হজরত ইছা আল-মসীর জনম
২
১ অউ সময় রোমান বাদশা আগস্ত কৈছরে হুকুম দিলা,
তান আস্তা বাদশাইর হকল প্রজায় যারযির নাম লেখানির লাগি।
২ সিরিয়ার হাকিম কুরিনিয়াছর আমলো,
অউ পয়লা বার মানুষ গনার লাগি নাম লেখাইল অইলো।
৩ তেউ নাম লেখানির লাগি হকল মানুষ যারযির বুনিয়াদি গাউত গেলা।
৪ অউ লাখান ইউছুফও নাম লেখানির লাগি গালিল জিলার নাছারত গাউ থাকি বাদশা দাউদর গাউত আইলা।
তাইন তো দাউদর খান্দানর মানুষ।
গাউর নাম বেথেলহাম,
ইটা এহুদিয়া জিলাত।
৫ বিবি মরিয়মও অউ ইউছুফর লগে অইয়া নাম লেখানিত গেলা।
অউ ইউছুফর লগেউ তান শাদি ঠিক অইছিল,
আর তান পেটো অউ সময় হুরুতা আছিল।
৬ বেথেলহামো থাকতেউ মরিয়মর হুরুতা অইবার বিষে ধরলো।
৭ আর তান পয়লা পুয়ার জনম অইলো।
অইলে হিনো কুনু মেহমান খানাত থাকার জাগা মিললো না,
এরদায় মরিয়মে অউ হুরুতারে তেনাদি বেরাইয়া গোয়াল ঘরর খেরর গামলাত হুতাই থইলা।
ফিরিস্তা আর রাখাল অকল
৮ অউ বেথেলহাম গাউর কান্দাত বন্দর মাজে,
মেড়ার রাখাল অকলে রাইতকুর বালা তারার মেড়া পারা দেওয়াত আছিল।
৯ আখতাউ আল্লার এক ফিরিস্তা তারার ছামনে আইয়া দরশন দিলা,
আর মাবুদর নুরর তেজে চাইরোবায় ফর অইগেল।
ইতা দেখিয়া রাখাল অকল ডরর চুটে বেদিশা বনিগেলা।
১০ অইলে ফিরিস্তায় তারারে কইলা,
“তুমরা ডরাইও না।
আমি তুমরার লাগি খুব খুশির খবর লইয়া আইছি।
ই খুশ-খবরি দুনিয়ার তামাম মানষর লাগি।
১১ হুনো,
তুমরার তরানেআলা আইজ দাউদর গাউত জনম লইছইন।
তাইনউ আল-মসী,
তাইনউ মালিক।
১২ তুমরা গিয়া এর পরমান দেখবায়,
দেখবায় এক কাচা হুরুতারে তেনাদি বেরাইয়া,
গোয়াল ঘরর খেরর গামলাত হুতাইয়া থওয়া অইছে।”
১৩ অউ সময় আখতাউ হউ ফিরিস্তার লগে আরো বউত ফিরিস্তারে দেখা গেল।
এরা আল্লার জিকির-আজকার করি করি কইলা,
১৪ “আছমানো আল্লার লিলা-খেলা দেখা যাউক,
দুনিয়ার বুকুত তান পিয়ারা বন্দার শান্তি অউক।”
১৫ বাদে ফিরিস্তা অকল তারার গেছ থাকি আছমানো গিয়া হারলে,
রাখাল অকলে একে-অইন্যরে কইলো,
“আও,
আমরা বেথেলহামো যাই।
মাবুদে আমরারে যে খবর জানাইলা,
অতা দেখিয়া আই।”
১৬ মাতি মাতি তারা জলদি করি গেলা,
গিয়া মরিয়ম,
ইউছুফ আর খেরর গামলাত হুতাইল অউ হুরুতারে পাইলা।
১৭ পাইয়া অউ হুরুতার বেয়াপারে তারারে যে খবর জানাইল অইছিল,
ইতা তারা হকলরে কইলা।
১৮ তারার মাত হুনিয়া হকলেউ তাইজ্জুব অইগেলা।
