হজরত ইছার উফাত আর জিন্দা অওয়া (২৬:১-২৮:২০)
হজরত ইছারে কাতল করার পরামিশ
২৬
 অউ বয়ান শেষ অইয়া হারলে,
ইছায় তান সাহাবি অকলরে কইলা,
 “তুমরার তো জানা আছে,
আর দুই দিন বাদেউ আজাদি ইদ।
ইদর সময় আমি বিন-আদমরে সলিবো লটকাইয়া মারার লাগি ধরাই দেওয়া অইবো।”
 অউ সময় বড় ইমাম আর মুরব্বি অকল আইয়া,
তারার পরধান ইমাম কায়াফার বাড়িত দলা অইলা।
 দলা অইয়া অউ পরামিশ করলা,
ইছারে কিলা লুকাইয়া আটক করিয়া কাতল করা যায়।
 অইলে তারা কইলা,
“ইদর সময় তারে ধরতাম নায়।
ধরলে মানষে গন্ডগোল লাগাই দিতো পারে।”
হজরত ইছারে হাজানির ভেদ
 ইছা যেবলা বায়ত-আনিয়া গাউর পচা-কুষ্ঠ বেমারি সাইমনর বাড়িত আছলা,
 অউ সময় এক বেটি মানুষ তান গেছে আইলা।
বেটিয়ে চিনর এক বৈয়ামো করি খুব দামি খাটি আতর আনছিলা।
ইছা খাওয়াত বইয়া হারলে বেটিয়ে হকল আতর তান মাথাত ঢালি দিলা।
 ইতা দেখিয়া সাহাবি অকল বিরক্ত অইয়া কইলা,
“অউ আতর ফুটাইন কেনে বরবাদ করা অইলো?
 ই ফুটিন বেচিলে তো বউত টেকা পাইয়া গরিব অকলরে বিলাই দেওয়া গেলো অনে।”
১০ ইখান বুজিয়া ইছায় কইলা,
“তুমরা ই বেটিগুরে দুখ দিরায় কেনে?
তাইন তো আমার লাগি ঠিক কামউ করছইন।
১১ গরিব অকল তো হামেশাউ তুমরার লগে রইবা।
অইলে আমারে তো হামেশা পাইতায় নায়।
১২ এইন আইয়া আমার গতরো আতর মাখাইয়া,
দাফন-কাফনর লাগি আমারে জুইত করছইন।
১৩ আমি তুমরারে হাছা কথা কইরাম,
দুনিয়ার যেকুনু জাগাত আল্লার খুশ-খবরি তবলিগ করার সময়,
অউ বেচাড়িরে মনো করার লাগি,
তান ই নেক কামর কথাখানও কওয়া যাইবো।”
সাহাবি ইহুদার বেইমানি
১৪ বাদে তান বারোজন সাহাবির মাজর একজন,
এন নাম ইহুদা ইস্কারিয়াত,
এইন বড় ইমাম অকলর গেছে গিয়া কইলা,
১৫ “ইছারে আপনারার আতো ধরাইয়া দিলে আমারে কিতা দিবা?”
তেউ বড় ইমাম অকলে তারে রুপার তিশ টেকা দিলা।
১৬ এরবাদ থাকিউ ইহুদায় ইছারে ধরাইয়া দেওয়ার সুযোগ তুকানিত রইলো।
হজরত ইছার আখেরি ইদ
১৭ খামির ছাড়া রুটি খাওয়ার ইদর পয়লা দিন,
সাহাবি অকলে আইয়া ইছারে জিকাইলা,
“হুজুর,
আমরা কুন জাগাত গিয়া আপনার লাগি আজাদি ইদর খানা তিয়ার করতাম?”
