জেরুজালেম টাউনো হজরত ইছা (১১:১-১৩:৩৭)
বাদশার বেশে জেরুজালেমো হামানি
১১
 হজরত ইছায় তান সাহাবিরে লইয়া জেরুজালেমর কাছাত,
জয়তুন পাড়র লগে বায়ত-আনিয়া আর বায়ত-ফাইজ্জা গাউত আইয়া আজিলা।
অনো আইয়া তাইন দুইজন সাহাবিরে কইলা,
 “তুমরা দুইও জন ছামনর অউ গাউত যাও।
গিয়া গাউত হামাইতেউ দেখবায় এগু গাধার বাইচ্চা বান্দা আছে।
এর উপরে কেউ কুনুদিন ছওয়ার অইছে না।
অগুর গলার দড়ি খুলিয়া অনো লইয়া আইও।
 কেউ জিকাইলে কইও,
হুজুরর দরকার আছে,
এরদায় নিরাম।
তাইন জলদি করি ফিরত দিলাইবা।”
 তান হুকুম মাফিক এরা গেলা।
গিয়া দেখলা,
হাছাউ পথর কান্দাত এক বাড়ির উঠানো গাধার বাইচ্চা বান্দা আছে।
দেখিয়া এরা তার বান্দ খুলিতা চাইলা,
 অউ সময় হনো উবা কয়জন মানষে জিকাইলা,
“ওবা,
তুমরা ই বাইচ্চার দড়ি খুলরায় কেনে?”
 তেউ ইছায় যেলা হিকাই দিছলা,
এরা অউলাউ জুয়াপ দিলা।
ইখান হুনিয়া মানষে আর কুন্তা কইলা না।
 গাধার বাইচ্চা লইয়া ইছার গেছে আইয়া হারলে,
মানষে নিজর গতরর চাদ্দর খুলিয়া গাধার পিঠিত বিছাইলা।
বাদে তাইন এর উপরে চড়িলা।
 আরো বউত মানষে তারার গতরর চাদ্দর খুলিয়া পথর মাজে বিছাই দিলা,
আর বউতে গাছর পাতাইন ছিড়িয়া আনিয়া পথো বিছাইলা।
 ইছার লগে অইয়া আগে-খরে যেরা যাওয়াত আছিল,
এরা জুরে জুরে এলান দিলা,
 
“মারহাবা!
মাবুদর নামে যেইন তশরিফ আনরা,
তান তারিফ অউক।
১০ আমরার মুল-মুরব্বি দাউদর বাদশাই কাইম অর,
আল-হামদুলিল্লা!
বেহেস্তোও মারহাবা!”
 
১১ জেরুজালেম আইয়া তাইন পবিত্র বায়তুল-মুকাদ্দছো হামাইলা আর চাইরোবায় চাইয়া হকলতা দেখলা।
বাদে হাইঞ্জা অইযাওয়ায় তান বারোজন সাহাবিরে লইয়া বায়ত-আনিয়াত গেলাগি।
১২ বাদর দিন বায়ত-আনিয়া থাকি বিদায় অওয়ার সময় তান পেটো ভুক লাগলো।
১৩ অউ তাইন দুরই থাকি পাতায় ভরা এগু ডুমুর গাছ দেখিয়া,
অগুর ফল খাইবার নিয়তে গাছর ধারো গেলা।
অউ সময় ডুমুর গাছো ফল ধরার দিন নায়।
তাইন গিয়া দেখলা,
গাছর মাজে খালি পাতা,
কুনু ফল নাই।
১৪ তাইন অউ গাছরে কইলা,
“আর কুনুদিন কেউ যানু তুমার ফল না খায়।”
তান ই বুলি সাহাবি অকলে হুনিলিলা।
জেরুজালেমর কাবা শরিফরে পাক-ছাফ করা
১৫ বাদে জেরুজালেম আইয়া তাইন পবিত্র বায়তুল-মুকাদ্দছো হামাইলা।
আর কাবা ঘরর সীমানাত যতো খরিদ-বিকির কারবারি আছিল,
ইতারে খেদাই দিলা।
তাইন টেকার বাট্টার কারবারি অকলর কেশ বাক্স,
আর পারো বেচরা অকলর আসন উল্টাইয়া ফালাই দিলা।
১৬ বায়তুল-মুকাদ্দছর উঠানেদি কুনুজাত মাল-ছামানা লইয়া চলাচল করতে নিষেধ দিলা।
১৭ তাইন তালিম দিলা,
“আল্লার কালামো বাতাইল অইছে না নি,
আমার ঘররে দুনিয়ার তামাম জাতির এবাদত খানা কইয়া ডাকা অইবো?
