধবা মেঘর এক টুকরায় আইয়া এরারে গুরিলিলো,
আর অউ টুকরা থাকি গাইবি আওয়াজ আইলো,
“এইনউ আমার খাছ মায়ার জন ইবনুল্লা,
এন উপরে আমি খুব খুশি,
তুমরা এন নছিয়ত হুনো।”
 ইখান হুনিয়া সাহাবি অকল খুব ডরাইলা,
ডরাইয়া মাটিত পড়ি গেলা।
 অউ সময় ইছা আইয়া তারারে ছইয়া কইলা,
“উঠো,
ডরাইও না।”
 তেউ তারা চউখ তুলি চাইলা,
চাইয়া খালি ইছা ছাড়া আর কেউররে ইনো দেখলা না।
 পাড় থাকি লামিয়া আওয়ার বালা ইছায় এরারে হুকুম দিলা,
“আইজ যেতা দেখলায়,
আমি বিন-আদম মরা থাকি জিন্দা অইয়া উঠার আগ পর্যন্ত ইতা আর কেউররে হুনাইও না।”
১০ সাহাবি অকলে ইছারে জিকাইলা,
“হুজুর,
মৌলানা অকলে কেনে কইন,
আল-মসী আইবার আগে,
পয়লা ইলিয়াছ নবীর আওয়া জরুর?”
১১ তাইন কইলা,
“ইখান হাছা কথা,
পয়লা হজরত ইলিয়াছে আইয়া হক্কলতা আগর হালতো ফিরাইয়া আনবা।
১২ অইলে আমি তুমরারে কইরাম,
ইলিয়াছ নবী ঠিকউ আইছলা।
ই দুনিয়ার মানষে তানরে না চিনায়,
তান লগে যেতা মনোলয় অতা করছে।
আর আমি বিন-আদমেও অউ লাখান দুখ-মছিবত পুয়ানি লাগব।”
১৩ তেউ সাহাবি অকলে বুজিলিলা,
তাইন অখন এহিয়া নবীর কথা কইরা।
জিনর আছর আলা মিরকি বেমারির শিফা
১৪ বাদে তারা পাড় থাকি লামিয়া আইলা।
অনো মানষর ভিড় আছিল,
অউ ভিড়র মাজে এক বেটা আইয়া ইছার ছামনে আটু গালাদি বইয়া কইলো,
১৫ “হুজুর,
আমার পুয়াগুরে বাচাউক্কা,
হে মিরকি বেমারে খুব কষ্ট করের।
অউ বেমার উঠলে হে হামেশা আগুনিত আর পানিত পড়ি যায়।
১৬ আমি তারে লইয়া আপনার সাহাবি অকলর গেছে আইছলাম,
অইলে তারা ভালা করতা পারছইন না।”
১৭ ইছায় কইলা,
“হায়রে বেইমান আর নাফরমানর জাত,
আমি আর কতদিন তুমরার লগে রইমু,
তুমরার জালা কতদিন সইয্য করমু?
দেখি,
তুমার পুয়ারে অনো আনো।”
১৮ ইছায় পুয়ার লগর হউ জিন্নাতরে ধামকি দিলা,
ধামকি খাইয়া জিনে পুয়ারে ছাড়িয়া গেলগি,
লগে লগে হে ভালা অইগেল।
১৯ বাদে সাহাবি অকলে নিরালায় ইছারে জিকাইলা,
“হুজুর,
আমরা কেনে অউ জিন্নাত ছাড়াইতাম পারলাম না?”
২০ তাইন কইলা,
“তুমরার ইমানর কমজুরির লাগিউ পারছো না।
আমি হাছাউ কইরাম,
তুমরার দিলো যুদি এগু ডেংগা বিচি পরিমান ইমান থাকে,
আর তুমরা অউ পাড়রে কও,
‘অন থাকি ডুলিয়া হনো যাওগি,’
তে অউ পাড়ও ডুলিযিবো।
তুমরার অসাইধ্য কুন্তাউ রইতো নায়।
২১ হুনো,
দোয়া আর রোজা রাখা ছাড়া ই-জাত জিন ছাড়াইল যায় না।”
দুছরা বার নিজর মউতর আগাম খবর
২২ বাদে গালিল জিলাত আইয়া ইছায় তান সাহাবি অকলরে কইলা,
“আমি বিন-আদমরে মানষর আতো ধরাই দেওয়া অইবো।
২৩ তারা আমারে জানে মারিলিবা,
মরার তিন দিনর দিন আমি হিরবার জিন্দা অইয়া উঠমু।”
ইখান হুনিয়া সাহাবি অকল খুব বেজার অইগেলা।
মাছর মুখো রুপার টেকা
২৪ এরবাদে ইছায় সাহাবি অকলরে লইয়া কফরনাউম টাউনো গেলা,
অউ সময় বায়তুল-মুকাদ্দছর খাজনা তুলরা অকলে সাহাবি পিতররে কইলা,
“আপনারার উস্তাদে বায়তুল-মুকাদ্দছ কাবা শরিফর চান্দা দেইন না নি?”
২৫ পিতরে জুয়াপ দিলা,
“জিঅয়,
দেইন তো।”
অখান কইয়া পিতর ঘরো হামাইয়া কুন্তা মাতার আগেউ ইছায় কইলা,
“পিতর,
তুমি কিতা মনো করো?
দুনিয়ার বাদশা অকলে কার গেছ থাকি খাজনা-চান্দা আদায় করইন?
নিজর মানষর গেছ থাকি,
না বারা মানষর গেছ থাকি?”
২৬ পিতরে কইলা,
“বারা মানষর গেছ থাকি।”
তেউ ইছায় কইলা,
“তে তো নিজর মানুষ ইতা থাকি বাচি গেলো,
আর আমরাও আল্লার আপন মানুষ অওয়ায় আল্লার ঘরর খাজনা থাকি বাচি গেছি।
২৭ অইলে আমরা এরারে বেজার করতাম নায়,
এরলাগি তুমি আওরো যাও,
গিয়া মাছ মারার লাগি বরি ফালাও,
বরিত পয়লা যে মাছ লাগবো,
অগুর মুখর ভিতরে একটা রুপার টেকা পাইবায়।
অউ টেকা নিয়া তুমার আর আমার চান্দা দিলাও।”