১৮ তাইন জুয়াপ দিলা,
“তুমরা টাউনো যাও।
গিয়া অমুক মানষরে কইও,
‘হুজুরে কইছইন,
আমার সময় ঘনাইয়া আইচ্ছে,
তে আমি আমার সাহাবি অকলরে লইয়া তুমার বাড়িত ইদ করমু।’ ”
১৯ ইছার হুকুম মাফিক সাহাবি অকলে গিয়া আজাদি ইদর খানি তিয়ার করলা।
২০ বাদে হাইঞ্জা বালা ইছায় তান বারোজন সাহাবিরে লইয়া খানিত বইলা।
২১ বইয়া কইলা,
“আমি তুমরারে হাছা কথা কইরাম,
তুমরার মাজর এক জনেউ তো আমারে দুশমনর আতো ধরাই দিবো।”
২২ ইখান হুনিয়া তারা খুব বেজার অইগেলা।
এরলাগি তারা এক এক করি জিকাইলা,
“হুজুর,
ই জন কিতা আমি নি?”
২৩ তাইন কইলা,
“অখন যে জনে আমার লগে অইয়া থালো আত হারার,
হে-উ আমারে ধরাইয়া দিবো।
২৪ আমি বিন-আদমর মউতর বেয়াপারে আছমানি কিতাবো যেলা লেখা আছে,
আমার মউত তো অউলাউ অইবো।
অইলে আফছুছ হউ জনর লাগি,
যেগিয়ে আমারে ধরাইয়া দিবো।
দুনিয়াত তার জনম না অওয়াউ,
তার লাগি বউত ভালা আছিল।”
২৫ যে ইহুদায় ইছারে ধরাই দিতো চার,
হে তানরে জিকাইলো,
“হুজুর,
হি জন কিতা আমি নি?”
ইছায় তারে কইলা,
“তুমি ঠিকউ কইরায়।”
আল-মসীর মেজবানির নমুনা
২৬ তারা খানা খাইরা,
অউ সময় ইছায় রুটি আতো লইয়া আল্লার শুকরিয়া আদায় করলা।
তাইন রুটি ছিড়িয়া টুকরা টুকরা করি সাহাবি অকলরে দিলা।
দিয়া কইলা,
“অউ নেও,
খাও,
মনো করো ইতা আমার কায়া।”
২৭ বাদে তাইন শরবতর পিয়ালা লইয়া আল্লার শুকরিয়া জানাইলা,
আর এরারে দিয়া কইলা,
“তুমরা হকলে অউ পিয়ালা থাকি আংগুরর শরবত খাও।
২৮ মনো করিও,
ইতা আমার লউ।
অউ লউর জরিয়ায় আদম জাতির বউতর গুনা মাফি অইবো।
আল্লার লগে মানষর মিলনর উছিলা অইলো অউ লউ।
২৯ আমি হাছা কথা কইয়ার,
আমি আমার গাইবি বাফর বাদশাইত দাখিল অইয়া হারি,
তুমরারে লগে লইয়া যতদিন নয়া হালতে আংগুরর শরবত না খাইছি,
অতো দিন ই শরবত আর খাইতাম নায়।”
৩০ হেশে তারা হকলে মিলি এক গজল গাইয়া,
ঘর থাকি বার অইয়া জয়তুন পাড়ো গেলাগি।
হজরত পিতরে অস্বীকার করার আগাম ইশারা
৩১ বাদে ইছায় তান সাহাবি অকলরে কইলা,
“হুনো,
আইজ রাইত তুমরা হকলেউ তো আমারে ফালাইয়া বাগিবায়।
আল্লার কালামো আছে,
‘আমি মেড়ার পালর রাখালরে মারমু,
তেউ পালর মেড়াইন চাইরোবায় ছিতরিযিবা।’
৩২ অইলে আমারে মুর্দা থাকি জিন্দা করার বাদে,
তুমরার আগেউ আমি গালিল জিলাত যাইমুগি।”
৩৩ তেউ সাহাবি পিতরে তানরে কইলা,
“হুজুর,
