১১
১ তে আমি যেলা আল-মসীর লাখান চলিয়ার,
তুমরাও অউলা আমার লাখান চলো।
জমাতো আল্লার এবাদত-বন্দেগি (১১:২-১৪:৪০)
নিয়ম মানিয়া এবাদত করো
২ ও ভাই অকল,
তুমরা আমার দেওয়া তালিম মনো রাখিয়া চলরায়,
আর হকল বেয়াপারেউ আমারে ইয়াদ রাখরায়,
এরলাগি আমি তুমরার তারিফ করিয়ার।
৩ তে আমি চাইরাম,
তুমরা অখান বুজো,
আল-মসীউ অইলা হকল বেটাইন্তর মাথা,
বেটাইন অইলা বেটিন্তর মাথা,
আর আল্লা পাক অইলা আল-মসীর মাথা।
৪ এবাদত-বন্দেগির সময় যে বেটায় মাথা গুরিয়া দোয়া-মুনাজাত করে,
বা পীরাকি মাতে,
হে তো তার মাথারে অসম্মান করে।
৫ অলাখান যে বেটিয়ে মাথা না গুরিয়া দোয়া-মুনাজাত করে,
বা পীরাকি মাতে,
অউ বেটিয়েও তাইর মাথার অসম্মান করে,
তাই মাথা কামাইল বেটিন্তর লাখান বনিযায়।
৬ কুনু বেটিয়ে যুদি মাথা না গুরে,
তে তাইর চুল কামাইলাউক।
অইলে বেটিন্তর চুল কামানি শরমর বিষয় মনো অইলে,
তাইর মাথা গুরিয়া রাখউক।
৭ এবাদত-বন্দেগির সময় মাথা গুরিয়া রাখা বেটাইন্তর লাগি ঠিক নায়,
আল্লায় তো বেটাইন্তরে তান নিজর ছুরতে পয়দা করছইন আর বেটাইন্তর মাজদিউ আল্লার মহিমা জাইর অয়,
অইলে বেটিন্তর মাজদি বেটাইন্তর মহিমা জাইর অয়।
৮ পয়লা বেটা মানুষ বাবা আদম তো বেটি থাকি পয়দা অইছইন না,
অইলে পয়লা বেটি মানুষ মাই হাওয়া নিচ্চয় বেটা থাকিউ পয়দা অইছইন।
৯ আর বেটিন্তর লাগি বেটাইন পয়দা অইছইন না,
বরং বেটাইন্তর লাগিউ বেটিন পয়দা অইছইন।
১০ অউ তালিম মাফিক ফিরিস্তা অকলর কথা খিয়াল রাখিয়া,
তাবেদারি মানার নিশানা হিসাবে হকল বেটিন্তে মাথা গুরিয়া রাখা জরুর।
১১ তা-ও মালিক ইছার তরিকার বেটি মানষে ঘরর বেটার উপরে ভরসা করইন,
আর বেটায়ও অলা বেটির উপরে ভরসা করইন।
১২ কারন,
পয়লা বেটা আদম থাকি যুদিও পয়লা বেটি মাই হাওয়া পয়দা,
তা-ও বেটিন থাকিউ হিরবার বেটাইন্তর জনম অয়।
আসলে হক্কলতাউ তো আল্লার পয়দা।
১৩ তুমরা নিজেউ বিচার করি দেখো,
মাথাত কাপড় না দিয়া কুনু বেটিয়ে দোয়া-মুনাজাত করা ঠিক নি?
১৪ আর সমাজর হাল-চাল থাকিউ তো বুজা যায়,
বেটাইন্তর মাথাত লাম্বা চুল রাখা শরমর বেয়াপার,
১৫ অইলে বেটিন্তে লাম্বা চুল রাখলে তারার সুনাম বাড়ে না নি?