অইলে তুমরা ই ঘররে ডাকাইতর বালাখানা বানাইলিছো।”
১৮ ইখান হুনিয়া বড় ইমাম আর মৌলানা অকলে তানরে কাতল করার ধান্দাত লাগলা।
অইলে তারা ইছারে খুব ডরাইতা,
কারন তান তালিম হুনিয়া মানষর মাজে আচানক এশকি পয়দা অইছিল।
১৯ হাইঞ্জা বালা তাইন সাহাবি অকলরে লইয়া টাউনর বারে গেলাগি।
মজবুত ইমানর দোয়া
২০ বিয়ানে সাহাবি অকলে পথেদি আটিয়া আওয়ার বালা দেখলা,
অউ ডুমুর গাছ এক্কেরে জড়ে-ফড়ে হুকাইয়া মরি গেছে।
২১ দেখিয়া সাহাবি পিতরর মনো অইগেল।
অউ তাইন কইলা,
“হুজুর,
আপনে যে গাছরে বদদোয়া দিছলা,
দেখউক্কা,
ইগু মরি গেছে।”
২২ তাইন এরারে কইলা,
“আল্লার উপরে একিন রাখো।
২৩ আমি তুমরারে হাছাউ কইরাম,
কুনু মানষে তার দিলর মাজে সন্দয় না করিয়া,
পুরাপুর ইমানে যুদি অউ পাড়োরে কয়,
যাও,
উড়িয়া গিয়া দরিয়াত পড়ো,
তে হে যেলা কইবো তার লাগি অলা করা অইবো।
২৪ এরদায় আমি তুমরারে কইরাম,
দোয়া করার সময় তুমরা যেতা মাংগো,
একিন করিও তুমরা ইতা পাইলিছো।
তেউ হাছাউ ইতা পাইবায়।
২৫-২৬ তুমরা যেবলাউ দোয়া করাত উবাও,
অউ সময় কেউরর বিরুদ্ধে তুমরার কুনু নালিশ থাকলে,
তারে মাফ করি দিও।
তেউ তুমরার বেহেস্তি বাফ আল্লায়ও তুমরার তামাম গুনা মাফ করি দিবা।”
হজরত ইছায় কার এখতিয়ারে কাম করইন?
২৭ বাদে হজরত ইছায় তান সাহাবি অকলরে লইয়া হিরবার জেরুজালেম আইলা।
তাইন কাবা ঘরর উঠানো আটিরা,
অউ সময় বড় ইমাম অকলে,
মুরব্বি আর মৌলানা অকলে তান ধারো আইয়া জিকাইলা,
২৮ “তুমি কুন এখতিয়ারে ইতা কররায়?
কে তুমারে ই খেমতা দিছে?”
২৯ তাইন কইলা,
“আমি আপনারারে একখান ছওয়াল করমু।
আপনারা এর জুয়াপ দিলাইলে,
আমিও কইমু,
কার এখতিয়ারে আমি ইতা করিয়ার।
৩০ আইচ্ছা কউক্কা ছাইন,
হজরত এহিয়ায় তরিকার গোছল দেওয়ার এখতিয়ার কার গেছ থাকি পাইছলা,
আল্লার গেছ থাকি,
না মানষর গেছ থাকি?”
৩১ ইখান হুনিয়া তারা কানে কানে মাতিলা,
“আমরা যুদি কই আল্লার গেছ থাকি,
তে তাইন কইবা,
তুমরা তান উপরে ইমান আনলায় না কেনে?
৩২ আর যুদি কই মানষর গেছ থাকি,
তে তো?”
তারা মানষরে খুব ডরাইতা,
কারন হকল মানষেউ মানতা,
হজরত এহিয়া একজন নবী।
৩৩ এরদায় তারা জুয়াপ দিলা,
“আমরা ইখান জানি না।”
তেউ ইছায়ও কইলা,
“তে আমিও আপনারারে কইতাম নায়,
কার এখতিয়ারে আমি ইতা করিয়ার।”