১৯ অইলে মরিয়মে হকলতা দিলর মাজে গাথিয়া রাখলা,
আর মনে মনে চিন্তাত রইলা।
২০ ফিরিস্তা অকলে রাখাল অকলরে যেলা কইছলা,
এরা ইতা দেখিয়া হুনিয়া আল্লার জিকির তারিফ করি করি ফিরত গেলাগি।
২১ বাদে জন্মর আট দিনর দিন আকিকা আর মছলমানি করানির বালা,
তান নাম রাখা অইলো ইছা।
মাʼর পেটো আইবার আগেউ ফিরিস্তায় অউ নাম থইছলা।
গেদা ইছারে বায়তুল-মুকাদ্দছো আনলা
২২ এরমাজে মুছা নবীর শরিয়ত মাফিক তারার পাক-ছাফ অওয়ার সময় অইলো।
তেউ ইছারে মাবুদর আতো সপিয়া দিবার নিয়তে,
ইউছুফ আর মরিয়মে তানে লইয়া জেরুজালেম টাউনো আইলা।
২৩ মাবুদর শরিয়তর হুকুম আছিল,
পরতেক জানদারর পয়লা পুয়ারে আল্লার নামে সপিয়া দিতে অইবো।
২৪ এরলগে,
এক জুড়া ডুপি পাখি বা পারোর দুইটা বাইচ্চা কুরবানি দিতে অইবো,
শরিয়তর অউ হুকুম মাফিক তারা কুরবানি দেওয়াত আইলা।
২৫ অউ সময় জেরুজালেম টাউনো ছামাউন নামর একজন আল্লারাইয়া বুজুর্গ আছলা,
তাইন পাক রুহে কামিল।
তাইন মনে মনে বার চাওয়াত আছলা,
আল্লায় কুন সময় বনি ইছরাইলরে শান্তি দিবা।
২৬ পাক রুহ তান লগে আছলা,
অউ রুহে তানরে বাতাইছলা,
তান মউতর আগেউ আল্লার ওয়াদা করা আল-মসীরে তাইন দেখবা।
২৭ পাক রুহর ইশারায় ছামাউন অউ দিন বায়তুল-মুকাদ্দছো আজির অইলা।
ইছার মা-বাফেও শরিয়তর হুকুম আদায় করার নিয়তে,
গেদা ইছারে লইয়া অনো আইলা।
২৮ অউ কামিল বুজুর্গ ছামাউনে ইছারে কুলো লইয়া আল্লার শুকরিয়া আদায় করলা।
তাইন কইলা,
২৯ “ও মালিক,
তুমার জবান মাফিক
তুমার ই গুলামরে অখন শান্তিয়ে বিদায় দেও।
৩০-৩১ আদম জাতিরে তরানির লাগি,
তামাম মানষর চউখর ছামনে,
তুমি যে উছিলা কাইম করছো হউ আল-মসীরে
আমার নিজ চউখে দেখিয়া গেলাম।
৩২ তুমার খাছ প্রজা বনি ইছরাইলর গৌরব তো এইনউ,
বাদ-বাকি তামাম জাতিরেও পথ দেখানির নুর।”
৩৩ ছামাউনে ইছার বেয়াপারে অউ যেতা কইলা,
ইতা হুনিয়া ইছার মা-বাফ তাইজ্জুব অইগেলা।
৩৪ ছামাউনে তারারে দোয়া দিলা,
তাইন ইছার মা মরিয়মরে কইলা,
“হুনো,
আল্লা পাকর খিয়াল অইলো,
অউ হুরুতার দরুন বনি ইছরাইলর বউত জনে নাজাত হাছিল করবা,
আর বউত জন লান্নতি অইবা।
তাইন অউ লাখান এক নিশানা,
তান বিপক্ষে বউতেউ মাতিবো।
৩৫ অতা থাকি তারার দিলর হাল-হকিকত বুজা যাইবো।
আর হুনো,
তলোয়ারে কাটিলে যেলা অয়,
তুমার দিলোও অলা দুখর ছেল হামাইবো।”
৩৬ অউ সময় হান্না নামর একজন বেটি মানুষও আছলা,
