আল্লার কাম করার লাগি হজরত ইছা জুইত অইলা (৩:১-৪:১৩)
হজরত এহিয়া নবীর তবলিগ
৩
১ রোমান বাদশা তিবিরিয় কৈছরর বাদশাইর পনরো বছর চলের।
অউ সময় পন্তীয় পিলাত আছলা তান অধীনর এহুদিয়া জিলার হাকিম,
আর হেরোদ আছলা গালিল জিলার রাজা,
হেরোদর ভাই ফিলিফ আছলা যিতুরিয়া আর তাখুনিতি জিলার রাজা,
আর লুসানিয়াছ আছলা আবিলিনি জিলার রাজা।
এরা হকলউ আছলা রোমান বাদশার অধীনে।
২ অউ আমলর ইহুদি জাতির পরধান ইমাম আছলা,
ইমাম হানন আর কায়াফা।
ঠিক অউ সময় জাকারিয়ার পুত এহিয়ার গেছে মরুভুমি এলাকাত আল্লায় তান কালাম নাজিল করলা।
৩ তেউ এহিয়া নবীয়ে জর্দান গাংগর কান্দা-কাছার হকল খানো গিয়া তবলিগ করলা।
কইলা,
গুনা থাকি মাফি পাওয়ার লাগি তৌবা করিয়া তরিকার গোছল করা জরুর।
৪ এহিয়া নবীর বেয়াপারে ইশায়া নবীর কিতাবো যেলা লেখা আছিল,
তাইন অউলা করলা।
লেখা আছে,
মরুভুমির মাজে একজনে এলান কররা,
তুমরা মালিকর পথ ছহি করো,
তান চলার রাস্তা অকল সিদা করো।
৫ পাড়িয়া হক্কল নীচা জাগা ভরাট অইবো,
উচা-নীচা টিল্লাইন হমান করা অইবো।
তেড়া-বেকা হকল পথ সুজা অইবো,
গাত-গাড়া হকলতা হমান করা অইবো।
৬ আর দুনিয়ার মানষরে তরানির লাগি
আল্লায় নাজাতর যে উছিলা করছইন
তামাম মানষেউ ইতা দেখবা।
৭ এহিয়া নবীর তবলিগ হুনিয়া তৌবার গোছল করার নিয়তে যেরা আইলো,
তাইন এরারে কইলা,
“ও হাফর বাইচ্চাইন,
আছমানি গজব আইওর দেখিয়া জান বাচানির পথ তুমরারে খেগিয়ে বাতাই দিলো?
৮ হাছাউ যুদি তুমরা তৌবা করিয়া থাকো,
তে এর ফলও দেখাও।
মনে মনে কইও না,
তুমরা ইব্রাহিমর আওলাদ।
হুনো,
আমি কইরাম,
আল্লায় চাইলে তো অউ পাথর অকল থাকিউ ইব্রাহিমর আওলাদ বানাইতা পারবা।
৯ গাছর গুড়িত তো কুড়াল লাগাইলউ আছে।
যে গাছো ভালা ফল ধরে না,
ই গাছ কাটিয়া আগুনিত ফালাইল অইবো।”
১০ ইতা হুনিয়া মানষে এহিয়ারে জিকাইলা,
“তে আমরা কিতা করতাম?”
১১ তাইন কইলা,
“কেউরর যুদি দুইটা কোর্তা থাকে,
তে যার নাই তারে একটা দেউক।
যার ঘরো ধান-চাউল আছে,
হে-ও অউলা বিলাউক।”
১২ খাজনা তুলরা কয়জন তশিলদারে তৌবার গোছল করাত আইয়া জিকাইলা,
“মুরশিদ,
আমরা কিতা করতাম?”
১৩ তাইন কইলা,
“নিয়ম থাকি বেশি টেকা আদায় করিও না।”
১৪ কয়জন সিপাইয়েও জিকাইলা,
“হুজুর,
তে আমরা কিতা করতাম?”