হকল বাগি গেলেও আমি বাগিতাম নায়।”
৩৪ ইছায় কইলা,
“তে হুনো,
আমি তুমারে হাছা কথা কইরাম,
আইজ পতাবালা মুরগায় বাং দিবার আগেউ তুমি তিনবার কইবায়,
তুমি আমারে চিনো না।”
৩৫ অইলে পিতরে কইলা,
“হুজুর,
অউ কিতা কইন,
আপনার লগে যুদি আমার মরনও অয়,
তা-ও আমি কুনুমন্তেউ আপনারে অস্বীকার করতাম নায়।”
হকল সাহাবিয়ে অউ এক লাখান কইলা।
গেতশিমানি বাগানো হজরত ইছা
৩৬ বাদে হজরত ইছায় তান সাহাবি অকলরে লইয়া গেতশিমানি নামর এক বাগানো আইলা।
আইয়া এরারে কইলা,
“তুমরা অনো বও,
আমি হগালাত গিয়া দোয়া করমু।”
৩৭ অখান কইয়া তাইন পিতর আর জিবুদিয়ার দুই পুয়ারে তান লগে নিলা।
আস্তে আস্তে তান দিলর মাজে দুখ আর হায়-হুতাশ বাড়িলো।
৩৮ তাইন এরারে কইলা,
“ভাইয়াইনরে,
দুখে আমার কইলজা ফাটিযার।
তুমরা অনো বইরও আর আমার লগে হজাগ রইও।”
৩৯ অখান কইয়া থুড়া হরিয়া গিয়া তাইন মাটিত সইজদাত পড়িয়া কইলা,
“ও আমার বেহেস্তি আব্বা,
আমার উপরে অউ যে জুলুম-মছিবত আইওর,
দুছরা কুনু উপায় থাকলে ইখানতা হরাইলাও।
অইলে ইতা আমার ইচ্ছায় নায়,
তুমার মর্জি মাফিকউ অউক।”
৪০ সইজদা থাকি উঠিয়া তাইন সাহাবি অকলর গেছে আইয়া দেখলা,
এরা ঘুমাই গেছইন।
অউ তাইন পিতররে হজাগ করি কইলা,
“তুমরা একখান ঘন্টাও হজাগ রইতায় পারলায় না নি?
৪১ হজাগ রও দোয়া করার লাগি,
আর দোয়া করো পরিক্ষা থাকি বাচার লাগি।
তুমরার দিলর মাজে নিচয় খিয়াল আছে,
অইলে কায়া তো কমজুর।”
৪২ বাদে তাইন দুছরা বার গিয়া দোয়া করলা,
“ও আমার বেহেস্তি আব্বা,
অউ জুলুম-মছিবত আমি সইয্য না করলে,
যুদি দুছরা কুনু পথ না থাকে,
তাইলে তুমার মর্জি মাফিকউ অউক।”
৪৩ বাদে তাইন হিরবার আইয়া দেখলা,
এরা ঘুমাই গেছইন,
ঘুমে তারার চউখ ফালাই দের।
৪৪ দেখিয়া তারারে থইয়া তাইন তিছরা বার গিয়া একই দোয়া করলা।
৪৫ এরবাদে তাইন সাহাবি অকলর গেছে আইয়া কইলা,
“তুমরা দেখি অখনও আরামে ঘুমাইরায়।
হুনো,
সময় আইচ্ছে,
আমি বিন-আদমরে গুনাগার অকলর আতো সমজাই দেওয়া অইবো।
৪৬ উঠো,
আমরা রওয়ানা দেই।
আমারে যেগিয়ে দুশমনর আতো ধরাই দিবো,
হে আইয়া আজিগেছে।”
হজরত ইছা দুশমনর আতো বন্দি
৪৭ তাইন এরার লগে মাতো রইছইন,
অউ সময় ইহুদা হনো আইলো।
হে আছিল বারোজন সাহাবির মাজর একজন।
তার লগে অইয়া আরো বউতে লাঠি-ছটা,
তলোয়ার লইয়া আইলো।
বড় ইমাম আর মুরব্বি অকলে এরারে পাঠাইছইন।