তাইন আল্লার নবী।
তান বাফর নাম পানুয়েল,
আর খান্দানর নাম আশির।
তান বউত বয়স অইগেছে,
সাত বছর জামাইর ঘর করিয়া হারি,
৩৭ চৌরাশি বছর পর্যন্ত ড়াড়ি হালতে আছলা।
তাইন বায়তুল-মুকাদ্দছর ভিতরে রোজা রাখতা আর দোয়া করতা।
এবাদত-বন্দেগির মাজে রাইত-দিন কাটাইতা,
বারে বার অইতা না।
৩৮ ঠিক অউ সময় তাইনও অনো আইয়া আল্লার শুকরিয়া আদায় করলা।
আর যেরার দিলো অউ আশা আছিল,
আল্লা পাকে জেরুজালেমরে আজাদ করবা,
তারার লগেও তাইন ইছার বেয়াপারে বাতচিত করলা।
৩৯ মরিয়ম আর ইউছুফে মাবুদর শরিয়ত মাফিক হকল কাম শেষ করিয়া হারলে,
তারার বসত বাড়ি গালিল জিলার নাছারত গাউত গেলাগি।
৪০ নাবালিক ইছার বয়স বাড়িলো,
এরলগে তাইন শরিলর বল আর ইলিম-আখলেও মজবুত অইলা।
আল্লার রহমত তো তান লগে আছিল।
বারো বছরর হজরত ইছা জেরুজালেম কাবা শরিফো
৪১ ইহুদি অকলর আজাদি ইদর সময় আইলে ইছার মা-বাফ পরতি বছরউ জেরুজালেমো যাইতা।
৪২ ইছার বয়স যেবলা বারো বছর,
অউ সময়ও হউ রেওয়াজ মাফিক তারা জেরুজালেমো আইলা।
৪৩ ইদ শেষ অইয়া হারলে তারা বাড়িত রওয়ানা দিলা,
অইলে ইছা অউ সময় ই দলর লগে না গিয়া জেরুজালেমো রইগেলা।
তান মা-বাফে ইখান টের পাইলা না।
৪৪ ইছাও দলর ভিতরে আছইন মনো করিয়া তারা একদিনর পথ আগুয়াই গেলা।
গিয়া তারার খেশ-কুটুম আর লগর মানষর গেছে তালাশ করিয়া তানরে পাইলা না।
৪৫ না পাইয়া তানরে তুকাই তুকাই হিরবার জেরুজালেমো আইলা।
৪৬ তিন দিন তালাশ করিয়া তানরে বায়তুল-মুকাদ্দছো পাইলা।
তারা দেখলা,
তাইন মৌলানা অকলর লগে বইয়া তারার বয়ান হুনরা,
আর নানান মুছলা জিকাইরা।
৪৭ আর যতো মানষে তান মাত হুনলা,
তারা হকলেউ তান আখলদারি বাতচিত হুনিয়া তাইজ্জুব বনিগেলা।
৪৮ তান মা-বাফেও তানরে দেখিয়া এক্কেরে চমকিগেলা।
মাʼয় তানরে জিকাইলা,
“পুতরে,
তুমি আমরার লগে ইতা করলায় কেনে?
আমি আর তুমার বাফে কত পেরেশান অইয়া তুমারে তুকাইরাম।”
৪৯ ইছায় জুয়াপ দিলা,
“তুমিতাইন কেনে আমারে তুকাইরায়?
জানো না নি,
আমি তো আমার গাইবি বাফর ঘরোউ রইতে অইবো?”
৫০ তান মা-বাফে ই মাতর কুনু ভেদ বুজলা না।
৫১ বাদে তাইন বার অইয়া মা-বাফর লগে অইয়া নাছারতো গেলা,
আর তারার কথামতো চললা।
অইলে তান মাʼয় ইতা হক্কলতা দিলো গাথিয়া রাখলা।
৫২ এরমাজে আল্লার মহব্বত,
মানষর মায়া,
বয়স আর ইলিম-আখলে তাইন আস্তে আস্তে বড় অইলা।