সমাজর মানষর লাগি হজরত ইছার তালিম (১৯:১-২২:৪৬)
তালাকর মুছলা
১৯
১ অউ তালিমর বাদে হজরত ইছা গালিল জিলা থাকি জর্দান গাংগর হপারো এহুদিয়া জিলার পুব এলাকাত আইলা।
২ অউ সময় বউত মানুষ তান খরে খরে আইলা,
তাইন এরা হকলর বেমার ভালা করলা।
৩ আর ফরিশি মজহবর কয়জন মানুষ আইয়া ইছারে পরিক্ষা করার লাগি জিকাইলা,
“কউক্কাছাইন,
মুছা নবীর শরিয়ত মাফিক কুনু মানষে যেকুনু কারনে তার বউরে তালাক দেওয়া জাইজ নি?”
৪ ইছায় কইলা,
“আপনারা আল্লার কালামো পাইছইন না নি,
আল্লায় পয়লা আদম আর হাওয়ারে বেটা আর বেটি বানাই পয়দা করছইন,
তাইন কইছইন,
৫ ‘এরলাগিউ বেটাইন্তে তারার মা-বাফরে ছাড়িয়া বউর লগে থাকবা,
তারা দুইওজন এক শরিল অইবা।’
৬ এরদায় তারা দুই রইতা নায়,
এক কায়া অইবা।
তে আল্লায় যেরারে জুড়া বান্দিয়া দিছইন,
মানষে ইতারে আলগ না করউক।”
৭ তেউ ফরিশি অকলে তানরে কইলা,
“তে মুছা নবীয়ে কেনে বাতাইছইন,
তালাক নামা লেখিয়া বউরে তালাক দেওয়া জাইজ?”
৮ তাইন কইলা,
“তুমরার দিল পাষান গতিকেউ মুছায় ই অনুমতি দিছইন।
অইলে পয়লা থাকি ইলা নিয়ম আছিল না।
৯ আমি তুমরারে কইরাম,
যে মানষে জিনার দুষ ছাড়া অইন্য যেকুনু কারনে তার বউরে তালাক দিয়া আরক বেটিরে হাংগা করে,
হে নিজেউ জিনা করে।”
১০ তেউ সাহাবি অকলে তানরে কইলা,
“জামাই-বউর মাজেও যুদি অলা ঘটনা ঘটে,
তে তো বিয়া না করাউ ভালা।”
১১ ইছায় তারারে কইলা,
“হকল মানুষ তো ইলা রইতো পারে না,
খালি আল্লায় যেরারে ই খেমতা দিছইন,
তারাউ পারে।
১২ কুনু কুনু মানুষ না-মর্দ হালতেউ দুনিয়াত জনম লয়,
এরলাগি তারা বিয়া করে না।
আর কুনু কুনু জনরে মানষেউ না-মর্দ বানাইলায়,
এরদায় তারাও বিয়া করে না।
হিরবার কেউ কেউ আছে বিয়া-শাদি না করিয়া,
খালি বেহেস্তি বাদশাইর খেজমতো জিন্দেগি কাটানির নিয়ত করিলায়।
তে ইখান যেরা আমল করতো পারে,
তারা আমল করউক।”
হুরু হুরুতাইন্তর বেয়াপারে তালিম
১৩ বাদে মানষে হুরু হুরু হুরুতাইনরে লইয়া ইছার গেছে আইলা,
তারা চাইলা তাইন যানু হুরুতাইন্তর মাথাগু আতাই দিয়া দোয়া করইন।
অইলে সাহাবি অকলে এরারে বকা-জকা করলা।
১৪ ইতা দেখিয়া তাইন কইলা,
“হুরুতাইনরে আটকাইও না,
তারারে আমার গেছে আইতে দেও।
আল্লার বাদশাই তো এরার লাখান মানষর লাগিউ।”
১৫ হুরুতাইন্তর মাথা আতাইয়া দোয়া করিয়া হারলে,
তাইন হিন থাকি গেলাগি।
গরিব আর ধনির বেহেস্ত
১৬ বাদে এক জুয়ান বেটায় আইয়া তানরে জিকাইলো,
“হুজুর,
আখেরাত পাওয়ার লাগি আমি কুন হক কাম করতাম?”