৪৮ তানরে যেগিয়ে ধরাইয়া দিতো,
অউ ইহুদায় তার লগর এরারে আগে হিকাইয়া দিছিল,
“আমি গিয়া যার গালো হুংগা দিমু,
হে-উ হউ জন।
তুমরা এরে আটক করিও।”
৪৯ এরলাগি ইহুদায় সুজা-সুজি ইছার গেছে গিয়া কইলো,
“হুজুর,
আছছালামু আলাইকুম।”
কইয়া হে তানরে হুংগা দিল।
৫০ ইছায় তারে কইলা,
“ভাইরে,
যেতা করাত আইছো,
করিলাও।”
লগে লগেউ তারা আইয়া ইছারে ধরিলিলো।
৫১ অউ সময় ইছার লগর একজনে নিজর তলোয়ার বার করিয়া পরধান ইমামর গুলামরে ছেদ মারলা,
ছেদর লগে তার এক কান কাটিয়া পড়িগেল।
৫২ তেউ ইছায় এনরে কইলা,
“তুমার তলোয়ার বেগো হারাইলাও।
তলোয়ারদি যারা খেলায়,
তলোয়ারর তলেউ তারার জান যায়।
৫৩ তুমি ইখান চিন্তা করো না নি,
আমি আমার বাতুনি বাফর দরবারো আরজ করলে,
তাইন কয়েক আজার ফিরিস্তা পাঠাইতা নায় নি?
৫৪ অইলে আমি ইলা করলে কিতাবর কথা কিলা ফলিবো?
কিতাবো যততা বাতাইল অইছে,
ইতা তো ঘটবোউ।”
৫৫ বাদে তাইন অতা মানষরে কইলা,
“কিতাবা,
আমি কুনু চুর-ডাকাইত নি,
তুমরা দেখি লাঠি-ছটা,
তলোয়ার লইয়া আমারে ধরাত আইছো।
আমি তো পরতেক দিন বায়তুল-মুকাদ্দছো বইয়া তালিম দিতাম।
অউ সময় তো তুমরা আমারে ধরলায় না।
৫৬ আসলে ইতা হক্কলতা ঘটের,
যাতে আছমানি কিতাবো নবী অকলে যেলা বাতাইছইন,
অতা পুরা অয়।”
অউ সময় সাহাবি অকলে ইছারে থইয়া বাগি গেলা।
দেশর ফতোয়া কমিটির ছামনে হজরত ইছা
৫৭ হজরত ইছারে ধরিয়া হারি অউ মানষে পরধান ইমাম কায়াফার গেছে লইয়া গেল।
হনো মৌলানা আর মুরব্বি অকল একখানো দলা অইলা।
৫৮ সাহাবি পিতর ইছার গেছ থনে দুরই হরি হরি রইয়া তান খরে খরে পরধান ইমামর বাড়ির উঠানর কান্দাত গেলা।
গিয়া হেশ-মেশ কিতা অয়,
অখান দেখার লাগি উঠানর ভিতরে হামাইয়া,
হনর পারাদার অকলর লগে বইলা।
৫৯ হজরত ইছারে কাতল করার লাগি বড় ইমাম অকলে আর মজলিছর হকল মানষে ইছার বিপক্ষে কুনু নালিশ তুকাইলা,
৬০ অইলে পাইলা না।
মজলিছো ইছার বিপক্ষে বউতে মিছা সাক্ষি দিলেও,
তারার সাক্ষির মিল অইলো না।
বাদে দুইজন মানষে আইয়া তান বিরুদ্ধে মিছা সাক্ষি দিয়া কইলো,
৬১ “আমরা হুনছি,
হে কইছে,
আল্লার কাবা শরিফ,
মানি বায়তুল-মুকাদ্দছরে হে ভাংগিলিবো,
আর তিন দিনর ভিতরে হিরবার বানাইবো।”
৬২ তেউ পরধান ইমাম উবাইয়া হকলর ছামনে ইছারে জিকাইলা,
“ওবা,
তুমি কুনু মাতর জুয়াপ দিতায় না নি?