নিজরে গুরিয়া রাখার লাগিউ তো তারা ই লাম্বা চুল পাইছইন।
১৬ তে ইতা লইয়া কেউ তর্ক-বিতর্ক করলে,
আমার পরিস্কার জুয়াপ অইলো,
ইতা ছাড়া দুছরা কুনু নিয়ম আমরার মাজে নাই আর আল্লার জমাতর মাজেও নাই।
ইছা আল-মসীর মেজবানির বেয়াপারে
১৭ অখন আমি যে বেয়াপারে পরামিশ দিতাম চাইরাম,
ই বেয়াপারে তো তুমরা মোটেউ তারিফ পাওয়ার জুকা নায়।
তুমরা জমাতো যেলা শরিক অও,
ইতায় তুমরার কুনু ফায়দা অয় না,
বরং খেতি অয়।
১৮ আমি হুনিয়ার,
তুমরা যেবলা জমাতো শরিক অও,
অউ সময় তুমরার মাজে দলাদলি থাকে,
আর ইতা কিছু আমি বিশ্বাসও করি।
১৯ আসলে তো তুমরার মাজে মতর অমিল থাকবোউ,
যাতে তুমরার মাজর খাটি নিখুত মানষর পরিচয় মিলে।
২০ হুনো,
তুমরা যেবলা একখানো মিলিয়া এবাদত-বন্দেগি করো,
অউ সময় তো আল-মসীর মেজবানির নিয়তে খানি বিলানি অয় না।
২১ কারন তুমরা একজনে আরক জনর বায় খিয়াল না করিয়াউ খানি খাইলাও।
তুমরার একজনর পেটো ভুক থাকে,
আর আরক জন খাইয়া টাল অইযায়।
২২ খানা-পিনা খাইবার লাগি তুমরার কুনু ঘর-বাড়ি নাই নি?
তুমরা ইচ্ছা করিয়া আল্লার জমাতরে এলামি কররায় নি?
আর যেরার খানির কুন্তা নাই,
তারারে শরম দিরায় নি?
অখন আমি আর কিতা কইতাম?
তুমরার তারিফ করতাম নি?
নাউজুবিল্লা!
২৩ আসলে আমি মালিক ইছার গেছ থাকি যে তালিম পাইছি,
অউ তালিমউ আমি তুমরারে দিছি।
মালিক ইছারে যে রাইত দুশমনর আতো ধরাই দেওয়া অইছিল,
হউ রাইত তাইন খানির রুটি আতো লইলা,
২৪ আর আল্লার শুকরিয়া আদায় করলা,
বাদে অউ রুটি টুকরাইয়া কইলা,
“ইতা তো আমার শরিল,
অউ শরিল তুমরার লাগি বিলাই দেওয়া অর,
তে আমারে মনো রাখার লাগি অউলা করিও।”
২৫ অলা খাওয়ার বাদে তাইন শরবতর পিয়ালা লইয়া কইলা,
“আমার লউর জরিয়ায় আল্লার লগে মিলনর যে নয়া উছিলা কাইম অইবো,
অউ পিয়ালা অইলো এর নিশানা।
তুমরা অউ পিয়ালা থাকি খাওয়ার সময় আমারে ইয়াদ করার লাগি হামেশা অলা করিও।”
২৬ তে তুমরা যতবার অউ রুটি খাইবায় আর অউ পিয়ালার শরবত খাইবায়,
মালিক ইছা হিরবার না আওয়া পর্যন্ত অতবারউ তান মউতর কথা এলান কররায়।
২৭ এরলাগি খাম-খেয়ালি করিয়া কেউ যুদি ই রুটি খায় আর পিয়ালার শরবত খায়,
তে হে মালিক ইছার শরিল আর লউর বিরুদ্ধে গুনা করিয়া দুষি বনিযায়।
২৮ অউ রুটি খাইবার আগে আর পিয়ালার শরবত খাইবার আগে,
মানষে নিজরে যাচাই করি দেখউক।
২৯ কারন ইতা খাওয়ার সময় হে যুদি মালিক ইছার শরিলর বেয়াপারে না বুজে,
তে ইতা খাইয়া হে নিজর উপরে গজব ডাকিয়া আনে।
৩০ অতার লাগিউ তুমরার মাজর বউত মানুষ কমজুর আর বেমারি আছইন,
এমনকি কেউ কেউ মরছইন।
৩১ আমরা নিজর বিচার নিজে করিল্লে,
মালিকর আতর বিচার থাকি রেহাই পাইমু।
৩২ অইলে মালিকে যেবলা আমরার বিচার করইন,
অউ সময় তাইন আমরারে শাসন করইন,
যাতে দুনিয়ার হকলর লগে আখেরাতর দিন আমরারে দুষি সাইবস্তো করা না অয়।