তাইন কইলা,
“কেউররে জুর-জুলুম করিয়া বা ফান্দো ফালাইয়া কুন্তা আদায় করিও না।
যারযির বেতনে খুশি রইও।”
১৫ মানষে মনে মনে আল-মসীর লাগি বার চাওয়াত আছিল,
এহিয়ারে দেখিয়া তারা খুব আশা করলো,
এইনউ মনোলয় আল-মসী।
১৬ অইলে এহিয়ায় তারারে কইলা,
“আমি খালি পানিদি তৌবার গোছল করাইয়ার,
তে আমার বাদে যেইন তশরিফ আনরা,
তাইন আমা থাকিও তাক্কত আলা।
তান পাওর জুতার ফিতা গেছা খুলার জুকাও আমি নায়।
তাইন আইলে পাক রুহ আর আগুইন দিয়া তুমরারে গোছল করাইবা।
১৭ তান কুলা তো তান আতোউ আছে,
মাড়া দেওয়া ধান অউ কুলাদি উয়াইয়া হারি ধান নিয়া উগারো তুলবা,
আর ছুছারে অমন আগুনিত ফালাই জালাইবা,
যে আগুইন কুনুদিন নিভে না।”
১৮ অউ লাখান আরো বউত নছিয়ত করিয়া এহিয়ায় মানষর গেছে খুশ-খবরি তবলিগ করলা।
১৯ অইলে রাজা হেরোদে বউত নমুনার খারাপ কাম করায়,
আর তার ভাইর বউ হেরোদিয়ারে হাংগা করায়,
এহিয়ায় তারে দুষি সাইবস্তো করলা।
২০ এরদায় হে তার হকল কু-কামর লগে এওখানও বাড়াইলো,
হে নবী এহিয়ারে জেলো হারাইলিলো।
হজরত ইছায় পাক গোছল করলা
২১ এহিয়া নবী জেলো হামানির আগে,
তান গেছে আইয়া যেবলা বউত মানষে তৌবার গোছল কররা,
অউ সময় ইছাও অনো আইয়া তারার লগে গোছল করলা।
গোছলর বাদে ইছায় যেবলা দোয়া কররা,
আখতাউ আল্লার আরশর দুয়ার খুলি গেল,
২২ আর পাক রুহ পারোর ছুরত ধরিয়া তান উপরে নাজিল অইলা।
লগে লগে বেহেস্তি অউ আওয়াজও হুনা গেল,
“তুমিউ আমার খাছ মায়ার জন,
তুমার উপরে আমি খুব খুশি।”
হজরত ইছা আল-মসীর খান্দানর পরিচয়
২৩ অনুমান তিশ বছর বয়সর কালো ইছায় তবলিগ কাম শুরু করলা।
মানষে জানতা তাইন ইউছুফর পুয়া।
ইউছুফর ময়-মুরব্বি অইলা,
২৪ আলি,
মাত্থাত,
লেবি,
মালকি,
ইয়ান্নাই,
ইউছুফ,
২৫ মাত্থাতিয়া,
আমোজ,
নাউম,
ইছলি,
নাগ্গাই,
২৬ মাহাত,
মাত্থাতিয়া,
শিমীয়,
ইউসেখ,
ইয়োদা,
২৭ ইউহান্নান,
রীসা,
জেরবাবিল,
সালতিয়েল,
নীরি,
২৮ মালকি,
আদ্দি,
কাছাম,
ইলমাদাম,
ইয়ের,
২৯ ইউছা,
এলিয়েজের,
ইউরিম,
মাত্থাত,
লেবি,
৩০ শিমিয়ন,
এহুদা,
ইউছুফ,
ইউনান,
ইলিয়াকিম,
৩১ মালিয়া,
মান্না,
মাত্থাতা,
নাথান,
দাউদ নবী,
৩২ ইয়াছ,
উবায়েদ,
বোয়াজ,
সেলিম,
নাহিশ,
৩৩ আমিনাদাব,
আদমিন,
আরনী,
হাছির,
ফিরোজ,
এহুদা,
৩৪ ইয়াকুব নবী,
ইছহাক নবী,
ইব্রাহিম নবী,
তারেখ,
নাহুর,
৩৫ সারুজ,
রাউ,
ফালেজ,
আবের,
শালেখ,
৩৬ কিনান,
আর্ফাক্সাদ,
সাম,
নুহ নবী,
লামাক,
৩৭ মাতুশালাখ,
ইদ্রিছ নবী,
ইয়ারেদ,
মাহলাইল,
কেনান,
৩৮ ইনোস,
শিস নবী,
আদম,
আল্লা পাক।