১৭ ইছায় কইলা,
“হক কামর বেয়াপারে আমারে কেনে জিকাইরায়?
হক তো খালি একজনউ আছইন,
তুমি আখেরাত পাইতে চাইলে,
তান হকল হুকুম-আহকাম আমল করো।”
১৮ হউ জুয়ানে কইলো,
“হুজুর,
কুন কুন হুকুম মানতাম?”
তাইন কইলা,
“খুন করিও না,
জিনা করিও না,
চুরি করিও না,
মিছা সাক্ষি দিও না,
১৯ মা-বাফরে ইজ্জত করিও আর আরি-ফরিরে নিজর লাখান মায়া করিও।”
২০ বেটায় কইলো,
“ছাব,
ইতা তো আমি এমনেউ আমল করিয়ার,
অইলে আর কিতা করতাম কউক্কা?”
২১ তেউ ইছায় তারে কইলা,
“তুমি যুদি ষোলআনা খাটি অইতায় চাও,
তে তুমার বাড়িত যাও,
গিয়া তুমার হকল ধন-ছামানা বেচিয়া গরিব-দুখিরে বিলাই দেও।
তেউ তুমি বেহেস্তো ধন-ছামানা পাইবায়।
এরবাদে আইয়া আমার উম্মত অইও।”
২২ ইখান হুনিয়া বেটা বেজার অইয়া গেলগি,
তার তো বউত ধন-ছামানা আছিল।
২৩ তেউ ইছায় তান সাহাবি অকলরে কইলা,
“আমি হাছা কথা কইরাম,
ধনি মানুষ আল্লার বাদশাইত হামানি বড় মশকিল।
২৪ হুনো,
ধনি মানুষ আল্লার বাদশাইত হামানির চাইতে,
ছুইর ফুড়েদি উট হামানি আরো সুজা।”
২৫ ইখান হুনিয়া সাহাবি অকল তাইজ্জুব অইয়া কইলা,
“তে কুন মানুষ নাজাত হাছিল করবো,
কে রেহাই পাইবো?”
২৬ তাইন এরার বায় চাইয়া কইলা,
“মানষর লাগি অসম্ভব অইতো পারে,
অইলে আল্লার নজরো ইতা তো মামুলি।
তাইন হকলতাউ পারইন।”
২৭ অউ সময় পিতরে জিকাইলা,
“হুজুর,
আমরা তো হক্কলতা ফালাই থইয়া আপনার খরে আইছি।
তে আমরা কিতা পাইমু?”
২৮ ইছায় কইলা,
“আমি তুমরারে হাছা কথা কইরাম,
তুমরা যারা আমার উম্মত অইছো,
আমি বিন-আদম জিন্দা অইয়া যেবলা আল্লার বাদশাইর গদিত বইমু,
অউ সময় তুমরাও আমার লগে অইয়া বারোটা তখতো বইবায়,
বইয়া বনি ইছরাইলর বারো গুষ্টির বিচার করবায়।
২৯ হুনো,
যে মানষে আমার লাগি নিজর বাড়ি-ঘর,
মা-বাফ,
ভাই-বইন,
পুয়া-পুড়ি,
আর জমি-মিরাস ফালাইয়া আইছে,
হে অউ দুনিয়াত ইতার একশো গুন বেশি পাইবো,
এরলগে আখেরও পাইবো।
৩০ অইলে অখন যেরা আগর কাতারো আছে,
এরার বউত জন খরে পড়িযিবো,
আর খরর কাতারর বউত জন আগে আইবো।”