ইতা মানষে তুমার বেয়াপারে কিতা সাক্ষি দিরা,
হুনরায় নি?”
৬৩ অইলে তাইন কুনু জুয়াপ না দিয়া নিরাই রইলা।
পরধান ইমামে তানরে হিরবার কইলা,
“তুমি জিন্দা আল্লার কছম খাইয়া কওছাইন,
তুমি কিতা আল্লার ওয়াদা করা হউ আল-মসী নি,
তুমিউ আল্লার খাছ মায়ার জন ইবনুল্লা নি?”
৬৪ তাইন জুয়াপ দিলা,
“আপনারাউ তো কইরা।
অইলে আমি কইরাম,
আপনারা দেখবানে,
আমি বিন-আদম আরশে-আজিমো আল্লা রাব্বুল আলামিনর ডাইনর তখতো বওয়াত আছি।
আরো দেখবা,
আমি বেহেস্তি মেঘর খুটিত অইয়া দুনিয়াত আইয়ার।”
৬৫ ইখান হুনিয়াউ পরধান ইমামে নিজর ফিন্নর কাপড় ছিড়িয়া কইলা,
“হে তো শিরিকি করলো,
তে আর কুনু সাক্ষির জরুর আছে নি?
আপনারা নিজর কানেউ তো হুনলা,
হে শিরিকি করলো।
৬৬ তে অখন আপনারা কিতা রায় দিবা?”
তারা কইলা,
“এরে তো মারিলাওয়া দরকার।”
৬৭ অউ সময় তারা তান মুখো ছেফ দিল,
আর তানরে চড়-তাবড় মারলো।
কেউ কেউ ঘুষি মারিয়া কইলো,
৬৮ “হই আল-মসী,
গাইবি কওছাইন,
তরে খেগিয়ে মারলো?”
হজরত পিতরে তিনবার অস্বীকার করলা
৬৯ পিতর উঠানো বওয়াত আছলা,
অউ সময় এক বান্দি বেটি তান কান্দাত আইয়া কইলো,
“গালিলর অউ ইছার লগে তো আপনেও আছলা।”
৭০ অইলে পিতরে হকলর ছামনে অস্বীকার করিয়া কইলা,
“না গো,
তুমি ইতা কিতা মাতো?
ইতা কুন্তাউ আমি জানি না।”
৭১ অখান কইয়া পিতর গেইটর ধারো গেলাগি।
তানরে দেখিয়া আরক বান্দি বেটিয়ে কইলো,
“অউ বেটাও তো নাছারত গাউর ইছার লগে আছিল।”
৭২ অইলে পিতরে হিরবার কছম করি কইলা,
“না,
না,
আমি তারে চিনিউ না।”
৭৩ অউ সময় তান কান্দাত যেরা উবা আছিল,
থুড়া বাদে তারা কইলা,
“ওবা,
তুমিও নিচ্চয় এরার লগর,
তুমার মাত-কথায়উ তো বুজা যার।”
৭৪ তেউ পিতরে কইলা,
“আল্লার গজব পড়উক,
আমি কছম খাইয়া কইয়ার,
আমি মোটেউ তারে চিনি না।”
৭৫ অখান কইতেউ মুরগায় বাং দিলাইলো।
বাং হুনতেউ পিতরর মনো অইগেল,
ইছায় আগে কইছলা,
“মুরগায় বাং দিবার আগেউ তুমি তিনবার কইবায়,
তুমি আমারে চিনো না।”
এরলাগি তাইন বারে গিয়া আউ-আউ করি কান্দন ধরলা।